মানবজীবনে পারিবারিক শিষ্টাচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানুষ একা বাঁচতে পারে না, সুখী হতে পারে না। সুন্দর ও সামাজিক জীবন মানুষকে সুখী ও পরিতৃপ্তি করে। আর সমাজের একক হচ্ছে পরিবার। আজকে আমরা আলোচনা করব পারিবারিক শিষ্টাচার কি কিভাবে সকল পরিবার গঠন করা যায়?
জাগতিক ও আত্মিক সুখ-সমৃদ্ধি হচ্ছে পরিবার। পরিবারের সকল কাজকর্ম মানব জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের কল্যাণ মানে জীবনের কল্যাণ।
পারিবারিক শিষ্টাচার বলতে কী বোঝানো হয়?d
সাধারণত পারিবারিক আচার-আচরণকে পারিবারিক শিষ্টাচার বলা হয়ে থাকে। পরিবার গড়ে ওঠায় একজন নারী ও একজন পুরুষের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। এই সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে, যত মমতা ও শ্রদ্ধামাখা হবে, পারস্পরিক আচার-আচরণ, প্রো-অ্যাকটিভ, সুশৃংখল ও সুপরিকল্পিত হবে, জীবনে তত সুখ, পরিতৃপ্তি ও সার্থকতা আসবে।
সুতরাং সুখী পরিবারের ভিত্তি হচ্ছে ভালোবাসা মমতা শ্রদ্ধা শৃঙ্খলা ও আত্মিক একাত্মা। সর্বদা মনে রাখতে হবে পরিবারের নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক এই পরিপূরক এক আত্মা সুখ-সমৃদ্ধির ভিত্তি।
পরিবারের নারী ও পুরুষের বিশ্বাস দৃষ্টিভঙ্গি অভ্যাস ও আচরণ যত প্রো-অ্যাকটিভ ও সুশৃংখল হবে, ততই পরস্পরের মধ্যে পরিপূরক একাত্মা সৃষ্টি হবে এবং জীবনে আসবে স্বর্গীয় প্রশান্তি। আর পারিবারিক শিষ্টাচার বলতে এই সম্পর্ক গুলোকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
২) সৃষ্টিকর্তার প্রতি অবিচল বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন।
৩) সৃষ্টিকর্তার প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার লক্ষ্যে তার হুকুম মেনে চলার চেষ্টা করুন। নিয়মিতভাবে আবশ্যক ইবাদত পালন করুন।
৪) দায়িত্বশীল ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।
৫) আত্ম উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিত পড়াশোনা করুন।
৬) পরিমিতি ও সংযম অবলম্বন করুন।
৭) সব ব্যাপারে সময় ও নিয়মানুবর্তী প্রতি গুরুত্ব দিন।
৮) পরিকল্পিতভাবে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে করুন।
৯) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকুন। শালীন ও মার্জিত পোশাক সর্বদা পরিধান করুন।
সুতরাং সুখী পরিবারের ভিত্তি হচ্ছে ভালোবাসা মমতা শ্রদ্ধা শৃঙ্খলা ও আত্মিক একাত্মা। সর্বদা মনে রাখতে হবে পরিবারের নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক এই পরিপূরক এক আত্মা সুখ-সমৃদ্ধির ভিত্তি।
পরিবারের নারী ও পুরুষের বিশ্বাস দৃষ্টিভঙ্গি অভ্যাস ও আচরণ যত প্রো-অ্যাকটিভ ও সুশৃংখল হবে, ততই পরস্পরের মধ্যে পরিপূরক একাত্মা সৃষ্টি হবে এবং জীবনে আসবে স্বর্গীয় প্রশান্তি। আর পারিবারিক শিষ্টাচার বলতে এই সম্পর্ক গুলোকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
সকল পরিবার গঠন করার প্রক্রিয়া গুলো কি কি?
সকল পরিবার গঠনের অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। যেমন- ব্যক্তিজীবনে, আচরণে, পারিবারিক জীবনে, সন্তান পালনে, সন্তান হিসেবে, পরিবারের বয়স্কদের প্রতি কর্তব্য, তরুণ বয়সে, আত্মনির্মাণ এ, সামাজিক ক্ষেত্রে, কর্ম ক্ষেত্রে, সৃষ্টির সেবায়, বন্ধুত্বে, খাবার-দাবার, মেহমানদারী, আপ্যায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।সফল হতে ব্যক্তিজীবনের করণীয় কি?
১) সর্বদা ঘুম থেকে উঠেই শোকর আলহামদুলিল্লাহ বলুন। সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন সর্বদা। জীবনে কি নেই তা না ভেবে, কি আছে তা নিয়ে ভাবুন।২) সৃষ্টিকর্তার প্রতি অবিচল বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন।
৩) সৃষ্টিকর্তার প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার লক্ষ্যে তার হুকুম মেনে চলার চেষ্টা করুন। নিয়মিতভাবে আবশ্যক ইবাদত পালন করুন।
৪) দায়িত্বশীল ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।
৫) আত্ম উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিত পড়াশোনা করুন।
৬) পরিমিতি ও সংযম অবলম্বন করুন।
৭) সব ব্যাপারে সময় ও নিয়মানুবর্তী প্রতি গুরুত্ব দিন।
৮) পরিকল্পিতভাবে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে করুন।
৯) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকুন। শালীন ও মার্জিত পোশাক সর্বদা পরিধান করুন।
১০) শুদ্ধ ও সুন্দর ভাষায় কথা বলুন সর্বদা।
১১) সর্বদা মিথ্যা বর্জনে সচেষ্ট থাকুন, পরনিন্দা পরচর্চা ও গীবত থেকে দূরে থাকুন।
সফল জীবনের জন্য আচরণ কী রকম হওয়া উচিত?
1. সর্বদা প্রো একটিভ থাকতে হবে এবং হাসিমুখে কথা বলতে হবে।2. সবসময় রাগকে নিয়ন্ত্রন করে রাখতে হবে। মনে রাখবেন, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
3. কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলতে হবে।
4. নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে।
5. রাগ ও ক্রোধের বশ হয়ে কোন কাজ করা যাবে না।
6. বিতর্ক ও ঝগরা কৌশল পরিহার করতে হবে।
7. সেন্টিমেন্ট ও আবেগ প্রকাশে কৌশলী হতে হবে।
8. কর্মচারী ও গৃহকর্মীর সাথে মানবিক আচরণ করতে হবে।
9. কাউকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
10. কাউকে ঠকানোর চেষ্টা করা যাবে না।
11. কারো প্রতি ক্ষোভ ও ঈর্ষা পোষণ করবেন না।
12. সজ্ঞানে অন্যের ক্ষতি করা যাবে না।
13. জীবনের সর্বক্ষেত্রে অপচয় পরিহার করতে হবে।
14. সৎ ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিতি লাভের চেষ্টা করতে হবে সর্বদা।
15. অহংকার ও লোকদেখানো আচরণ না করে আন্তরিক ও বিনয়ী হতে হবে।
পারিবারিক জীবনে সফল হওয়ার কৌশল কি?
পারিবারিকভাবে জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে নারী-পুরুষ উভয়ের কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেমন-১. সব সময় 'কি পেতে পারি' এই প্রত্যাশা না করে 'কি দিতে পারি' এই চিন্তা করতে হবে।
২. পরস্পর পরস্পরকে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে।
৩. পারিবারিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সবার মতামত কি গুরুত্ব দিতে হবে।
৪. অন্যের কথায় কান দেওয়া যাবে না। নিজেরাই আলাপ-আলোচনা করে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে হবে। তৃতীয় কাউকে এখানে যুক্ত করানো যাবে না।
৫. ঘরের কথা বাইরে বলা যাবে না।
৬. পরস্পরের জন্য নিয়মিত দোয়া করতে হবে।
৭. পরিবারে অশান্তি ও কলহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা বলা যাবে না।
৮. একান্নবর্তী পরিবার হলে সবার সন্তানকেই এক নজরে দেখতে হবে। সবার জন্য একই মানের কেনাকাটা করতে হবে।
৯. ভ্রমণ ও বিনোদনের ব্যাপারে পরিবারের বেশির ভাগের মত অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
১০. পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিয়মিত আত্ম উন্নয়নমূলক আলোচনার আয়োজন করতে হবে।
১১. অপ্রয়োজনে জলে থাকা বাতি বা ফ্যান বন্ধ করে রাখতে হবে।
১২. টিভি দেখে সময় নষ্ট না করে পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে হবে।
১৩. পরিমিত পানি খরচ করতে হবে। পানি অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
১৪. সমাজের চোখে দৃষ্টিকটু সম্পর্ক বর্জন করতে হবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এমন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে।
১৫. গৃহকর্মীদেরকে নিজেদের সমমানের খাবার প্রদান করতে হবে।
১৬. পরিবারকে ধূমপান ও নেশামুক্ত রাখতে হবে।
সন্তান পালনে সফল হওয়ার জন্য কি কি করনীয়?
সন্তান পালনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।১. ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সন্তানকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এক সন্তানকে অন্য সন্তানের সঙ্গে তুলনা করবেন না কখনো।
২. সন্তানকে নেতিবাচক কথা বলে তিরস্কার করা যাবে না। সন্তানকে ধমক দেওয়া যাবে না। রাগের মাথায় অভিশাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. অন্যের সামনে সন্তানকে বকাবকি করা যাবে না, ভুল ধরিয়ে দেওয়া যাবে না।
৪. সন্তানকে ছোট থেকেই স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
৫. সন্তানকে সবসময় আদেশ না করে তার করণীয় কাজ যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে। যে কোনো ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৬. সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সন্তানের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করুন এবং নিজদেরকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করুন।
৭. সন্তানকে সারাক্ষণ শুধু পড়ার কথা না বলে খেলাধুলা, বেড়ানো, বই পড়া ইত্যাদি সুস্থ বিনোদনের সুযোগ করে দিতে হবে।
৮. সন্তান কোন কিছু চাওয়ার সাথে সাথে তাকে তা দেওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। তাদের অন্যায় আবদার পূরণ করা যাবেনা।
৯. বয়স 18 বছর হওয়ার আগে সন্তানকে স্মার্টফোন দেওয়া যাবে না। বিনোদনের নামে সন্তান অপসংস্কৃতি ও ড্রাগ অ্যাডিকশন এর শিকার হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১০. সন্তানের বয়স 18 হলে পারিবারিক পরামর্শে তাকে অংশিদার করতে হবে।
১১. তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগের দক্ষ মানুষরূপে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
১২. সন্তানের নৈতিক মানসিক আর্থিক ও সৃজনশীল গুণাবলী বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করার সকল উপায় প্রয়োগ করতে হবে।
১৩. চাকরির পরিবর্তে সন্তানকে স্বাধীন পেশা গ্রহণের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
১৪. আগে সালাম দেওয়া ও হাত মেলানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
১৫. পরিবারে আর্থিক সামর্থ্য ও বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সন্তানকে যথাযথ ধারণা দিতে হবে। আর্থিক ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলা যাবে না।
১৬. সন্তানের উপর জীবনের লক্ষ্য চাপিয়ে দেওয়া যাবেনা। সিদ্ধান্ত নিতে তাকে সহযোগিতা করতে হবে।
১৭. সন্তানকে আদরের নামে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না এবং শাসনের নামে অত্যাচার করবেন না। আদর ও শাসন এর সমন্বয়ে তাকে বিকাশ হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
সফল হওয়ার জন্য সন্তান হিসেবে যা করণীয়
পরিবারের একজন শুধু সফল হওয়ার চিন্তা চেতনা করার চেষ্টা সাধনা করলে হবে না, সবাইকে একসাথে অগ্রসর হতে হবে। তাই পরিবার সফল করার জন্য সন্তান হিসেবেও কিছু করণীয় রয়েছে। সন্তান হিসেবে কি কি করবেন তা নিচে দেওয়া হল।১. পিতা মাতার প্রতি সম্মান করতে হবে সর্বদা এবং তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
২. পিতা-মাতার কোন ভুল আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়া যাবে না। আপনাকে মনে রাখতে হবে তাদের মাধ্যমে আপনি পৃথিবীতে এসেছেন।
৩. যেকোনো ভালো কাজে যাওয়ার আগে তাদের দোয়া নিতে ভুলবেন না।
৪. বয়োবৃদ্ধ মা বাবাকে নিজের শিশু সন্তানের মত যত্ন নিতে হবে।
৫. ঘরের কাজে নিজের সাধ্যমত সাহায্য করতে হবে।
পরিবারের বয়স্কদের প্রতি কি কি করনীয়?
১) বয়স্কদের প্রতি সর্বদা সহানুভূতিশীল হতে হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে এবং তাদের খাওয়া-দাওয়া চিকিৎসা আর্থিক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিতে হবে।২) পরিবারের বয়স্কদের আগে সালাম দিতে হবে। অর্থাৎ সব সময় তাদের সম্মান রাখতে হবে।
৩) পরিবারের ছোটদেরকে তার সঙ্গে গল্প করা সময় কাটানোর উৎসাহিত করতে হবে। এতে বড়দের সাথে ছোটদের একটা সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।
৪) বয়স্কদের সবসময় বলুন "আপনি ভালো আছেন" এবং তাদেরকে বুঝতে দিন যে "আমরা আপনার পাশে আছি"
৫) তাদেরকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে এবং পারিবারিক সিদ্ধান্তেই তার মতামত নিতে ভুলবেন না।
৬) একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সরাসরি কথা চাপাবেন না। যদি ক্ষতিকর অভ্যাস থাকে তাহলে তা বর্জনের জন্য তাকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৭) চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়লে তার প্রতি মানবিক ও সহযোগিতা পুরনো আচরণ করতে হবে।
তরুণ বয়সে করনীয় কি?
১) জ্ঞান অর্জন ও আত্ম উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টিকারী আবেগপ্রবণ সম্পর্ক পরিহার করতে হবে।২) নিজেকে অতি আবেগ পরিহার করে বাস্তবমুখী মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে।
৩) জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে হবে এবং সে লক্ষ্যে নিজের মেধা শ্রম ও সময়কে সর্বতোভাবে কাজে লাগাতে হবে।
৪) কোনভাবেই বিয়ের আগে বিবাহ পরবর্তী আচরণে জড়াতে যাবে না।
৫) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আকর্ষণ কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
আত্মনির্মাণ জন্য কি কি করবেন?
১) নিয়মিতভাবে শারীরিক ব্যায়াম করুন।২) সৎসঙ্গের যত বেশি সম্ভব মেধা শ্রম ও সময় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৩) আত্ম উন্নয়নের জন্য যে আলোচনা হয় তাতে অংশগ্রহণ করুন।
৪) নিয়মিত দান সদকা মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকুন।
৫) মাঝে মাঝে ভ্রমণ করুন।
৬) প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। ভার্চুয়াল ভাইরাস, স্মার্টফোন, ফেসবুক-ইউটিউব, ওয়েব সিরিজ, ভার্চুয়াল গেম ও ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
সামাজিক ক্ষেত্রে করণীয় গুলো কি কি?
মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজে চলতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন-১) আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
২) অসুস্থতা সমস্যাগ্রস্ত বন্ধু আত্মীয় ও প্রতিবেশীর খোঁজখবর নিতে হবে এবং তাদের জন্য দোয়া করতে হবে।
৩) ঈদ বা আনন্দ উৎসবে আত্মীয়দের সাধ্যমত ছোটখাটো উপহার দেওয়ার অভ্যাস করুন।
৪) গৃহকর্মীর ও নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান দান চেষ্টা করুন।
৫) সামাজিক মেলামেশা কথাবার্তা ও আচার-আচরণে স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করতে হবে। সর্ব অবস্থায় মার্জিত ভাব বজায় রাখতে হবে। নিজেকে বিরক্তিকর করে তোলা যাবে না।
৬) নিজের মত তর্ক বা জোর করে অন্যের উপর চাপানোর চেষ্টা করা যাবে না।
৭) অহেতুক অন্যের প্রতি সমালোচনামূলক মানসিকতা পরিহার করতে হবে।
৮) স্বার্থান্বেষী প্রতারক ও অন্যায় কারী পরিচিতদের সঙ্গে মানসিক সম্পর্ক ছেদ করতে হবে।
৯) সামাজিক অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়া নেওয়া প্রথা পরিহার করতে হবে।কেননা উপহার তাই, যা স্বেচ্ছায়, আনন্দচিত্তে, নিঃশর্তভাবে, দেওয়া হয়।
কর্মক্ষেত্রে কি কি করবেন?
**সবাইকে আগে সালাম দেওয়া ও হাত মেলানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।**পেশাগত ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির রাখুন এবং পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সদা সচেষ্ট থাকুন। লক্ষ্য অনুসারে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে অগ্রসর হতে থাকুন। লক্ষ্য অর্জনের প্রতীতি ধাপ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখুন।
**আর আপনার পেশা যদি নিজের অন্তর্নিহিত গুণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তাহলে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে। যেমন মেজাজ খারাপ থাকে, সহকর্মীদের সাথে দ্বন্দ্ব বাজে, প্র অ্যাক্টিভ আচরণে পরিবর্তে রিএকটিভ আচরণ সৃষ্টি হতে পারে এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তাই সর্ববস্থায় বাস্তববাদী ও প্র অ্যাক্টিভ থাকতে চেষ্টা করুন।
**সবক্ষেত্রে বিনয়ী হন। স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন, কোন অন্যায় কাজের সাথে হবেন না। কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতার পরিচয় দিন।
বন্ধুত্ব সম্পর্ক ও করণীয় কি?
১) বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। চিন্তা মত ও লক্ষ্যে মিল রয়েছে এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। মনে রাখুন, সৎসঙ্গে নিবেদিত সদস্যদের বন্ধু হিসেবে অগ্রাধিকার দিন।২) ওয়াদা ও আমানতদারি রক্ষা করে চলুন।
৩) বন্ধুদের প্রতিদানের আশা না দিয়ে সাধ্যমত সহযোগিতা করতে হবে।
৪) অন্যের প্ররোচনায় সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিবেচনা করুন এবং সম্পর্কচ্ছেদ করবেন না।
৫) ঈর্ষান্বিত হবেন না।
৬) ভুল বোঝাবুঝি হলে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলতে হবে।
৭) কি পেলেন তা না ভেবে কি দিতে পারেন তা নিয়ে ভাবতে থাকুন।
৮) বোকা ও নেতিবাচক মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা অসৎ সঙ্গ সবসময় সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৯) অতিরিক্ত বন্ধু বাৎসল্য দেখাতে গিয়ে নিজের জীবনের লক্ষ্যকে বিসর্জন দেওয়া যাবে না।
সফল হওয়ার সুত্রগুলো কি?
সকল জীবনই সফল, সব জীবনই সুন্দর। আপনার মতো আর কেউ নেই এবং আমার জীবনটাই সবচেয়ে সুন্দর। আমার জীবন সফল জীবন। এই ভাবে ভাবতে শিখুন। দেখবেন জীবন রাতারাতি বদলে গেছে। জীবন সফল হওয়ার সুত্রগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
১) যা ভাল লাগে তা করতে হবে।
২) কাজকে ভালোবাস, কাজের ফলকে নয়। কাজকে উপভোগ কর, ফলের আশা করে কাজ করো না।
৩) প্রচুর পড়াশুনা করা।
৪) শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, সমাজবেসা, মানুষের সেবার চর্চা করা।
৫) নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রেখে জীবন পরিচালনা করা।
৬) স্বাস্থ ভালো রাখা।
৭) যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। নিজেকে প্রকাশ করতে শেখতে হবে।
৮) প্রচন্ড সাধনা করতে হবে।
৯) ব্যার্থতায় ভেঙে পড়া যাবে না।
১০) ছুটাছুটি না করা। অর্থাৎ স্থিরভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া।