Google Adsense Account: গুগল এডসেন্স কি? কিভাবে অনুমোদন পাবেন?

আজকের ইনফোটির বিষয়বস্তু হচ্ছে, গুগল এডসেন্স কি? What is Google AdSense Account? গুগল এডসেন্স পাওয়ার সহজ উপায় কি? কিভাবে এডসেন্স থেকে আয় করা যায়? Google AdSense থেকে কত টাকা আয় করা যায়? গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম কি? আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টকে কিভবে নিরাপদ রাখবেন?

এই প্রশ্নগ্রলোর উত্তরসহ গুগল এডসেন্স এর বিভিন্ন বিষয় জানা যাবে এই ইনফোটিতে। এডসেন্স বিষেয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে বিষয়গুলো তার সবগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। তাই এডসেন্স সংক্রান্ত যে কোন বিষয় জানতে এখানে চোখ রাখুন।

 

Google AdSense Account

গুগল এডসেন্স কি? What is Google AdSense?


 গুগল এর নাম শুনেন নাই এমন লোক পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর। কেননা ইন্টারনেটের ৯০ ভাগ জায়গা দখল করে রেখেছে গুগল।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেক জায়ান্ট কোম্পানী এটি। আর এর অনলাইন আয়ের একটি পরিসেবা হচ্ছে গুগল এডসেন্স।

 Google AdSense হচ্ছে গুগলের একটি সার্ভিস। ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগসাইটের মালিক, ইউটিউব চ্যানেল মালিক, মোবাইল অ্যাপস মালিকরা গুগলের এই সার্ভিসের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারে।

ওয়েবসাইট,ইউটিউব চ্যানেল ও মোবাইল অ্যাপসের মালিকরা গুগল এডসেন্সে তাদের সাইট বা চ্যানেল যুক্ত করলে গুগল এডস থেকে আসা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন তাদের সাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে দেখাবে।

এর বিনিময়ে গুগল বিজ্ঞাপন দাতার ৬৮% টাকা সাইট /অ্যাপস কিংবা চ্যানেল মালিকদের দিয়ে থাকে। বাকি টাকা গুগল কোম্পানী তাদের ব্যবস্থাপনার জন্য কেটে নেয়।

সুতরাং আমরা জানতে পারলাম গুগল এডসেন্স হচ্ছে গুগল কোম্পানীর একটি আর্নিং সার্ভিস যা ব্যবহার করে একজন পাবলিশেয়ার অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে।

 

গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়? How much money can be earned from Google Adsense?


যারা নতুন তাদের প্রথমেই একটা মনের মধে ধারণা তৈরি হয়। আর সেটা হচ্ছে ইন্টানেটে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

ইন্টানেটে টাকা ইনকাম করার হাজারো পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে যারা পাবলিশেয়ার হতে চান তারা গুগল এডসেন্স লক্ষ লক্ষ এমনকি কোটি কোটি ডলার ইনকাম করতে পারেন। এটা আপনার দক্ষতা ও কাজের পরিধির উপর নির্ভর করবে।

আপনার সাইট/চ্যানের কিংবা অ্যাপসের যদি কোটি কোটি ইউজার থাকে তাহলে আপনার আয় হবে কোটি কোটি টাকা। আর যদি ইউজার না থাকে তাহলে এক টাকাও আয় করা সম্ভব নয়।

কারণ ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে আপনার আয় হবে চ্যানেল/ সাইট কিংবা অ্যাপস থেকে। ইউজার যত বেশি হবে আপনার আয়ও তত বেশি হবে।

শুধুমাত্র একটি ইউটিউব চ্যালেন থেকে প্রতি মাসে কোটি টাকার উপরে আয় করছে এমন অনেক চ্যানেল দেশে রয়েছে।কারণ তাদের চ্যানেল অনেক জনপ্রিয়।

সুতরাং আপনার সাইট/ইউটিউব চ্যানেল কিংবা অ্যাপস জনপ্রিয় করতে পারলে আপনিও কোটি টাকার উপরে আয় করতে পারবেন।

তাই বলা যায় এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায় সেটা আপনার উপর নির্বর করবে। তবে আনলিমিটেড টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে এখানে।

 

Google AdSense থেকে কিভাবে আয় করবেন?


গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে হলে আপনার একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা একটি মোবাইল অ্যাপস চালু থাকতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস থেকে এডসেন্স ব্যবহার করতে হলে গুগলের এডমোব প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলে এডসেন্স ব্যবহার করতে চাইলে চ্যানেলের সেটিং থেকেই এডসেন্স যুক্ত করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে চ্যানেলের গ্রহণযোগ্যাতা থাকতে হবে। গ্রহণযোগ্যতা বলতে চ্যানেলের সাবক্রাইবার, ভিডিও ভিউ এডসেন্স যুক্ত হওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তা আপনার চ্যানেলে থাকতে হবে।

আর ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগসাইটে গুগল এডসেন্স যুক্ত করে ভাল পরিমান আয় করা সম্ভব।তবে এ ক্ষেত্রে আপনা ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ সাইট গুগল পলিসি অনুসারে কনটেন্ট শেয়ার করতে হবে।

আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার আগে তাদের পাবলিশেয়ার পলিসি ভাল করে পড়বেন। তার পর গুগল এডসেন্স ব্যবহার করবেন।

অনেকেই তাদের পলিসি ফলো না করেই এডসেন্স ব্যবহার শুরু করে ।ফলে কয়েকদিন চালানোর পর একাউন্ট বাতিল হয়ে যায়।

সুতরাং গুগল এডসেন্স তারাই ব্যবহার করে আয় করতে পারবে, যাদের এক বা একাধিক ওয়েবসাইট/ব্লগসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা মোবাইল অ্যাপস রয়েছ্। যে কোন একটি ব্যবহার করে আপনি Google AdSense থেকে আয় করতে পারবেন।

 

 গুগল এডসেন্স পাওয়ার সহজ উপায়


যদি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগসাইট দিয়ে এডসেন্স পেতে চান তাহলে আপনার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে গুগল এডসেন্স এর পলিসি ভাল করে পড়ে নেয়া।

কারণ গুগল এডসেন্স এর পলিসি ভঙ্গ করে এমন কোন সাইটে এডসেন্স অনুমোদন দেয় না। আপনার সাইট যদি গুগলের নিয়ম মেনে পরিচালনা করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এডসেন্স অনুমোদন পেয়ে যাবেন।

গুগল এডসেন্স পাওয়ার একমাত্র সহজ উপায় হচ্ছে, গুগলের পলিসি মেনে চলা। পলিসি না মেনে কোন ভাবেই এডসেন্স ব্যবহারে করে লাভবান হতে পারবেন না।

গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে গুগলের যে আর্টিকেল গুলো ভালো করে পড়বেন তা নিছে দেওয়া হলো।

** AdSense প্রোগ্রাম নীতি পড়ুন এখানে

** Google প্রকাশকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ দেখুন এখানে

** যারা নতুন শুরু করছেন তাদের জন্য গাইড দেখুন এখানে

এছাড়াও গুগল সাপোর্ট এ এডসেন্স সংক্রন্ত যে আর্টিকেল রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবহার বিধি সম্পর্কের আর্টিকেলগুলো দেখে নিবেন।

 

গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম


গুগল এডসেন্স হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট বা আর্নিং পরিসেবা। তাই একাউন্ট খোলার জন্য একটি জিমেইল প্রয়োজন হবে।

সাধারণত এডসেন্স একাউন্ট খুলতে তিনটি জিনিস প্রয়োজন।

১. একটি জিমেইল একাউন্ট: শুধু এডসেন্স নয় আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকলে গুগলের সকল পরিসেবা ব্যবহার করতে পারবেন এটি দিয়ে।

২. ফোন নাম্বার ও ঠিকানা: আপনার ব্যাংক একাউন্টে উল্লেখ করা ফোন নাম্বার ও ঠিকানা প্রয়োজন হবে। কেননা এই ঠিকানা ও ফোন নাম্বার ব্যবহার করে আপনাকে গুগল এডসেন্স পে করবে।

৩. আপনার সাইট এডসেন্স এ যুক্ত করা: এডসেন্স থেকে একটি ছোট কোড আপনার সাইটের হিটার ট্যাগ এ বসাতে হবে। তাহলে আপনার সাইটটি এডসেন্স এর সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

আর আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট পরিচালনা করেন তাহলে সাইট কিট প্লাগিনটি ব্যবহার করতে পারেন।এই প্লাগিনটি ব্যবহার করলে এডসেন্স কানেক্ট করাসহ গুগলের আরো সুবিধা পাবেন।

 

Google AdSense আবেদন করার পূর্বে করণীয় কি?


আপনি যখন গুগল এডসেন্স আবেদন করার জন্য প্রস্ততি নিবেন তখন বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন। যেমন-

** একটি কাস্টম ডোমেইন ক্রয় করাবেন। আপনি ব্লগারের সাবডোমেইন দিয়েও এডসেন্স আবেদন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার সাইটে প্রচুর পরিমানে ইউনিক ভিজিটর থাকতে হবে এবং ব্লগার সাইটে ইউনিক আর্টিকেল প্রচুর থাকতে হবে।

** আপনার ডোমেইনের বয়স কমপক্ষে এক মাস হতে হবে। এর আগে আবেদন করবেন না।

** এডসেন্স আবেদন করার আগে আপনার সাইটটি গুগলের প্রোগ্রাম নীতি মেনে চলছে কিনা তা ভাল করে যাচাই করে নিবেন। নতুবা আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

 

আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টকে কিভবে নিরাপদ রাখবেন


নতুনরা অনেকেই মনে করে থাকেন যে, একবার গুগল এডসেন্স অনুমোদন হলে সেটিতে যে কোন কনটেন্ট শেয়ার করা যায়। এই ধারণা নিয়েই অনেকেই এডসেন্স অনুমোদন হবার পর অধ্যাধিক কপিপেস্ট করে কনটেন্ট শেয়ার করেন।

ফলে কয়েকদিন পর গুগল এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। আপনাকে মনে রাখতে হবে গুগল আপনার চেয়ে বহুগুণ চালাক। তাই আপনি কপি পেস্ট করে যতই চালাকি করেন না কেন গুগল আপনাকে ধরে ফেলবে।

গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হচ্ছে, আপনার সাইট একবার অনুমোদন হয়ে গেলে গুগল নিয়মিত সেটি রিভিউ করে থাকে। তাই আপনার সাইট সবসময় যেন গুগলের পলিসি মেনে চলে সেটি লক্ষ রাখবেন।

আপনার সাইটের বিজ্ঞাপন আপনি নিজে কখনই ক্লিক করবেন না, করলে গুগল আপনার একাউন্ট বাতিল করে দিবে। যত চালাকি করে ক্লিক করুন না কেন আপনাকে ধরবেই।

এছাড়াও আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার জন্য কাউকে বলতে কিংবা উৎসাহিত করতে পারবেন না। এটি করলেও আপনি ধরা খেয়ে যাবেন।

মোদ্দাকথা গুগলের সকল নিয়ম মেনে চলে আপনার সাইট যত আপটুডেট রাখবেন আপনা গুগল এডসেন্স একাউন্ট তত নিরাপদ থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget