Mobile Banking: মোবাইল ব্যাংকিং ইসলামের দৃষ্টিতে এটি হারার কিনা বিস্তারিত আলোচনা। বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেউ কেউ আবার দ্বিদা সংকটে পড়ছেন এটি ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ নাকি অবৈধ।
কোন জিনিস ইসলামে বৈধ কিনা তা যাচাই করার জন্য সেই জিনিস সম্পর্কে আপনা ভাল জ্ঞান থাকা এবং সেই সাথে ইসলামের জ্ঞান থাকা জরুরী। মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা সাধারণ ব্যাংকিং ইসলামে হারাম করা হয়নি । হারাম শুধু সুদ কিংবা সুদি লেনদেন।
যে ব্যাংকিং অর্থাৎ লেনদেন সুদের জন্য করা হয় কিংবা যে ব্যাংকিং লেনদেন এ সুদের মিশ্রণ থাকে সেই সকল লেনদেন বা ব্যাংকিং ইসলামে নিষিদ্ধ। তাহলে কি মোবাইল ব্যাংকিং ইসলামে নিষিদ্ধ?
আরো জানুন:
ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা ডিজিটাল ব্যাংকিং কি?
ইসলামী ব্যাংকের ‘সেলফিন’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর অজানা তথ্য
বিকাশের গোপন তথ্য গুলো জানুন
রকেট মোবাইল ব্যাংকিং কি?
মোবাইল ব্যাংকিং ইসলামে বৈধ কিনা তা জানার আগে মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। মোবাইল ব্যবহার করে যে লেনদেন করা হয় তাই মোবাইল ব্যাংকিং।
What is Mobile Banking: মোবাইল ব্যাংকিং কি?
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং খুব বেশি দিনের পুরানো বিষয় নয়। এক যুগ আগেও লোকেরা মোবাইল ব্যাংকিং কি তা কল্পনাও করতে পারত না। কিন্তু বর্তমানে সবাই মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে অবগত। এমনকি প্রায় সবাই কোন না কোন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করছে । যেমন-বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ ইত্যাদি।
মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা সমূহ কি কি?
ডিজিটাল ব্যাংকিং সুবিধা অনেক সহজিকরণ হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা গুলো হচ্ছে-
* ২৪ ঘন্টাই একাউন্ট লগইন করার সুবিধা পাওয়া যায়।
* যে কোন সময় ব্যালেন্স জানা যায়।
* এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠানো যায় সহজেই।
* ইউটিলিটি বিল যেমন- বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বিল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সহজেই পরিশোধ করা যায়।
* মোবাইল রিচার্জ । মোবাইল ব্যাংকিং থেকে সহজেই মোবাইল রিচার্জ করা যায়।
* একাউন্টের আয় ব্যায় জানা যায়।
* নগত অর্থ উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশে সকল ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু না হলেও অধিকাংশ ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। খুব শ্রীঘ্রই বাকি ব্যাংকগুলো এ সেবা চালু করবে। আশা করছি মোটামুটি মোবাইল ব্যাংকি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন । মূল আলোচনায় আশা যাক।
ইসলামের দৃষ্টিতে মোবাইল ব্যাংকিং বৈধ নাকি অবৈধ
মোবাইল ব্যাংক একাউন্টধারী তার নিজ একাউন্ট ব্যবহার করে অন্য একাউন্টে নির্ধারিত পরিমান টাকা পাঠাতে পারে । এটাকে সেন্ট মানি বলে। প্রতিষ্ঠানগুলো এ জন্য নির্ধারিত পরিমান চার্জ কাটে। ইসলামের দৃষ্টিতে এতে কোন সমস্যা নেই। যদি সুদের জন্য কোন লেনদেন করা না হয় তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং সম্পূর্ণ বৈধ।
সুদের সাথে জড়িত কিংবা সুদি লেনদেন ইসলামে কোন বৈধ নয়। যেটা মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টানেট ব্যাংকিং কিংবা যেকোন ব্যাংকি বা সরাসরি লেনদেন হোক না কেন তা বৈধ হবে না।
ওলামাগণের মতে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা বৈধ তবে সেখানে টাকা জমা রাখা উচিৎ হবে না কেননা আপনার টাকা কোন সুদি লেনদেন যে করবে না তার কোন নিশ্চয়তা নাই বর্তমানে। এসব লেনদেন এ টাকা দীর্ঘ সময় জমা না রাখার পরামর্শ তাদের। আপনার টাকা গচ্ছিত থাকলে কিছু সময়ের জন্য হলেও তারা সুদি লেনদেন করার সুযোগ পেয়ে যাবে।
শরীয়াহ এর দৃষ্টিকোন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং
মোবাইল ব্যাংকিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এবং বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে ক্যাশ আউট পদ্ধতি। নিজ একাউন্ট থেকে কিংবা এজেন্টের কাছে প্রেরিত টাকা উত্তোলনই ( বিকাশ, নগত, এমক্যাশ) বেশি হয়ে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে এটা ‘আলইজারা’ এর অন্তর্ভুক্ত।
নির্ধারিত বিনিময়ে নির্ধারিত সেবা বিক্রয় করাকে ইসলামে ইজারা বলা হয়। বিস্তারিত দেখুন - ( আলআওসাত ১১/১৩১; আলমুগনী ৮/২২; আলফুরুক ৪/৩৪)
এখানে টাকা জমা কিংবা উত্তোলনকারী হচ্ছে সেবা গ্রহীতা বা “মুসতাজির’ কোম্পানী হলো সেবাদাতা বা ‘আজির’ এবং এজেন্ট হচ্ছে মূল সেবাদাতার বা আজিরের ওয়াকিল বা প্রতিনিধি।
Home BD info এর অন্যান্য তথ্য জানুন
কোন মন্তব্য নেই: