মানুষের প্রধান শত্রু হচ্ছে মশা, এই মশার ভয়ে কত কিছুই না আবিস্কার করে ফেলছে মানুষ। তারপরও মশা বাহিনী আপন গতিতে এগিয়ে চলেছে তাদের গন্তব্যের দিকে। আর এই বাহিনীর এতই সাহজ যে, কত বড় শক্তিশালীর দেশের প্রধানমন্ত্রী হোক না কেন, একটু সুযোগ পেলেই ঝাপিয়ে পড়ে তার উপর। যাইহোক আজকের ইনফোতে ডেঙ্গু রোধে মশা তাড়ানোর উপায় কি অর্থাৎ মশা তাড়াতে কি কি করতে পারেন সেই বিষয় আলোচনা হবে।
আমি ছোট বেলায়
মশার ভয়ে দিনের বেলাও মশারির তলে লুকিয়ে থাকতাম। এর এটার যথেষ্ট কারণও আছে। দাদি আমাকে এত
ভয় লাগাতো যে, মশার নাম শুনলেই আতকে উঠতাম। তবে সেই সময় মশাকে কোন দিন দেখতে পারি নাই।
সেই সময় মনে করতাম মশা মনে হয়, বিশাল একটি দানব! মানুষকে পেলেই মেরে ফেলে রক্ত খাবে কিংবা রক্ত খেতে খেতে মানুষকে মেরে ফেলবে। ডেঙ্গু মশার যে ভয়াবহতা তাতে আমার চিন্তা বা ধারণার সাথে কম নয়। তাই ডেঙ্গু রোধে মশা তাড়াতেই হবে কিংবা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে আপনাকে।
আরো জানুন:
কিভাবে সহবাস করলে স্ত্রী গর্ভবতী হবে না?
মশা তাড়াতে যা যা করতে পারেন বা মশা তাড়ানোর উপায়
বর্তমানে
মশা তাড়াতে অনেক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আপনি পছন্দের পদ্ধতি ব্যবহার করে মশার হাত
থেকে রক্ষা পেতে পারেন। মশার উপদ্রব যখন খুব বেশি হয়ে থাকে, তখন কাজ করা খুবই কষ্টকর
ও বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। রক্ষা পেতে যা যা করতে
পারেন-
মশা নাশক
স্প্রে ব্যবহার: ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্প্রে করতে পারেন। স্প্রে করার দশ থেকে
পনের মিনিট পর ঘরে প্রবেশ করুন। স্প্রের কার্যকারিতা সাধারণ ছয় থেকে আট ঘন্টা হয়ে থাকে।
দরজা-জানালা খুলে দিলে অন্য স্থান থেকে ভিতরে মশা চলে আসতে পারে। তখন এর কার্যকারি
কিছুটা কমে যেতে পারে, তাই সতর্কতা প্রয়োজন।
** মশার উাপদ্রব
থেকে রক্ষার জন্য ধূপের ধোঁয়া সাময়িক সমাধান দিতে পারে।
** বাসায়
হাত-পা ঢাকা পোশাক পরে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পারেন। ফুলহাতা জামা, ফুলপ্যান্ট
আপনাকে কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে।
** পাঁচ বছরের
উর্ধ্বে যে কেউ মস্কিউটো রিপেল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। শরীর থেকে মশা দূরে রাখতে
এটি কাজে দেয়। এর কার্যকারিতা ৫-৬ ঘন্টা। সময় পার হয়ে গেলে আবার ব্যবহার করতে হবে।
তবে এই ক্রিম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে যেন চোখে কিংবা মুখে না যায়। কাপড়ে ঢাকা থাকে
এমন জায়গায় এটি ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার বিধি ভাল করে পড়ে নিয়ে ব্যবহার করুন।
** সানস্ক্রিন জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করলে প্রথমে সানস্ক্রিন
এবং পরে রিপেল্যান্ট ব্যবহার করুন।
আরো জানুন:
খেজুর নকল না আসল কিভাবে জানবেন ও এর উপকারিতা কি কি?
ইসুবগুল ও তোকমা দানা খাওয়ার নিয়ম কি?
মশা থেকে রক্ষা পেতে মশারি বেশি নিরাপদ
যুগ যুগ ধরে
মশারি মশা থেকে মানুষকে রক্ষা করছে কিংবা নিরাপদে রাখছে। প্রয়োজনে আপনি ‘রেডি’ মশারি
ক্রয় করতে পারেন। এটি কেবল খুলে দিলেই হলো।
শিশুর স্ট্রলারও
ঘিরে নিতে পারেন মশারির মতো নিরাপত্তার বলয়ে। মশা থেকে বাঁচতে সবথেকে বেশি নিরাপদ হচ্ছে
মশারি। বর্তমান বাজারে নানা ব্রান্ডের মশারি পাওয়া যায়।
মশার কয়েল ও স্বাস্থ্য ঝুকি
মশা তাড়াতে
অধিক ব্যবহার হয়ে থাকে মশার কয়েল, যা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যহানিকর। বর্তমানে দু ধরণের
কয়েল বাজারে পাওয়া যায়। ধোঁয়া ওড়ানো কয়েল ও মশানাশক উপকরণ বাষ্পীভূত করার বৈদ্যুতিক
কয়েল।
দুইটিই স্বাস্থের
জন্য ক্ষতিকর হলেও বৈদ্যুতিক কয়েলের কিছুটা ঝুকি কম। আবার ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন এমন
রোগীর ক্ষেত্রে কয়েল কিংবা মশানাশক স্প্রের কারণে সমস্যা আরো গুরুতর হতে পারে। এমন
রোগীর জন্য মশা তাড়ানোর অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
মশানাশক নানা রকম সামগ্রী
বাজারে মশা
তাড়ানোর জন্য নানা রকম সামগ্রী পাওয়া যায়। রিপেল্যান্ট, ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায় ৮০
থেকে ৫৯০ টাকাতেই। মশানাশক অ্যারোসল স্প্রের দাম ২৭৫ থেকে ৪৫০ টাকা। মশা তাড়ানোর বৈদ্যুতিক
কয়েল পাওয়া যাবে ১৩০ টাকায়। রিফিল প্যাকও ক্রয় করে ব্যবহার করা যায়, বৈদ্যুতিক কয়েলটি।
এছাড়াও ধোঁয়া
ওড়ার কয়েল রয়েছে নানা ব্র্যান্ডের, ৩০ থেকে ৭২ টাকায় ক্রয় করা যাবে এগুলো। সহজে ব্যবহার
করা যায় এমন মশারি পাওয়া যায়, বিভিন্ন দামে ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে প্রয়োজনীয়
এসব বাসায় বসে অনলাইনে ক্রয় করতে পারেন।
শেষকথাঃ
আশা করি আপনি মশার হাত থেকে বাঁচতে সবচেয়ে সহজ এবং স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা নিবেন। আপনকে আরো অবগতি করছি যে, মশা তাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি কি অর্থাৎ বাসাতেই মশা তাড়ানোর উপকরণ বা ব্যবস্থা কিভাবে তৈরি করবেন সেই বিষয়ে সাইটে আরো একটি ইনফো শেয়ার করা হবে ইনশাল্লাহ। আমাদের সাইটের ইনফোগুলো আপনার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হলে নিজের ওয়ালে শেয়ার করে রেখে দিন। যাতে প্রয়োজনের সময় নিজের ওয়াল থেকে সহজেই খুজে পান।
Home BD info এর অন্যান্য ইনফো
আকর্ষণীয় ত্বক ও সুস্থ থাকতে কি করবেন?
তেজপাতা দিয়ে কিভাবে দাঁতের হলদে দাগ দূর করবেন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন