যরা ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যালেনে নিজের ক্যারিয়ার করেছেন কিংবা করার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন, তাদের জন্য ”গুগল এডসেন্স (Google Adsense) নির্দেশিকা গাইডলাইন” সম্পর্কে জানা এবং তা অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্দেশিকা না মানার কারণে অনেকেই ব্লগিং করে সফলতা অর্জন করতে পারেন না। অর্থাৎ গুগল এডসেন্স অনুমোদন পান না কিংবা পেলেও অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে “গুগল এডসেন্স (Google Adsense) নির্দেশিকা গাইডলাইন” মেনে না চলা।
আপনার যদি
ইতিমধ্যে গুগল এডসেন্স একাউন্ট অনুমোদন করা থাকে তাহলে আপনার জন্য গুগল গাইডলাইন মেনে চলা খুবই
জরুরী। কেননা এই গাইডলাইন মেনে না চললে যে কোনো সময় আপনার ” গুগল এডসেন্স (Google
Adsense)” একাউন্টটি ডিজেবল/ সাসপেন্টড হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও যারা নতুন এডসেন্স একাউন্ট খুলতে
চান, তাদেরকেও আগে থেকে এই গাইডলাইন অনুসারে চলতে হবে। তা না হলে একাউন্ট অনুমোদন হবে না।
অনেকে আবার
এমন রয়েছে যে, গুগল এডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার জন্য গাইড লাইন অনুসরণ করে। যখন
গুগল এডসেন্স অনুমোদন হয় এবং সাইটে আয় শুরু হয়, তখন অনেক টাকা আয় করার জন্য গাইডলাইন
অনুসরণ করতে ভুলে যান। ফলে কয়েকদিনের মধ্যে গুগল এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যায়।
তাই, আপনাকে
মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আয় করতে হলে সৎ মনোভাব নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। অসৎ চিন্তা-ভাবনা
থাকলে সফলতা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
আরো জানুন:
বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করবেন কিভাবে
ইউটিউব চ্যালেন খুলে আয় করবেন কিভাবে?
সাইটের কোন কারণগুলোর জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হয়?
গুগল এডসেন্স
সাধারণত তাদের প্রোগ্রাম পলিসি না মানার কারণে একাউন্ট ডিজেবল করে থাকে। আর আপনার একাউন্ট
একবার ডিজেবল হলে পর্বতীতে আর কখনো এডসেন্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন না। তাই গুগল
এডসেন্স একাউন্ট ঠিক রাখতে আপনাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
যে কারণে
গুগল এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হতে পারে তা নিম্নরুপঃ
১) কপিরাইট
মেটারিয়াল
২) ডিসেপটিভ
লেআউট
৩) এক্সপ্লেসিট
টেক্স
৪) Ad মিসলেবেলিং
৫) সেক্সচুয়াল
কনটেন্ট
৬) আননেচারাল
এটেন্টশন
৭) ভায়োলেন্ট
কনটেন্ট
৮) ওয়েবমাস্টার
গাইডলাইন না মানা ইত্যাদি।
এইগুলো যদি
আপনার সাইটে থাকে তাহলে গুগল আপনাকে প্রথমে ওয়ার্নিং দিবে। গুগল এডসেন্স থেকে একটি
ইমেইল পাবেন এবং এডসেন্স একাউন্ট প্রবেশ করলে নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন। এই নোটিফিকেশনে
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার সাইটের সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়।
গুগল থেকে ওয়ার্নিং পেলে করণীয় কি?
আপনার এডসেন্স
একাউন্ট অনুমোদন হয়েছে। এডসেন্স থেকে আয়ও হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে এডসেন্স থেকে আপনাকে
সতর্ক নোটিশ দেওয়া হলো। বলা হলো যে, আপনার সাইটে উপরের উল্লেখিত যে কোন এক বা একাধিক
সমস্যার কারণে আপনার একাউন্ট ডিজেবল করা হলো। তখন কেমন লাগবে?
যারা নতুন,
তারা অবশ্য এই রকম মেইল মেইলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বেন। এটাই স্বাভাবিক। তবে আশার কথা হলো
গুগল সাধারণত আপনাকে সতর্ক না করে সরাসরি একাউন্ট ডিজেবল করবে না। আগে আপনাকে
ওয়ার্নিং করবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো ঠিক করতে বলবে। আপনি যদি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান করতে না পারেন, তাহলে গুগল আপনার এডসেন্স একাউন্ট
বাতিল করে দিবে।
তাই, যে ইমেইল
দিয়ে এডসেন্স একাউন্ট খুলবেন, সেই মেইলটি সবসময় আপটুডেট রাখবেন। গুগল এডসেন্স একাউন্ট
থেকে যে কোন ধরণের মেইল আসলে যেন সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
ওয়ার্নিং
কোনো মেইল আসলে প্রথমে সেই মেইলটি গুরুত্বসহকারে পড়ুন। জানার চেষ্টা করুন কি কি সমস্যা
হয়েছে। এছাড়াও গুগল এডসেন্স (Google Adsense) একাউন্ট লগইন করে পলিসি সেন্টার দেখুন
এবং দ্রুত সমস্যা সমাধান করে রিভিউ করার জন্য সাবমিট করুন।
কপিরাইট কিংবা
সেক্সচুয়াল কনটেন্ট এর জন্য আমি রিভিউ সাবমিট করেছিলাম। একদিন পর রিভিউয়ের রেজাল্ট
দিয়েছিল। সমস্যা সমাধান হয়ে গেল আপনার একাউন্ট পলিসি সেন্টারে কোন ইস্যু থাকবে না।
তাই নিয়মিত পলিসি সেন্টারে চোখ রাখুন।
একাউন্টের পলিসি সেন্টার আপনাকে কিভাবে সাহায্য করে?
আপনার যদি
গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকে, তাহলে ড্যাসবোর্ড এ দেখবেন পলিসি সেন্টার
নামে একটি মেনু রয়েছে। আপনার সাইটে কোন সমস্যা থাকলে এখানে দেখানো হয়। সাইটে
কোন ধরণের সমস্যা এবং কোন লিংকে সমস্যাটি হয়েছে তার লিংক এখানে দেওয়া থাকে।
তাই আপনি
এই লিংক ফলো করে সহজেই সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন। সাইটের সমস্যাটি সমাধান করার পর
এখানে এসে Fix বাটন ক্লিক করে সাবমিট করুন। এক দুই দিনের মধ্যে রিভিউ টিম আপনার আবেদনটি দেখে অনুমোদন দিবে।
এছাড়াও গুগল এডসেন্স
এর এই পলিসি সেন্টার আপনাকে খুব সহজেই এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে সাহায্য করবে। যেমন
ধরুন, আপনার সাইটে অনেকজন রাইটার রয়েছে, কোন এক রাইটার হয়তো এমন একটি আর্টিকেল প্রকাশ
করলো যা গুগল এডসেন্স পলিসি অনুযায়ী বাতিল। এই পলিসি সেন্টার আপনাকে দ্রুত সমাধান করতে
সাহায্য করবে।
কেননা পলিসিতে
যায় না এমন কনটেন্ট প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে এখানে ইস্যু হবে এবং আপনাকে সমাধান করতে
বলা হবে। তখন এই পলিসি সেন্টার থেকে আপনি সহজেই সমাধন করতে পারবেন।
ওয়ার্নিং পেলে কিভাবে কাজ করবেন?
আপনি যদি
গুগল এডসেন্স থেকে ওয়ার্নিং ইমেইল পান তাহলে প্রথমেই সমস্যার কারণ নির্ধারণ করুন। মেইলে
সাধারণত কারণ উল্লেখ করা থাকে। এছাড়াও এডসেন্স একাউন্ট লগইন করে পলিসি সেন্টার দেখুন।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, গুগল এডসেন্স পলিসি সেন্টারে লিংক এবং অনেক ক্ষেত্রে স্ক্রিন
শর্টসহ দেওয়া থাকে সমস্যার কারণ। তাই সমস্যা জানার জন্য পলিসি সেন্টারের ওয়ার্নিং
ইস্যু বিবেচনা করুন।
যদি এখান
থেকে সমস্যার কারণ নির্ধারণ করতে না পারেন, তাহলে কোন ধরণের সমস্যার জন্য কি ধরণের
ওয়ার্নিং ইস্যু হয়ে থাকে তা জানুন। পলিসি সেন্টারের স্ট্যাটাসগুলো ভাল করে বুঝার জন্য গুগলের
বিভিন্ন ধরণের সমস্যার পলিসি সেন্টারের স্ট্যাটাস দেখুন।
মনে রাখবেন,
গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই গুগল এডসেন্স পলিসি অক্ষরে অক্ষরে পালন
করতে হবে। কেননা গুগল নীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন ছাড়া দেয় না। এছাড়া অন্যান্য যে
বিধিনিষেধ রয়েছে সেগুলোতে ছাড় পেতে পারেন। তবে সেগুলোতে আয় খুব কম হবে। অর্থাৎ বিধিনিষেধ
পেজগুলোতে গুগল এড খুব কম দেখাবে। ফলে আপনার আয়ও কম হবে।