ফ্রিজে গোস্ত রাখার ১০ টি উপায়: কুরবানীর মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন কিভাবে?

কোরবানি হয়ে গেল। এবার ঘরের সবচেয়ে বড় কাজ হলো ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করা। আপনাকে আবার ফ্রিজে মাংস মজুত করে রাখতে হবে। তাই ঠিকমতো মজুত না করলে রেফ্রিজারেটরে মাংস নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যার হতে পারে।ফ্রিজে গোস্ত রাখার ১০ টি উপায়: কুরবানীর মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন কিভাবে? তা নিয়ে আজকের এই ইনফোটি শেয়ার করা হলো।

ফ্রিজে গোস্ত রাখার ১০ টি উপায়: কুরবানীর মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন কিভাবে?

ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করার সময় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো- মাংস কতক্ষণ ফ্রিজে ভালো থাকে? কাঁচা মাংস সাধারণত ছয় মাস থেকে এক বছর ফ্রিজে থাকে। এ সময় মাংসের পুষ্টিগুণের খুব একটা পরিবর্তন হয় না। তবে এর চেয়ে বেশি সময় মাংস সংরক্ষণ করলে পুষ্টিগুণ ও স্বাদ দুটোই কমে যেতে পারে।

তবে আপনাকে রেফ্রিজারেটরে মাংস রেখে দিতে হবে কিছু নিয়ম মেনে। অর্থাৎ কিছু নিয়ম মেনে মাংস সংরক্ষণ করা হলে মাংসের মান ভালো থাকবে এবং ফ্রিজ পরিপাটি থাকবে। আসুন জেনে নেই কোরবানির পর মাংস ফ্রিজে রাখার ১০ টি উপায়-


ফ্রিজে মাংস রাখার ১০ টি নিয়ম

১) মাংস পরিষ্কার ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। আর কোরবানির আগে সবাই এই ফ্রিজ পরিষ্কারের কাজ করেছেন। পরিষ্কার করার পর তাজা বরফ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। এতে মাংস দ্রুত ঠাণ্ডা হবে এবং মানও ভালো হবে। আর পরিষ্কার ফ্রিজে রাখার ফলে রেফ্রিজারেটরে জমে থাকা ময়লা ও জীবাণু মাংস নষ্ট করতে পারবে না।

২) রেফ্রিজারেটরে মাংস সংরক্ষণ করার সময় সংরক্ষণের পদ্ধতি এবং তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাংস কাটার পর মাংস ফ্রিজে রাখা যাবে না। কারণ এ সময় মাংস খুব গরম থাকে। তাই তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ মাংস কাটার পর সেই মাংস ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে।

৩) কোরবানির মাংস ঘরে আনার পর রান, বুকের অংশ, পায়ের মাংস ভাগ করতে হবে। চর্বি থেকে মাংস আলাদা করুন। গরুর মাংস ও মাটন পাঁচ থেকে ছয় মাস ফ্রিজে রাখা যায়। লিভার ও মস্তিষ্ক ফ্রিজে না রেখে তাৎক্ষণিকভাবে রান্না করা ভালো। এগুলো বাসি রান্না করলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।

৪) বাড়িতে আনার পর মাংস অবশ্যই ধুয়ে, পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এতে মাংসের ময়লা ও অতিরিক্ত রক্ত ​​পরিষ্কার হয়। তারপর মাংসকে ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের ব্যাগ বা জিপলক এয়ারটাইট ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে।

৫) মাংস সরাসরি ফ্রিজে না রেখে ছোট প্যাকেটে রাখা ভালো। প্রতিবার বড় প্যাকেট বের করে বরফ সরিয়ে অল্প অল্প করে বাকিগুলো আবার রেখে দিলে মাংসের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাংসের প্যাকেট এমনভাবে করতে হবে যেন প্যাকেটের প্রায় অর্ধেক খালি থাকে।

৬) স্তম্ভের মতো সমানভাবে এবং সুন্দরভাবে প্যাকেটগুলি ভাঁজ করার চেষ্টা করুন। মাংস যখন রাখতে হবে তখন একটি প্যাকেটের মাঝখানে কাগজ দিয়ে আরেকটি প্যাকেট রাখতে হবে। বেশিক্ষণ ফ্রিজে রাখলে এক প্যাকেটের সঙ্গে অন্য প্যাকেট আটকে যাবে না। আপনি সহজেই ফ্রিজ থেকে মাংসের প্যাকেট বের করতে পারেন।

৭) মাংস সংরক্ষণের পর ফ্রিজে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখতে হবে। কারণ মাংস দ্রুত জমে যাবে। এই তাপমাত্রায় মাংসের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট ও অন্যান্য জীবাণু নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

৮) মাংস রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে পলিথিনের প্যাকেটে মার্কার দিয়ে তারিখ লিখুন। মাংস কতক্ষণ ফ্রিজে আছে তা সহজেই জানতে পারবেন। আপনি মাংসের প্যাকেট সমতল বা ট্যাগ করতে পারেন। যেমন মাংসের কিমা, লিভার, ব্রেন ইত্যাদি এটি পরে জানতে সাহায্য করবে।

৯) মগজ, মাংসের কিমা, কলিজা, ছোট মাংস ইত্যাদি রেফ্রিজারেটরের উপরে রাখুন। নীচে মাংস এবং হাড়ের বড় প্যাকেট রাখুন। বড় হাড় দিয়ে চাপে পিষে যেতে পারে এমন কিছু নিচে না রাখাই ভালো।

১০) কোন প্যাকেট আগে বের করতে হবে এবং কোনটি পরে প্যাক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে। খুব টাইট মাংসের প্যাকেট ফ্রিজে রাখা যাবে না। পরে জানতে সমস্যা হতে পারে। ফ্রিজকে ফ্রাইং প্যানে রাখা ঠিক নয়।

আরো জানুন:

যে সকল খাবার আপনার যৌন জীবন চাঙ্গা করবে?

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কেমন হওয়া জরুরী?

কোন কোন খাবার দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে?

দেহে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় কোন কোন খাবার?


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Emoticon
:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget