ইউটিউব সম্পর্কে আমাদের কাছে আসা কিছু প্রশ্ন
** ভাই আমি
ইউটিউব চ্যালেন খুললাম, ভিডিও আডলোড করলাম, ইনকামও করলাম কিন্তু টাকা পাব কিভাবে?
** কিভাবে
ইউটিউব চ্যানেল সঠিকভাবে খুলবো?
** ভাই চ্যানেল
খুলছি, ভিডিও আপলোড করছি, এখন ইনকাম করবো কিভাবে?
** কিভাবে
চ্যানেল খুললে ইনকাম বেশি হবে?
** কিভাবে
ইউটিউব চ্যালেন খুলবো?
** ইউটিউবের
টাকা কিভাবে উঠাবো?
এই টাইপের
প্রায় ১২৫ টিরও বেশি প্রশ্ন করেছে বিভিন্ন জন। তবে বেশির ভাগেই ইউটিউব চ্যালেন খোলা,
পরিচালনা এবং আয় করা সম্পর্কে তেমন জানেন না। কিন্তু তাদের আগ্রহ বেশি হচ্ছে কিভাবে
টাকা উঠাবেন, এইটা তাদের মাথায় প্রধান চিন্তা।
আপনার যদি
টাকার খুব ধান্ধা থাকে তাহলে ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তার প্রধান
কারণ হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করলেই আপনাকে কেউ টাকা দিবে না।
চ্যানেল থেকে
আয় করতে হলে নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে ভাল মানের ইউনিক ভিডিও (কপিরাইট মুক্ত) কঠোর পরিশ্রম
করে তৈরি করতে হবে। সেই ভিডিওগুলো যেন মানুষ বার বার দেখে কিছু উপকার পায়। তা না হলে
আপনার ভিডিও কেউ দেখবে না।
ক্যামেরা
দিয়ে ভিডিও করে এডিট করেও চ্যালেনে আপলোড করতে পারেন। তবে টপিক অনুযায়ী ভিডিও করবেন।
এলো মেলো ভিডিও তেমন সুফল দেয় না।
আপনার ইউটিউব
চ্যানেল যখন অনেক পপুলার হবে অর্থাৎ কমপক্ষে ১০০০ জন সাব্সক্রাইব করবে এবং ভিডিও ওয়াচটাইম
৪০০০ (চার হাজার) ঘন্টা হবে, তখন আপনি চ্যালেন থেকে আয় করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনার আবেদন
অনুমোদন হলে চ্যালেন থেকে আয় হওয়া শুরু হবে। গুগল এডসেন্স একাউন্টে গিয়ে পেমেন্ট অপশনে
আপনার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করতে হবে। আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হলে গুগল আপনার
ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিবে।
মনে রাখবেন
এক দুই মাসে চ্যালেন এ সাব্সক্রাইবার ১০০০ পাবেন না। এজন্য চ্যালেনে ভালো মানের ভিডিও
আপলোড করতে হবে। আপনি দক্ষ না হলে আয় করার জন্য আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে কয়েক বছর
লেগে যেতে পারে। তাই জেনে বুঝে ইউটিউব চ্যালেন থেকে আয় করার চিন্তা করতে হবে। আর পেশাদার হিসাবে নিজেকে ইউটিউবার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে “ভিডিও তৈরি করার সঠিক কৌশল” জানতে হবে।
ইউটিউব চ্যালেন
থেকে আয় করার কৌশল হচ্ছে- ভাল মানের ভিডিও আপলোড করা, ভিডিও এসইও (SEO) করা, নিয়মিত
ভিডিও আপলোড করা এবং অনুমোদনের জন্য যোগ্যতা থাকা। আয় করার অনুমোদনের যোগ্যতা- কমপক্ষে
১০০০ সাব্সক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ভিডিও ওয়াচটাইম অর্থাৎ কমপক্ষে আপনার চ্যালেনের ভিডিও ৪০০০ ঘন্টা ভিউয়ারদের দেখতে হবে।
আরো জানুন:
ইউটিউব ভিডিও কিভাবে নিরাপদে ডাউনলোড করবেন?
রাস্তা চলায় সতর্ক করবে গুগলের নতুন ফিচার
ইউটিউব চ্যালেন কিভাবে খুলবেন? How to make
Youtube Channel?
বিশ্বের
সবচেয়ে বড় এবং বহুল ব্যবহৃত ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট হচ্ছে ইউটিউব। Youtube শুধু ভিডিও
শেয়ারিং করার সুবিধা দেয় না। ভিডিও মালিকদের লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার সুযোগ করেও
দিয়েছে।
বাংলাদেশে
এমন অনেকগুলো ইউটিউব চ্যালেন আছে যেগুলো থেকে প্রতি মাসে কোটি টাকার উপরে ইনকাম হয়।
তাই অনেকের মধ্যে ইউটিউব চ্যালেন খুলে টাকা আয় করার আগ্রহ বাড়ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে
ইউটিউব থেকে আয় করার ধর্য এবং কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা সবার থাকে না।
আজকের
ইনফোটির আলোচনার বিষয় হচ্ছে-
**
Youtube চ্যালেন কি?
**
কেন ইউটিউব চ্যালেন তৈরি করবেন?
**
You Tub Channel খোলার জন্য কি কি লাগে?
**
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যালেন কিভাবে খুলবেন?
** নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
ইউটিউব কি? What is Youtube?
ইউটিউব কি
এটা এখন নতুন করে জানার প্রয়োজন নেই। যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তারা সবাই জানেন
ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও দেখার অ্যাপ। যে কোন ভিডিও এই অ্যাপে পাওয়া যায়।
সুতরাং ইউটিউব
হচ্ছে একটি ফ্রি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। এই সাইট থেকে যে কোন ভিডিও সহজেই দেখতে পারি,
অন্যের সাথে Share দিতে পারি।
আপনিও যে
কোন ভিডিও আপলোড করতে পারেন এই সাইটে। ফলে আপনার ভিডিও বিশ্বের যে কেউ সহজেই দেখতে
পারবে।
ইউটিউবে ভিডিও
আপলোড করার জন্য প্রথমেই একটি চ্যালেন খুলে নিতে হবে। চ্যালেনটিতে আপনি আনলিমিটেড
ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। শুধু তাই নয় আপনার চ্যালেনটি যদি জনপ্রিয় হয় অর্থাৎ আপলোড
করা ভিডিওগুরো যদি মানুষ বার বার দেখে তাহলে এই চ্যালেন থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব গুগলের
নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এই সাইটে ভিডিও দেখে থাকে। যে কোন
বিষয় জানতে এই সাইটে সার্চ করে এবং সেই বিষয়ে ভিডিও উপভোগ করেন ব্যবহারকারীরা।
You Tube channel কেন তৈরি করবেন?
বর্তমানে
ডাটা প্যাক সস্তা এবং গতিও অনেক বেশি।তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এখন ভিডিও দেখে অনেক
সময় ব্যয় করে থাকে। এই কারণে ভিডিও আপলোড করা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনেকে শখের
বসে, কেউ পেশাদার হিসাবে আবার কেউ কেউ আয় করার আশায় ভিডিও আপলোড করছে। যে কারণে ভিডিও
আপলোড করুন না কেন, চ্যালেন তৈরি করে ভিডিও আপলোড করতে হবে।
এটি শুধু
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় Video sharing ওয়েবসাইট নয়, এটি বিশ্বের বৃহত্তম Search engine বটেও।
সারা বিশ্ব থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে সার্চ করছে।
আপনার যদি
কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান থাকে তাহলে সেই বিষয়ে ভিডিও ক্লাস, ভিডিও টিউটোরিয়াল অথবা ভিডিও
তৈরি করার সখ থাকলে সেই ভিডিও ইউটিউব চ্যালেন খুলে সারা বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
সেই সাথে চ্যালেন থেকে টাকা ইনকামও করতে পারবেন যথেষ্ট পরিমানে।
ভিডিওর মাধ্যমে নিজের চিন্তা, জ্ঞান কিংবা সখসহ বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে সবার কাছে তুলে ধরতে একটি Youtube channel
create করা প্রয়োজন। আপনি যদি একটি প্রফেশনাল ইউটিউব ভিডিও চ্যালেন তৈরি করে আয় করার চিন্তা করেন তাহলে এই ইনফোটি ভাল দেখার পরামর্শ দেব। কেননা এখানে সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ইউটিউব Channel create করার জন্য কি কি লাগে?
যারা নতুন
তাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে যে, Youtube channel খোলার জন্য কি লাগে? এই প্রশ্ন আসা
স্বাবাভিক। কারণ সে তো নতুন। আসলে ইউটিউব চ্যালেন তৈরি করতে তেমন কিছুই লাগে না। শুধুমাত্র
একটি জিমেইল একাউন্ট থাকলেই Youtube channel create করা যায়।
আপনার যদি
Gmail Account না থাকে তাহলে এই সাইটের “জিমেইল একাউন্ট কিভাবে খুলবেন” ইনফোটি দেখে
নিতে পারেন। জিমেইর একাউন্ট খোলার পর কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে সহজেই ইউটিউব চ্যালেন খুলতে
পারবেন কারো সহযোগিতা ছাড়াই।
You Tube channel তৈরি করার ধাপগুলো নিম্নরুপ:
ধাপ-১: Visit
Youtube Official Website
ধাপ-২: login
with Gmail ID
ধাপ-৩:
Click on Profile icon
ধাপ-৪:
Click on Setting
ধাপ-৫:
Click on “Create a new channel”
ধাপ-৬: Brand Account Name অর্থাৎ চ্যালেনের নাম লিখে “Create”
বাটন ক্লিক করলে চ্যালেন তৈরি হবে।
এছাড়াও প্রফেশনাল
চ্যালেন তৈরি করার জন্য আরো কিছু ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। যেমন-
**
Verify Youtube channel
**
Channel Logo Setup
**
Channel Art setup
** About
Your channel ইত্যাদি।
ইউটিউব চ্যালেন খোলার নিয়ম
আপনার যদি
একটি জিমেইর একাউন্ট থাকে তাহলে খুব সহজেই একটি ইউটিউব চ্যালেন তৈরি করতে পারেন। কেননা
জিমেইল আইডি থাকলে নতুন করে ইউটিউবে একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয় না। এই জিমেইল দিয়ে ইউটিউব
সাইন ইন করা যায়।
কিভাবে জিমেইল দিয়ে ইউটিউব
চ্যালেন খুলবেন তা ধারাবহিক ভাবে নিচে আলাচনা করা হলো। প্রথমে ইউটিউবের অফিসিয়াল ওয়েবসাই
(www.youtube.com) ভিজিট করুন।
নিচের মত
ইউটিউব ওয়েবসাইটের হোম পেজ ওপেন হবে। উপরের ডান দিকে ”Sign in” বাটন ক্লিক করুন। আপনার
জিমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
ইউটিউবে Log
in হলে একদম উপরের ডান পাশে “Profile Icon” ক্লিক করলে অনেকগুলো অফশন দেখতে পাবেন।
প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করতে নিচের নিচের পিকচারটি ফলো করুন।
প্রোফাইল
আইকন ক্লিক করার পর নিচের মত অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন । এখান থেকে “Setting” মেনু
ক্লিক করুন।
সেটিং মেনু
ক্লিক করলে নিচের মত পেজ ওপেন হবে। নিচের দিকে দেখুন “ Create a new channel” একটি
অপশন রয়েছে।
Create a
new channel অপশনে ক্লিক করে আপনার চ্যালেনের নাম লিখতে হবে। এটি ক্লিক করুন। নিচের
মত একটি পেজ ওপেন হবে।
এইটুকু কাজ সঠিকভাবে করে থাকলে আপনার চ্যালেনটি সফলভাবে
তৈরি হয়ে যাবে। Finally, আপনার ইউটিউব Channel Create হয়ে গেছে। এখন চ্যালেনটিকে প্রফেশনালভাবে
সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা প্রয়োজন।
মনে রাখবেন,
আপনার চ্যালেনকে যতই প্রফেশনালভাবে ডিজাইন করেন না কেন যদি ভাল মানের ভিডিও চ্যালেনে
আপলোড করতে না পারেন, তাহলে কোন লাভ হবে না। অন্যদিকে প্রফেশনাল ভাবে চ্যালেন ডিজাইন
না করেও ভাল মানের ভিডিও আপলোড দিয়ে অনেকেই সফলকাম হয়েছেন।
Youtube channel প্রফেশনালভাবে তৈরি করার নিয়ম:
উপরে ইউটিউব
চ্যালেন তৈরি করার নিয়ম জেনেছি। এখন তৈরি করা চ্যালেনটিকে প্রফেশনালি করার জন্য কিছু
ডিজাইন এবং সেটিং সেটআপ করে নিতে হবে।
আপনার চ্যালেনকে
প্রফেশনাল না করলে ব্যবহার কারীরা চ্যালেনটি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিতে পারে। তাই
সুন্দর করে চ্যালেনটিকে উপস্থাপন করা জরুরী। এ জন্য নিচের কাজগুলো করুন।
চ্যালেন ভেরিফাই (Verify Youtube channel)
ইউটিউব
Channel create করার পর প্রথম যে কাজটি করতে হয় সেটি হচ্ছে তৈরি করা চ্যালেনটিকে ভেরিফাই
করে নিতে হবে। কারণ ভেরিফাই করার পর কেবল ১৫ মিনিটের বেশি ভিডিও চ্যালেনে আপলোড করতে
পারবেন।
এছাড়াও youtube monetization
করে আয় করতে হলে ভেরিফাই করা বধ্যতামূলক। সেটিং থেকে চ্যালেন ক্লিক করে
“Verify” অপশনটি ক্লিক করে ভেরিফাই করে নিন।
You Tube channel logo setup
প্রতিটি জিনিস পরিচিতির জন্য একটি বিশেষ চিহ্ন
বা ট্যাগ লাগে। ফলে ঐ জিনিসটি সহজেই চেনা যায়। তাই আপনার ইউটিউব চ্যালেনের পরিচিতির
লভের জন্য একটি লগো সুন্দর করে তৈরি করে সেটিং করে নিন।
প্রফেশনাল
Logo তৈরি করার জন্য ইন্টারনেটে অনেক টুল পাবেন। এই ওয়েবসাইট টুলগুলো ব্যবহার করে নিজেই
পছন্দমত লগো তৈরি করতে পারেন। canva.com এবং
Pics art ওয়েবসাইট ব্যবহার করেও লগো তৈরি করতে পারেন।
চ্যালেন Art setup করা
চ্যালেনের
লগো সেটআপ করার পর আপনার কাজ হচ্ছে একটি আদর্শ Channel art তৈরি করা। কারণ আপনার চ্যালেনে
যখন কেউ আসে তখন প্রথম নজড় চ্যালেন আর্ট এর উপর পড়ে যায়, তাই সুন্দর ডিজাইনে
Channel Art সেটআপ করুন।
ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর
কিংবা কম্পিউটার পেইন সফ্টওয়ার ব্যবহার করে ২৫৬০px * ১৪৪০px সাইজের চ্যালেন আর্ট
তৈরি করে সেটিং করে নিন।
চ্যালেন সম্পর্কে লিখুন (About Your Channel)
ইউটিউব চ্যালেনের
একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, Channel about সেকশন। এখানে আপনি কি ধরণের ভিডিও শেয়ার
করবেন তা লিখবেন। এতে ব্যবহারকারীরা সহজেই বুঝতে পারবে আপনার চ্যালেনের ভিডিও সম্পর্কে।
সেই হিসাবে
তারা আপনার Channel কে অনুসরন করবে এবং প্রয়োজনে ভিজিট করবে। আপনার জিমেইল আইডি, ফেসবুক
আইডি কিংবা অন্য কোন কন্ট্রাক দিতে পারেন। এতে প্রয়োজনে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে
পারবে।
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় – আপনার চ্যালেন থেকে কিভাবে আয় করবেন?
নতুনরা প্রায়
প্রশ্ন করে থাকে ইউটিউব চ্যালেন দিয়ে মাসে কত টাকা আয় করা যায়? এর সহজ উত্তর হচ্ছে-
বাংলাদেশে এমন অনেক ইউটিউব চ্যালেন রয়েছে যার মাসিক আয় কোটি টাকার উপরে। চ্যানেল থেকে
আপনিও প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। এটা অসম্ভব নয়। তবে কোটি টাকা আয়
করার মত পরিশ্রম করতে হবে আপনাকে।
আপনি চ্যালেন
তৈরি করেছেন কিন্তু চ্যালেনে ভাল মানের ভিডিও আপলোড দেন নাই কিংবা আপনার ভিডিও কেউ
দেখে না। তাহলে আপনার চ্যালেন থেকে এক টাকাও আয় করা সম্ভব নয়।
কেননা ইউটিউব
চ্যালেন থেকে আয় হয় ভিডিও ভিউয়ের উপর। যত বেশি ভিউ হবে তত আপনার ইনকাম হবে। আপনার ভিডিও
যদি কোটি কোটি মানুষ দেখে তাহলে আপনার আয়ও কোটি টাকা হবে। অর্থাৎ You Tube channel
আয়ের সুত্র হচ্ছে ভিউ যত বেশি আয়ও তত বেশি, ভিউ না হলে কোন আয় হবে না।
কিভাবে আয়ের জন্য আবেদন করবেন?
আপনার চ্যালেনে
১০০০ সাব্সক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ভিডিও দেখা হয়ে গেলে আয়ের জন্য আবদন করতে পারেন।
এর জন্য নিচের
youtube
monetization সেটিং চালু করুন।
নতুনদের জন্য Youtube channel এর কিছু জরুরী বিষয়
অনেকেই ইউটিউব
চ্যালেন খুলে ভুল করে থাকেন। ফলে নানান সমস্যায় চ্যালেনটি ডিজেবল হয়ে যায়। এমনকি চ্যালেন ডিলিটও হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে Youtube Guideline মেনে চ্যালেন পরিচালনা
করতে হবে।
ইউটিউব গাইডলাইন
মেনে চললে ভবিষ্যতে আপনার চ্যালেনের কোন সমস্যা হবে না। তাই নতুন ব্যবহারকারীদের নিচের
বিষয়গুলো অনুসরণ করা জরুরী:
** ইউটিউব
থেকে কোন ভিডিও ডাউনলোড করে চ্যালেনে আপলোড করবেন না, এতে চ্যালেনে কপিরাইট স্টারাইক
আসবে।
** চ্যালেনে
সবসময় নিজের ভিডিও আপলোড করবেন। অন্যের ভিডিও দিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে।
** আপনার
ইউটিউব চ্যালেনে কোন প্রকার Sexual Violence এই টাইপের ভিডিও আপলোড করবেন না।
** সর্বদা
Youtube community Guideline মেনে চ্যালেন এ ভিডিও আপলোড করবেন।
এই নিয়ম মেনে
আপনি যদি চ্যালেন পরিচালনা করেন তাহলে নিজেকে একজন সফল ইউটিউবার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত
করতে পারবেন সহজেই।
শেষকথা:
আশা করি এই
ইনফোটি থেকে ইউটিউব চ্যালেন খোলার নিয়ম ও ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে ক্লিয়ার
ধারণা হয়েছে। কিভাবে পেশাদার ইউটিউবার হওয়া যায় তারও আইডিয়া পেয়েছেন। এছাড়াও আপনার
যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানান।
প্রতি উত্তরে
আপনাকে যথাযথ ইনফো দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্ঠা করা হবে। আপনার কাছে ইনফোটি প্রয়োজনীয়
মনে হলে শেয়ার করে নিজের ওয়ালে রেখে দিন যাতে প্রয়োজনের সময় নিজের ওয়ালে সহজেই খুজে
পান।
ইনফোটি আপনার
কোন উপকারে লাগলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন যাতে আপনার মত অন্য কেউ
উপকার পায়।
Home BD info এর অন্যান্য ইনফো জানুন:
ওয়েবসাইটের আয় কিভাবে দ্বিগুণ করবেন অনলাইন টুল ব্যবহার করে?
সারা বিশ্ব ব্যাংকিং সিস্টেম আপনার হাতের মুঠোয়: পৃথিবীজুড়ে ব্যাংকিং করবেন কিভবে?
ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করবেন?
ফিসবুক ভিডিও কিভাবে নিরাপদে ডাউনলোড করবেন?
ইনফোটির কিওয়ার্ডসমূহ:
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম, ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়, youtube channel, youtube banner, my youtube channel, youtube monetization, create youtube channel, কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো, ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর নাম, ইউটিউব চ্যানেল সেটিং, বাংলা ইউটিউব চ্যানেল, নতুন ইউটিউব চ্যানেল, ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়, ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন, ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়, মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলা, ইউটিউব চ্যানেল তৈরি, কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন মোবাইলে, ইউটিউব চ্যানেলের নাম সমূহ, ইউটিউব থেকে আয়