মুখের দুর্গন্ধ হয় কেন? কি কি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে?

0

মুখের দুর্গন্ধ রয়েছে এমন লোক সমাজে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে থাকেন। মুখের সামনে অপবাদ না দিলেও আড়ালে চলে ভয়াবহ দুর্নাম। ”ওমা! কি গন্ধরে বাবা! জীবনে মনে হয় দাঁত মাজে না! মুখের মধ্যে এত গন্ধ গেদর না কি সে!” পৃথীবিতে প্রায় শতকরা ২৫ ভাগ লোক মুখের গন্ধ ভুগে থাকেন। এটি কি কারণে হয়ে থাকে তা নিয়ে আজকের ইনফোটি অর্থাৎ আজকের মূল বিষয় হচ্ছে “মুখের দুর্গন্ধ হয় কেন? কি কি কারণে মুখে দুর্গন্ধহতে পারে?

মুখের দুর্গন্ধ হয় কেন? কি কি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে?


আপনি অনেক স্মার্ট হলেও আশেপাশের মানুষ দ্বারা যখন মুখের গন্ধ কিংবা দাঁত মাজার কথা শুনবেন তখন অবশ্যই আপনাকে খারাপ লাগবে। পোশাকে ও ফ্যাশনে, সাহাস্য- সৌন্দর্যে, এমনকি বাচন-বচনে আপনি অনেক স্মার্ট । যে কোন পার্টিতে আপনার নজর কারার মত চেহেরাও রয়েছে এবং যে কোন মানুষ এক নিমিষেই মুদ্ধ হতে পারে আপনাকে দেখে। তথাপিও মুখের গন্ধের কথা শুনলে আপনাকে কেমন লাগবে?

আমার এক কলিগ ছিল তার সাথে আমি কথা বলতেই পারতাম না, কথা বলতে গেলে বমি হওয়ার উপক্রম হয়ে যেত। দেখতে অনেক সুন্দর ও স্মার্ট । কিন্তু অনেকেই তার সাথে কথা বলতে চায় না। আড়ালে নানা রকম তাকে নিয়ে সমালোচনাও হয়। অনেক সময় সে অপমানিত হয়েছে। আসলে তার এটা ছিল দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা।

এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কি কি কারণে মুখের গন্ধ হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সাম্ভাব্য কারণগুলো:

 

মুখের দুর্গন্ধ সম্পর্কে কয়েকটি কমন বিষয়

** বিশ্বের মানুষগুলোর মধ্যে প্রতি চার জনের এক জন মুখের দুর্গন্ধের শিকার হয়ে থাকে।

** মুখের দুর্গন্ধের খুবই সাধারণ ও কমন বিষয় স্বাস্থ্য বিধির অবনতি।

** খাবারের কণা যদি মুখের ভিতর থেকে যায়, তাহলে সেখানে ব্যাকটিরিয়া সালফার কম্পাউন্ড উৎপাদন করে গন্ধ সৃষ্টি করে।

** মুখ হাইড্রেটেড রাখলে মুখের গন্ধ কমে যাবে।

** মুখের দুর্গন্ধ সারাতে সবচেয়ে সেরা চিকিৎসা হচ্ছে নিয়মিত ব্রাশিং, ফ্লসিং এবং হাইড্রেশন।

মুখের দুর্গন্ধ কিভাবে দূর করবেন বিস্তারিত জানতে ”মুখের দুর্গন্ধ দূর করবেন কিভাবে? ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো কি কি?” ইনফোটি দেখুন।


আরো জানুন:

খেঁজুর আসল না নকল কিভাবে চিনবেন?

ইসবগুল ও তোকমা দানা কিভাবে খাবেন?

গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা কি রকম হতে হবে? 

খাঁটি মধু কিভাবে চিনবেন?


মুখের দুর্গন্ধ বলতে কি বুঝায়?

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুখের দুর্গন্ধকে বলা হয় halitosis এবং এটি অপর নাম fetor oris. কথা বলার সময় মুখ থেকে যে অসহনীয়, অপ্রীতিকর গন্ধ বের হয়ে আসে তাকে মুখের দুর্গন্ধ বলা হয়।

মুখের দুর্গন্ধ কারো কারো ক্ষেত্রে সাময়িক আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।  অকেশন নির্ভর বা অস্থায় হতে পারে মাঝে মাঝে মুখের দুর্গন্ধ।

আবার ওরাল হাইজিনের সমস্যা কিংবা বিশেষ কোন রোগের কারণে মুখের গুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। খাবারের ধরণ বা কিছু খাবারও মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে । সুতরাং আসুন জেনে নেই কি কি কারণে মুখের দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।

 

মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া কারণ

আপনার মুখে একাধিক কারণে দুর্গন্ধ হতে পারে। এটা বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকে। আপনার মুখে ঠিক কি কারণে দুর্গন্ধ হচ্ছে তা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নতুবা আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন না।

মুখের দুর্গন্ধের সাম্ভাব্য কারণগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এদের মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাবার, ধুমপান করা, দাঁতে কোণে খাবার আটকে থাকা, সময়মত দাঁত ব্রাশ না করা ইত্যাদি। আবার শরীরের বিভিন্ন সমস্যার কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।

 

খাবার থেকে মুখের দুর্গন্ধ হয় কিভাবে?

মুখের দুর্গন্ধে প্রাথমিক যে কারণটি বিবেচনা করা হয তা হচ্ছে খাবার। বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে সেগুলো মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন- পেঁয়াজ, রসুন, অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার, কিছু চিজ, বিশেষ কিছু মছ ইত্যাদি।

অ্যাসিডিক বেভারেজ বান পানীয় পান করলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, খাবার থেকে মুখে যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় তা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে না। কিন্তু আপনি যদি এসব খাবার খেয়ে দাঁত ব্রাশ না করেন তাহলে এগুলো দীর্ঘস্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে।

কেননা এই সকল খাবার ব্যাকটেরিয়া এবং ডেন্টাল প্লাক প্রমোট করে থাকে। এছাড়ও কিছু খাবার দীর্ঘমেয়াদী দুর্গন্ধ সৃষ্টির জন্য দায়ী। যেমন- লো হাইড্রেড খাবারগুলো যাকে Ketone Breath বলা হয়।

 

মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী কফি পান করা

যারা কফির প্রতি অত্যান্ত আসক্ত হয়ে পড়ে তাদের মুখের দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। আপনি যদি কফিপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহরে আজই ছেড়ে দিন কফি খাওয়া। বিশেষ করে আপনি যদি সকালে এক কাপ কফি পান না করে সকালটা শুরু করতে পারেন তাহলে আপনার মুখের দুর্গন্ধ অনিবার্যা ।

আপনি যদি আসলেই কফির প্রথি খুবই আসক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে কমপক্ষে সকালে কফি খাবেন না। কেননা অনেকের ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধের জন্য কফি বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।

এই পানীয়টি আমাদের মুখের Saliva বা লালার উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। বিশেষ করে কফিতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফ্লেভার আমাদের মুখের ভেতর লালা উৎপাদন করতে হ্রাস ঘটায়। আর এটি মুখের দুর্গন্ধ তৈরিতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।

 

ধুমপান মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ

অনেক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় ধুমপান করা মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম প্রধাণ কারণ। কেননা নিয়মিত ধুমপানের কারণে মুখগহ্বরে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি দাঁতের মাড়িকে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে থাকে।

ধুমপান দাঁতে দাগ ফেলে দেয় যা দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। সুতরাং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে চাইলে আজই ধুমপান ছেড়ে দিন।

আপনি যদি একজন নেশাগ্রস্থ ধুমপায়ী হয়ে থাকেন তাহলে ধুমপান ছাড়া আপনার জন্য সহজ নয়।তাই আপনি বলতে পারেন যে, ধুমপান ছাড়ার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।

আমি বলবো আপনি একান্তভাবেই ধুমপান ছেড়ে দিতে চান নাই তাই ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি যদি একান্তভাবেই ধুমপান ছেড়ে দিতে চান তাহলে কিভাবে সহজেই ধুমপান ছেড়ে দিতে পারেন অর্ধাৎ কিছু ট্রিক কাজে লাগিয়ে সহজেই ধুমপান ছেড়ে দিতে পারবেন।

কিভাবে সহজেই ধুমপান ছেড়ে দিবেন বিস্তারিত জানতে “ধুমপান ছাড়ার উপায়: বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে ধুমপান ছাড়ার সহজ উপায়” ইনফোটি দেখুন। এখানে একাধিক কৌশল দেয়া হয়েছে। আপনি যে কোনটি কিংবা একাধিক উপায় অবলম্বন করে সহজেই ধুমপান ছাড়তে পারবেন।

 

তামাক বা তামাক জাতীয় দ্রব্য মুখের দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে

অনেক মানুষ এমন আছেন যারা ধুমপান করেন না, কিন্তু পান খান। যারা পান খাওয়ায় আসক্ত তাদের মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। নিয়মিত পান খেলে শুধু মুখের দুর্গন্ধ তৈরি হয় তা নয়। মুখের ভিতর নানা ধরণের সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

কেননা পানের সাথে তারা সরাসরি তামাক (সাদা পাতা) কিংবা জর্দা খান। কোন কোন ক্ষেত্রে এই তামাক বা জর্দা ধুমপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর হয়ে থাকে।

সিগারেটে যে জর্দা ব্যবহার করা হয় তা অনেকবার রিফাইন বা পরিশোধন করার পর হয়ে থাকে। আর জর্দায় যে তামাক পাতা ব্যবহার করা হয় তা সরাসরি ব্যবহার করা হয়। তাই ধুমপানের চেয়ে জর্দায় ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে।

 

মদ পান মুখে দুর্গন্ধ হওয়া বড় কারণ

যারা অ্যালকোহল আসক্ত হয়ে পড়েন তাদের মুখে দুর্গন্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যপার। যে মদ পান করে তার বন্ধ-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন কিংবা সহকর্মীরা জানেন যে, তার মুখ থেকে কি রকম দুর্গন্ধ বের হয়।

যে ব্যাক্তি যত বেশি মদ পান করে তার মুখ তত বেশি দুর্গন্ধ হয়ে থাকে । এর কারণ হচ্ছে মদ মুখের সেলিভা উৎপাদন কমিয়ে দেয়।

স্বাভাবিকভাবেই যার মুখে সেলিভা বা লালা উৎপাদন কমে যায়, তার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। যারা অতিরিক্ত মদ পান করে থাকে, তার মুখের সামনে কথা বলে দেখেন কি রকম দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

তাই মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মদপান ত্যাগ করতে হবে। এর জন্য আপনার সিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে । আপনার ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

মুখ শুষ্ক হলে দুর্গন্ধ বের হবে

প্রাকৃতিকভাবে মুখের দুর্গন্ধের প্রতিরোধক হচ্ছে- সেলিভা (Saliva) বা মুখের লালা। আপনার মুখ যদি শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে মুখে সেলিভা তৈরি হতে পারবে না। ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হবে।

রমজান মাসে সারা বিশ্বের মুসলিমরা রোজা রাখে। ফলে তাদের মুখ শুকিয়ে যায়। এরফলে মুখে যে গন্ধের সৃষ্টি হয় তাকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

হাদিসে রোজা তথা সিয়াম পালনে সৃষ্ট মুখের দুর্গন্ধ আখেরাতে সবচেয়ে মিষ্টি সুগন্ধ হয়ে প্রকাশ পবে বলে বর্ণিত হয়েছে।

সুতরাং বোঝা যাচ্ছে মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হচ্ছে মুখের শুষ্কতা । তাই মুখের শুষ্কতা কমাতে সচেতন হতে হবে।

মুখের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে বেশি পরিমানের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতে পানি বেশি খেলে শরীলের জন্য অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও শুষ্কতা দূর করার জন্য সুগার ফ্রি চুইংগাম বা চকলেট খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

উচ্চ মাত্রায় চিনি মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করবে

আগেই বলা হয়েছে যে, স্পাইসি ফুডস থেকে মুখের দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। শুধু অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবারই যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করবে তা নয়, উচ্চ মাত্রার চিনিযুক্ত খাবারও মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে।

মুখে যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে সেগুলো চিনি খুবই পছন্দ করে, তাই অতিরিক্ত চিনি খেলে ব্যাকটেরিয়াগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে মুখে Halitosis রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে মুখে বাজে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

যতটা সম্ভব চিনি মুক্ত খাবার গ্রহণ করা মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হতে পারে।

 

উচ্চ প্রোটিন ও লো কার্বোহাইড্রেট খাবার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে

প্রতিটি মানুষের হজম শক্তি সমান থাকে না। কারো কারো ক্ষেত্রে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার হজম হতে বেশ সময় নিয়ে থাকে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হাই প্রোটিন ফুড সহজে হজম হয় না।

এরফলে এ জাতীয় খাবারগুলো সারফিউরাস গ্যাস তৈরি করে। বিশেষ করে প্রোটিনযুক্ত খাবারের যে অংশগুলো সম্পূর্ণরুপে হজম হতে পারে না, সেগুলো থেকে গ্যাস ও দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকে। যদি দৈনন্দিন খাবার গ্রহণে যথেষ্ট পরিমান কার্বোহাইড্রেট না থাকে, তাহলে এটি মেটাবোলিজম বা হজম প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। এর কারণেও মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

যে সকল খাবার যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে হা জানুন এখান থেকে

 

আপনার হজম সমস্যা হলে মুখে দুর্গন্ধ হবে

হজম সমস্যা হলে মুখের দুর্গন্ধ হয় ইহা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। তবে শুধু উচ্চ প্রোটিন বা লো কার্বো ফুড খাওয়ার কারণে যে হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হবে তা নয়। আপনার অন্য কোন কারণেও হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে।

আসল কথা হচ্ছে, যে কোন খাবারই যদি ভাল ভাবে হজম না হয়, তাহলে সেটি মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই আপনার হজম শক্তি যাতে সর্বদা ভাল থাকে এই জন্য সচেতন হতে হবে।

প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বণ করেও আপনার হজম শক্তি ঠিক রাখতে পারেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে “প্রাকৃতিক উপায়ে হজম শক্তি বাড়াবেন কিভাবে?” ইনফোটি দেখুন।

সাধারণত যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে মুখে গন্ধ হওয়ার সম্ভবণা অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে যারা প্রায় ডায়রিয়া কিংবা কৌষ্ঠকাঠিন্য রোগ ইত্যাদি ভোগেন, তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

 

বিশেষ কিছু রোগের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়

অনেক সময় দেখা যায় মুখের ভিতর নানা রকম রোগ এর কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। গাম ডিজেস বা মাড়িতে রোগ হলে দুর্গন্ধ হয়, আবার অ্যালার্জি, ল্যাকটোস ইনটলারেন্স কিংবা ডায়বেটিস এর কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।

লিভারের সমস্যা থাকলেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়াও ব্রংকাইটিস, কিডনি ডিজেস থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। এই রোগ হলে তার ইফেক্টে কখনো কখনো মুখের দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।

তবে এ নিয়ে আপনাকে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না। কারণ রোগ গুলো সেরে গেলে মুখের দুর্গন্ধ চলে যাবে। তখন আপনি সজীব নিঃশ্বাস নিতে পারবেন।

 

দাঁতে পাথর হলে মুখের দুর্গন্ধ হয় কেন?

আপনার মুখে যদি পাথর হয়ে তাহলে মুখে দুর্গন্ধ হবে। কারণ যখন আমরা খাবার খাই তখন খাবারের কিছু অংশ স্বাভাবিকভাবেই দাঁতের গোড়ায় বা চিপায় আটকে যায়। আমরা যখন ব্রাশ করি তখন দাঁতের চিপায় থাকা অবশিষ্টাংশ খাবারগুলো বেরিয়ে যায়। ফলে মুখ পরিস্কার থাকে।

তবে নিয়মিতভাবে যদি দাঁত পরিস্কার করা না হয় তাহলে দাঁতের গোড়ায় আটকে থাকা খাবারের অংশগুলো জমে পাথরে পরিণত হয়। চিকিৎসার ভাষায় যেটাকে ডেন্টাল প্লাক বলে।

দাঁতের গোড়ায় পাথর হলে অনেক সময় তা যন্ত্রণা দিয়ে থাকে। দাঁতের গোড়া কিট কিট করে, পাথরের সাথে জিহ্বা ও মাড়ির ঘর্ষণে মুখে প্রদাহ কিংবা ক্ষত তৈরি হয়।

এসব কারণে অনেক সময় দাঁতে গোড়া দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। এটা এমন হয় যে, কখনো রক্ত ঝড়ে যায় আবার কখনো রক্ত জমে যায়, সেখান থেকে পুঁজ হয় এবং মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

 

জিহ্বা নিয়মিত পরিস্কার না করলে মুখে দুর্গন্ধ হয়

আপনার জিহ্বা যদি অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন হয় তাহলে তা দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। সাধারণত আমরা প্রতিদিনই খবার গ্রহণ করে থাকি।

এই খাবারের কিছু না কিছু অংশ আমাদের জিহ্বার মধ্যে লেগে থাকে, আর সেখান থেকে জিহ্বার মধ্যে ময়লা জমতে থাকে।

আর এ থেকেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। আপনি আয়নার সামনে জিহ্বা দেখুন, কি রকম ময়লা জমে গেছে এবং দুর্গন্ধ করছে। তাই নিয়মিত জিহ্বা পরিস্কার করতে হবে।

অনেক দিন যাবৎ যদি আপনি জিহ্বা পরিস্কার না করেন, তাহলে জিহ্বায় এক ধরণের ময়লার আস্তরণ জমে যাবে এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করবে। এর থেকে মুক্তির জন্য ব্রাশ করার সময়ই জিহ্বা পরিস্কার করতে পারেন।

 

শেষকথা:

কেন মুখের দুর্গন্ধ হয় তা বিভিন্ন মেডিকেল ওয়েবসাইট ঘেটে আজকের ইনফোটি শেয়ার করা হয়েছে। আশাকরি এই কারণ গুলো যদি আপনি দূর করতে পারেন তাহলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।

আমাদের ইনফোগুলো আপনার কাছে ভাল লেগে থাকলে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন এবং কমেন্ট করে আমাদের সাথেই থাকুন।


Home BD info এর অন্যান্য ইনফো জানুন:

অনলাইনে জমির যে কোন খতিয়ান বের করবেন কিভাবে?

অনলাইনে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার করবেন কিভাবে?

ঘরে বসে কারিগরি শিক্ষা কিভাবে গ্রহণ করবেন?

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? বাংলাদেশে এটির প্রভাব কেমন?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !