ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমরা একটি ইনফো শেয়ার করেছি। তবে সেখানে অনলাইনে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স (ই-ট্রেড লাইসেন্স) পাওয়ার যায় সেই বিষয়ে কোন তথ্য শেয়ার করা হয়নি। অর্থাৎ ইনফোটি শেয়ার করার সময় ই ট্রেড লাইসেন্স পুরোপুরি আপডেট হয় নি।আজকের ইনফোতে ই-ট্রেড (www.etradelicense.gov.bd) ওয়েব সার্ভার থেকে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করবেন এবং ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য শেয়ার করা হলো।
ট্রেড লাইসেন্স
শুধুমাত্র ব্যবসার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার যোগ্য এবং একটি ব্যবসার জন্য অর্থাৎ ব্যবসার
এক ক্যাটাগরির জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। একাধিক ব্যবসার জন্য একাধিক লাইসেন্স নিতে হয়। তবে জেনারেল ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স নিলে পণ্যের বিভিন্ন আইটেম কিংবা
একাধিক পন্য নিয়ে ব্যবসার করতে পারবেন। অবশ্য আমাদের দেশে অনেক ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স
ছাড়াও ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তবে এটা আইনগতভাবে অবৈধ এবং আইনি ভাবে কোন সুবিধা গ্রহণ বা আইনি কোন প্রতিকার
পাওয়া যাবে না।
ট্রেড লাইসেন্স কি?
ব্যবসার আইনগত
দলিল হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স অর্থাৎ ব্যবসার জন্য রাষ্টীয় অনুমোতি পত্র হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স।
আপনি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও ব্যবসার করতে পারবেন। তবে এটি আইনগতভাবে বৈধ নয় এবং ব্যবসার
জন্য আপনি কোন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না। সামাজিকভাবে ব্যবসার জন্য সকল সুবিধা পাওয়ার
জন্য আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। আর এটি হচ্ছে আপনার ব্যবসার সতন্ত্র সত্তা। ফলে
ব্যবসার নামে ব্যাংক হিসাব ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।
ই-ট্রেড লাইসেন্স কি?
ই-ট্রেড লাইসেন্স
হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স করার অনলাইন অ্যাপ। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য যে
ট্রেড লাইসেন্স করা হয় তাকে ই-ট্রেড লাইসেন্স বলে।
ই ট্রেড লাইসেন্স
এর বড় সুবিধা হচ্ছে, কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই নিজে নিজেই অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ঘরে
বসেই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যায়। অফিসে না গিয়ে নবায়নও করে নেওয়া যায় সহজেই।
কিভাবে ই-ট্রেড
লাইসেন্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং ট্রেড লাইসেন্স হাতে পাবেন তা জানার আগে
ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
কোথায় থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়?
সিটি কোর্পরেশন/
পৌরসভা কিংবা গ্রামে ইউনিয়ন পরিশোধ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়। অর্থাৎ স্থানীয় সরকার
ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে। তাই আপনাকে ব্যবসার অনুমোতি পত্র (ট্রেড লাইসেন্স)
স্থানীয় সরকার হতে নিতে হবে।
কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করবেন?
১৮ বছরের
নিচে কেউ ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবে না। তবে ১৮ বছর বা তার উর্দ্ধে যে
কোন নাগরিক অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পরুষ ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাবে কোন না কোন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে হবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষ
নিকট আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। যেমন- সিটি করপোরেশন, পৌরসভা/ইউনিয়ন
পরিষোদ ইত্যাদি। আপনার ব্যবসার অবস্থান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ নির্বাচন করুন।
আপনার ব্যবসার
অবস্থান যদি কোন সিটি করপোরেশন এলাকায় হয়। যেমন- ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা,
সিলেট ও বরিশাল এলাকাতে ব্যবসার অবস্থান হলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড
লাইসেন্স নিতে হবে।
আপনার ব্যবসার
অবস্থান কোন মিউনিসিপ্যাল (পৌরসভা) এলাকায় হলে, তাহলে সিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ হতে ট্রেড লাইসেন্স
সংগ্রহ করতে হবে।
আর যদি এর
বাইরে আপনার ব্যবসার অবস্থান হয় তাহলে ইউনিয়ন পরিষোদ/ উপজেলা পরিষোদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স
সংগ্রহ করতে হবে।
উপরোক্ত কর্তৃপক্ষর
কাছ থেকে আপনি দুভাবে ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক. ম্যানুয়াল পদ্ধতি
এবং দুই. অনলাইন পদ্ধতি।
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম
আপনি যদি
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেড লাইসেন্স করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে যথাযথ
কর্তৃপক্ষের কাছে। আর যদি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স করতে চান তাহলে
ই ট্রেড লাইসেন্স (www.etradelicense.gov.bd)
ওয়েব সার্ভার এ প্রবেশ করে আবেদন করুন।
ম্যানুয়াল
পদ্ধতিতে কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করবেন অর্থাৎ প্রচলিত পুরাতন নিয়মে ট্রেড লাইসেন্স
করতে চাইলে ”ট্রেড লাইসেন্স কি?
কিভাবে কোথায় ট্রেড লাইসেন্স করবেন?” ইনফোটি দেখুন।
আরো জানুন:
বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট কিভাবে খুলবেন? ভেরিফাই করবেন কিভাবে?
অনলাইনে ই-ট্রেড লাইসেন্স করবেন কিভাবে?
অনলাইনে মত্র
৫ মিনিটে পাবেন ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট ”ই-ট্রেড লাইসেন্স”। প্রথমে যে কোন ব্রাউজার
ওপেন করে প্রবেশ করুন - www.etradelicense.gov.bd
। ই ট্রেড লাইসেন্স ওয়েব সার্ভারের হোম পেজ আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে। নিচের দিকে
“নতুন নিবন্ধনের জন্য ক্লিক করুন” বাটনে প্রেস করুন।
আবেদন করার
অনলিইন ফরম প্রদর্শিত হলে সেখানে প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন। আপনার আবেদন
অনুমোদন হলে এখান থেকে ”ই-ট্রেড লাইসেন্স” ডাউনলোড করতে পারবেন এবং এটি আপনার ব্যবসার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
ই ট্রেড লাইসেন্স এর সুবিধা
এর প্রথম
সুবিধা হচ্ছে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই ঘরে বসে অনলাইনে নিতে পারবেন। এছাড়াও যে সুবিধাগুলো
আপনার কাছে মনে হতে পারে তা নিজে নিজেই চিন্তা করে দেখুন।
** অনলাইনে
ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
** অনলাইনে
আবেদনের মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
** ট্রেড
লাইসেন্স হারিয়ে গেলেও যে কোন সময় ই ট্রেড লাইসেন্স ওয়েব সার্ভারে আপনার একাউন্ট থেকে
ই ট্রেড লাইসেন্স ডাউনলোড/ প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
** অনলাইনে
রিনিউ বা রিইস্যু করে নেওয়া যাবে ই-ট্রেড লাইসেন্স।
** আপনি অনলাইনে
একটি একাউন্ট থেকে একাধিক (আপনার যত রকম ব্যবসা রয়েছে সকল ব্যবসার জন্য একটি করে ই
ট্রেড লাইসেন্স) করতে পারবেন।
** ই-ট্রেড
লাইসেন্সটি সঠিক না ভূয়া তা অনলাইনে যাচাই করা যাবে।
ব্যবসার ধরণ বা ক্যাটাগরি নির্বাচন
ব্যবসার শুরু
করার প্রথমেই আপনাকে ব্যবসার ধরণ বা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নিতে হবে। আপনি যদি ব্যবসার
ভুল ক্যাটাগরি নির্বাচন করেন তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
তাই আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন।
২০১৬ সালের
গেজেট অনুযায়ী ২৯৪ টি ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়। তাই আপনার ব্যবসার প্রকৃতি
বিবেচনা করে ভালভাবে নির্ধারিত ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স করে নিন।
ব্যবসার ধরণ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে “বাংলাদেশে কত ধরণেরব্যবসা রয়েছে? কতটি ক্যাটাগরিতে ব্যবসা করা যায়?” ইনফোটি দেখুন।
ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?
সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য বেশি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়
না। যেমন দোকান ভাড়ার রশিদ বা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি। আর নিজের দোকান হলে ইউটিলিটি
বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করার রশিদের কপি এবং নিজের পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ৩
কপি ছবি। ব্যবসা যদি যৌথভাবে পরিচালিত হয় তাহলে ১৫০/৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে
পার্টনার শিপের অঙ্গীকারনামা/ শর্তাবলী জমা দিতে হবে।
ফ্যাক্টরী/কারখানার ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য পরিবেশ ছাড়পত্রের কপি, প্রস্তাবিত
কারখানার পাশ্ববর্তী অবস্থান/স্থাপনার বিবরণসহ নকশা/লোকেশন ম্যাপ এবং মালিকের অনাপত্তিনামা,
ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র এবং টাকা সিটি করপোরেশন এর নিয়ম-কানুন মেনে চলার অঙ্গিকারনামা
১৫০/৩০০ টাকার জুডিশিয়ার স্ট্যাম্প এ স্বাক্ষরিত।
কোন বিষেশ
ধরণের ব্যবসার জন্য বিশেষ লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। যেমন- অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যবসার
জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স, ঔষধ ও মাদকদ্রব্যের ব্যবসার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স ইত্যাদি।
এছাড়াও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এবিষয়ে বিস্তারিত আগের
ইনফোতে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর জেনে
নিব।
ই-কমার্স করার জন্য কি ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে?
অনলাইনে ই
কমার্স করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। তবে যদি আপনি অস্থায়ীভাবে
অল্প কিছুদিনের জন্য ব্যবসা করেন ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক অথবা অন্য কোন সোশ্যাইল মিডিয়ার
মাধ্যমে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স করার প্রয়োজন হবে না।
তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধার মুখোমুখি হতে পারেন। যেমন- ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসার নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন না এবং অনেক বেশি অ্যামাউন্ট এর কোন পন্য অর্ডার সাপ্লাই করতে পারবেন না।কোন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিভিন্ন ট্রেড বডিজ চেম্বার এর সদস্য হতে পারবেন না।
একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে কয়টি ব্যবসা করা যাবে?
ট্রেড লাইসেন্স
আইন বা বিধিমালা অনুযায়ী শুধুমাত্র একটি ব্যবসার জন্য ব্যবহার করা যাবে। কোনক্রমেই
অন্য কোন ক্যাটাগরির ব্যবসার জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না।
একটি ট্রেড
লাইসেন্স শুধুমাত্র একটি ব্যবসার জন্য ব্যবহার করা যাবে এবং এটি কোনভাবে হস্থান্তরযোগ্য
নয়। নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে নতুন করে আরেকটি ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স কি এবং এটি প্রয়োজন হয় কেন?
ট্রেড লাইসেন্স
হচ্ছে ব্যবসা করার জন্য অনুমোতি পত্র বা ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স। আপনি যদি নতুন
উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তাহলে দেশের আইন অনুসারে ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার
বা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোতিপত্র বা লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিবেন। এটাই মূলত ট্রেড
লাইসেন্স। ব্যবসা পরিচালনার জন্য এটি অপরিহার্যা।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে কি বুঝায়?
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ
বলতে স্থানীয় সরকারকে বুঝানো হয়ে থাকে। যেমন- মেট্রো সিটিতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভায়
পৌর কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামে ইউনিয়ন পরিষোদ ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে। তাই এগুলোকে
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলা হয়।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে?
ব্যবসার জন্য
লাইসেন্স করতে তেমন কিছুই লাগে না। তিন কপি ছবি পাসপোর্ট সাইজের, যদি একাধিক অংশীদার
থাকে তাহলে প্রত্যেকের তিন কপি ছবি। জাতীয় পরিচয় পত্রেয়র ফটোকপি, ব্যবসার ঠিকান, অফিস
বা দোকান ভাড়ার চুক্তি অথবা নিজের হলে ইউটিলিটি বিলের কপি কিংবা সার্ভিস চার্জ এর রশিদ।
আমাদের দেশে
একটা প্রচলিত নিয়ম আছে যে, কোন কাজ করতে অনেক কিছু লাগে আবার অনেক কিছু ছাড়াই অনেক
কিছু হয়ে যায়।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা ফি লাগে?
আপনার ব্যবসার
ধরণ এবং ব্যবসার অবস্থান অনুসারে লাইসেন্স ফি নির্ধারিত হবে। যেমন- কোন রিক্সা ওয়ালার
জন্য হয়তো ২শ টাকা, আর আমদানি রোফতানী ব্যবসার জন্য তা হয়তো ২০ হাজার টাকা। গ্রামের ইউনিয়ন
পরিষোদ এর ফি এর পরিমান এবং ঢাকা সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্স ফির পরিমান ভিন্নতা
থাকতে পারে ।
ঢাকা সিটি
করপোরেশন এর অধীনে ব্যবসার লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৫শ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যান্ত
রেট রয়েছে। আপনার ব্যবসার জন্য কত টাকা ফি দিতে হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে
জেনে নিতে পারবেন।
ই-কমার্স
করার ক্ষেত্রে যেহেতু কোন ক্যাটাগরি নাই তাই সফটওয়ার, আইটি কিংবা জেনারেল সাপ্লায়ার
হিসাবে লাইসেন্স নিতে হবে। এর জন্য সরকারি ফি হতে পারে ৮৫০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা। তবে
আপনার খরচ পড়তে পারে কমবেশি ৪ হাজার টাকা। কোন ফার্ম এর সাহায্যে লাইসেন্স করতে গেলে
৫ হাজার টাকা লাগতে পারে।
লাইসেন্স
ফি সম্পর্কে সঠিত তথ্য জানতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে দেখুন। কোন ব্যবসার
জন্য কত টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরো জানুন:
অনলাইনে জমির খাজনা কিভাবে পরিশোধ করবেন?
ই-চালান কি? কিভাবে ব্যবহার করবেন?
ই-ফায়ার লাইসেন্স কি? কিভাবে ফায়ার লাইসেন্স পাবেন?
ই-পাসপোর্ট কি? অনলাইনে কিভাবে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন?
একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে কি বিভিন্ন ধরণের পণ্য বা ব্যবসা করা যায়?
একটি ট্রেড
লাইসেন্স দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করা যায় না। তবে বিভিন্ন ধরণের পন্য বিক্রি করা
যায়। সেক্ষেত্রে জেনারেল সাপ্লায়ার হিসাবে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে।
একটি ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ কতদিন এবং মেয়াদ শেষ হলে কি করতে হবে?
একটি ট্রেড
লাইসেন্স এর মেয়াদ সাধারণত এক অর্থ বছর। মেয়াদ শেষ হলে নবায়ন ফি দিয়ে নবায়ন করে নিতে
পারবেন। মনে রাখবেন মেয়াদ শেষ হলে যে আপনার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়। নবায়ন
করলে আপনার ব্যবসার একটি আইনগত বৈধতা থাকলো।
এক এলাকার ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে অন্য এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স করা যাবে?
আইনগতভাবে
করা যায় না। তবে দেখা যায় বাংলাদেশে এটি একটি সাধারণ বিষয়। আবাসিক এলাকায় যে সকল ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান বা অফিস রয়েছে তাদের ঠিকানা সে এলাকা নয়। সাধারণত সিটি কর্তৃপক্ষ আবাসিক
এলাকার ঠিকানায় লাইসেন্স ইস্যু করে না তাই তারা অন্য ঠিকানা ব্যবহার করে লাইসেন্স নিয়ে
থাকেন।
অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স নিলে কি আইনগত বৈধতা পাওয়া যাবে?
প্রচলিত নিয়ম
অনুসারে যে ট্রেড লাইসেন্স করা হয় তার যতটুকু আইনগত বৈধতা অনলাইনের ক্ষেত্রে ই-ট্রেড
লাইসেন্স এরও একই আইনগত বৈধতা রয়েছে।
ট্রেড লাইসেন্স করার পর নাম ঠিকানা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে কি করবেন?
ফি প্রদানের
মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স এর যে কোন ধরণের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। অনলাইনে এই কাজটি
খুব সহজেই করে নিতে পারেন। বিকাশ, রকেট, নদগ ইত্যাদি দিয়ে অনলাইনে ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
আমার ব্যবসার জন্য একাধিক অফিস থাকলে কি একাধিক ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে?
আপনার ব্যবসার
বিভিন্ন এলাকায় যদি অফিস থাকে তাহলে বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে
লাইসেন্স নিতে হবে। বিভিন্ন এলাকাতে অফিস না থাকলে বিভিন্ন এলাকার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন
নেই। শুধুমাত্র যেখানে অফিস রয়েছে সেখানে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন এর মধ্যে পার্থক্য কি?
** ট্রেড
লাইসেন্স হচ্ছে ব্যবসা বা পেশার অনুমোতি পত্র আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে ব্যবসা
এনজিও সমাজসেবা প্রভৃতির জন্য।
** ট্রেড
লাইসেন্স করা হয় নির্দিষ্ট এলাকাতে ব্যবসা করার জন্য আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন করা
হয় সারা বাংলাদেশের জন্য ।
** ট্রেড
লাইসেন্স হলে ব্যবসা করার জন্য কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই।কিন্তু কোম্পানী
রেজিস্ট্রেশন করলেও ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়।
** আপনি যে
নামে ট্রেড লাইসেন্স করবেন অন্য যে কেউ সেই নামে ট্রেড লাইসেন্স করতে পারবে, আর আপনি যে
নামে কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন করবেন সেই আর কেউ কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। করলেও আপনি তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
** ট্রেড
লাইসেন্স ফি ব্যবসার ক্যাটাগরি অনুসারে হয়ে থাকে আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন ফি কত টাকা
বিনিয়োগ করবেন তার উপর নির্ভর করে। কোম্পানী রেজি: খরচ ৩০০০০/- টাকা থেকে শুরু হয়।
** ট্রেড
লাইসেন্স সাধারণত স্থানীয় ব্যবসার নিয়ম নীতির উপর চলে আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন এ কোম্পানী
গঠিত হয় কোম্পানী আইন অনুসারে। এর নির্দিষ্ট ক্যাটালগ রয়েছে।
শেষকথা:
আশাকরি এই
ইনফো থেকে আপনি ই-ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে করবেন এবং ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
জেনে গেছেন । এই বিষয়ে আপনার যদি আরো জানার ইচ্ছা জাগে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানান।
যে কোন কমেন্ট আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকি।
আপনার কাছে এই ইনফোটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করে নিজে সোশ্যাইল মিডিয়া ওয়ালে রেখে দিন, প্রয়োজনের সময় যাতে নিজের ওয়াল থেকেই সহজেই খুজে নিতে পারেন।
Home BD info এর অন্যান্য ইনফো জানুন
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন?
ই-পর্চা অনলাইনে জমির যে কোন খতিয়ান বের করবেন কিভাবে?
কোন মন্তব্য নেই: