মধু হচ্ছে অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন এখটি খাবার।বিভিন্ন রোগের সমস্যা দূর করতে এটি ভাল কাজ করে। বিশেষ করে ত্বকের যত্নে ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ফলদায়ক কাজ করে থাকে। মধুতে ৪৫ টিরও বেশি খাদ্য উপাদান থাকলেও এটিতে কোন চর্বি বা প্রোটিন নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম মধু থেকে ৩০৪ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। বাজারে যে মধু পাওয়া যায় তা খাঁটি না ভেজাল তা বলা মুশকিল। তাই আজকের ইনফোতে “খাঁটি মধু চেনার উপায়: কিভাবে জানবেন মধু খাঁটি নাকি ভেজাল?” শেয়ার করা হলো।
বাজারে মধু
কিনতে গেলে প্রায় সবাই বিপাকে পড়ে যান। কেননা নকল মধু দিয়ে বাজার সয়লাব হয়ে আছে। তাছাড়া
সব মধুর দেখতে একই রকম দেখা যায়। বুঝার উপায় নে যে, কোনটি আসল মধু, কোনটি নকল মধু।
খাঁটি মধু চেনার উপায়
খাঁটি মধু
চেনার উপায় জানতে হলে আপনাকে কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। এগুলো ঠিকঠাকভাবে প্রয়োগ করলে
খুব সহজেই খাঁটি মধু চিনতে পারবেন। তবে আপনি যদি নকল মধু না চেনেন তাহলে আসর মধু চেনা
আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
বয়স্করা সাধারণত
এক চামচ মধু এক গ্লাস পানিতে ঢেলে দিয়ে পরীক্ষা করে যে মধু আসল নাকি নকল। খাঁটি মধু
কখনই পানিতে মিশাবে না। পানিতে খাঁটি মধু ড্রপ অবস্থায় গ্লাসের নিচে চলে যায়। আস্তে
আস্তে নাড়া দিলেও মধু পানিতে পিন্ডের মতো ছড়িয়ে যায়। আর নকল মধু হলে পানিতে মিশে যাবে।
খাঁটি মধুতে
পিঁপড়া ধরে না। তাই একটু মধু পিঁপাড়া চলাচল করে এমন জায়গার পাশে রাখুন। যদি পিঁপড়া ধরে
তাহলে বুঝবেন মধুতে চিনি মিশ্রণ রয়েছে। এছাড়াও খাঁটি মধু চেনার আরো অনেকগুলো পদ্ধতি
রয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শেয়ার করা হয়েছে।
(ads1)
আরো জানুন:
ইসুবগুল ও তোকমা দানা কিভাবে খাবেন?
স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় যে সকল বীজ
কিভাবে খাঁটি মধু পরীক্ষা করবেন?
আপনি যদি
খাঁটি মধু পরীক্ষা করার উপায় অনলাইনে খুজেন তাহলে অনেক উপায় বা পদ্ধতি দেখতে পাবেন।
আমরা এখানে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পদ্ধতি তুলে ধরছি।
মধুতে ম্যাচের
কাঠি ডুবিয়ে জ্বালিয়ে পরখ করে দেখতে পারেন মধু ভেজাল না খাঁটি। এটাকে শিখা পরীক্ষা
বলে। যদি মধু চুবানো কাঠি আগুনে জলে তাহলে বুঝতে হবে মধু খাঁটি আর যদি কাঠি না জ্বলে
তাহলে বুঝতে হবে মধুতে ভেজাল রয়েছে।
ফ্রিজে রেখে খাঁটি মধু পরীক্ষা:
আপনি বাজার
থেকে যে মধু আনবেন তা ফ্রিজে রেখে দিন। খাঁটি মধু জমবে না। ভেজাল মধু পুরাপুরি না জমলেও
তলানিতে জমাট পড়বে। দানা দানা ভাব হবে। স্ফটিকের মতো দানাভাব, এমনকি মধুর উপরের অংশে
সাদা স্তর দেখা যাবে যা আসলে চিনি।
তাই ফ্রিজে
মধু রেখে দিলে যদি না জমে তাহলে আপনার রেখে দেওয়া মধু পিওর।
মেথিলেটেড স্পিরিট দিয়ে খাঁটি-মধু পরীক্ষা:
সমান অনুপাতে
মেথিলেটেড স্পিরিট এবং মধু মিশ্রণ করুন। এরপর আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন। খাঁটি মধু হলে
তলানীতে জমে যাবে আর ভেজাল হলে একাকার হয়ে যাবে।
অর্থাৎ ভেজাল
মধু হলে মিশ্রণে দ্রবীভূত হয়ে মেথিলেটেড স্পিরিট মিল্কি করবে।
(ads2)
মধু পরীক্ষা করবে পিঁপড়া:
আপনি বাজার
থেকে খাঁটি মধু ক্রয় করছেন নাকি ভেজাল মধু ক্রয় করছেন সেটা বলে দিবে পিঁপড়া। এক টুকরা
কাগজে মধু ছিটিয়ে দিয়ে পিঁপড়া যেখানে আছে সেখানে রেখে দিন। পিঁপড়া যদি এর ধারের কাছেও
না আসে তাহলে বুঝবেন আপনি খাঁটি মধু ক্রয় করেছেন। আর যদি পিঁপড়া পছন্দ করে তাহলে বুঝবেন
মধুতে ভেজাল আছে।
মধু টেস্ট করুন শোষণ পরীক্ষায়:
কয়েকফোটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিয়ে পর্যাবেক্ষণ
করুন। খাঁটি মধু হলে পেপারে শোষিত হবে না। আর ভেজাল মধু হলে ব্লটিং পেপারকে আদ্র করে
শোষিত হবে।
মধুর কলংক পরীক্ষা:
সাদা কাপড়ে
খাঁটি মধুর কোন দাগ হয় না। তাই একটুকরা সাদা কাপড়ের উপরে সামান্য মধু নিন। কিছুক্ষণ
পর কাপড়টি ধৌত করুন। ধৌত করার পর যদি কাপড়টিতে দাগ থাকে তাহলে আপনার মধুতে ভেজাল আছে।
আর যদি দাগ না থাকে তাহলে বুঝবেন, খাঁটি মধু ক্রয় করতে পেরেছেন।
ভিনেগারের মাধ্যমে মধু যাচাই:
ভিনিগারের
সঙ্গে মধু মিশিয়ে সহজেই মধুর মান নির্ণয় অর্থাৎ মধু ভেজাল না খাঁটি তা বুঝা যায়। ভিনিগার
গলানো কয়েক ফোটা মধু দিয়ে মিশ্রণ করুন। মিশ্রণে যদি ফেনা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে
মধু খাঁটি নয়। কেননা খাঁটি মধুতে ফেনা হয় না।
স্থান ভেদে মধুর পার্থক্য:
সুন্দরবনের
মধু এবং পাহাড়ি এলাকার মধুর মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়। বনাঞ্চলের পরিবেশ সাধারণত
আর্দ্রতা বেশি থাকে, তাই এইখানের মধু পাতলা হয়। আবার পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ শুষ্ক ও
ঠান্ডা থাকে । ফলে পাহাড়ি এলাকার মধু ঘন হয়ে থাকে।
আবহাওয়া মধুর উপর সর্বদা প্রভাব রাখে। সুন্দর বন হচ্ছে ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় বন। এই বনের ভেশির ভাগ গাছের মূল পানির মধ্যে থাকে এবং এখানকার পরিবেশও আদ্রতা থাকে। তাই সুন্দর বনের খাঁটি মধু সবসময় পাতলা হয়ে থাকে।
Home BD info এর অন্যান্য ইনফো
খেঁজুর আসল না নকল কিভাবে বুঝবেন?
গর্ভবতী মহিলার পেটের সন্তান ছেলে না মেয়ে কিভাবে জানবেন?