আপনার যদি কোন দক্ষতাই না থাকে তাহলে মোবাইল/কম্পিউটার কেন? পৃথিবীর সবচেয়ে নামি-দামি প্রযুক্তি মেশিন দিলেও এক টাকা আয় করতে পারবেন না। আর যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনার হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ডিভাইসটি দিয়ে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এখন প্রশ্ন করতে পারেন ভাই, আমিতো মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় খুঁজছি। তাহলে শুনুন-
মোবাইল দিয়ে
অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান? সেক্ষেত্রে এই মোবাইল লার্নিং গাইড অনুসরণ করুন। এই ইনফোটিতে
আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায় এবং কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা
ইনকাম করা যায়। আপনি নিজের ঝুঁকিতে এই পদ্ধতিগুলি চেষ্টা করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়গুলো কি কি?
আপনার কি
দক্ষতা রয়েছে যে, আপনি মোবাইলে আয়র করার কথা ভাবতেছেন? বর্তমানের স্মার্টফোনগুলো অনেক
স্মার্ট এবং কম্পিউটারের প্রায় সবকাজগুলো স্মার্ট মোবাইলগুলো দিয়ে করা যায়। তাই এই
বিষয়ে আপনার কোন কাজগুলো ভালো জানা আছে? যে কোন কাজ জানা থাকলে আপনি মোবাইল দিয়ে আয়
করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে
অর্থ উপার্জনের একাধিক উপায় বা পদ্ধতি রয়েছে। আপনার হাতে যদি একটি ফোন এবং ইন্টারনেট
সংযোগ থাকে তবে আপনি এখনই মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে নেমে যেতে পারেন। এখানে মোবাইল
দিয়ে অর্থ উপার্জনের উপায়গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
- ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে চ্যালেনে আপলোড করে
- ব্লগিং করে
- ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে
- ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে
- অনলাইন টিউশন করে
- ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা
- রেসেলিং ব্যবসা করে
- ইনস্টাগ্রাম থেকে
- মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে
- বিনিয়োগ সাইট অর্থ বিনিয়োগ করে
- ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে
- গাড়ি চালিয়ে
- অর্থ উপার্জন মোবাইল অ্যাপস দিয়ে
- মোবাইল দিয়ে আয় পেমেন্ট বিকাশে
অনলাইনে আয়
করার হাজারো মাধ্যম রয়েছে। আপনি যে মাধ্যমে আয় করতে চান সেই সম্পর্কে সঠিক এবং ক্লিয়ার
ধারণা থাকতে হবে। নচেৎ ইনকামতো হবেই না বরং সময় ও অর্থের ক্ষতি হবে।
ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
আপনার হাতের
স্মার্টফোনটি বেশ শক্তিশালী। কেনন এটি দেয় ভিডিও রেকর্ড করা থেকে শুরু করে এডিটিং করে
তা ইউটিউব চ্যালেনে আপলোড করতে পারেন। অর্থাৎ ভিডিও রেকর্ডিং থেকে ভিডিও এডিটিং এবং
আপলোড করার পুরো প্রক্রিয়া মোবাইল ফোনে করা যাবে।
মোবাইল দিয়ে
ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে অর্থ উপার্জন
করা সম্ভব। এছাড়াও, আপনি যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক গ্রাহক (সাবসক্রাইবার) পান তবে স্পন্সর
করা ভিডিওগুলির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।তবে মনে রাখবেন, ইউটিউব থেকে আয় করতে
হলে আপনাকে অনেক পরিশ্রমি হতে হবে।
কেননা ইউটিউব
থেকে আয় করতে হলে অনেক কিছু বিষয় জড়িত রয়েছে। যেমন- ইউটিউব চ্যালেন খোলা, YouTube SEO, কিওয়ার্ড রিচার্স ও টপিক
নির্বাচন, ইউটিউবের
শর্ত পূরণ ইত্যাদি।
আপনি
একটি YouTube ভিডিও তৈরি সম্পর্কে কি মনে করতেছেন?
বর্তমানে ইউটিউবে সব ধরনের ভিডিও
কনটেন্টের চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে।
যে কেউ একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করে মোবাইলে ভিডিও তৈরি করে মোবাইলে ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
ইউটিউব
চ্যানেলে গুগল অ্যাডসেন্স যোগ করার প্রক্রিয়াটিকে ইউটিউব মনিটাইজেশন বলা হয়। একটি YouTube চ্যানেল মনিটাইজেশন করার জন্য প্রয়োজন হয় গত এক বৎসরে চার হাজার
ঘন্টা ওয়াচটাইম অর্থাৎ এক বৎসরের মধ্যে আপনার চ্যালেনের ভিডিওগুলো ৪০০০ ঘন্টা দেখা
হওয়া লাগবে এবং মোট এক হাজার সাবসক্রাইবার থাকা লাগবে।
সহজভাবে বলতে
গেলে আপনার ইউটিউব চ্যালেনে গত 365 দিনে 4,000 ঘন্টা দেখার সময় এবং মোট 1000 সাবসক্রাইবার হলে চ্যালেনটি মনিটাইজেশন
করতে পারবেন। অর্থাৎ আয় শুরু হবে।
এছাড়াও আপনার
ইউটিউব চ্যালেনটি বড় হলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমানে টাকা আয় করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে
ব্লগিং
করে
টাকা
আয়
করুন
অনলাইনে
লেখার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটি মাথায় রেখে, আপনিও আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একটি ব্লগ খুলতে পারেন। আপনি যদি আপনার ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন পেতে পারেন তাহলে আয় শুরু হবে।গুগল এড ছাড়াও আরো অনেক এড নেটওয়ার্ড
রয়েছে। সেগুলো সাইটে যুক্ত করে আয় শুরু করতে পারেন।
ব্লগিং
শুরু করতে প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার বা অন্য কোন
ব্লগিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনার নিজস্ব ব্লগিং সাইট সেট আপ করে নিতে হবে। তারপর
ধীরে ধীরে কন্টেন্ট পোস্ট করুন এবং ব্লগে পর্যাপ্ত মানের কন্টেন্ট থাকলে গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।
গুগল
অ্যাডসেন্স অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও ব্লগে স্পন্সর পোস্ট এবং অ্যাফিলিয়েট পোস্টিং এর মাধ্যমে আয়ের
সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য,
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে হলে প্রথমে ব্লগের ডোমেইন ও হোস্টিং করতে
কিছু টাকা খরচ হবে। আপনি যদি এটি বহন করতে অক্ষম হন তবে আপনি
একটি ফি ডোমেইন দিয়ে ব্লগ তৈরি করে লিখতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করবেন কিভাবে?
ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজ নয়। ফ্রিল্যান্সিং হল কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করার প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ফ্রিল্যান্সাররা মোবাইলের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে।
আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলি হল:
* আর্টিকেল রাটিং বা বিষয়বস্তু লেখা
* অনুবাদ (Translation)
* কপিরাইটিং (Copywriting)
* ব্লগ মন্তব্য (Blog comments)
* ফোরাম পোস্টিং (Forum posting)
* ভার্চুয়াল সহকারী (Virtual Assistant)
* প্রুফরিডিং (Proofreading)
* পণ্যের বর্ণনা লেখা (Writing product
descriptions)
* ট্রান্সক্রিপশন (Transcription),
ইত্যাদি
উপরোক্ত কাজগুলোতে
যত দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন ততই কাজ করে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এই কাজগুলোতে
দক্ষতাই মূল সম্পদ।
ছবি এবং
ভিডিও
বিক্রি
করে
মোবাইল
দিয়ে
অর্থ
উপার্জন
করবেন
কিভাবে?
আপনার হাতের ফোনটি যদি ভালো ছবি তুলতে সক্ষম হয় এবং ফটোগ্রাফি সম্পর্কেও আপনার ধারণা থাকে, তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। গ্রাফিক্স বা ছবি কিংবা ভিডিও তৈরি করে তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। তাও আবার অনলাইনে আপনার মোবাইলে মাধ্যমে।
হতে
পারে ফটোগ্রাফি আপনার প্রিয় শখগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই এই
শখ ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ছবি ও ভিডিও বিক্রি
করে এমন অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। এই ধরনের মোবাইল
ফটোগ্রাফি বিক্রির জন্য কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা পরিষেবা নিচে
দেওয়া হলো।
স্টক
ইমেজ ছাড়াও, প্রায় সব ধরনের ইমেজ
এই সাইটগুলোতে বিক্রি করতে পারবেন। ছবি
ট্রেড করা সাইট থেকে আপনি যে ধরনের ছবিই
তুলুন না কেন, এসব
সাইটে মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে অনলাইন টিউশনের মাধ্যমে টাকা আয় করবেন কিভাবে?
ইন্টারনেটের
সহজলভ্যতার কারণে অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব অনেকগুণ বেড়েছে। আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হন, তাহলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষার্থীদেরককে বিষয় শিখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইন
টিউশন ছাড়াও, আপনি বিভিন্ন কোর্স তৈরি করতে পারেন, যা বিক্রি করে
আয় করা যায়। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ
সেই বিষয়ে পরামর্শক হিসাবে কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। মূলকথা হলো আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ
হলেই সেই বিষয়ে একাধিক আয়ের পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
মনে করুন,
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বোঝেন। সেক্ষেত্রে আপনার আয়ের একাধিক উপায় রয়েছে, এমনকি মোবাইল দিয়েও। প্রথমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল
মার্কেটিং সেবা দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং শিখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
সুতরাং অনলাইনে
টিউশনি বা মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের বিষয় শিক্ষা দিয়ে আয় করা অসম্ভব কিছুই নয়।
ফেসবুকে ই-কমার্স করে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার উপায়
আগে
একটি ব্যবসা শুরু করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা লাগত।
তবে এখন ঘরে বসেই ফেসবুক ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স
শুরু করা সম্ভব। দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অসংখ্য। তাই ই-কমার্স ব্যবসার
ক্ষেত্রে, প্রতিটি ফেসবুক ব্যবহারকারী আপনার গ্রাহক হতে পারে।
কিছু
পণ্য কেনার জন্য আপনাকে Facebook ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসায়
বিনিয়োগ করতে হবে। তারপরে আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পৃষ্ঠার
ক্যাটালগে পণ্যটি যুক্ত করে দিন এবং বিক্রয় হতে পারে এমন জায়গায় শেয়ার করুন। ব্যবহারকারীরা ইচ্ছুক থাকলে আপনার পণ্য বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবে না।
বর্তমানে
অনলাইনে কেনাকাটার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে ফেসবুকের অনলাইন শপ পেজ থেকে
পণ্য কেনার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আপনিও সরবরাহের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মোবাইল দিয়ে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ই-কমার্স
করার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র পন্য ক্রয় করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। অফিস বা দোকান ভাড়া
করার প্রয়োজন হবে না। ঘরে বসে ই কমার্স শুরু করতে পারে কোন প্রকার বাড়তি খরচ ছাড়াই।
ফেসবুক মনিটাইজেশন
করে
মোবাইল
দিয়ে
টাকা
আয়
ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও রয়েছে টাকা আয় করার মনিটাইজেশন সুবিধা। ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করে পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনিটাইজ সুবিধা নেওয়ার জন্য পেজের ফলোয়ার কমপক্ষে দশ হাজার এবং কমপক্ষে ৫ টি সক্রিয় ভিডিও এবং গত দুই মাসে ছয় লক্ষ মিনিট ভিডিও দেখার সময়।
ফেসবুকে মনিটাইজ করার জন্য লাগবে-
গত 60 দিনে 600,000 মিনিট দেখার সময়
কমপক্ষে 5টি সক্রিয় ফেসবুক
ভিডিও
পেজ ফলোয়ার ১০ হাজার।
আপনি
Facebook এবং YouTube
এর জন্য একই বিষয় নিয়ে তৈরি করতে পারেন এবং দুটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যালেন
পরিচালনা করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে
সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি।
Facebook
থেকে আয়ের একাধিক মডেল রয়েছে, যেমন ইন-স্ট্রীম বিজ্ঞাপন, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র্যান্ডেড
কন্টেন্ট এবং সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। যেহেতু ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করা সহজে ভাইরাল করা
যায়, তাই ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করা একটি অপেক্ষাকৃত সহজ কাজ ইউটিউব মনিটাইজেশন করার
থেকে।
রেসলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করবেন কিভাবে?
বর্তমান সময়ে
রেসেলিং ব্যবসাকে
সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা
হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধরুন আপনি 50 টাকায় এক ডজন কলম
কিনলেন এবং 75 টাকায় বিক্রি করলেন। আপনি যত বেশি দামে
বিক্রি করবেন, আপনার লাভ তত বেশি হবে। এটি
মূলত রেসলিং ব্যবসার মডেল।
আপনি
অনলাইনে একটি দোকান খুলতে পারেন এবং পণ্য তালিকা করতে পারেন। তারপর যখনই আপনি অর্ডার পাবেন, আপনি সস্তায় পণ্যটি কিনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবেন। পুনঃবিক্রয় ব্যবসার সুবিধা হ'ল পণ্যটি
সংরক্ষণ করতে আপনাকে কোনও অর্থ ব্যয় করতে হবে না। আপনি শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করে বাড়িতে থেকে এই ব্যবসা করতে
পারেন।
কমদামে পন্য
ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রয় করবেন। এর জন্য আপনাকে আগে থেকে পন্য ক্রয় করে স্টোর করে
রাখার প্রয়োজন হবে না।
ইনস্টাগ্রাম থেকে
মোবাইল
দিয়ে
আয়
করার
উপায়
ইনস্টাগ্রাম শুধুমাত্র একটি ছবি বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি থেকে অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব। একাধিক উপায়ে ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করা যায়। ইনস্টাগ্রামে একটি লাভজনক মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিংবা লাভজন প্রোফাইল তৈরি করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা হচ্ছে-
* একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল বায়ো তৈরি করা
* নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্ট করুন
* পদের মান বজায় রাখুন
* অন্যান্য
অনুরূপ প্রোফাইলের সাথে সংযোগ স্থাপন করা
* অনুগামীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা ইত্যাদি।
Instagram থেকে
অর্থ উপার্জন বা টাকা আয় করতে আপনার একটি মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। কেননা মোবাইল দিয়ে ইনস্টাগ্রাম থেকে অর্থ উপার্জনের কিছু উপায় রয়েছে। যেমন-
টাকার বিনিময়ে অন্যের অ্যাকাউন্টের প্রচার করে
স্পন্সর দ্বারা পোস্ট করা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা
নিজস্ব পণ্য বিক্রি করে আয় করা ইত্যাদি।
অন্যান্য
সমস্ত প্ল্যাটফর্মের মতো, ইনস্টাগ্রামে বিষয়বস্তুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি
এই চাহিদা অনুযায়ী বিষয়বস্তু সরবরাহ করতে পারেন, তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার
Instagram প্রোফাইল জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং আপনি উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। ইন্সটাগ্রাম
প্রোফাই যত বেশি জনপ্রিয় হবে আপনার আয়ও তত বেশি পরিমানে বেড়ে যাবে।
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট
থেকে
মোবাইল
দিয়ে
টাকা
আয়
করুন
কিছু
সাইট অনেক সাধারণ কাজের জন্য অর্থ প্রদান করে থাকে, যেমন পোস্ট শেয়ার করা, ভিডিও দেখা, মন্তব্য করা, অ্যাপ ইনস্টল করা ইত্যাদি। এই সাইটগুলিকে মাইক্রোওয়ার্ক
সাইট বলা হয়।
এই
সাইটগুলির সুবিধা হল যে কেউ
এই সাইটগুলি থেকে যে কোনও ডিভাইস
এমনকি মোবাইল দিয়েও অর্থ উপার্জন করতে পারে। অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করার জন্য আপনি
এই সাইটগুলোতে সাইট আপ করে টাকা আয় করতে পারেন।
অতি সাধারণ
এবং অনলাইন দুনিয়ায় খুবই জনপ্রিয় এমন দুটি সাইট হচ্ছে-
পিকোওয়ার্কার,
ইত্যাদি।
বিনিয়োগ বা ট্রেডিং সাইট থেকে মোবাইলের মাধ্যমে আয়
আমরা
সবাই জানি যে টাকা রাখার
বিনিময়ে ব্যাংক সুদ কিংবা ইন্টারেস্ট দিয়ে থাকে।
কিন্তু একটি ব্যাংক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পেতে, আপনার বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। এছাড়াও অনেকের আগ্রহ অপছন্দ। ইসলামে সুদ হারাম হওয়ায় বিশাল
মুসলিম জনগোষ্ঠি সুদকে পরিহার করে থাকেন।
তবে বর্তমানে
অনেক ব্যাংক রয়েছে যেখানে সুদ ছাড়াই বিনিয়োগ করা যায়। এছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে
যারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের বিপরীতে ল্যাভ্যাংশের প্রস্তাব দেয়। একইভাবে কিছু বিনিয়োগ
ওয়েবসাইটও রয়েছে।
বিনিয়োগ সাইটগুলি এখন অর্থ বিনিয়োগের বিনিময়ে আপনাকে লাভের প্রস্তাব দিতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ সতর্ক
থাকতে হবে যে, যেখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন সেখানে কি কোন প্রতারণা রয়েছে কিনা সেই
ব্যাপারে।
কেননা অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইট থাকলেও
অনেক
ইনভেস্টমেন্ট
সাইটের
পেছনে
প্রতারণার
সম্ভাবনা
থাকে। তাই যেকোন
ইনভেস্টমেন্ট সাইটে কোন টাকা ইনভেস্ট করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে সাইটটি প্রতারণাপূর্ণ
নাকি আসলে কাজ করে।
ডেলিভারি সার্ভিসের
মাধ্যমে
মোবাইল
দিয়ে
টাকা
আয়
করার
উপায়
বাংলাদেশে
অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনি ডেলিভারি পরিষেবা প্রদানের জন্য জনবলের প্রয়োজনও বহুগুণ বাড়ছে। আপনার হাতে যদি একটি সাইকেল বা একটি বাইক
এবং একটি স্মার্টফোন থাকে, তাহলে আপনি ফুডপান্ডায় যোগ দিতে পারেন, ইজি ফুডের মতো একটি খাদ্য সরবরাহ পরিষেবা।
এই ডেলিভারি সার্ভিসটি
পার্ট-টাইম এবং ফুল-টাইম কাজ করে, আপনি যেভাবে চান তা করতে পারেন।
অর্থাৎ এই টাইপের কোম্পানীগুলোতে আপনি পার্ট-টাইম কিংবা ফুল-টাইমে কাজ করে টাকা আয়
করতে পারেন। কেননা এই সকল কোম্পানী এই কাজের জন্য পার্ট-টাইম, ফুল-টাইম কাজের অফার
করে থাকে।
গাড়ি ড্রাইভ করে
মোবাইল
দিয়ে
আয়
করার
উপায়
সম্প্রতি
দেশে রাইড শেয়ারিং সেবা যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আপনার যদি একটি রাইড-শেয়ারিং গাড়ি এবং একটি স্মার্টফোন থাকে তবে আপনি এখনই উপার্জন শুরু করতে পারেন। রাইড শেয়ারিং সম্পর্কে বিস্তারিত
না জানলে আমাদের সাইটের অন্য লেখাটি পড়তে পারেন।
উবারের
মতো রাইড শেয়ারিং পরিষেবাগুলিতে পার্টটাইম কাজ করতে পারেন। আপনি যদি আয়ের ভিন্ন উৎস খুঁজে থাকেন, তাহলে ড্রাইভিং রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারেন।
দেশের শহর
ও নগরগুলোতে রাইড শেয়ারিং পরিষেবাগুলো এখন বেশ জনপ্রিয়। আর রাইড শেয়ারিং শুরু করার
জন্য উবারের মতো পরিষেবায় যুক্ত হতে হবে মোবাইলের মাধ্যমে। সুতরাং এই উপায়ে গাড়ি ড্রাইভ
করে মোবাইলের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে
টাকা
আয়
করার
মোবাইল অ্যাপ
প্লে-স্টোরগুলোতে
মোবাইল দিয়ে আয় করার অনেক অ্যাপ থাকলেও খুব কম অ্যাপই টাকা
আয় করার সুযোগ দিযে থাকে। এই অ্যাপস থেকে
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব না হলেও হাত
খরচের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জনের কিছু উল্লেখযোগ্য অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
পকেট
মানি: এই অ্যাপে আপনি
বিভিন্ন গেম খেলে, সার্ভে শেষ করে এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি অন্যদের অ্যাপে রেফার করলেও 160 টাকা পর্যন্ত বোনাস পেতে পারেন। মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমে টাকা তোলা যাবে।
পোল পে: এই অ্যাপটি
মূলত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীর মতামতের জন্য অর্থ প্রদান করে। এটি একটি মতামত এবং উত্তর পুরস্কার অ্যাপ। অর্জিত ক্রেডিট Google Play,
Netflix, Amazon, Xbox ইত্যাদি
থেকে উপহার কার্ড (গিভ কার্ড) হিসাবে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে এই উপহার কার্ডটি
ব্যবহার বা বিক্রি করতে
পারেন।
Google Opinion Rewards: মোবাইল
দিয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য এই অ্যাপটি খুবই
জনপ্রিয়। অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন সমীক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য গুগল প্লে রিওয়ার্ড প্রদান করে থাকে।
মোবাইল দিয়ে
বিকাশ অ্যাপ থেকে আয়
করার উপায়
বিশ্বাস না
হলেও বিকাশ অফার থেকে মোবাইলে টাকা আয় করা সম্ভব। বিকাশ থেকে অর্থ উপার্জন করা খুবই সহজ।
মূলত,
আপনি বিকাশ অ্যাপ রেফার করে বিকাশের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। বিকাশ অ্যাপ রেফার করে 100 টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যাবে।
বিকাশ
অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলে অর্থ উপার্জন করতে হলে নিচের কাজগুলো অনুসরণ করুন:
প্রথমে বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করুন এবং বিকাশ লোগোতে ডান ক্লিক করুন
'রেফার ডেভেলপমেন্ট অ্যাপ' অপশন থেকে 'রেফার' এ ক্লিক করুন
যেকোন মাধ্যমে অ্যাপ লিঙ্ক শেয়ার করুন, যেমন: এসএমএস, ই-মেইল, মেসেঞ্জার,
হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ইত্যাদি।
যে কেউ বিকাশ
অ্যাপের মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার
জন্য রেফারেল লিঙ্কটি ব্যবহার করে, 25 টাকা তাত্ক্ষণিক বোনাস পাবেন।
এরপর বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার রিচার্জ করলে বা ক্যাশ আউট
করলে আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক
বোনাস পাবেন। গ্রাহকরা মোট 50 টাকা বোনাস পাবেন।আর্থাৎ আপনার রেফার করা লিংকে
কেউ বিকাশ একাউন্ট খুললে সেও বোনাস পাবে এবং আপনিও বোনাসও পাবেন।
শেষকথাঃ
আশাকরি মোবাইল
দিয়ে টাকা আয় করার উপায়গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। উল্লেখিত মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জনের 14টি উপায়ের মধ্যে
কোনটি আপনার প্রিয়? তা আমাদের মন্তব্য বিভাগে জানান। এছাড়াও আমাদের সাথে আপনার ধারনা শেয়ার করুন! যে কোন মন্তব্য আমরা গুরুত্বের সাথে
বিবেচনা করে থাকি।
আপনার জান্য আরো:
বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট খুলে ভেরিফাই করবেন কিভাবে?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবে কিভাবে?
ফেসবুক িইন্সট্যান্ট আর্টিকেল কি? কিভাবে আয় করবেন?
ফেসবুক মার্কেটিং কি? কেন বাংলাদেশে এর গুরুত্ব অনেক বেশি?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন