সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংবাদ বিবাহ ও বিবাহ না করেই স্ত্রীর মতই মেয়ের সাথে আচারণ করার খবর প্রকাশ হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে কাবিন নামা বিষয়ে জানার আগ্রহ বেরে গেছে। তাই আজকের ইনফোটি “বিবাহ রেজিষ্টার: কাবিননামা কি? মুসলিম বিবাহের শর্তগুলো কি কি?” বিষয়ে সাজানো হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
বিবাহ কি?
বিবাহ বা বিয়ে হচ্ছে একটি পারিবারিক বন্ধন। সামাজিক এই নিয়মে মধ্যে একজন নর ও নারী হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হোন।
অপরিচিত দুই জন ছেলে মেয়ের এই যুগলবন্দির প্রক্রিয়াকে আমরা বিবাহ বা বিয়ে বলে থাকি। উর্দু ও ফার্সি ভাষায় একে ‘শাদি’ বলা হয়। আরবিতে ‘নিকাহ’ বলা হয়।
সুতরাং যে প্রক্রিয়ায় ছেলে মেয়ে স্বামী-স্ত্রী হয় তাকে বিবাহ বলা হয়। যেহেতু আমাদের দেশে ৯০ ভাগের বেশি মুসলিম বলে দাবি করা হয় যদিও কোন কোন হিসাব মতে ৯৫ ভাগ মুসলিম বাস করছে। তাই মুসলিম বিবাহ নিয়ে আজকের ইনফো।
মুসলিম বিবাহ হওয়ার শর্ত কি? ইসলামের শরীয়তে বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য শর্ত কি? এখানে উল্লেখ করা ভাল যে, বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহ যে আইন রয়েছে সেটি তখনি কাজী সাবেহ কার্যকর করতে পারে যখন ইসলামী শরীয়তে বিবাহ বৈধ হবে।
যেটাকে আমরা কাবিননামা বা বিবাহ রেজিস্টার বলে থাকি। এটি একটি বিবাহের আইনি দলিল মাত্র । বিবাহ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে এটি প্রয়োজন হয়।
আরো জানুন:
কাবিননামা কি?
বিবাহ সম্পাদানের লিখিত চুক্তিকে কাবিনামা বলা হয়। একে নিকাহনামাও বলা হয়ে থাকে। বিবাহ সম্পাদানের জন্য কাবিননামা অপরিহার্য নয়। এটি একটি আইনি বধ্যবাধকতা।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত কাজী সাহেব সরকারী ফরমে কাবিনামা সম্পাদন করে থাকেন। এটি বিবাহের একটি আইনি দলিল।
সুতরাং বলা যায় কাজী সাহেব যে কাগজে বিবাহের চু্ক্তি লেখেন তাই কাবিননামা।
মুসলিম বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য শর্ত কি?
ইসলামি শরীয়তে বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে ছেলে মেয়ের পূর্ণ সম্মতি এবং সাক্ষী। যদি ছেলে মেয়ের পূর্ণ সম্মতি না থাকে কিংবা সাক্ষী না থাকে তাহলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ বৈধ হবে না।
ছেলে মেয়ের পূর্ণ সম্মতি নিয়ে সাক্ষীগণের উপস্থিতে কাজী সাহেব কালেমা পাঠ করলেই বিবাহ বৈধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশে বিবাহ নিয়ে বেশ কিছু নিয়ম বা আইন রয়েছে। যেমন মেয়ে বয়স ১৮ এবং ছেলে বয়স ২১ হতে হবে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী উল্লেখিত বয়সের কম হলে বিবাহ বৈধ নয়।
ইসলাম এ বিষয়ে কি বলে সেটা স্থানীয় আলেমের কাছে জেনে নিবেন। আমাদের কাছে আলেমের একাধিক মন্তব্য রয়েছে তাই এখানে উল্লেখ করছি না।
বিবাহ কিভাবে করবেন?
ছেলে মেয়ে উভয় উভয়কে দেখে মতামত প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে যদি উভয়ে সম্মতি থাকে তাহলে সাক্ষীগণের উপস্থিতে কাজী সাহেব বিবাহ সম্পাদন করবেন।
বিবাহ সম্পাদন হলে বিবাহ রেজিস্টার করে নিবেন । এতে আইনি দলিল হিসাবে কাবিননামা উভয়ে পেয়ে যাবেন । বিবাহ রেজিস্টার খরচ বরকে বহন করতে হবে।
বিবাহ রেজিস্টার করলে স্বামী যদি স্ত্রীর দেন মোহর কিংবা ভরণ-পোষণ দিতে না চায় তাহলে স্ত্রী আইনেন আশ্রয় নিতে পারবেন।
বিবাহ রেজিস্টার বা কাবিননামার খরচ কত?
বিবাহ রেজিস্টারের খরচ দেন মোহর ধার্যের উপর নির্ভর করে। বর্তমান প্রচলিত আইনে ৪ লাক টাকা দেনমোহর হলে রেজিস্টার খরচ ১০০০ টাকা দিতে হবে।
৪ লাক টাকার উপরে দেন মোহর হলে পরবর্তী প্রতি লাকের জন্য ১০০ টাক ফি দিতে হবে। ৪ লাক টাকার কম হলে ১২.৫ হারে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা দিতে হবে।
তবে দেন মোহর যত টাকাই হোক না কেন বিবাহ রেজিস্টার ফি ২০০ টাকার নিচে হবে না।
যেহেতু সরকার কর্তৃক বিবাহ রিজিস্টার করা হয় এবং এর ফিও সরকার নির্ধারণ করে থাকে। তাই সরকার যে কোন সময় এই ফি পরিবর্তন করতে পারে।
Home BD info এর অন্যান্য ইনফো জানুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন