যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য মর্যাদাপূর্ণ একটি বৃত্তি হচ্ছে “ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম”। এই প্রোগ্রামে কারা কারা আবেদন করতে পারবে কিংবা আবেদনের যোগ্যতা কি বা ফুলব্রাইট স্কলারশিপের সুবিধা সমূহ কি কি? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজকের ইনফোটি শেয়ার করা হলো।
নানা বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফুলব্রাইট প্রার্থী নির্বচিত হয়ে থাকে। নির্বাচিত প্রার্থীদের ফুলব্রাইট প্রোগ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের ফি থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া ও যাতায়তসহ যাবতীয় খরচ দেওয়া হয়।
ফুলব্রাইট স্কলারশিপ কি?
যুক্তরাষ্ট্রে
উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম সম্মানজনক একটি বৃত্তির নাম হলো “ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট
প্রোগ্রাম” । এই স্কলারশিপটি সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের
ফ্যাকাল্টি মেম্বার, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র থেকে মিড লেভেলের কর্মকর্তা, এনজিও
সহকারি সহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবেদনকারীরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্র
কর্তৃপক্ষের ফুলব্রাইট স্করারশিপ নিয়ে দুটি স্কিম চালু রয়েছে। একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্টের
নাগরিগদের জন্য অপরটি হচ্ছে বাহিরের নাগরিকদের অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন এমন
প্রার্থীদের জন্য।
প্রতিবছর
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিতীয় স্কিমের স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকরা। আপনার এই স্কলারশিপের যোগ্যতা থকলে আপনিও আবেদন করতে
পারেন।
এই স্কলাশিপের সুযোগ-সুবধা সমূহ
সাধারণভাবে
এটি একটি সম্মানজনক বৃত্তি। এই বৃত্তির আওতায় যা যা পাওয়া যাবে তা হচ্ছে-
** আসা-যাওয়ার
বিমান ভাড়া
** টিউশন
সহ যাবতীয় একাডেমিক ফি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচ
** থাকা-খাওয়া
এবং ব্যক্তিগত খরচের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ড
** বই ভাতা
** স্বাস্থ্য
ভাতা
** ভ্রমণ
এলাওয়েন্স
** ব্যাগেজ
এলাওয়েন্স ইত্যাদি।
আবেদনের বিষয় সমূহ
ফুলব্রাইট
স্কলারশিপে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর আবেদন করতে হবে। কোন কোন বিষয়ের উপর আবেদন করতে
পারবেন তা নিচে দেওয়া হলো ।
কি কি যোগ্যতা থাকলে আবেদন করতে পারবেন?
ফুলব্রাইট স্কলারশিপে আবেদন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি কিছুটা কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আবেদনের যোগ্যতা কি কি তা নিচে দেওয়া হলো-
** প্রার্থীকে
দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।
** ইউএস এর
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা যাবে না। অর্থাৎ ইউএসসের ডিগ্রিধারীরা এই স্কিমের
আওতায় আবেদন করতে পারবেন না।
** স্নাতক
ও স্নাতকোত্তর বাংলাদেশের হতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন হলে সমস্যা হবে না।
** কাজের
অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ কমপক্ষে দুই বছরের কর্ম-অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন মেধাবী শিক্ষার্থীরা
যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট স্কলাশিপ এ আবেদন করতে পারবেন।
** আইইএলটিএস
এ ন্যূনতম ৭ কিংবা টোফেলে ন্যূনতম ৮০ স্কোর পাওয়া প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
** প্রার্থীকে
স্বাস্থ্যবান হতে হবে। অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
ফুলব্রাইট স্কলারশিপ আবেদন প্রক্রিয়া
প্রার্থীকে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় অনলাইনে আবেদন পত্র এবং সকল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
ও শিক্ষাগত সনদের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
প্রাথমিক
আবেদনের সময় তিনটি লেটার অব রেফারেন্সও আপলোড করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার
পর অবশ্যই টোফেল/আইইএলটিএস স্কোর ও জিআরই/জিম্যাট স্কোর জমা দিতে হবে। অবশ্য আপনি প্রাথমিক
আবেদনের সময়ও স্কোরগুলো জমা দিতে পারেন।
অনলাইনে আবেদন
করতে ভিজিট করুন - https://apply.iie.org/
আরো জানুন:
শিক্ষাবৃত্তি সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানুন এখানে
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কিংবা বিসিএস ক্যাডার কি?