আজকের ইনফোর বিষয়বস্তু হচ্ছে- Digital Marketing: ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়? ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের খুটিনাটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এখানে। আপনার যদি এই বিষয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং জানুন ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে এটি করা হয়? বর্তমান সময়ে ব্যবসার জন্য এটি গ্ররুত্বপূর্ণ কেন?
বর্তমান আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করছি। তাই এই সময়ের সবেচেয়ে আলোচিত বিষয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের টার্গেট হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। যারা ডিজিটাল ব্যবসা করবেন তাদের জন্যতো বটেই এবং যারা এনালগ ব্যবসায়ী তাদের জন্য এটি এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর মনে রাখুন, ডিজিটাল ব্যবসা বা ই-কমার্স করার জন্য এখন ডিবিআইডি প্রয়োজন।
ডিজিটাল কমার্স বিজনেজ আইডেন্টিফিকেশ বা ডিবিআইডি কি?
দিন যতই যাচ্ছে মানুষ ততই ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করছে। ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যবহার করে ডিজিটাল পন্য ক্রয় করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে অনলাইনে জানার চেষ্টা করছে।
তাছাড়া এখন বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেটে সময় কাটায়। পড়াশুনা থেকে শুরু করে চিত্র বিনোদন, ব্যংকিং, ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারি সেবা ইত্যাদি সবই অনলানের মাধ্যমে সেরে নিচ্ছে।
তাই আপনি যদি আপনার ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ফোকাস না করে পুরানো ট্রাডিশনাল মার্কেটিং নিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে বর্তমান ব্যবসা প্রতিযোগিতায় ঠিকে থাকা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
অন্যান্য ব্যবসায়িরা যখন ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রচার চালাবে আর আপনি আগেরকার পুরানো মার্কেটিং করবেন তখন এমনিতেই আপনার ব্যবসা ডাউন হয়ে যাবে।
কারণ এখনকার মানুষ রেডিও, টেলিভেশন তেমন দেখেন না। ইন্টারনেটেই তারা সবকিছু পেয়ে থাকে। বাংলদেশ সহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে আপনার ব্যবসার সেবা বা পন্য পৌছাতে ডিজিটাল মার্কেটিং করতেই হবে। এছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং করে খুবই অল্প খরছ করে অল্প সময়ের মধ্যে যে সফলতা অর্জন করতে পারবেন, ট্রাডিশনাল মার্কেটিং করে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও তা সম্ভব হবে না।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, এর সাথে তার মিলিয়ে ডিজিটাল ব্যবসারও প্রসার ঘটছে।
ফলে অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে ঘরে বসেই। আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর নিয়মগুলো জেনে আপনার ব্যবসার প্রচার ঘটিয়ে ঘরে বসেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি চাকরিজীবি হয়ে থাকেন তাহলে এই মার্কেটিং এর পলিসি জেনে নিজের জন্য আলাদা ভ্যালু তৈরি করে নিতে পারেন সহজেই। কেননা যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিটাল মার্কেটারদের অনেক ভ্যালু রয়েছে।
অনেক কোম্পানী অনেক উচ্চ মূল্যের বেতন দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। যারা কমিশন ভিত্তিক মার্কেটিং করে থাকেন তারাও ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আমাদের দেশে অসংখ ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছে যারা শুধুমাত্র সোশ্যাইল মিডিয়া মার্কেটিং করে ঘরে বসেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিধি অত্যান্ত ব্যপক। গোটা ইন্টারনেটে এর মার্কেটিং পদ্ধতি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। যেমন: ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মর্কেটিং, গুগল এড মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? What is Digital Marketing?
সাধারণত কোন পন্য বা সেবা বিক্রির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানো হয়ে থাকে। প্রডাক্ট বা পন্যের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে সেগুলো বিপণন করাকে মার্কেটিং বলে।
অর্থাৎ যে কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসায়ের সেবা বা পন্য মানুষের কাছে অধিক পরিমানে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয় তাকে মার্কেটিং বলে।
এই কৌশলে যদি ইন্টারনেট, ডিজিটাল মিডিয়া ও অনলাইন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় তাহলে তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
সংজ্ঞা এবাভেও বলা যায়: যে মার্কেটিং ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
বিস্তারিত বলতে গেলে, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের সেবা বিক্রির উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট, ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তির কৌশল অবলম্বন করে প্রচার কাজ চালানো হয় তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব (The importance of digital marketing)
আপনি যদি একজন ব্যবসায়িক হোন এবং মার্কেটিং প্রসেস বুঝে থাকেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব সহজেই অনুধাবন করছেন। মার্কেটিং এর প্রধান কাজে হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোন পন্য বা সেবা মানুষের কাছে পৌাছে দেয়া।
যত বেশি মানুষের কাছে আপনার পন্য বা সেবা পৌছে দিবেন তত বেশি মানুষ আপনার সেবা বা পন্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত হবে।
ফলে আপনার ব্যবসার প্রসারও দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে অধিক পরিমানে বিক্রি শুরু হবে। অর্থাৎ মার্কেটিং যত বেশি হবে আপনার প্রডাক্টও তত বেশি সেল হবে।
যে কোন মার্কেটিংয়ের প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে পন্য বা সেবার প্রচারের মাধ্যমে কাস্টমারদেরকে পন্য বা সেবা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া।
আপনি যদি একজন দক্ষ মার্কেটার হতে চান তাহলে আপনার উচিৎ হল, কিভাবে খুব সহজেই অধিক কাস্টমার পাওয়া যায়, সেই উপায় অবলম্বন করা।
যেখানে আপনি প্রচুর মানুষ পাবেন সেখানে আপনার পন্য বা সেবার বিজ্ঞাপন বা অন্য কোন মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করে মার্কেটিং করবেন। আর এটাই হচ্ছে সফল মার্কেটারের প্রধান কাজ।
আগেকার যুগে ব্যবসায়িরা ফেরিওয়ালা দিয়ে বড়ি বাড়ি পন্য পাঠাত কিংবা সেবা প্রচাররের জন্য পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বিভিন্ন মেজিক প্রদর্শনের মাধ্যমে মার্কেটিং করত, কিন্তু কালত্রুমে আজ সেই ধরনের কৌশলগুলো অনেক পুরানো হয়ে গেছ।
রেডিও টেলিভেশন আবিস্কারের পর মানুষ যখন রেডিও টেলিভেশনে সময় কাটাতে শুরু করে তখন মার্কেটাররা বুঝতে পারে এখন অনেক মানুষ অধিকাংশ সময় সংবাদপত্র শুনে বা দেখে সময় কাটায়।
ফলে তারা রেডিও, টেলিভেন ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে। রেডিও টেলিভেশনের মাধ্যমে মার্কেটিং করে সহজেই ব্যবসায়িরা তাদের পন্য বা সেবা মানুষের কাছে পৌছে দেয়।
যুগের পরিবর্তনে যখন ইন্টারনেট ও সোশ্যাইল মিডিয়া সহ অনলাইন প্রযুক্তি আবিস্কার হলো তখন মানুষ অনলাইনে বেশি সময় কাটাতে শুরু করল।
এর কারণে সকল ধরণের কোম্পানী, ব্যবসায়ি কিংবা মার্কেটাররা বুঝতে পারলো যে, অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করলে সহজেই তাদের পন্য বা সেবা স্বল্প খচরেই মানুষের মাঝে যে কোন সময় পৌছে দেয়া সম্বব হবে।
ফলে দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কার্যকর মার্কেটিং কৌশল হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
প্রচলিত মার্কেটিং ব্যবস্থায় যেমন ধরুন- একটি নিউজ পেপারের ফ্রন্ট পেজে যদি ছোট করেও একটি বিজ্ঞাপন দিতে চান তাহলে গুনতে হবে লাক টাকাও অধিক যা ছোট খান ব্যসয়ির পক্ষে সম্ভব নয়।
তাছাড়া কোন টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে গুনতে হবে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা । কারণ টিভি বিজ্ঞাপন তৈরি করা শুরু থেকে টিভিতে বিজ্ঞাপন প্রচার করার আগ পর্যন্ত প্রায় ৫/৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়।
আবার যদি কোন নায়ক/নায়িকা বা কোন সেলিব্রেটিকে দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে চান তাহলে সেই মডেলকেই দিতে হবে ১৫/২০ লক্ষ টাকা।
প্রচলিত মার্কেটিং কৌশলে যে এত পরিমান খরচ যা একটি ছোট কোম্পানীর ক্ষেত্রে বহন করা সম্ভব নয়। ছোট খাট যারা ব্যবসায়িক তারা তো এই মার্কেটিং এর কথা চিন্তাও করতে পারে না।
কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলে বিনা খরচায় কিংবা মাত্র ৫ ডলাল দিয়ে শুরু করে কোটি টাকা খরচ করে আপনার পছন্দের বাজেটে বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি ঘরে বসে এই মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করতে পারেন এ জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ নির্দিষ্ট এলাকা, নির্দিষ্ট কাস্টমারকে টার্গট করে তাদের কাছে পন্য বা সেবা পৌছানো যায়। এতে আপনার খরচ ও সময় উভয় বেচে যাবে।
এই সুবিধা শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বনে করতে পারবেন । অন্য কোন মার্কেটিং ব্যবস্থায় যা সম্ভব নয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং সুবিধাগুলো কি কি?
* খুবই স্বল্প খরছে ছোট বড় যে কোন ধরণের ব্যবসায়িক বা কোম্পানী অথবা কোন প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারে।
* দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সেবা বা পন্য কাস্টমারদের কাছে পৌছানো যায়।
* ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসেই কম্পিউটার দিয়ে মার্কেটিংকরা যায়।
* ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোম্পানীর ব্রান্ড তৈরি করা যায় সহজেই, যা অন্য কোন উপায়ে সহজ নয়।
* কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনলাইনে মাধ্যমেই তৈরি করা যায়।
* ঘরে বসেই প্রোডাক্ট বা সেবার অর্ডার পাওয়ার যায় তাই সহজেই পন্য বা সেবা বিক্রি করা যায়।
* ওয়েবসাইট প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।
* নির্দিষ্ট এলাকায় মার্কেটিং করা যায়।
* নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির কাস্টমারদের কাছেই শুধুমাত্র মার্কেটিং করতে চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়েই একমাত্র মাধ্যম।
* সময়, অর্থ ও জনবল সবকিছুই সাশ্রয় হয় ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে।
বর্তমান পৃথিবীতে অনলাইন ব্যবহারকারী দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন যতই যাবে ব্যবহারকারীর সংখ্য ততই বারতে থাকবে। তাই দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং িএর গুরুত্ব ও চাহিদা বেরেই চলছে।
একজন সফল মার্কেটার হতে চাইলে ভবিষ্যতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলের দিকে মনোযোগি হতে হবে।
ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর পার্থক্য
প্রযুক্তির এই যুগে যেহেতু আপনি প্রচলিত ট্রাডিশনাল মার্কেটিং বাদ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রতি মনোযোগি হবেন সেহেতু এদের পার্থক্যটাও জানা জরুরী।
* ট্রাডিশনাল মার্কেটিং হচ্ছে প্রচলিত ব্যয়বহুল মার্কেটিং ব্যবস্থা অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে খুব অল্প খরচ দিয়ে প্রযুক্তি মার্কেটিং ব্যবস্থা।
* ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসার পন্য বা সেবা দ্রুত প্রচার করা যায়।
* ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ব্যবস্থায় কোটি কোটি টাকা খরচ করেও নির্দিষ্ট কাস্টমার টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না । পক্ষান্তরে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থায় মাত্র ৫ ডলার খরচ করে নির্দিষ্ট কাস্টমার টার্গেট করে সহজেই বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।
* ব্যায় বহুল খরচের কারণে ছোট খাট কোম্পানীর পক্ষে ট্রাডিশনাল মার্কেটিং করা সম্ভব হয় না।
* বর্তমান সময়ের উপযোগি মার্কেটিং ব্যবস্থা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল বা পদ্ধতি।
* যে কেউ বাসায় বসে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করার নিয়ম (Digital Marketing Methods)
উপরে আমরা অনেক কিছুেই জানতে পেরেছি । যেমন- ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি।
তবে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন? সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকতে হবে নচেৎ মার্কেটিং করে কোল ফল পাবেন না।
এ মার্কেটিং ব্যবস্থায় অনেকগুলো প্লাটফরম রয়েছে। আপনার কোম্পানীর ধরণ, পন্য বা সেবা এবং ব্যবসার পরিধি বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্লাটফর্ম বাচাই করতে হবে।
আপনি সঠিক প্লাটফর্ম বাচাই করে মার্কেটিং শুরু করলে অল্প সময়েই সফল হতে পারবেন নতুবা এর বিপরীতও হতে পারে। তাই মার্কেটিং শুরুর আগে আপনাকে জানতে হবে খুটি নাটির সকল বিষয়।
এই ইনফোটিতে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নয়টি ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। এছাড়াও প্রতিটি প্লাটফর্মের আলাদা আলাদা ইনফো শেয়ার করা হয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হচ্ছে-
- গুগল এড মার্কেটিং কৌশল
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
- কনটেন্ট রাইটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- মোবাইল অ্যাপস মার্কেটিং
- এসএমএস মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই নয়টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং রয়েছে।
এখানে এই নয়টি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো।
১. গুগল এডস মার্কেটিং কৌশল
Google Ads হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দ্রুত সময়ে ব্যবসার পন্য বা সেবা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা ব্লগ সাইটে যে বিজ্ঞাপন দেখতে পার তার অধিকাংশই গুগল এডস এর বিজ্ঞাপন।
গুগল এডস ব্যবহার করে গুগলকে টাকা পরিশোধ করে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞাপন গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডানে-বায়ে, কিংবা হিটার বা ফুটারে শো করে।
এছাড়াও গুগলের কোন কিছু সার্চ করলেও আপনার কিওয়ার্ড রিলেটেড বিজ্ঞাপন শো করে । ্আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় লক্ষ করবেন, ভিডিও স্ট্রিমিং করার সময় কিছু বিজ্ঞাপন দেখায় এগুলোই হচ্ছে গুগল এডস এর বিজ্ঞাপন।
২. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় ক্ষেত্র হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্লাটফর্ম। সারা পৃথিবীতে প্রায় অর্ধেক মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার বড় মার্কেটপ্রেস হচ্ছে ফেসবুক। বাংলাদেশে ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় ৪ কোটিও বেশি মানুষ যুক্ত রয়েছে।
এই কারণেই বাংলাদেশে
ফেসবুক মার্কেটিং সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কম খরচে অথবা বিনামূল্যে ফেসবুক মার্কেটিং করা যায় বিধায় এটাও একটা জনপ্রিয়তার কারণ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর আবার বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং, লিংকডিএন মার্কেটিং, স্নাপচ্যাট মার্কেটিং, হোয়াট অ্যাপস মার্কেটিং ও পিনটারেস্ট মার্কেটিং ইত্যাদি সহ আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রয়েছে।
এই প্লাটফর্মগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে মানুষ ব্যবহার করে বলে এগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে।
৩. ভিডিও মার্কেটিং প্লাটফর্ম
ভিডিও মার্কেটিং প্লাটফর্মে কথা চিন্তা করলেই প্রথমেই ইউটিউব মার্কেটিং বিষয়টি চলে আসে। বর্তমান সময়ে মানুষ বিনোদনের জন্য টিভি চেয়ে ইউটিউবে বেশি ভিডিও দেখে থাকে।
সারা বিশ্বে ইউটিউবের রয়েছে কোটি কোটি ইউজার। বাংলাদেশেও এর ব্যবহারকারী কম নয়। ফেসবুকের পরেই ইউটিউবের স্থান।
মাঝে মাঝে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ও ইউটিউবের ব্যবহারকারী সমান হয়ে যাচ্ছে। তাই ইউটিউব মার্কেটিং করে আপনার ব্যবসার প্রচারনা চালানো অনেক ফলদায়ক।
আপনি দুইভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারেন। এক. বিভিন্ন ইউটিউব চ্যালেনে আপনার ব্যবসার জন্য একটি প্রচারণামূলক ভিডিও প্রচার করতে পারেন। এক্ষেত্রে চ্যানেল মালিকদের সাথে চুক্তি করতে হবে।
দুই. সরাসরি ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারেন। সাধারণত ভিডিও টাইপের বিজ্ঞাপন ইউটিউবে দেওয়া হয়।
ভিডিও মার্কেটিং করার সুবিধা:
ভিডিওর মাধ্যমে অনেক বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। তাই আপনার পন্য বা সেবার বিস্তারিত ভিডিও তৈরি করে নিতে পারেন।
ভিডিওতে আপনার পন্য বা সেবার ব্যবহার পদ্ধতি সহ নানা বিষয় উপস্তাপন করতে পারেন যাতে কাস্টমার আপনার পন্য বা সেবার সকল বিষয় ব্যবহারিক ভবে জানতে পারে।
একজন গ্রহক সাধারণত পন্য বা সেবার ব্যবহারিক বিষয় জানতে পারলে সহজেই সেই পন্য বা সেবাটি ক্রয় করার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে।
তাই ভিডিও মার্কেটিং এর প্রধান সুবিধা হচ্ছে, গ্রহককে সহজেই পন্য বা সেবা সম্পর্কে ব্যবহারিক বিষয়ে অবহিত করা যায়।
৪. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট সার্চ রেজাল্ট এ প্রদর্শন করে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটে এসইও এক্সপার্টদের অনেক ডিমান্ড। কেনন একজন SEO কেবলমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্টগুলো সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারে।
আপনা ব্যবসার প্রোডাক্ট বা সেবা সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শন করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটটিকে অবশ্যই প্রোপার SEO করতে হবে। তা না হলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার পোডাক্ট খুজে পাবে না।
কোন মানুষের যখন কোন প্রোডাক্ট প্রয়োজন হয, তখন সেই প্রোডাক্ট এর নাম লিখে সরাসরি গুগলে সার্চ করে। আর গুগল সার্চ রেজাল্টের সবার উপরে আপনার প্রোডাক্ট এর লিংক শো করলে ভিজিটর আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করার আগ্রহ দেখাবে।
তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। তাছাড়া কোন কাস্টমার আপনার সাইটের ইউআরএল টাইপ করে প্রোডাক্ট খুজবে না।
৫. কনটেন্ট রাইটিং
বর্তমান প্রতিটি কোম্পানী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট তৈরি করে রাখে।
কারণ কোম্পানীর ওয়েবসাইটটি বা ব্লগসাইটটি জনপ্রিয় করা গেলে সেটিতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখে অনলাইনে সহজেই প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌছানো যায়।
আপনার কথায় চিন্তা করুন, যখন কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করতে চান তখন হয় অনলাইনে সেই প্রোডাক্টটির বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করেন।
প্রোডাক্টটি পছন্দ হলে ক্রয় করার জন্য যোগাযোগ করে থাকেন। তাই আপনারও প্রোডাক্টটি এমন ভাবে উপস্থাপন করুন, যাতে ব্যবহারকারী সহজেই বিস্তারিত জানতে পারে।
আপনার পোডাক্টের রিভিউ দেখে কোন কাস্টমারের প্রোডাক্টটি পছন্দ হলে তখন সেই কাস্টমার আপনার কাছে অর্ডার করবে।
৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে আপনার প্রোডাক্ট কারো দ্বারা কমিশনের ভিত্তিতে বিক্রি করাকে বুঝায়। অর্থাৎ যে কেউ আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিলে আপনি তাকে ল্যাভ্যাংশের নির্দিষ্ট একটি কমিশন দিবেন।
কোন কোম্পানীর প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নেওয়াকে সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। বড় বড় প্রায় কোম্পানীগুলো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করে রাখে।
বর্তমান সময় এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটে প্রচুর পন্য বেচা কেনা হচ্ছে। তাই আপনার ব্যবসার জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করে রাখতে পারেন।
যারা আপনার এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করবে তাদেরকে আপনি ল্যাভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে দিবেন।
ফলে যে কেউ আপনার পন্য বিক্রি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে। আপনার পন্য বিক্রি করে বরতি কিছু আয়ও করতে পারে।
৭. ইমেইল মার্কেটিং
অনলেইনের প্রথম থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিং পদ্ধতি চালু হয়ে আসছে। এই অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার পন্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ছোট বড় সকল কোম্পানী ইমেইল মার্কেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি করে নিচ্ছে। ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে পন্য বা সেবার তথ্য পৌছানোর সবচেয়ে প্রোপার পদ্ধতি।
আপনার পন্য বা সেবার নতুন কিছু আইটেম বা অফার গুলো ইমেইলের মাধ্যমে সহজেই ক্রেতাদের জানাতে পারেন। এতে আপনার ক্রেতা আপনাকে স্বরণ রাখবে পরবর্তী পন্য বা সেবা ক্রয় করার জন্য।
ইমেইল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের কিংবা বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের ইমেইল সংগ্রহ করতে হবে। এরপর যে পন্য বা সেবার মার্কেটিং করতে চান সেটি নিয় ভাল করে গবেষণা করুন।
পন্য বা সেবার চাহিদা বিবেচনা করে ইমেইলের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পাঠান। কোন ক্রেতার পছন্দ হলে প্রোডাক্ট বা সেবা ক্রয় করা আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে।
মূলত ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে, ইমেইলের মাধ্যমে পন্য বা সেবার প্রচার করাকে বুঝায়।
৮. মোবাইল অ্যাপস মার্কেটিং
স্মার্টফোন আবিস্কারের পর থেকে অ্যাপস মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রযুক্তির এই যুগে প্রায় সবার হতে হাতে এখন স্মার্টফোন রয়েছে।
স্মার্টফোনে মানুষ বিভিন্ন ধণের অ্যাপস ব্যবহার করে। সাধারণত গুগল প্লে-স্টোরে ও অ্যাপল স্টোরে সহজেই বিভিন্ন অ্যাপস পাওয়া যায়।
ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দমত অ্যাপ এখান থেকে নিয় ব্যবহার করে। তাছাড়া অনেক ধরণের অ্যাপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করেতে অনেকে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।
ডিজিটাল মার্কেটাররা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তাদের পন্য বা সেবা প্রমোট করে নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় অ্যাপ তৈরি করে তাতে পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার ঘটানো যায় সহজেই।
তাছাড়া গুগল এডমোব প্রোগ্রাম ব্যবহার করে যে কোন ধরণের অ্যাপসে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসার ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়।
৯. এসএমএস মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর আর একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হচ্ছে এসএমএস মার্কেটিং। আপনি লক্ষ করে থাকবেন মোবাইলে অনেক সময় বিভিন্ন কোম্পানীর অফার সমূহের মেসেজ আসে।
মেসেজে ছোট করে বর্ণনা দেওয়াসহ প্রোডাক্ট বা সেবার লিংক দেয়া থাকে। আপনি হয়তো বিস্তারিত জানার জন্য মেসেজের লিংক ক্লিক করে থাকেন।
পন্য বা সেবাটি পছন্দ হলে ক্রয় করে থাকেন। অনলাইনে বাল্ক এসএমএস ক্রয় করে আপনিও আপনার ব্যবসার প্রচার ঘাটাতে পারেন এভাবে। এটাকেই মূলত এসএমএস মার্কেটিং বলা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
বর্তমান সময়ে দেশে অনেক ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছে যারা প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছে। অনেক তরুন তরুণীরা এখন ঘরে বসে এই পেশায় নিজেকে যুক্ত করছেন।
তাছাড়া আপনি যদি একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে চাল তাহলে উপরের ৫/৬ টি মার্কেটিং সম্পর্কে নিজেকে দক্ষ করে তলতে পারেন।
বিভিন্ন কোম্পানীর মার্কেটিং সেক্টরে চাকরি করে একটি সম্মানজন ভালমানের আয় করতে পারেন। মার্কেটিং সেক্টরে জবগুলো এখন হিউজ ডিমান্ড রয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি নতুন হওয়ায় এই সেক্টরে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ছোট বড় প্রায় কোম্পানীগুলো অনেক টাকা ব্যায় করে ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আপনি যদি বেশ কয়েকটি মার্কেটিং প্লাটফর্ম যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, গুগল এডস, ইউটিউব মার্কেটিং ও কনটেন্ট মার্কেটিং বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তোলেন, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গঠন করা আপনার জন্য সময়ের ব্যপার মাত্র।