সেনাবাহিনী নিয়োগ বা সেনাবাহীনি ভর্তি ও প্রতারণার ফাঁদ: প্রতারক হতে সাবধান

বাংলাদেশের একমাত্র সেনাবাহিনী নিয়োগ বা সেনাবাহীনি ভর্তি কিংবা রিক্রটিং যেখানে কোন প্রকার ঘুষের কারবারি চলে না। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও প্রতারক চক্র বসে নেই। তারা সাধারণ প্রার্থীকে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার ফাঁদে আটকে ফেলে। একজন সাধারণ প্রার্থী সেনাবাহীনিতে নিয়োগ দিতে বা ভর্তি হতে যেন, প্রতারণার স্বীকার না হয়, সেই বিষয়ে আজকের ইনফোতে আলোচনা করা হলো।


সেনাবাহিনী নিয়োগ বা সেনাবাহীনি ভর্তি ও প্রতারণার ফাঁদ: প্রতারক হতে সাবধান 

সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীতে সৈনিক পদে ভর্তি বা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বলা হয় রিক্রটিং। আগে একসময় সৈনিক পদে লোক নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন জেলার স্টেডিয়ামে রিক্রটিং পরিচালনা হতো। এই নয়ম বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন নতুন নিয়মে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করা হয়।

 

সেনাবাহিনীতে সৈনিক ভর্তির নতুন নিয়ম

আগের নিয়মে বিভিন্ন জেলায় নির্দিষ্ট দিন স্টেডিয়ামে বিপুলসংখ্যক মানুয়ের সমাগম হতো। এখান থেকে সীমিতসংখ্যক আসনের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা অত্যান্ত দুরুহ ব্যপার ছিল। তাছাড়া এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে দালাল চক্রও সক্রিয় হয়ে সাধারণ প্রার্থীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত।

সাধারণ প্রার্থীদের দালাল চক্রের প্রতারণার ফাঁদ থেকে রক্ষা ও এই চক্রকে প্রতিহত করতে এবং সেনাবাহিনী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজ করার লক্ষে স্টেডিয়ামে পরিচালিত নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করে নতুন নিয়ম চালু করা হয়।

সেনাবাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়ার নতুন নিয়ম- বর্তমান সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ করার জন্য বিভিন্ন সেনানিবাসে ‘ব্রাঞ্চ রিক্রটিং ইউনিট’ গঠন করা হয়েছে।

 

সেনাবাহিনীতে ভর্তির আবেদন ও প্রতারকের প্রতারণা

বর্তমান সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন পত্র গ্রহণ করে যাচাই-বাচাই করে নির্ধারিত তারিখে সেনানিবাসের অভ্যান্তরে রিক্রটিং পরিচালিত হয়। এতে সাধারণ প্রার্থীরা দালাল চক্রের অপতৎপরতা ও প্রতারণা থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছে।

এতকিছুর পরও প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব হয় নাই।সাধারণ মানুষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থ লেনদেনকে আবশ্যিক ও স্বাভাবিক মনে করে থাকে। ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্বচ্ছ নিয়োগকেও অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারক চক্র প্রতারণা করছে।

 

 বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সৈনিক নিয়োগ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও অনলেইনে আবেদনের জন্য সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে। প্রার্থীরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি দেখার পাশাপাশি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

এছাড়াও সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়ে থাকে। সবচেয়ে আপনার জন্য সুবিধা হলো – আপনি যদি সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরী করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে নিচের দেওয়া লিংকে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী নিয়োগ দেখুন এবং অনলাইনে আবেদন করুন।

 নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও অনলাইনে আবেদন করার জন্য - https://joinbangladesharmy.army.mil.bd/ ভিজিট করুন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

সশস্ত্র বাহিনীতে ভর্তি হতে প্রতারক হতে সাবধান

সাধারণ মানুষ এবং ভর্তি ইচ্ছুক প্রার্থীদের প্রতারক হতে সচেতন করতে সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে সচেতনতামূলক প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কেউ কেউ প্রতারণার ফাঁদে পা ফেলে দেয়।

অনেকে নিজ যোগ্যতায় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়ে বুঝতে পারে যে, সে প্রতারিত হয়েছে। চাকরী হারানোর ভয়ে কেউ কেউ প্রতারকদের ব্যপারে মুখ খোলে না। কেননা সেনাবাহিনীর কেউ যদি জানতে পারে যে, অমুক কোন তদবিরের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে, তাহলে তার চাকরী তাৎক্ষণিক হারাতে পারে।

তাই, সাধারণ মানুষ ও সাধারণ প্রার্থীদের জানতে হবে প্রতারকরা কিভাবে প্রতারণা করে? প্রতারকের প্রতারণার ধরণ জানা থাকলে সহজেই এ থেকে রেহাই পেতে পারে।


প্রতারকদের পরিচয় ও প্রতারণার ধরণ

সাধারণত প্রতারক চক্র প্রার্থীর সাথে কিংবা তার অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতারণার সূচনা শুরু করে। অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে সব রকম সহযোগিতা করে এবং এমনভাবে তারা কাজ করবে যেন, তারা প্রার্থীর সবচেয়ে ভাল শুভাকাঙ্খি। এছাড়াও দ্রুত মোবাইলে এসএমএস প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীকে আকর্ষীত করে।

প্রতারকরা নিজেদেরকে সেনাবাহিনীর রিক্রটিং কাজে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের একান্ত পরিচিত, তাদের কেউ কেউ রাজনীতিবিদ/ বেসামরিক কিংবা সামরিক কর্মকর্তাদের আত্নীয়, কাছের বড় ভাই ইত্যাদি ভুয়া পরিচয় দিয়ে থাকে।

তারা সাধারণ মানুষকে এমন কিছু কথা বলে যে, তাদের নিজেদের সঙ্গে ওপরমহলের যোগাযোগ এবং চাকরি প্রদানের ক্ষমতা আছে ইত্যাদি বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখায়।

 

মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল

চাকরী প্রার্থী বা তার অভিভাবকের কাছে প্রতারকরা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অজান্তে তাদের নাম উল্লেখ করে এবং ‘তাদের সাথে কথা হয়েছে, কোনো সমস্যা হবে না, তারাই ডেকে নেবে, রিক্রটিং মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে’ ইত্যাদি মিথ্যা কথার ছলে উদ্বুদ্ধ করে, আশ্বস্ত করে এবং প্রতারণার মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

অনেক সময় প্রতারকরা প্রার্থীর কাছ থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্র ইত্যাদি নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় এবং প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর ঐ সকল কাগজপত্র জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।

অনেক ক্ষেতে প্রতারকরা নির্বাচিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভূয়া কেস দেখিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশনে সমস্যা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকে। এছাড়াও তারা লিখিত পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন ও উত্তরপত্র প্রদানের মাধ্যমেও প্রতারণা করে টাকা আদায় করে।

 

সাধারণ মানুষের কাছে প্রতারকদের আস্থা অর্জনের কৌশল

প্রতারকরা কারো কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়ার পর চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে এবং ক্ষেত্রবিশেষে টাকা ফেরত দিয়ে অন্যদের কাছে আস্থা অর্জন করা চেষ্টা করে।অনেক সময় গৃহীত অর্থের নিশ্চয়তার জন্য সাদা স্ট্যাম্প বা কাগজে স্বাক্ষর করে থাকে। তাছাড়া প্রার্থীর চাকরি হলে কত টাকা প্রদান করতে হবে এই মর্মে সরকারি স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা নেয় এবং কোন কোন সময় ব্ল্যাংক চেক গ্রহণের মাধ্যমেও প্রতারণা করে থাকে।

দালাল-প্রতারকরা আস্থা অর্জনের জন্য অনেক সময় চিকিৎসকের মাধ্যমে দাদের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ভুয়া মেডিক্যাল যোগ্যাতা সনদপত্র প্রদান করে।

এছাড়াও অন্যান্য ভুয়া সনদপত্র প্রদান করে প্রতারিত করে থাকে। যেমন- মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/ নাতি/ নাতনি,  সেনা সন্তান, ড্রাইভার, খেলোয়াড় ইত্যাদি তৈরি করে প্রার্থীদের আস্থা অর্জন করে থাকে।

 

সেনাবাহিনী নিয়োগে প্রতারকদের কৃতিত্ব অর্জনের কৌশল

দালাল- প্রতারকরা প্রার্থীকে প্রভাবিত করতে কখনো কখনো নিজেরা পরীক্ষার দিন পরীক্ষার কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা করেন। কোন প্রার্থী নির্বাচিত হলে, তারা নানাভাবে তাদের কৃতিত্ব ও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের চেষ্টা করে অর্থ দাবি করেন।

কোন প্রার্থী যখন প্রতারকদের টাকা দিয়ে পরীক্ষা দিতে যায়, তখন তার মনে এটা বিশ্বাস জর্ন্মে যে, পরীক্ষায় টিকতে পারলেই চাকরীটা নিশ্চিত। আসল কথা হচ্ছে যারা কোন প্রতারককে টাকা না দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের কি চাকরী হয় না? তাই ধারণা পাল্টানো আবশ্যিক বিষয়।


সেনাবাহীনি নিয়োগে প্রতারকদের প্রতারণা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

সাধারণ মানুষ কিংবা চাকরী প্রার্থীরা যখন সচেতন হবে এবং সেনাবাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও দালাল-প্রতারকদের প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে অবগত থকবে, তখন সহজেই প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারবে।

যদি কোন প্রার্থী বা প্রার্থীর অভিভাবকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকে, তাহলে দালাল-প্রতারক চক্র সহজেই তাদেরকে প্রতারিত করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। তাই সাবধান থাকুন, সচেতন হোন।

 

সেনাবাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা

সেনাবাহিনীতে যারা ভর্তি ইচ্ছুক, তাদের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনসাপেক্ষে, শারীরিক যোগ্যাতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রতিযোগিতাপূর্ণ প্রাপ্ত ফলাফল আর্জন, বোর্ড পরীক্ষায় অর্জিত ডিপিএ এবং মেধার ভিত্তিতে শূন্য আসনের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকে। এখানে কোন প্রকার টাকা-লেনদেন বা ঘুষের সুযোগ নেই। প্রার্থীদের নিজ যোগ্যতাই নির্বাচনের একমাত্র উপায়।

যদি কোন নির্বাচিত প্রার্থী প্রতারককে টাকা দেন, হয়তো তিনি মনে করবেন, এটা বোধ হয় টাকার বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে। অথচ সেনাবাহিনীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানে না। অর্থাৎ তাদের অবগতর বাহিরে টাকার লেনদেন হয়েছে।

 

সতর্ক হোন এবং প্রতারককে ধরিয়ে দিয়ে  ‍পুরুস্কার নিন

যখন কেউ দালাল-প্রতারকদের টাকা দিয়ে সেনাবাহিনীতে নির্বাচিত হন, তখন ঐ প্রার্থী কিংবা তার পরিবারটি কিন্তু সেনাবাহিনীর নিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেন। তাই প্রার্থী- অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, দালাল-প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা ফেলবেন না।

মনে রাখবেন, প্রতারক চক্র আপনাকে ফাঁদে ফেলার জন্য ওতপেতে রয়েছে, একটু সুযোগ পেলেই আপনাকে প্রতারণার ফাঁদে আটকে ফেলতে পারে। তাই তাদের চটকদার কথায় প্রলুব্ধ হবেন না, বিশ্বাস করবেন না। বরং দালাল চক্রকে চিহ্নিত করে সেনাবাহিনী তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করুন এবং তাদেরকে ধরিয়ে দিয়ে পুরস্কৃত হোন।

নিয়োগের ক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি কোনো সন্দেহ জাগে অর্থাৎ যে কোন সন্দেহ দূরীকরণের জন্য নিকটস্থ রিক্রটিং ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করুন। এই বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতার জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক দেওয়া প্রচারপত্র ভালোবাবে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি অনুসরন করুন।


নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ভঙ্গ করলে তার শাস্তি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর রিক্রটিং বা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য নিয়োজিত থাকেন তাদের কেউ যদি কোনভাবে নিয়োগের স্বচ্ছতা ভঙ্গ করেন কিংবা অনৈতিক পথ অবলম্বন করেন, তাহলে তাকে দ্রুত চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

এই ধরণের অপরাধে কেউ জড়িত প্রমাণিত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিস্বরুপ চাকরিচ্যুতসহ জেল ও জরিমানা করা হয়।


শেষকথাঃ

আশাকরি এই ইনফোটি সেনাবাহিনীতে চাকরী প্রার্থীদের কাজে লাগবে। এছাড়াও এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানান। পরবর্তীতে ইনফোটি আপডেট করা হবে। আপনার কাছে লেখাটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করে নিজের ওয়ালে রেখে দিন, যাতে প্রয়োজনে সময় নিজের ওয়াল থেকেই সহজেই খুজে পান।

সচেতন বৃদ্ধির লক্ষে এটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিয়ে আপনিও আমাদের অংশিদার হোন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আসসালামু আলাইকুম
আপনারা সবাই ভালো আছেন
আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমি জানি এখানে সেনাবাহিনী ভাইয়েরা আছেন তাদের নজরে ধরার জন
আজকে আমি আপনাদের সবাইকে এমন একটা লোকের কথা বলবো,যে কি না বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম ভাংগে চলা ফেরা করে শুধু তাইনা চাকরি নিয়ে দিবে বলে কথা দিয়ে টাকা হাতায়।
আমি মোঃ নজরুল ইসলাম। আমার বাড়ি গাইবান্ধ সুন্দরগঞ্জ জেলায়।আমি মধ্যেবিত্ত পরিবারের আদরের সন্তান। আমার খুব ইচ্ছে ছিলো সেনা সদস্য হতে হবে।
আর তাই আমি ফেসবুকে একটা পোস্ট করি। আর কমেন্টে একটা লোক আমায় তার ইনবক্সে ডাকে।আমি তার ইনবক্সে যাবার আগে তার প্রোফাইল ঘুরে আসি এবং দেখি তার প্রোফাইলটায় সেনাবাহিনীর নানান ছবি দিয়ে ভরা।দেখে খুশি হই এবং ইনবক্সে যাই।
অনেক কথা বলার পর আমায় আমার উচ্চতা এবং শরীরের ফিটনেস হিসাবে জিগালে আমি বলি আমার এমন এমন।
এমন ভাবে কিছু দিন চলে আমায় চাকরি নিয়ে দিবার নাম করে।
ফোন দিলে বলে ডিউটিতে আছি। মানে সম্পূন সেনাদের কৌশল নিয়ে বলে।
প্রায় অনেক দিন চলে এমন করে নানান কথা নিয়ে।
একদিন আমাদের বারিতে আাসার জন্য বলে আমায় দেখবে এবং বারি দেখে কাগজ পাতি নিয়ে আমায় চাকরি নিয়ে দিবে।
একদিন আসলো প্রায় ৩-৪ কেজি মিষ্টি নিয়ে।
বারিতে আসার পর ৮ দিন থেকে যায় আর এই ৮দিনে আমাদের অনেক কিছু খেয়ে দোকানে বাকি রাখে।
একজন সেনাবাহিনীর লোক হিসাবে যত খানি সম্মান দেওয়া দরকার ততখানি দেই।
অনেক কথা বাদ দিলাম,,,,,,,,,,
তার চেহারা দেখতে ঠিকঠাক সেনাদের মতোই
যেদিন ফেরত যাবে ঐদিন আমার যাবতীয় কাগজ-পত্রের ফটোকপি নিয়ে যায় এবং ৬০০০ টাকা নিয়ে যায় আর বলে সে ফোন দিলে আরো ২০০০ টাকা দিতে।বলে অফিসারদের নাকি চা-পানি খাওয়াতে লাগে
পরে আমরা এমন লোকদের খবর শুনতে পেরে তাকে বললে আমাদের সব দিক থেকে বল্ক মেরে দেয়।

আরো অনেক কথা সময়ের জন্য বল্লাম না

তাই আমি সেনাবাহিনী ভাই এবং বোনদের চোখ লক্ষ্মণ করে বলতেছি যে আপনারা আমাদের এমন প্রতারক দের হাত থেকে উদ্ধার করুন।
এমন লোকদের জন্য আমদের মতো হাজারো সপ্নের ছেলেরা প্রতারকের কাছে সিকার হচ্ছি।
আর স্বপ্ন গুলাও হারাইতেছি।


আমি আর বেশি কিছু বল্লাম না
বাকিটা আমি আপনাদের বিবেকের উপর ছেরে দিলাম।


আমি লোকটার ফেসবুক লিংক দিয়ে দিচ্ছি,
আপনারা চাইলেই লোকটারে যাচাই করতে পারেন।প্রথমে আপনি আপনার চাকরির বিষয়ে বলবেন সে কি বলে তা মাথা য় রাখবেন।


প্লিজ সেনা ভাইয়া এদের শাস্তি দেওয়ার আইন করেন।



লোকটার ছবি সহ ফেসবুক লিংক 👇
👇
https://www.facebook.com/profile.php?id=100019957111597
👇

[blogger]

Search This Blog

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget