রমজানে সুস্থ থাকতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। কেননা অনেক খাবার এমন রয়েছে যা ইফতারে কিংবা সাহরিতে খেলে অসুস্থর কারণ হতে পারে। তাই “কোন কোন খাবার সেহরি ও ইফতারিতে খাওয়া যাবে না?” নিয়ে ইনফোটি সাজানো হলো।
কিছু কিছু খাবার ইফতারে কিংবা সাহরিতে খাওয়া উচিৎ নয়। এই খাবারগুলো শরীরে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়াও রমজান মাসে সুস্থ থাকার গুরুত্ব বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে আপনাকে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে।
তাই বিভিন্ন খাবারের বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরী। সেহরি ও ইফতারে কোন খাবারগুলো ক্ষতিকর তা উল্লেখ করা হলো।
ভাজা-পোড়া এড়িয়ে চলুন
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে কিংবা সাহরিতে ভাজা-পোড়া খাবেন না। কেননা সারাদিন রোজা পালন করে ভাজা-পোড়া খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
শুধু তাই নয় এই সকল খাবার পেটের নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পেটের বদ হজম হওয়ার জন্য দায়ী এইসব খাবার।
তাই রমজানে সুস্থ থাকতে ভাজা-পোড়া খাওয়া পরিহার করতে হবে।
আরো জানুন:
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া পরিহার করুন
অনেকেই মিষ্টি খাবার অনেক পছন্দ করেন। তাই ইফতারে কিংবা সাহরিতে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেয়ে ফেলেন। এটা মোটেও ঠিক নয়।
আপনাকে মনে রাখতে হবে রমজানে অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে পেটে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রমজানে সুস্থ থাকতে চাইলে ইফতারে কিংবা সাহরিতে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত ঝাল স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। তবে রমজান মাসে ঝাল খাবার থেকে বিরত থাকুন। কেননা ঝাল খাবার পেটের গ্যাসের পরিমান বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।
তাই রমজানে ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন।
সেহরির পর চা পান করবেন না
সেহরির পর চা খেলে বেশি বেশি টয়লেটে যাওয়া লাগতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে চা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
চা আপনার শরীরের তাপমাত্র বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডাল জাতীয় খাবার সেহরিতে একদমই খাবেন না
যাদের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান বেশি বা শরীরে আর্থ্রাইটিস আছে কিংবা কোন কারণে ডাল জাতীয় খাবার নিষিদ্ধ তারা ছোলা, বুট, বেসন, বড়া, হালিম একদমই খাবেন না।
সেহরিতে গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো
সেহরিতে গুরুর মাংস কিংবা হাঁসের ডিম বা এই জাতীয় খাবার খেলে পিপাসা লাগতে পারে অধিক পরিমানে। তাই গুরুর মাংস না খেয়ে মুরগির মাংস সিহরিতে রাখতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন