মানুষের কর্ম জীবনে সবচেয়ে ভাল পেশা হচ্ছে ব্যবসা। কেননা পৃথিবীতে মহা মানবরা ব্যবসা করেছেন । এছাড়াও মানুষের জীবিকার সিংহভাগই ব্যবসার মধ্যে নিহিত রয়েছে। ছোট, বড় কিংবা মাঝারি সব ধরণের ব্যবসায় রয়েছে নিজের স্বাধীনতা এবং ঝুকি। যারা ঝুকি জয় করতে পারে তারাই হচ্ছে সফল ব্যবসায়ী। আজকের ইনফোতে আমরা আলোচনা করবো ” বাংলাদেশে কত ধরণের ব্যবসা রয়েছে? কতটি ক্যাটাগরিতে ব্যবসা করা যায়?”
ব্যবসার ধরণ বিভিন্ন ভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
যেমন- মালিকানা ভিত্তিতে ব্যবসার ধরণ, ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ব্যবসার ধরণ ইত্যাদি। আবার
ই-কমার্স ব্যবসার মধ্যে একটি নতুন পদ্ধতি সংযোজন হয়েছে। বাংলাদেশে আইনিভাবে এখনো এটি ব্যবসার ক্যাটাগরির
স্থান পায় নি। ফলে ব্যবসায়ীর ই-কমার্স করার জন্য জেনারেল সাপ্লায়ার বা আইটি কিংবা সফ্টওয়ার ক্যাটাগরিতে
অনুমোতি নিয়ে থাকেন।
একজন নতুন উদ্যোক্তা যখন ব্যবসার করার জন্য প্রস্তুতি নেন তখন তাকে সঠিকভাবে ব্যবসার ধরণ নির্বাচন করে ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ২০১৬ সালে গেজেট আকারে ২৯৪ টি ব্যবসার ধরণ বা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ক্যাটাগরির মধ্যে ব্যবসার অনুমোতি দেওয়া হয়ে থাকে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যবসার ক্যাটাগরি ও ব্যবসার আয়তনের উপর ট্রেড লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
মালিকানা ভিত্তিতে ব্যবসার ধরণ
মালিকানা
ও ব্যবসার ঝুকির দায় হিসাবে ব্যবসা তিন ধরণের হতে পারে। যেমন- এক। একক মালিকানাধীন
(Proprietorship) দুই। অংশীদারিত্ব (Partnership) তিন। লিমিটেড কোম্পানি (Limited)
একক মালিকানাধীন (Proprietorship) ব্যবসা কি?
যে ব্যবসার
মালিক শুধুমাত্র একজন থাকে তাকে একক মালিকানাধীন (Proprietorship) ব্যবসা বলে। বাংলাদেশে
এটি বেশ জনপ্রিয়। আদিকাল থেকে ব্যবসার এই নীতি চলে আসছে।
মুনাফা অর্জনের
উদ্দেশ্যে কোন ব্যাক্তি নিজ দায়িত্বে পুঁজির সংস্থান, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে এবং
একাই সকল ঝুকি বহন ও একাই সমুদয় মুনাফা ভোগ করে তাকে এক মালিকানা ব্যবসা বলে।
অংশীদারিত্ব (Partnership) ব্যবসা কি?
কয়েকজন মিলে
যে ব্যবসা শুরু করা হয় তাকে অংশীদারিত্ব বা পার্টনারশিপ ব্যবসা বলে। যে ব্যবসার মালিক
একাধিক থাকে তাকে অংশীদারিত্ব (Partnership) ব্যবসা বলে।
এ ধরণের ব্যবসাও
আমাদের বেশ জনপ্রিয়। যখন একজনের পক্ষে পুঁজি যোগান দেওয়া সম্ভব হয় না তখন কয়েকজন মিলে
পুজিঁ যোগান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।
লিমিটেড কোম্পানি (Limited Company)
শেয়ার দ্বারা
সীমত দায়বদ্ধ করে যে ব্যবসায়িক সংগঠন তৈরি করা হয় তাকে লিমিটেড কোম্পানী বলে। কোম্পানীতে
যে যত টাকা বিনিয়োগ করবে তার সেই টাকার উপর দায়বদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ শেয়ার দ্বারা ঝুকি
সীমাবদ্ধতা করা হয়।
কোম্পানীর
মুনাফা হলে শেয়ার অনুযায়ী তা ভাগ করা হয় আবার লস হলে শেয়ার অনুযায়ী শেয়ার হোল্ডাররা
বহন করে থাকেন। লিমিটেড কোম্পানী দুধরণের হতে পারে। যথা- প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী
ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী।
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য ব্যবসার ক্যাটাগরি নির্বাচন
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেড লাইসেন্স বা অনলাইনের মাধ্যমে ই-ট্রেড লাইসেন্স করুন না কেন লাইসেন্স করার আগে ব্যবসার সঠিক ক্যাটাগরি বাচাই করতে হবে। ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি গেজেট প্রকাশ করে। এখানে ব্যবসার ২৯৪ টি ক্যাটাগরি উল্লেখ করা হয়। ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য কোন ক্যাটাগরিতে কত টাকা ফি দিতে হবে গেজেটে প্রকাশ করা হয়। নিচে গেজেটি দেওয়া হলো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন