কুকুরের ধাওয়া খায় নেই এমন মানুষ খুবই কম। তবে প্রাণীর মধ্যে আবার কুকুরই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হিসাবে অনেক উপকার করে কিংবা মানুষের কাজে লাগে। এতকিছুর পরও এই প্রাণীটি হয়ে উঠতে পারে আপনার পরম শত্রু। কেননা প্রাণী তো প্রাণীই। তার মাঝে যদিও মানবিকতা থেকে থাকে তবুও পশুত্ব জেগে উঠা অস্বাভাবিক নয়। আজকের বিষয় হচ্ছে “যদি কুকুর কামড় দেয় তাহলে কি করবেন এবং কি করবেননা?”
কুকুর কামড় দিলে আমাদের সমাজে নানা রকম ভুল ধারণা পোষণ করা হয় এবং ঘরোয়া কিছু ভুল পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে। ফলে পরবর্তীতে মারাত্বক সমস্যা দেখা দেয়। কুকুরের কামড় কোন সাধারণ বিষয় নয়। এর কামড়ে শরীলে বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
কুকুরের কামড়ে দেহে মারাত্বক রোগ সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি চিকিৎসা সঠিকভাবে না হলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই
কুকুর যাতে কামড় না দিতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিভাবে কুকুরের ধাওয়া থেকে
বাঁচবেন এই বিষয়ে ইতিপূর্বে আমরা শেয়ার করেছি। দেখার ইচ্ছা হলে “ কুকুরের
ধাওয়া থেকে বাঁচানোর উপায়” ইনফোটি দেখুন। আজকে আমরা আলোচনা করবো কুকুর কামড়
দিলে কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ নয়।
কুকুর কামড় দেয় কেন?
অনেকেই কুকুর
পুষে থাকেন। ছোটদের মধ্যে আবার কুকুর হচ্ছে খেলার সাথী। বড়দের কাছে প্রভুভক্ত হিসাবে
কুকুরের রয়েছে বিশেষ সুনাম। তবে মনে রাখতে হবে কুকুর যতই প্রভুভক্ত হোক না কেন সে বিভিন্ন
কারণে মানুষকে কামড় দিতে পারে। কি কি কারণে কুকুর কামড় দিতে পারে তা জানা একান্তই প্রয়োজন
। কেননা এর কামড়ে বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে কুকুর যখন মানুষের কাছ থেকে কোন প্রকার হুমকীর আশঙ্কা (Sudden threat) করে, তখনই সে কামড় দিয়ে বসে। এটা অনেকটা মানুষের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কামড় দেয়।
আবার অনেক
ক্ষেত্রে দেখা যায় কুকুরের প্রাকৃতিক প্রবৃত্তির (Natural instinct) কারণে কামড় দেয়। এই রকম
প্রবৃত্তি কুকুরসহ প্রায় সব ধরণের পশুর মধ্যে রয়েছে। এই জন্য যারা কুকুর পালন করেন
কিংবা কুকুরের সাথে খেলতে বা মজা করতে ভালবাসেন, তাদের জেনে রাখা ভাল যে, কখন কি অবস্থায়
কামড় দিতে পারে। এগুলো জানা থাকলে সহজেই কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে পারবেন।
যে সকল কারণে কুকুর কামড় দিতে পারে
নানা কারণেই
কুকুর মানুষকে কামড় দিয়ে থাকে। এমনকি তার মনিবকেও কামড় দিতে দ্বিদাবোধ করে না। নিচে সাম্ভাব্য
কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো-
- ** মা কুকুর যদি মনে করে যে, তার বাচ্ছা আক্রমণের শিকার হতে পারে তাহলে সে মানুষকে কামড় দিবে।
- ** কুকুর যদি নিজেকে কিংবা তার অঞ্চল বা তার প্যাকের কোন সদস্যকে হুমকীর আশঙ্কা করে তাহলে সে মানুষকে কামড় বসে দিতে পারে।
- ** কোন কারণে যদি কুকুর রেগে যায় তাহলে সে কামড় দিতে পারে। যেমন- ঘুমন্ত কুকুরকে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় হঠাৎ জাগিয়ে দেওয়ার কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে কামড় দিতে পারে।
- ** কুকুরকে হঠাৎ করে চমকে তুললে সে আচমকা কামড় দিতে পারে। যেমন- কুকুর অলসভাবে বসে থাকা অবস্থায় পিছন থেকে শব্দ কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে তাকে চমকে তুললে সে কামড়দিতে পারে।
- ** যদি কেউ কুকুরের পাশ দিয়ে দৌড়ে পালাতে চেষ্ঠা করে তাহলে কুকুর মনে করে, সে মনে হয় কোন ক্ষতি করে বসেছে কিংবা ক্ষতি করবে তাই সেও তাকে তাড়া করতে পারে এবং কামড়ও বসিয়ে দিতে পারে। তাই কুকুর তাড়া করলে কোন অবস্থাতেই দৌড়ানো যাবে না। স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকতে হবে এবং কুকুরের সাথে চোখাচোখি করা যাবে না। এই সময় আপনি অন্য কোন দিকে মনোযোগ দিবেন যাতে কুকুরেরও মনোযোগ সে দিকে চরে যায়।
- ** খেলাচ্ছ্বলে কুকুর কামড় দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা যখন কুকুর নিয়ে খেলা করে। কেননা কুকুর মনে করতে পারে কামড় দেওয়াও খেলার অংশ এবং কুকুরের কাছে কামড় দেওয়াও মজা খেলা হতে পারে।
- ** কুকুরের মেজাস যখন খারাপ থাকে তখন কেউ যদি তাকে বিরক্ত করে, তাহলে সে কামড় দিতে পরে। রাগের সময় বিরক্তবোধ করলে কামড় দিবে এটাই স্বাভাবিক।
- ** কুকুরের শরীর যখন ভাল থাকে না যেমন- অসুস্থ কিংবা শরীলের কোথাও কোন প্রকার আঘাতপ্রাপ্ত হলে অনেকটা যন্ত্রণাবোধ করে। আর এই সময় তার মনিবকেও কামড় দিতে পারে। যন্ত্রণাদায়ক সময়ে কুকুর কারো স্পর্শ চায় না, এমনকি তার প্রিয় মানুষকেও সংস্পর্শ করতে খারাপ লাগে তার । তাই সে কামড় দিতে পারে।
কুকুরের কামড় থেকে কিভাবে রক্ষা পাবেন?
কুকুর ধাওয়া
করলে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবেন তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর কামড় দেওয়ার সময় সে সতর্কতামূলক
কিছু শারীরিক অঙ্গভঙ্গি দেখায়। এগুলো দেখেই আপনাকে সতর্ক হতে হবে যেন কুকুর কামড় দিতে
না পারে।
তাই ভালভাবে
কুকুরের বডি ল্যাংগুয়েজ বোঝার চেষ্টা করবেন। খেয়াল করে দেখবেন কুকুরের চোখে-মুখে কিছু
সতর্কতার চিহ্ন ফুটে উঠেছে। যেমন- ঘেউ ঘেউ কিংবা তর্জন গর্জন করা, অনমনীয় অঙ্গিভঙ্গি
করা, বার বার ও খুব দ্রুত লেজ নাড়ানো ইত্যাদি।
সুতরাং কুকুরের
এই পরিস্থিতি লক্ষ করলে খুব দ্রুত আপনাকে সাবধান হতে হবে। এই সময়ে কোন ভাবেই কুকুরকে
ঘাঁটাতে যাওয়া যাবে না।
কুকুর কামড়ে কতটা শক্তি দিয়ে থাকে?
কুকুর মূলত
কোন পরিস্থিতিতে কামড় দিচ্ছে তার উপর নির্ভর করে কামড়ের শক্তির পরিমাণ। আপনার হয়তো বিশ্বাস
নাও হতে পারে যে, কুকুরের কামড়ের সর্বোচ্চ শক্তি ২ হাজার পাউন্ড হয়ে থাকে। তবে সব কুকুরের
এত শক্তি থাকে না কিংবা সবসময় এত শক্তি ব্যায়ও করে না।
আসল কথা হচ্ছে
কুকুর কতটা রাগে কামড় দিচ্ছে কিংবা কতটা ফোর্সের সাথে তেড়ে গিয়ে কামড় দিচ্ছে তার উপর
কামড়ের শক্তিটা নির্ভর করে।
কুকুর যদি
খেলাচ্ছ্বলে কামড় দেয় তার শক্তি খুবেই সামান্য হয়ে থাকে। সাধারণ রাগে কামড় দিলে কিছুটা
শক্তি বেশি থাকে আবার যদি প্রচন্ড রাগে তেড়ে গিয়ে কামড় দেয় তাহলে কামড়ে অনেক শক্তি
থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
কুকুরের কামড়ের
শক্তি অনেকটা তার চোয়াল ও মুখের সাইজের উপর নির্ভর করে । এমনকি কুকুরের শারীরিক গঠনের
উপরেও কামড়ের শক্তি নির্ভর করে থাকে। যেমন- দুর্বল কুকুরের চেয়ে শক্তিশালী কুকুরের
কামড়ের শক্তি বেশি হয়ে থাকে।
বিড়ালের কামড় ও কুকুরের কামড়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
কুকুর এবং
বিড়াল অনেকেই সখ করে পুষে থাকেন কিংবা উভয় প্রাণী ভালবাসেন, খেলা করেন। তবে কোনটাই মানুষকে
কামড় দিতে দ্বিধা বোধ করে না। অর্থাৎ কুকুর ও বিড়াল আপনাকে কামড় দিতে পারে । তবে এই
দুটি প্রাণী কামড় দিলে শরীলে যে সমান সমস্যা সৃষ্টি হবে তা নয়।
বিড়াল কামড়
দিলে খুব একটা জটিল সমস্যা হয় না, যদি শুরুতেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায। কেননা বিড়ালের
কামড় কুকুরের কামড়ের চেয়ে কম বিপদজনক হয়ে থাকে। তবে অবস্থাভেদে বিড়ালের কামড়ও মারাত্বক
ক্ষতি হতে পারে। এটা নির্ভর করে কামড়ের ধরণ এবং শরীলের কোথায় কামড় দিয়েছে সেই অবস্থানে
উপর।
এক গবেষণায়
জানা যায় যে, পশুদের কামড়ের মধ্যে মানুষ বিড়ালের চেয়ে কুকুরের কামড় বেশি খেয়ে থাকে।
বিড়াল খুব কম কামড় দিয়ে থাকে। তবে কুকুর প্রায়ই মানুষকে কামড় দিয়ে বসে। কুকুর ও বিড়াল
উভয়ের কামড়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন-
** মধ্য বয়সী
নারীকে বিড়াল বেশি কামড় দিয়ে থাকে, আর কুকুর শিশুদের বেশি কামড় দিয়ে থাকে।
** বিড়ালের
দাঁত সাধারণত কুকুরের চেয়ে বেশি ধারালো থাকে।
** বিড়াল
কামড় দিলে কুকুরের চেয়ে শরীলে বেশি গভীর হতে পারে।
** কুকুরের
কামড়ে সাধারণত বিড়ারের কামড়ের চেয়ে অনেক বেশি ওয়েট থাকে।
** অনেক সময়
দেখা যায় যে, কুকুরের চেয়ে বিড়ালের কামড়ে বেশি ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবণা তৈরি হয়।
কুকুর কামড় দিলে শরীলে কি পরিস্থিতি তৈরি হয়?
কুকুর কামড়
দিলে শরীলে নানা রকম কমপ্লিকেশ তৈরি হতে পারে। যেমন- ইনফেকশন, নার্ভ ও মাংশপেসী ড্যামেজ
হওয়াসহ আরো অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা কুকুর কামড় দিলে হয়ে থাকে।
ইনফেকশন কি?
শরীলে যে
কোন ধরণের ইনফেকশন হয় মূলত ব্যাকটেরিয়া থেকে। কুকুরের মুখে প্রচুর পরিমানে ব্যাকটেরিয়া
থাকে যা কুকুরের জন্য ক্ষতিকর না হলেও মানুষের জন্য এগুলো ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্যাকটেরিয়াগুলো হচ্ছে-
** স্ট্যাফাইলোকক্কাস (Staphylococcus)
** পাসত্তরেলা
(Pasteurella)
** ক্যাপনোসাইটোফাগআ
(Capnocytophaga)
এ ছাড়াও কুকুরের
কামড় থেকে MRSA (Methicillin-resistant Staphylococcus aureus) ইনফেকশন হতে পারে যা
স্ট্যাফাইলোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারনে হয়ে থাকে। যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
কম তাদেরকে কুকুর কামড় দিলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবণা বেশি থাকে।
আমাদেরকে
সচেতন হতে হবে যেন শরীলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা শরীলের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে থাকে। সুতরারং কুকুর কামড় দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করতে হবে।
যাদের ডায়াবেডিস
আছে তাদের ক্ষেত্রেও ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবণা বেশি থাকে। তাই কুকুর কামড় দিলে ডায়াবেডিস
নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
নার্ভ ও মাংষপেশী ড্যামেজ কি?
প্রচন্ড আঘাতে
কুকুর যদি শরীলে কামড় দেয় অর্থাৎ কুকুরের কামড়ে যদি শরীলের ত্বক বা চামড়া ভেদ করে অনেক
ভিতরে কুকুরের দাঁত প্রবেশ করে তাহলে নার্ভ, মাংসপেশী এবং রক্তনালী (Blood
Vessels) ড্যামেজ বা পঁচন ধরতে পারে।
এমনকি কুকুরের
কামড়ে যদি ছোট পর্যায়ের ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাহলে তা থেকেও ড্যামেজ হওয়ার মত ক্ষতি হতে
পারে।
কুকুর কামড় দিলে দেহে কি রোগ হয়?
কুকুর কামড় দিলে সাধারণত যেটা হয়েথাকে তা হচ্ছে কামড়ের
ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হওয়া। সবসময় এবং সবার ক্ষেত্রে যে ইনফেকশন হবে তা নয়। যদি কুকুর
কামড়ের ফলে কারো ইনফেকশন হয়ে যায়, তাহলে দেহে নানা রকম রোগ হতে পারে। এর মধ্যে তিন
ধরণের বড় রোগ হয়ে থাকে। তা হচ্ছে-
** সেপসিস
(Sepsis)
** জলাতঙ্ক
(Rabies)
** টিটেনাস
(Tetanus)
এই তিন প্রকার
রোগের বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো।
সেপসিস (Sepsis) রোগ কি?
সাধারণত যে
কোন কুকুরের কামড় থেকে সেপসিস হতে পারে। তবে যে সকল কুকুরের আগে থেকেই ট্রিটমেন্ট করা
হয়, বিশেষ করে যে সকল পোষা বা বিশেষ এলাকার কুকুর যে গুলোকে টিকা দেওয়া হয়, সেগুলো কামড়
দিলে সেপসিস হওয়ার সম্ভবণা কম থাকে।
সেপসিস হলো
ইনফেকশনের রিঅ্যাকশন, যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সিপসিস হলে দেহে যে লক্ষণগুলো
দেখা যায় তা নিম্নরুপ:
** দেহের
তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হওয়া অর্থাৎ অধিকহারে বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া।
** তীব্র
ব্যাথা হওয়া এবং সর্বদা অস্বস্থি বোধ করা।
** ঘুমের
অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হওয়। যেমন- দিনের বেলায় অনেক এবং অস্বাভাবিক ঘুম হওযা।
** যে কোন
সাধারণ বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়া, শরীলের অস্তিরতা অধিক্যের কারণে সাধারণ বিষয়েও কনফিউশন
তৈরি হয়ে থাকে।
সেপসিসের চিকিৎসা: কুকুর কামড় দেওয়া পর কারো মাঝে যদি
উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা যায়,তাহলে ধরে নিতে পারেন সে ব্যক্তি সেপসিসে আক্রান্ত হয়েছে
কিংবা সেপসিস রোগে ভোগছেন।
এমতাবস্থায়
তাকে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার দেখাতে হবে কিংবা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। রোগীর অবস্থা
দেখে ডাক্তারা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণত ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিক
এবং intravenous fluids দিয়ে থাকেন।
জলাতঙ্ক বা Rabies কি?
কুকুর কামড়ের
ফলে জলাতঙ্ক হলো দেহের একটি গুরুতর ভাইরাল অবস্থা সৃষ্টি হওয় । এটি শরীলের নার্ভাস
সিস্টেসকে আক্রান্ত করে। এর সঠিক চিকিৎসা না হলে আক্রান্ত ব্যক্তি অল্প কিছু দিনের মধ্যে মারা
যেতে পারে।
তাই এই বিষয়ে
সতর্ক থাকা জরুরী। জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ নিম্নরুপ:
** মাথা ব্যাথা,
জ্বর ও অন্যান্য ফ্লু।
** অত্যান্ত
শারীরিক দুর্বলতা এবং
** কামড়ের
চারপাশে চুলকানি কিংবা কাঁটা জাতীয় অনুভুতি হওয়া।
জলাতঙ্কের চিকিৎসা: কুকুর কামড়ের ফলে জলাতঙ্ক হলে অতি
দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা সিকিৎসা সঠিকভাবে না হলে অল্পকিছু দিনের মধ্যে
সে মারা যাবে। জলাতঙ্কের রোগিকে ডাক্তার সাধারণত প্রাথমিকভাবে যা দেন তা হচ্ছে Series
of rabies vaccines এরপর রয়েছে Rabies immune globulin ইত্যাদি।
টিটেনাস (Tetanus) কি?
টিটেনাস হচ্ছে
একটি ব্যাকটেরিয়া যা কুকুর কামড় দিয়ে মানুষের শরীলে প্রবেশ করে এবং ইনফেকশন তৈরি করে।
এর ইনফেকশন খুবই ভয়াবহ হয়ে থাকে।
সিরিয়াস টাইপের
এই ইনফেকশনের লক্ষণগুলো নিম্নরুপ:
** মুখের
চোয়ালে ক্র্যাম্পিং কিংবা খিল লাগা।
** মাংসপেশীতে
খিঁচুনি উঠা, সাধারণত পেটের পেশীতে বেশি খিঁচুনি হয়ে থাকে।
** খাবার
খেতে কষ্ট হওয়া, বিশেষ করে খাবার গিলতে গলায় ব্যাথা পাওয়া ইত্যাদি।
টিটেনাস (Tetanus) এর চিকিৎসা: আপনাকে মনে রাখতে হবে কুকুর কামড় দিলে
অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার টিটেনাস আক্রান্ত রোগীকে সর্ব প্রথম যে
চিকিৎসা দেয়, তা হলো টিটেনাস ভ্যাকসিন। এরপর টিটেনাস বুষ্টার কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক
ইত্যাদি।
কুকুর কামড় দেওয়ার ফলে ইনফেকশন হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?
কুকুর কামড় দিলে সবার ক্ষেত্রে ইনফেকশন নাও হতে পারে। তবে সঠিক চিকিৎসার অভাবে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়ার পরও ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবণা থাকে।
কুকুর কামড়
দেওয়া রোগী ইনফেকশন হয়েছে কিনা জানার জন্য নিচের লক্ষণগুলো বিবেচনা করুন:
** কুকুর
কামড় দেওয়া স্থানের চারপাশে ফুলে যাওয়া, ঘামানো ও লালচে লালচে ভাব হওয়া।
** কামড়ের
ফলে যে ব্যাথা হয়, তা যদি ২৪ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে বুঝবেন ইনফেকশন হয়েছে।
** কুকুর
কামড়ের ক্ষত থেকে পান কিংবা পুঁজ জাতীয় কিছু বের হলে বুঝে নিতে হবে ইনফেকশন হয়েছে।
** দেহের
আক্রান্ত স্থান নাড়াচাড়া করতে অসুবিধা বোধ কিংবা নাড়াচাড়া করতে না পারা।
** ক্ষতের
চারপাশে সর্বদা গরম অনুভব করা।
** জ্বর আসা,
শরীল কাঁপা এবং রাতের মধ্যে অতিরিক্ত ঘামিয়ে উঠা ইত্যাদি।
কুকুর কামড় দিলে কি করা উচিৎ বা করণীয় কি?
যদি কুকুর
কামড় দেয় তাহলে তাকে কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের অনেক করণীয় কাজ রয়েছে। সেগুলো যদি
ঠিকমতো করা না হয়, তাহলে ইনফেকশন হওয়াসহ উল্লেখিত রোগগুলো আক্রান্তসহ আরো অনেক শারীরিক
সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
সুতরাং কুকুর
কামড় দিলে করণীয় কাজগুলো গুরুত্বের সাথে করতে হবে। আসুন জেনে নিই কুকুর কামড় দিলে করণীয়
কি কি?
সর্বপ্রথমে কামড়ের স্থান ইভালুয়েট করুন
কুকুর কামড়
দিলে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হচ্ছে কামড়ের স্থান ইভালুয়েট করা। কুকুর একবার কামড়
দিয়েছে না কয়েকবার কামড় দিয়েছে। ক্ষতের স্থান কতটু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে? কামড় ছোট নাকি
বড়? কামড়টা মাংসতেই সীমাবদ্ধ না কি হাঁড়ে গিয়ে লেগেছে? এগুলো আগে ইভালুয়েট করে সিদ্ধান্ত
নিতে হবে।
কুকুরের কামড়ের
আঘাত যদি অল্প হয় এবং ক্ষতের পরিমাণ সামান্য হয়, তাহলে প্রথমের ঘরোয়া কিছু ট্রিটমেন্ট
দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করে পরে ধীরে সুস্থে ডাক্তার দেখাবেন।
আর যদি কুকুর
কয়েকবার কামড় দিয়ে থাকে এবং কামড়ের ফলে ক্ষতের পরিমাণ বেশি, তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তার
দেখাতে হবে। যে কোন হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের চেম্বারে জরুরী চিকিৎসা নিতে হবে।
রক্ত পড়া বন্ধ করার চেষ্টা করুন
কুকুর কামড়
দিলে শরীল থেকে রক্ত বের হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই কুকুর কামড় দিলে সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে
রক্ত বন্ধ করা। হালকা করে কামড় দেয়, যদি রক্ত বের না হয়, তাহলে অনেকটা ভাল যে, কুকুরের
কামড় খুব বেশি ক্ষতের সৃষ্টি করে নাই।
কিন্তু, কুকুরের
কামড়ে যদি চামড়া ভেদ করে এবং রক্ত বের হয়, তাহলে বুঝতে হবে কুকুরের কামড়ের ফলে রক্তনালি
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শরীল থেকে রক্ত ঝড়া ভাল হলেও (রক্তের সাতে জীবাণু বের হওয়া) কুকুর
কামড়ের ফলে রক্ত বের হলে দ্রুত বক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে।
রক্ত বন্ধ
করার জন্য একটি পরিস্কার কাপর কিংবা গজ দিয়ে ক্ষতের স্তানে চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। সাধারণ
২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে থাকে। যদি রক্ত বন্ধ না হয় তাহলে যেখান থেকে
রক্ত বের হচ্ছে সেই স্থানে জোড়ে চাপ দিয়ে ধরুন যাতে রক্ত বের না হয়।
কেননা অতিরিক্ত
রক্তক্ষরণ দেহে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তাই রক্ত বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক
থাকুন।
কামড়ের ক্ষত স্থান পরিস্কার করুন
কুকুরের কামড়ের
ফলে যদি রক্ত বের হয়ে। অর্থাৎ কুকুরের দাঁত যদি চামড়া ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে
আক্রান্ত স্থান অবশ্যই ভাল করে পরিস্কার করতে হবে।
ক্ষতস্থান
পরিস্কার করার জন্য গরম পানি এবং সাবান ব্যবহার করতে পারেন। সাবান ব্যবহার করার ক্ষেত্রে
এন্টিসেফটিক সাবান (যেমন- ডেটর সাবান বা স্যাভলন সাবান) ব্যবহার করা ভল।
পরিস্কার
করার ক্ষেত্রে প্রথমে গরম পানি দিয়ে আলতো করে পরিস্কার করুন। ফার্মেসী থেকে তুলা নিয়ে
ব্যবহার করতে পারেন। যে স্থানে রক্ত দেখা যায় সেখানে হালকা করে চাপ দিয়ে একটু রক্ত
বের করে দিন। ফলে রক্তের সাথে জীবাণু বেরিয়ে যাবে।
ক্ষত স্থান
ভালভাবে পরিস্কার হয়ে গেলে ব্যান্ডেজ করে নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা
গ্রহণ করুন। যাতে ভিতরে থাকা জীবাণুগুলো ধ্বংশ হয়ে যায় এবং কোন ভাবেই যেন তারা বংশ
বিস্তার করতে না পারে।
বিশেষভাবে
লক্ষণীয় যে, আক্রান্ত স্থান এবং ক্ষত যদি বড় ও গভীর হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত পরিস্কার
করে রোগীকে ডাক্তারের কাছে চলে যান। ডাক্তার কিংবা হাসপাতাল যদি আপনার কাছাকাছি থাকে
তাহলে পরিস্কার না করেই যেতে পারেন।
কেননা ডাক্তার
ক্ষতের স্থান ভাল করে পরিস্কার করতে পারবে। এতে আপনার ক্ষত স্থানটি পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত
থাকার সম্ভবণা বেশি থাকবে। ডাক্তার আপনাকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিলে তা সাদরে গ্রহণ
করবেন।
কুকুর কামড় দিলে ডাক্তার দেখাবেন কখন?
কুকুর কামড়
দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তার দেখা জরুরী। কেননা সাধারণ লোকের মধ্যে অধিকাংশই প্রাথমিক
কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারেন না।তাছাড়া রোগী সিরিয়াস হলে অবশ্যই তাকে হাসপাতে নিতে হবে।
বেশিরভাগ
সময় দেখা যায় কাউকে কুকুক কামড় দিলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পেরেশান হয়ে যান।ফলে
তাদের পক্ষে প্রাথমিক করণীয়গুলো সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। তাই তাদের জন্য সঠিক ব্যবস্থপনার
জন্য দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া ভাল।
আর যারা একটু
সচেতন আছেন এবং কুকুর কামড় দিলে করণীয় কি কি তা ভালভাবে জানেন ও সঠিকভাবে প্রাথমিক
কাজগুরো করতে পারেন তাদের তাৎক্ষণিক ডাক্তারের কাছে না গেলেও চলবে। তবে রোগী সিরিয়াস
কিংবা নিচের কারণগুলো হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
** কুকুর
কামড়ের ফলে যদি রক্ত বন্ধ না হয়, তাহলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
** কুকুর
কামড়ে যদি শরীলের চামড়া ছিড়ে ফেলে কিংবা মাংসপেশী ছেদ করে কুকুরের দাঁত হাঁড় গিয়ে পৌঁছে
তাহলে জরুরী ভিত্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে টিটেনাস শট নিতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব
কুকুর কামড় দেওয়া ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিন।
** আক্রন্ত
ব্যক্তি যদি ডায়াবেডিসে ভোগেন, তাহলে অবশ্যই তাকে হাসপাতালে নিতে হবে।
** কোন কেমোথেরাপি
নেওয়া ব্যক্তিকে যদি কুকুর কামড় দেয়, তাহলে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে।
** আক্রান্ত
ব্যাক্তির ক্ষত স্থানে যদি ইনফেকশন হওয়ার সন্দেহ হয় তাহলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ
নিতে হবে।
কুকুর কামড় দিলে যে কাজগুলো করা যাবে না
আমাদের সমাজে
অনেক ভুল ধারণা রয়েছে । এছাড়াও পরিবারের কাউকে কুকুর কামড় দিলে অন্যরা তড়িঘড়ি করতে
গিয়ে নানা রকম ভুল কাজ করে বসেন। তাই আগে থেকে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কুকুর কামড় দিলে
আক্রান্ত ব্যক্তিকে কি করা যাবে না।
যদি আপনি
আগে থেকে জেনে থাকেন কি কি করা যাবে না, তাহলে আপনাকে কিংবা আপনার পরিবারের কেউ কুকুরে
কামড় দিলে এই ভুল কাজগুলো থেকে বিড়ত থাকতে পারবেন। তাই আসুন বর্জনীয় কাজগুলো কি তা
জেনে নেই।
** কুকুর
কামড় দিলে কোন রকম টোটকা চিকিৎসা নেওয়া যাবে না। যেমন – অনেকেই বিশ্বাস করে থাকেন যে,
কুকুরের কামড়ের স্থানে গরুর গোবর দিলে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে না। এইগুলো ভুল ধারণা
বা ভুল বিশ্বাস।
** গ্রাম্য
চিকিৎসা হিসাবে অনেকে হলুদ বাটা, মরুচের গুঁড়ো অথবা ঘি লাগিয়ে দেন। বিশেষ করে গ্রাম্য
এলাকায় এই কাজগুলো হয়ে থাকে। এটা কিছুতেই করা যাবে না।
** আক্রান্ত
স্থানে কোন প্রকার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল মলম ব্যবহার করা যাবে না।
** কুকুর
কামড়ের ক্ষত স্থানটি সেলাই করা যাবে না
** গোসল করা
বন্ধ করা যাবে না। কেননা গোসল করা বন্ধ করলে hydrophobia দেখা দিতে পারে।
কুকুরের কামড় থেকে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবেন?
কুকুর কাড়ম
দিলে দেহে বড় ধরণের ক্ষতি এমনকি ক্ষেত্রবিশেষ মৃত্যুও হতে পারে। তাই কুকুরের কামড় থেকে
নিজেকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। কুকুর যাতে কামড় দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো।
** অপরিচিত
কোন কুকুরের সাথে মজা করলে সে কামড় দিতে পারে । তাই সবসময় অপরিচিত কুকুর থেকে দূরত্ব
বজায় রেখে চলতে হবে।
** যদি কোন অপরিচিত
কুকুরের খুব কাছাকাছি হওয়ার প্রয়োজন হয় কিংবা হঠাৎ করে কাছাকাছি হয়ে থাকেন তাহলে কুকুরের
গতিবিধি লক্ষ করুন। যদি দেখেন যে কুকুরটি আপনাকে পছন্দ করছে না তাহলে নড়াচড়া বন্ধ করে
বৃক্ষের মতো অনড় থাকুন এবং কুকুরটির সাথে কোন ভাবে চোখাচোখি করবেন না। অন্যদিকে তাকিয়ে
আড় চোখে তাকে লক্ষ করুন। আপনার থেকে কুকুরের মনোযোগ চলে গেলে ধীরে সুস্থে সে স্থান
ত্যাগ করুন।
** ছোট সোনামনিদের
কুকুরের কাছে যেতে দিবেন না।
** কুকুর
থেকে দৌড়াবেন না। হঠাৎ করে যদি কুকুর আপনাকে আক্রমণ করে তাহলে চিৎকার করবেন না। শান্ত
হয়ে দাড়িয়ে যান এমন ভাব ধরবেন, কুকুর যেন বুঝতে পারে, আপনি মোটেও ভীত নন কিংবা কুকুরকে লক্ষ করছেন না।
** কুকুরের
সাথে কখনো খেলবেন না। অপরিচিত হলে তো বটেই এমনকি পরিচিত কুকুর হলেও পূর্ব অভিজ্ঞতা
ছাড়া খেলা করার কথা ভাববেন না।
** কুকুরের
আক্রমণে যদি পড়ে যান, তাহলে বসে থাকুন, যদি শুয়া অবস্থায় থাকেন তাহরে শুয়েই থাকুন।তাৎক্ষণিক
উঠতে যাবেন না। কুকুরটি শান্ত হয়ে গেলে পরে উঠবেন।
** আগেই বলেছি
কুকুরের সাথে সরাসরি তাকাবেন না। কুকুরের সাথে চোখাচোখি করতে যাবেন না।
** কুকুর
যখন কোন কাজে ব্যস্থ তাকে তখন তাকে বিরক্ত করতে যাবেন না। যেমন- খাচ্ছে বা গুমাচ্ছে
কিংবা বাচ্চা কুকুরের যত্ন নিচ্ছে ইত্যাদি এমন সময় তাকে বিরক্ত করলে কামড় দিতে পারে।
** কুকুর
কামড় দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
শেষকথা:
কুকুর যদি কামড় দেয় তাহলে কি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং কুকুরের কামড় থেকে শরীলে কি কি হতে পারে কিভাবে প্রতিহত করবেন? আশকরি এই ইনফো থেকে বিস্তারিত জেনে গেছেন। এই বিষয়ে আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানান।এর ফলে অন্যরাও উপকৃত হতে পারে।
Home BD info এর অন্যান্য ইনফো
কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রার করবেন কিভাবে?
অনলাইনে জমির যে কোন খতিয়ান বের করবেন কিভাবে?
ঘরে বসে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করবেন কিভাবে?
ভোটার হবেন কিভাবে? অনলাইন থেকে এন আই ডি ডাউনলোড করবেন কিভাবে?
কোন মন্তব্য নেই: