অনেক দাম্পতি এখনই সন্তান নিতে চায় না কিন্তু স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক নিয়মিত রাখতে চান তাদের জন্য আজকের ইনফোটি শেয়ার করা হলো। অনেকেই বিভিন্ন জন্ম নিয়ন্ত্রক ব্যবহার করে যৌন জীবন উপভোগ করে থাকেন। আবার অনেকেই এগুলো ব্যবহার করতে অনীহা প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানতে চেয়েছেন কোন কোন সময় সহবাস করলে অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী হয় না? জ্বী আপনাকে বলছি, আপনি যদি জন্ম নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা (পিল বা কনডোম) ব্যবহারে অনীহা বোধ করেন, তাহলে ন্যাচারাল ব্যবস্তা একটি উপায় হতে পারে।
ন্যাচারাল
এই পদ্ধতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ওভুলেশন
বা ডিম্বাণু স্ফুরণের সময়টি হিসাব করে উক্ত সময়ে সহবাস বন্ধ রেখে কিংবা স্বল্প সময়ের
জন্য কোন জন্মনিয়নত্রক ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্ত্রী সহবাস করতে পারেন।
আরো জানুন:
গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা: গর্ভধারণের প্রথম মাসে কি ধরণের খাবার খাওয়া উচিৎ?
অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে কিভাবে জানবেন?
আকর্ষণীয় ত্বক কিংবা সুস্থ ত্বকের জন্য কি করবেন?
স্ত্রী সহবাসের নিরাপদ সময় কিভাবে গণনা করবেন?
যে নারী ন্যাচারাল
পদ্ধতি ব্যবহার করবেন অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রন করতে চান, তাদের পূর্ববর্তী
ছয় মাসের পিরিয়ড বা মাসিকের হিসাব রাখতে হবে। একবার মাসিক শুরু হওয়া থেকে পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়া
পর্যন্ত কত দিন ব্যবধান, এই হিসাব লিখে রাখতে পারলে গণনা সঠিকভাবে করতে পারবেন।
গত ছয় মাসের
মাসিক চক্র থেকে বিয়োগ করে সহবাসের নিরাপদ দিনগুলো বের করতে পারেন সহজেই। সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত
ব্যবধানের মাসিকচক্র থেকে ১৮ দিন এবং সবচেয়ে দীর্ঘ মাসিক চক্র থেকে ১১ দিন বিয়োগ করে এই হিসাব বের করা হয়।
নিরাপদ দিনগুলো কীভাবে হিসাব করবেন তার উদাহরণ
যদি কারো
মাসিক চক্রের হিসাব ২৬ থেকে ৩০ দিন হয়, অর্থাৎ সর্বনিম্ন ২৬ দিন এবং সবচেয়ে দীর্ঘ মাসিক
চক্র ৩০ দিন, তাহলে নিরাপদ দিনের হিসাবটা হবে এ রকম:
২৬-১৮ = ৮
এবং ৩০-১১= ১৯
এই হিসাব
অনুযায়ী ওভুলেশনের সম্ভবনা মাসিকের ৮ম দিন থেকে ১৯ তম দিন পর্যন্ত। নারীদের মাসিক চক্রের
এই সময়টা হচ্ছে ডেঞ্জার পিরিয়ড বা ফার্টাইল পিরিয়ড। এই সময়ে সহবাস করলে বাচ্চা হওয়ার
সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। যদি কেউ বাচ্চা নিতে না চায়, তাহলে এই সময়ে সহবাস বন্ধ, কনডোম
ব্যবহার কিংবা পিল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
প্রাকৃতিক এই নিয়মের সীমাবদ্ধতা
এই ন্যাচারাল
পদ্ধতি সাধারণত তাদের জন্য প্রযোজ্য হয়, যাদের মাসিক নিয়মিত হয়। তাদের জন্য এই পদ্ধতি
ফলপ্রসূ হবে না, যাদের মাসিয় নিয়মিত হয় না।
অনেক গবেষণা
থেকে জানা যায়, এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ফেইলর রেট অনেক বেশি হয়ে থাকে। এমনকি
ফেইলর রেট ১৪% দেখা গেছে।
আপনি যদি
বাচ্চা নিতে না চান এবং মাসিক নিয়মিত হয়, তাহলে এই ন্যাচারাল পদ্ধতি প্রয়োগ করতে
পারেন নির্ধিদায়।
আরো জানুন:
বাসায় বসে প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে কিভাবে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করবেন?
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ: গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহের লক্ষণগুলো কি কি?
গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ইতিবাচক ফল ভুল হয় কেন?
বাচ্চা নেওয়ার জন্য কিভাবে সহবাস করবেন?
যারা বাচ্চা
গ্রহণ করতে চান, তারা ঠিক উপরের নিয়মে হিসাব-নিকাশ করে ডেঞ্জার পিরিয়ডে সহবাস করবেন।
এতে ফলাফল ভাল হওয়ার সম্ভবনা সবথেকে বেশি থাকে।
স্ত্রীর জরায়ুতে
ওভুলেশন হওয়ার পর ডিম্বাণু সাধারণত ২৪ ঘন্টা জীবত থাকে। আবার পরুষের শুক্রাণু ৩ থেকে
৫ দিন পর্যন্ত নারীর যোনিপথে জীবিত থাকতে পারে। তাই ডেঞ্জার পিরিয়ডে প্রতিদিন সহবাস
করতে হবে, এমন ধারণা করা ভুল।
চিকিৎসকের
পরামর্শ হচ্ছে, বাচ্চা নিতে চাইলে ডেঞ্জার পিরিয়ডে একদিন পর পর সহবাস করলেই চলবে।
শেষকথাঃ
আশাকরি দাম্পতি
জীবনে এই ইনফোটি কাজে লাগবে। যৌন উপভোগ করা দাম্পতি জীবনে সুখের অন্যতম শর্ত। এর ব্যতিক্রম
হলে সংশারে অশান্তির বাসা বাঁধে। তাই নিয়মিত সহবাস করবেন এবং ভালবাসার চাঁদরে সংসার সাজাবেন। ইনফোটি আপনার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করে নিজের ওয়ালে রেখে দিন, যাতে প্রয়োজনের সময় নিজের ওয়াল থেকে সহজেই খুজে পেতে পারেন।
অন্যান্য ইনফো জানুন:
জমির যে কোন খতিয়ান অনলাইনে পাবেন কিভাবে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিল খাওয়ার পরে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা আছে প্রথম দিনেই সহবাস করছিলাম এক সপ্তহ পর আমার স্ত্রীর মাসিক হইছে এখন জানুয়ারির প্রথম দিক দিয়া হইছে এখন পর্যন্ত হয় নাই
সাধারণত পিল খাওয়ার নিয়ম সঠিক না হলে তার কার্যকারিতা কমে যায়। আপনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
আচ্ছা এখন বাচ্চা নিতে চাচ্ছি না,সেজন্য কোন পিল ব্যবহার করতে হবে? আর সেই পিলের নামটা বললে ভালো হতো।
এই বিষয়ে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। কোন পিল ভালো সেই বিষয়ে আমাদের কোন গবেষণা নেই। তাই আমরা বলতে পারছি না কোন পিল আপনার জন্য ভালো হবে।
ধরা যেতে পারে মাসিকের মধ্যবর্তী(10-20)সময়ে যদি সহবাস করা হয়।তাহলে বাচ্চা নিতে কোন অসুবিধা নেই।
বাচ্চা হওয়ার দের মাস পর কি সহবাস করলে কোন সমস্যা হবে বা আবার প্রেগনেন্ট হবে নাকি
না, সমস্যা নাই, তবে ছয় মাস পর সহবাসের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যদি বাচ্ছা নিতে না চান।