Movementpass.police.gov.bd : পুলিশের মুভমেন্ট পাশ নিয়ে লকডাউনের সময় বাহিরে চলাচল করতে পুলিশ অধিদপ্তর থেকে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। অ্যাপটির নাম 'Movement pass' । এটির মাধ্যমে আপনি স্বয়ংক্রিয় একটি ই পাস নিয়ে বাধাহীনভাবে বাহিরে চলাচল করতে পারবেন।
ছবি: অনলাইন মুভমেন্ট অ্যাপ থেকে নেয়া
কড়া লকডাউনের সময় জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে বের হলে মুভমেন্ট অ্যাপ থেকে মুভমেন্ট পাশ নেওয়া লাগবে। তবে পুলিশ বলেছে এটির আইনগত কোন ভিত্তি নেই। শুধুমাত্র পুলিকে সহযোগিতা করা মাত্র। যদি আপনি মুভমেন্ট পাশ না নিয়ে বাহির হন তাহলে পুলিশ চেক পোস্ট গুলো বাধার সম্মুখীন হবেন। আর যদি এই অ্যাপের মাধ্যমে ই পাশ নেওয়া থাকে তাহলে বাধাহীন ভাবে চলাচল করতে পারবেন। এমনটিই জানা গেছে খবরে।
পুলিশের মুভমেন্ট পাস Movement pass মোবাইল অ্যাপ
কড়া লকডাউনের সময় আপনাকে জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে বের হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যদি একান্তই বের হতে হয় তাহলে মুভমেন্ট ই পাস নিয়ে বের হন। তাতে আপনি বাধাহীন ভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।
পুলিশের মুভমেন্ট পাস পেতে আবেদন করার ওয়েবলিংক -https://movementpass.police.gov.bd/
কারা কারা পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিতে পারবেন
যে কেউ জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে বের হতে পারবেন। এই অ্যাপ থেকে একটি ই পাস নিলে পুলিশ সহজেই জানতে পারবে আপনি জরুরী কাজের জন্য বের হয়েছেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। যারা কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়বেন না তারা অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আবেদন করবেন।
ক্যাটাগরিতে রয়েছে- মুদি দোকানের কেনা কাটা, ব্যবসা বাণিজ্য, ঔষোধপত্র, কাঁচা বাজার, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত, খুচরা বা পাইকারি ক্রয়, কৃষিকাজ, পন্য পরিবহন, মুতদেহ সৎকার, অন্যান্য ইত্যাদি।
মুভমেন্ট পাসের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
প্রথমে অনলাইনে https://movementpass.police.gov.bd/stepone এই লিংকে প্রবেশ করে মোবাইল নাম্বার দিন। এরপর জন্ম তারিখ করফার্ম করতে হবে। আপনার জন্ম তারিখ যদি 12-01-1999 হয় তাহলে তারিখ লিখবেন এভাবে 12011999 এবার সাবমিট বাটন ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইলে একটি কোড চলে আসবে। কোডটি দিয়ে পরবর্তী ফরমে যান। এখানে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন।
সঠিকভাবে ফরমটি সাবমিট হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ই পাস পাবেন । মোবাইলটি সাথে নিয়ে যাত্রা শুরু করুন। পুলিশ চেক করতে চাইলে মোবাইলে থাকা ই পাসটি দেখান।
মুভমেন্ট পাসটিতে আবেদন কারীর নাম, মোবাইল নাম্বার, যাত্রার করণ ইত্যাদি বিস্তারিত বিবরণসহ একটি কিউআরকোড থাকবে। ফলে পুলিশ সহজেই যাত্রাকারী ব্যাক্তিকে সনাক্ত করতে পারবে।