আমরা যা কিছু খাদ্য গ্রহণ করি তা থেকেই মূলত শরীলের শক্তি সঞ্চিত হয়। অর্থাৎআমরা চলেফেরায় কথা বার্তায় কিংবা কাজে কর্মে যে শক্তি পেয়ে থাকি তা এই খাদ্য থেকেই পাই। যখন কোন খাদ্য গ্রহণ করি তা পাকস্থলিতে প্রথমে হজম হয়ে শরীলের জৈবিক শক্তিতে রুপান্তরীত হয়।তাই শরীল শক্তিশালী ও সুস্থ থাকতে আপনার হজম প্রক্রিয়া ভাল থাকতে হবে। আজকের এই ইনফোতে আলোচনা করা হবে “প্রাকৃতিক উপায়ে হজম শক্তি বাড়াবেন কিভাবে?”
যারা গ্যাস্ট্রিক,
মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য এর মতো সমস্যায় ভোগেন তাদের মূলত
হজম শক্তি কম থাকে কিংবা হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা থাকে। অর্থাৎ আপনার যদি হজমশক্তি দুর্বল
বা কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনার শরীলে উপরোক্ত সমস্যাগুলো বেশি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কারো মাঝে মাঝে বদহজম হয়ে থাকে।
অনেক সময়
বদহজের লক্ষণগুলো দেখা দিলে শরীলে বড় ধরণের কোন সমস্যা হয় না। তবে বদহজমের মাত্রা বেড়ে
গেলে স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। বেশিরভাগ লোকেরই এখন একটি নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত
সমস্যা হলো বদহজম বা হজম প্রক্রিয়ার ত্রুটি। এই সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের অনিয়মিত
বা অগোছালো জীবন পরিচালনা ও খাদ্যাভাস।
বেশিরভাগ
লোকজন সকল খাবারের প্রতি মনোযোগ দেয় না। যেমন কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার শরীলের
হজম শক্তি বাড়াবে। এখানে আমরা কোন কোন খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি বাড়ানোর
সহজ উপায় গুলো কি কি তা আলোচনা করবো।
হজম শক্তি কিভাবে বাড়ানো যায়?
হজম শক্তি
বাড়ানোর উপায়: প্রাকৃতিকভাবে মানুষের যে হজম প্রক্রিয়া রয়েছে যা যথাযথ শক্তিশালী এবং
দেহের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু মানুষের কিছু অভ্যাস এবং খাদ্য খাওয়ার অনিয়ম হজম শক্তিকে
দুর্বল করে ফেলে। ফলে দেহে নানা রকম রোগব্যধি সৃষ্টি হয়।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে
জীবন পরিচালনা এবং পরিমিত খাদ্যাভাস হজম শক্তিকে আরো শক্তিশালী করতে পারে। সুস্থভাবে
বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে নিয়ম অনুস্বরণ করে চলতে হবে। এছাড়াও এমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে
হবে যেগুলো খেলে পাকস্থলীতে হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
নিচে বেশ
কিছু উপায় আলোচনা করা হলো যা আপনার হজম শক্তিকে আরো শক্তিশালী কিংবা পাকস্থলীকে সুস্থ
রাখবে।
হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সুষম খাবার খেতে হবে
মানুষের মৌলিক
চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য হচ্ছে প্রথম এবং প্রধান মৌলিক চাহিদা। বেঁচে থাকার জন্য আমরা
খাবার খাই । তবে ইচ্ছা করলে যে সব খাবার খেয়ে ফেলবো তা কিন্তু মোটেই শরীলের জন্য ভাল
নয়।
কিছু খাবার
কিংবা অতিরিক্ত খাবার খেলে আপনার হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরিমান মতো
সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে লক্ষ রাখতে হবে খাবার যেন হয় ভেজালমুক্ত। কেননা
বর্তমানে বাজারে ভেজাল খাদ্য ছড়াছড়ি রয়েছে।
সুষম খাদ্য
বলতে সেইসব খাবারগুলোকে বুঝায় যাতে খাদ্যের মৌলিক ছয়টি গুণ বিদ্যমান রয়েছে। এসব খাবার
পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেহের অভ্যান্তরীণ জৈবিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে
সহায়তা করবে।
প্রচুর পরিমানে আঁশযুক্ত খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধির সহায়ক
আপনি যদি
খুব সহজেই হজম শক্তি বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমানে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। কেননা
এই খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অসম্ভব ভুমিকা পালন করে থাকে। এই সকল খাবার শুধু হজম শক্তি
বৃদ্ধি করবে তা নয়, এতে রয়েছে দেহের বহু উপকারিতা।
এই খাবার
অর্থাৎ আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে, শিম, বাদাম, গোটা শস্য , শাকসবজি ও গমের ভূসি
ইত্যাদি। বিশেষ করে শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে আঁশ থাকে।
দেহের পানি
শোষণে আঁশযুক্ত খাবার কার্যাকর ভুমিকা পালন করে ।এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার বিশেষকরে প্রচুর
পরিমানে শাকসবজি খেলে আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে রক্ষা করবে।
সুতরাং বুঝতেই
পারছেন আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা। তাই হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর
পরিমানে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন, যা আপনার পকস্থলী ও শরীল সুস্থ রাখবে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পরিমাণ মতো খাবেন
হজম শক্তি
বাড়ানোর জন্য খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার। পর্যাপ্ত পরিমানে
ফ্যাট খেলে পাকস্থলির খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে। ফলে খাদ্য সহজেই হজম হয়ে যায়।
তবে আপনাকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থেকে অবশ্যই মুক্ত রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা
বলেন আলসারেটিভ, কোলাইটিসের মতো ফ্যাট অ্যাসিড যুক্ত খাবার পেটের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি
হ্রাস করে থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আমরা যে খাবারগুলোকে
আমিষ বলে থাকি সেগুলোকে মূলত ফ্যাট যুক্ত খাবার বলা হয়। সাধারণত চিয়া বীজ, বদাম, সালমন,
ম্যাকেরল এবং সার্ডাইন জাতীয় মাছ হলো ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রধান উৎস।
সুতরাং আপনার
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার। কেননা
এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অত্যান্ত কার্যাকরী ভূমিকা পালন করে।
তবে অবশ্যই
মনে রাখবেন যে, ফ্যাটি অ্যাসিড হজম শক্তির জন্য উপকার হলেও অতিরিক্ত ফ্যাট গ্রহণ স্বাস্থ্যের
জন্য অনেক ক্ষতিকর। আপনি যদি অতিরিক্ত ফ্যাট খান, তাহলে দেহে মেদের সৃষ্টি হবে। তাই
ফ্যাটযুক্ত খাবার খেতে সতর্ক হতে হবে যেন অতিরিক্ত গ্রহণ করা না হয়।
অর্থাৎ পরিমাণ
মতো ফ্যাট শরীলের জন্য ভাল কিন্ত অতিরিক্ত ফ্যাট শরীলের জন্য ক্ষতিকর। আরো জানেন কি?
কিছু
খাবার রয়েছে যা যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে।
চাহিদা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করলে হজম শক্তি বাড়ে
হজম শক্তি
কমে যাওয়া এবং পেটে নানা রকম সমস্যার জন্য অন্যতম কারণ হচ্ছে অনিয়ম অনুযায়ী খাবার খাওয়া।
আপনি যদি অতিরিক্ত ক্ষুদার পর খাবার গ্রহণ করেন, আবার ক্ষুদা না থাকায় অবস্থায়ও খাবার
খান তাহলে পেটে গ্যাস জমা হয়ে যাওয়া, পেট ফুলে যাওয়া অথবা বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে।
আপনার শরীলে
যতটুকু খাবারের চাহিদা রয়েছে ঠিক ততটুকু খাবার খাবেন, অতিরিক্ত কিংবা কম খাওয়া থেকে
বিরত থাকবেন। কেননা কম খাওয়া এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেলে হজম শক্তি কমে যায়।
তাই আপনি
যদি আপনার পাকস্থলির হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে চান, তাহলে প্রয়োজন মত খাবার গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত পরিমান পানি হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে
আমরা জানি
পানির অপর নাম জীবন। দেহের দুই তৃতীয়াংশই পানি দ্বারা গঠিত। শরীলের ভিতরে জৈবিক প্রক্রিয়াকে
সচল রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান
করতে হবে।
দেহে পানির
স্বল্পতার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্রাস্টিক ইত্যাদি
ধরনের রোগ হতে মুক্তি পেতে হলে প্রচুর পরিমান পানি পান করুন।
পানি স্বল্পতার
কারণে খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও পানির অভাবে দেহের বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয়
প্রক্রিয়ার বিঘ্ন ঘটে থাকে।
সুতরাং হজম
শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করার পাশাপাশি তরল খাবার
গ্রহণ করুন। ফলমূল এবং শাকসবজি যেমন- শসা, টমেটো, বাঙ্গি, আঙ্গুর, স্ট্ররেরি, ও পীচ।
এছাড়াও বিভিন্ন
ফলের জুস খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন। এই সকল ফলমূল আপনার শরীলে পানি স্বল্পতার ঘাটতি
পূরণ করবে।
মাইন্ডফুল হয়ে খাবার গ্রহণ করুন
মাইন্ডফুল
খাওয়া এটা আবার কি? মাইন্ডফুল খাওয়া বলতে বুঝানো হয় খাওয়ার সময় পরিপূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খাবার খাওয়া। কেননা গবেষণায় দেখা যায় যে, খাওয়ার সময় অমনোযোগিতার কারণে পেট ফোলা ভাব, গ্রাস,
এবং বদহজম বা হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা
বলেন, খাবার খাওয়ার সময় মনোযোগি অর্থাৎ মনোগোগ দিয়ে খাবার খেলে বদহজমজনিত লক্ষণগুলো
কমে যায় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এজন্য মনোযোগ সহকারে ধীরে ধীরে খাবার খেতে হবে।
খাবারে মনোযোগ
বলতে কি বুঝায়? আপনি যখন খাবার খাবেন তখন আপনার মনকে অন্য কোন খেয়াল কাজে ব্যস্ত রাখবেন
না। যেমন- খাওয়ার সময় টিভি দেখা, ফোন চালানো কিংবা অন্য কোন কাজ ইত্যাদি।
সবকিছু থেকে
মুক্ত হয়ে খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিন। খাবরটি দেখতে কেমন, খাবারের গন্ধ, খাবারের
গঠন, তাপমাত্রা এবং স্বাদের প্রতি মনোযোগ দিন।
খাবার ভাল
করে চিবিয়ে খেতে হবে। এতে হজম করতে কম শক্তি ব্যায় হবে এবং খাবার সহজেই হজম হয়ে যাবে।
নিয়মিত ব্যায়াম হজম শক্তি বাড়ার সেরা উপায়
শরীল চর্চা
বা নিয়মিত অনুশীলন বা ব্যায়াম হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে একটি সেরা কৌশল হিসাবে গ্রহণ করতে
পারেন। ব্যায়াম বলতে শরীলের জৈবিক শক্তি ব্যায় করা। আপনার শরীলের শক্তি যখন ব্যায় হবে
তখন শরীলের জৈবিক ক্রিয়াকালাপগুলো ঠিকভাবে সচল থাকবে। ফলে সহজেই খাবার হজম হয়ে যাবে।
সমীক্ষায়
দেখা যায় যে, সাইকেল চালানো এবং জগিংয়ের মতো পরিমিত ব্যায়ামের ফলে অন্ত্রের ট্রানজিট
সময় শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ বেড়ে যায়। এছাড়াও একটি নিয়ম প্রচলন আছে যে, যারা দীর্ঘস্থায়ী
কোষ্ঠকাঠিন্য ভোগেন তাদের জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ৩১ দিন হাঁটার ব্যায়াম করা।
ব্যায়াম শুধু
আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে তা নয়। নিয়মিত ব্যায়ামের কারণে পেটের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ
হ্রাস পাবে। পাকস্থলির হজম শক্তির বৃদ্ধির পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করবে।
বিভিন্ন রোগ
থেকে মুক্তি, শরীলের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হজম শক্তি বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম
করুন। সুস্থ জীবনের জন্য এটি অপরিহার্যা উপায়।
নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করুন
পাকস্থলির
হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সময় মেইন্টেন্ট করে খাবার গ্রহন করতে হবে। আপনি যদি একেক দিন
একেক সময় খাবার খান তাহলে হজম প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আপনার শরীলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
তাই প্রতিদিন
খাবার গ্রহণে একটি সময়সূচি তৈরি করুন। অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময়ে (সকাল, দুপুর ও রাতে
তিন বেলা) খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
একদিন এক
সময়ে আরএকদিন অন্য সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন। নিয়মিত সময়সূচি
অনুযায়ি খাবার গ্রহণ করলে আপনার শরীল সুস্থ থাকবে।
এই পদ্ধতিতে
খাবার খেলে শুধু শরীল সুস্থ থাকবে তা নয়, এর ফলে দেহের অনেক উপকারিতা রয়েছে। স্বাস্থ্য
ভাল থাকবে, শরীলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
খারাপ খাদ্যাভাস পরিহার করুন
আপনার যদি
খারাপ খাদ্যাভাস থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার হজম শক্তি কমে যাবে। খারাপ খাদ্যাভাস
বলতে ধুমপান, মদ কিংবা অত্যাধিক অ্যালকোহল পানের মতো খারাপ অভ্যাসগুলো।
ধুমপান করলে
আপনার পেটের আলসার, আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং গ্যাস্ট্রোইন টেস্টাইনাল ক্যান্সারের মতো
কঠিন ও জটিল মারাত্মক রোগ আক্রান্ত করতে পারে।
এছাড়াও আপনার
যদি হজমে সমস্যা হয় এবং আপনি যদি ধুমপান করেন তাহলে যততাড়াতাড়ি সম্ভব তা ছেড়ে দেওয়া।
ধুমপানে আসক্ত হয়ে পড়লে সহজেই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে পারবেন না। তাই আপনাকে কিছু
কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তাহলে সহজেই ধুমপান ছেড়ে দিতে পারবেন।
কিভাবে ধুমপান
ছেড়ে দিবেন অর্থাৎ কি কি কৌশল অবলম্বন করে সহজেই ধুমপান ছেড়ে দিতে পারবেন তার বিস্তারিত
জানতে “ধুমপান
ছাড়ার সহজ ট্রিক: কিভাবে ধুমপান ত্যাগ করবেন?” ইনফোটি দেখুন।
আপনার যদি
অন্যান্য অ্যালকোহল বা মদ পানের অভ্যাস থাকে তাহলে তা অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। অ্যালকোহল
আপনার পেটে অধিক মাত্রায় অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
যার কারণে
বদহজম ছাড়াও পেটে আলসার হতে পারে। তাই সুস্থ্য জীবন উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই অ্যালকোহল
বা মদ পান ছাড়তে হবে।
রাতের খাবার তাড়াতাড়ি গ্রহণ করতে হবে
অনেকেই রাতের
খাবার মধ্য রাতে খেয়ে থাকেন। এটা আপনি অবশ্যই করবেন না। কারণ রাতের খাবার রাত ভারী
করে খেলে পেট ফাফা বা বদহজমের মতো সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়।
আমরা যখন
ঘুমে যাই তখন স্বাভাবিকভাবেই শরীলের কিছু জৈবিক প্রক্রিয়া কমে যায়। ফলে খাদ্য হজম হওয়ার
পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পায় না । তাই রাতে দেরিতে খাবার খেলে পেটে নানা রকম সমস্যা দেখা
দিতে পারে।
সুতরাং রাতের
খাবার ঘুমানোর এক/দুই ঘন্টা আগে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে
ঘুমিয়ে যাবেন না। কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করার পর ঘুমাবেন।
বদহজমে মুক্তি দিতে পারে পুদিনা চা
পেটের বিভিন্ন
সমস্যা সমাধাণের একটি ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে পুদিনা। আপনার যদি বমি বমি ভাব এবং বদহজম
হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত পুদিনা চা পান করুন।
এছাড়াও পেট
ব্যাথা, বুক জ্বালা এবং পেটের গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিবে পুদিনা
চা। তাই আপনার হজম শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন পরিমান মতো পুদিনা চা পান করুন।
হজম শক্তি বাড়াতে মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন
যারা বেশি
দুর্চিন্তায় থাকেন তাদের প্রায় পেটের সমস্যা হয়ে থাকে। মানসিকভাবে পেরেশান থাকলে শরীরের
জৈবিক প্রক্রিয়াগুলো ঠিক মতো কাজ করে না । তাই দেহে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক
চাপে থাকলে যে কোন রোগ সহজেই আক্রমণ করে থাকে।
এছাড়াও মানসিক
চাপ হজম শক্তিকে প্রভাবিত করে থাকে। আপনি নিজেকে লক্ষ করে দেখুন, যখন কোন বড় ধরণের
মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন (যেমন- বড় কোন ঘটনা বা পরীক্ষার আগে) পেটের মধ্যে অস্থিরতা
কাজ করে।
মানুষের শারীরিক
ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উন্নতি মনের উপর নির্ভর করে থাকে। মন আপনার শরীলকে কন্ট্রোল
করে থাকে। তাই যতটা সম্বব মনকে চাপমুক্ত রাখতে হবে।
মানসিক চাপ
থাকলে এমনিতেই স্বাভাবিক কাজকর্মে হ্যামপার হয়। ঠিকমতো ঘুম হয় আবার খাওয়াও কম হয়ে থাকে
যা স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে।
তাই, সু-স্বাস্থ্য
নিশ্চিত করতে নিজেকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখুন। আপনি মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে পারলে আপনার
মন প্রশান্ত হবে এবং শরীল সুস্থ্য থাকবে।
যে সব খাবার আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করবে
কিছু কিছু
খাবার রয়েছে যা নিয়মিত গ্রহণ করলে আপনার হজম শক্তি আরো বৃদ্ধি হবে। তাই খাবার তালিকায়
এই সকল খাবার রাখতে হবে। এই বিষয়ে অন্য একটি ইনফোতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাই একানে নতুন করে আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি না।
Home BD info এর অন্যান্য ইনফো
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রার করবেন কিভাবে?
জমির যে কোন খতিয়ান অনলাইন থেকে বের করবেন কিভাবে?