আজকের ইনফোটি একটি ই কারেন্সি এক্সচেঞ্জ goldux.com সাইট সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ই-কারেন্সি তথা ক্রিপ্টো কারেন্সি যেমন- বিট কয়েন, লাইট কয়েন ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় তথা এক্সচেঞ্জ করার একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে goldux com।
সাইটটি সম্পর্কে জানার আগে এক্সচেঞ্জ কি বা ই কারেন্সি এক্সচেঞ্জ কি সেটা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এক্সচেঞ্জ বলতে আমরা কি বুঝে থাকি? যেমন- ঢাকা স্টোক এক্সচেঞ্জ, চট্রগ্রাম স্টোক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি। এগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।
শেয়ার ক্রয় বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ার মার্কেট বলা হয়ে থাকে। কেউ কোন কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় করতে চাইলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে তথা শেয়ার মার্কেট থেকে সহজেই ক্রয় করতে পারে । আবার কোন শেয়ার বিক্রয় করতে চাইলে শেয়ার মার্কেটে তা বিক্রি করতে পারে।
আরো জানুন:
বিটকয়েন কি? কিভাবে এটি লেনদেন করা হয়?
ক্রিপ্টোকারেন্সি (বিটকয়েন) মার্কেটপ্লেস প্যাক্সফুল ডট কম
Exchange (একচেঞ্জ) কি?
এক্সচেঞ্জ এর বাংলা অর্থ হচ্ছে বিনিময়, আদান-প্রদান, অদল-বদল, পণ্য বিনিময় ইত্যাদি। বিভিন্ন কোম্পানীর মূল্য যে প্রতিষ্ঠানে কেনা বেচা হয়ে থাকে তাকে এক্সচেঞ্জ বা শেয়ার মার্কেট বলা হয়।
বিভিন্ন দেশের মুদ্রা যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রয়-বিক্রয় করা হয় সেগুলোকেও এক্সচেঞ্জ বলা হয়ে থাকে। যেমন আপনি বাংলাদেশি মুদ্রা বিদেশে ব্যবহার করতে পারবেন না। বিদেশে ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশ এক্সচেঞ্জ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করে তা বিদেশে ব্যবহার করতে হবে।
সুতরাং আমরা সহজেই বুঝতে পারলাম যে প্রতিষ্ঠানগুলো কোন মূল্য বিনিময় করার ব্যবস্থা করে সেই প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে এক্সচেঞ্জ কোম্পানী বলা হয়।
ই কারেন্সি বা ইলেকট্রনিক মুদ্রা কি?
ই কারেন্সি বা ইলেকট্রনিক মুদ্রা বলতে এক ধরণের ক্রিপ্টোগ্রাফির সাংকেতিক মুদ্রাকে বুঝানো হয়। যার কোন বাস্তব রুপ নেই। এই মুদ্রার অস্তিত শুধুমাত্র ইন্টারনেট জগতেই বিদ্যমান।
অনলাইন ওয়ালেট (অনলাইন মানিব্যাগ) এর মাধ্যমে এই ডিজিটাল মুদ্রাটি লেনদেন করতে হয়। এটির লেনদেন করতে তৃতীয় পক্ষের বা কোন নিয়ন্ত্রক প্রয়োজন হয় না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি পিয়ার টু পিয়ার (ব্যাক্তি থেকে ব্যাক্তি) ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা। এই লেনদেন এ কোন দেশের সরকার বা কোন প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় করছে কেউ জানে না। পরিচয় গোপন রেখেও এটা দিয়ে লেনদেন করা যায়।
তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ডিজিটাল খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হওয়ায় এর লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর ভ্যালুর উপর কোন দেশের সরকারের হস্থক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই।
তাই অনেক দেশেই এই ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন নিষিদ্ধ। বাংলাদেশেও এই মুদ্রার লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে যে কোন ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন করা আইনগতভাবে অবৈধ।
ডিজিটাল মুদ্রার তালিকা
ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে এক ধরণের সাংকেতিক বা ডিজিটাল মুদ্রা। সারা পৃথিবীতে প্রায় হাজারেরও বেশি ডিজিটাল মুদ্রা রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন, মোনেরো, ড্যাশ, রিপল, ডোজকয়েন অন্যতম। তবে এগুলোর পূর্ব উত্তসূরি ও সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে বিটকয়েন।
বিটকয়েনের সফলতার কারণে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্ম হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির কোন ধরণের কেন্দ্রীয় সত্তা নেই। এটিকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করে না। তাই বলা যায় এটি হচ্ছে স্বাধীন মুদ্রা ব্যবস্থা।
Goldux com এক্সচেঞ্জ কি?
আজকের ইনফোটি মূলত Goldux.com সাইটটি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে উপরের আলোচনাগুলো করা হয়েছে।
এই সাইটটিতে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময় করা করা হয়। এছাড়াও যে কেউ এই সাইট থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করতে পারে। এমনটি জানা গেছে।
সুতরাং Golduc.com হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রার অনলাইন মার্কেট । এখানে বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রা বেচা কেনা হয়।
Goldux com সতর্কতা কি?
একজন পাঠক আমাদের এই সাইটটি সম্পর্কে সতর্কতা জানিয়েছে। সে নাকি এখানে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ করতে গিয়ে ৫০ ডলার ধরা খেয়েছে। আমাদেরকে এই ইনফরমেশন দিয়েছে যে, কেউ যে এই সাইটটিতে লেনদেন না করে।
বাংলাদেশে এমনিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন নিষিদ্ধ। তাই আমরা এই সাইটটি সম্পর্কে কোন তথ্য যাচাই করতে পারি নাই।
অন্যান্য ইনফো জানুন