আজকে আমরা আলোচনা করব কুরবানীর ইতিহাস এবং একজন মানুষের কাছে কত টাকা থাকলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হয় সে সম্পর্কে। কুরবানী কার উপর ওয়াজিব অর্থাৎ কারা আবশ্যকীয়ভাবে কুরবানী দিবেন তা আমাদের মধ্যে অনেকেই সঠিক ধারণা পোষণ করেন না। চলুন এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য এই ইনফোটি থেকে জেনে নেই।
কুরবানী সম্পর্কে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের ভুল বিশ্বাস প্রচলিত হয়ে আসছে। অনেকেই আবার এমনও রয়েছে যে কুরবানী মানে তারা শুধুমাত্র পশু জবাই কে বুঝে থাকে। কুরবাণীর মূল যে উদ্দেশ্য তা অনেকেই আমরা বুঝি না। অনেক সমাজে আবার এটি লোক দেখানো একটি ট্রেডিশনাল ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। সুতরাং কুরবানী একটি ইবাদত এবং এটি যথাযথভাবেই পালন করতে হবে।
এখানে আমরা আলোচনা করবো কুরবানী কি? কুরবাণীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হয় এবং কার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব ইত্যাদি।
কুরবাণী কি?
কুরবানী শব্দের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন জিনিস উৎসর্গ করা। পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ২৭ নং আয়াতে এবং সূরা আহকাফের ২৮ নং আয়াতে কুরবানীর শব্দটি উৎসর্গ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
যেমন সূরা মায়েদার 27 নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, তখন তারা উভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন করল তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহীত হলো এবং অপরজনের উৎসর্গ গৃহীত হয়নি।
সুতরাং কোরআনের আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, কুরবানী অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন জিনিস উৎসর্গ করা। অর্থাৎ আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন সম্পদ উৎসর্গ করাকে কুরবানি বলা হয়।
শাব্দিকভাবে আরো বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, কোরবানি শব্দটি হিব্রু কোরবান আর সিরিয়াক ভাষায় কোরবানা শব্দটির সঙ্গে সম্পর্কিত যার আরবি অর্থ "কারো নিকটবর্তী হওয়া" যেহেতু কোরবানির মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নিকটবর্তী অর্থাৎ সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে তাই তাকে কোরবানি বলা হয়।
পারিভাষিকভাবে কুরবানী বলা হয়, নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্দিষ্ট পশু যবেহ করা। অর্থাৎ ঈদুল আযহার নির্দিষ্ট দিনে পশুর জবেহ করাকে কোরবানি বলা হয়। এই নির্দিষ্ট ঈদুল আযহার দিনগুলো ব্যতীত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোনো মুসলিম হালাল পশু যবেহ করতে পারে এটাকে ইসলামের যবেহ বলা হয়।
এছাড়াও হালাল কোন পশু আল্লাহর নামে যবেহ করে তার গুস্ত খাওয়া সকল মুসলিমের জন্য বৈধ। ঈদুল আযহার নির্দিষ্ট দিন ব্যতীত এটাকে শুধুমাত্র যবেহ বলা হয়।
কুরবানি ঈদ সম্পর্কে আরো ইনফো জানুন
কোরবানির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলামের কুরবানীর ইতিহাস সবচেয়ে প্রাচীন। পবিত্র কুরআনে হাবিল এবং কাবিলের উল্লেখ পাওয়া যায়। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সম্পদ উৎসর্গ করেছিলেন। হাবিল প্রথম মানুষ যিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম একটি পশু কুরবানী করেন।
ইবনে কাসীর বর্ণনা করেছেন যে, হাবিল একটি ভেড়া এবং তার ভাই কাবিল তার ফসলের কিছু অংশ আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। তখনকার যুগে আল্লাহর নির্ধারিত পদ্ধতি ছিল যে, আগুন আকাশ থেকে নেমে আসবে এবং গ্রহণযোগ্য কোরবানি গ্রহণ করবে।
হাবিল এবং কাবিল যখন তারা কুরবানী করেছিল, তখন আকাশ থেকে আগুন নেমে আসে হাবিলের যবেহ করা পশুটি কুরবানী গ্রহণ করে। অন্যদিকে কাবিলের ফসল কোরবানি প্রত্যাখ্যান করে। কাবিল এই ঘটনায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ও সামাজিকভাবে অপমানবোধ করে কুরবানী কবুল না হওয়ার বিষয়টিতে তার ভাই হাবিলকে হত্যা করে।
মানব ইতিহাসে এটি হচ্ছে প্রথম হত্যাকাণ্ড। কাবিল তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হওয়ায় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেননি। এই ঘটনাটা সূরা মায়েদার ২৭ নং আয়াতে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে " আর তুমি তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা করো, যখন তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করল। অতঃপর তাদের একজন থেকে গ্রহণ করা হলো আর অপরজন থেকে গ্রহণ করা হলো না। সে বলল, 'অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব' । অন্যজন বলল, 'আল্লাহ কেবল মুত্তাকিদের থেকে গ্রহণ করেন'।
ইব্রাহিম (আ:) এর ত্যাগ
ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী মহান আল্লাহতালা ইসলামের রাসুল হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে স্বপ্নযোগে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কুরবানী করার নির্দেশ দেন: স্বপ্নযোগে হযরত ইব্রাহিম (আ:) আল্লাহর নির্দেশনা পেয়ে প্রথমে ১০ টি উট কুরবানী করলেন।
পুনরায় তিনি একই স্বপ্ন দেখলেন। তখন ইব্রাহিম (আ:) আবার ১০০ টি উট কোরবানি করেন। এরপরেও তিনি একই সপ্ন দেখলেন। এই স্বপ্ন দেখে তিনি ভাবলেন এই মুহূর্তে আমার কাছে প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ:) ছাড়া আর কোন প্রিয় বস্তু নেই। তাই তিনি প্রিয় পুত্র হযরত ঈসমাইল (আ:) কে কুরবানী করার জন্য প্রস্তুতি নিলেন।
এবং তিনি প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ:) কে কুরবানীর উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানে যাত্রা শুরু করেন। যখন ইব্রাহিম (আ:) আরাফাত পর্বতের উপর তার পুত্রকে কুরবানী দেওয়ার জন্য গলায় ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে, তার পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তার পুত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আল্লাহর তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই দিবসটিকে ঈদুল আযহা নামে উদযাপন করেন। এটিই ইসলামের আজকের এই পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবাণীর ঈদ হিসাবে পরিচিতি লাভ করছে।
কোরবানির ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আযহার নির্ধারিত তারিখ
ইসলামে হিজরী ক্যালেন্ডার এর ১২ তম চন্দ্র মাসের জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১৩ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করার সময় হিসেবে নির্ধারিত। জিলহজ মাসের এই নির্ধারিত তারিখে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে পশু যবেহ করেন।
কুরবানী করার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, কোরবানির পশুকে অবশ্যই হালাল পশু অর্থাৎ গৃহপালিত পশু যেমন ছাগল, ভেড়া, গরু বা উট হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ঈদুল আযহার দিনগুলোতে অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের ১০-১২ তারিখের মধ্যে পশু যবেহ করতে হয়। এটাই মূলত ঈদুল আজহার কুরবাণী।
কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব?
কুরবানী করা একটি আর্থিক ইবাদত। সকল মুসলিম এই ইবাদত পালন করতে পারেন। তবে সবার জন্য এটি আবশ্যক নয়। কত টাকা থাকলে এই কুরবানী দেওয়া আবশ্যক অর্থাৎ যে পরিমাণ টাকা থাকলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব, কেবল সেই পরিমাণ টাকা থাকলে কেউ যদি কুরবানী না দেয় তাহলে সে গুনাগার হবে।
কুরবানী বছরে একবার দিতে হয় তাই অনেকেই জানেন না যে, কি পরিমান সম্পদ বা টাকা থাকলে কোরবানি করা আবশ্যক। এটি না জানার কারণে অনেকের উপর কোরবানি আবশ্যক হওয়া সত্ত্বেও কোরবানির মত গুরুত্বপূর্ণ একটি মহান ইবাদত থেকে বিরত থাকেন। কি পরিমান টাকা থাকলে কুরবানী করা আবশ্যক এই সম্পর্কে ইসলামিক স্কলারদের থেকে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে।
"পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের ১০-১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমান স্বর্ণ বা রুপা থাকে কিংবা নির্ধারিত পরিমান স্বর্ণ বা রুপার বাজারদর অনুযায়ী 50000 থেকে 4 লাখ টাকা থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক"
হিজরী বছরের জেলহজ মাসের ১০-১১ ও ১২ তারিখ কোরবানি পশুর জবাই করতে হয়। কোরবানি দেওয়ার শর্ত হল এ দিনগুলোতে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের খরচ ছাড়া অতিরিক্ত নেসাব পরিমান সম্পদ বা টাকার মালিক হলেই কেবল তার ওপরে কুরবানি আবশ্যক।
কুরবানীর নিসাব (সম্পদ বা টাকার পরিমাণ)
নির্ধারিত সম্পদ বা টাকার পরিমাণকে ইসলামী পরিভাষায় কুরবানীর নিসাব বলা হয়ে থাকে। কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য নিসাব হচ্ছে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা এর সমতুল্য সম্পদ কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা কিংবা তার সব মূল্যের সম্পদ থাকা।
ঈদুল আযহার কোরবানির দিনগুলোতে কারো কাছে এই নির্ধারিত মূল্যের সম্পদ থাকলে তার উপর কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব। এখানে বলে রাখা ভালো যে, অনেকেই আমাদের দেশে ঋণ করে কোরবানি দেন। ইসলাম এটাকে অনুমোদন করে না। কেননা কুরবানী না করে ঋণ পরিশোধ করাও ইসলামে পুণ্যের কাজ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে । আর এরকমভাবে কুরবানী দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব নয়।
আপনার কাছে যদি নির্ধারিত পরিমান সম্পদ না থাকে তাহলে আপনার উপর কুরবাণী করা আবশ্যক নয়। নির্ধারিত সম্পদ বলতে কুরবানীর নিসাব। অর্থাৎ সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫৩ তোলা রুপা বা তার সমতুল্য সম্পদ কুরবানীর দিনগুলো আপনার কাছে অতিরিক্ত হিসাবে থাকলে আপনার উপর কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব।
স্বর্ণের নিসাব ও মূল্যের বিবরণ
কেউ যদি স্বর্ণকে নিসাব ধরে কুরবানী দিতে চান, তাহলে তাকে সাত ভরি/তোলা স্বর্ণের মূল্যের উপর টাকার পরিমাণ হিসাব করতে হবে। যেমন: চলিত বছরের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী-
* ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির(১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম- ৭২ হাজার টাকা। এই হিসেবে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম পাঁচ লাখ চল্লিশ হাজার টাকা।
* ২১ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম ৬৯ হাজার টাকা। সে হিসেবে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম পাঁচ লাখ ১৭৫০০ টাকা।
* ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতিভরির দাম ৬০ হাজার টাকা। সে হিসেবে সাত ভরি স্বর্ণের দাম 4 লাখ 50000 টাকা।
* সনাতন পদ্ধতিতে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম 49 হাজার 500 টাকা। এই হিসেবে সাত ভরি স্বর্ণের দাম ৩ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা। (স্বর্ণের এ দাম উঠানামা করতে পারে সে ক্ষেত্রে বাজারদর হিসেবে কোরবানির নিসাব নির্ধারণ করতে হবে)
সুতরাং যারা স্বর্ণের নিসাব অনুযায়ী কুরবানী করবেন তাদের জন্য প্রায় চার লাখ টাকা বা সম্পদ জিলহজ মাসের 10 থেকে 12 তারিখ এই তিন দিন তাদের মালিকানায় থাকলে তার জন্য কোরবানি দেওয়া আবশ্যক।
রুপার নিসাব ও মূল্যের বিবরণ
আপনি যদি রুপাকে নিসাব ধরে কুরবানী করতে চান, তাহলে আপনাকে সাড়ে ৫২ ভরি/তোলা রুপার মূল্যের উপর টাকার পরিমান হিসাব করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ এখানে চলিত বছরের জুন মাসের হিসাব দেওয়া হল।
* ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য ১ হাজার ৬১৬ টাকা। সে হিসেবে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার দাম হয় ৭৯ হাজার ৫৯০ টাকা।
* ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি রুপার দাম ১৪৩৫ টাকা। এই হিসেবে সাড়ে ৫২ তোলা বা ভরি রুপার দাম হয় ৭৫ হাজার ৩৩৭ টাকা ৫০ পয়সা।
* ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি রুপার দাম ১২২৫ টাকা। এই হিসেবে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার দাম ৬৪ হাজার ৩১২ টাকা ৫০ পয়সা।
* সনাতন পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ভরি রুপার দাম ৯৩৩ টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী সাড়ে ৫২ তোলা রুপার দাম ৪৮ হাজার ৯৮২ টাকা ৫০ পয়সা।
সুতরাং এই হিসাব অনুযায়ী যদি আপনার কাছে জিলহজ্ব মাসের 10, 11 ও 12 তারিখ সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থাকে তাহলে আপনাকে রুপার নিসাব অনুযায়ী কোরবানি দিতে হবে। অর্থাৎ রুপার নিসাব অনুযায়ী কোরবানি দেওয়া আপনার উপর ওয়াজিব হবে।
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব?
রোদ্দুল মুহতার গ্রন্থে বলা হয়েছে, সুস্থ মস্তিষ্ক, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর ও নারী ঋণমুক্ত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই কুরবানী করা তার উপর ওয়াজিব। এক্ষেত্রে কোরবানি না করলে তিনি গুনাগার হবেন।
বাদায়েউস সানাঈ গ্রন্থে বলা হয়েছে, নাবালেক, পাগল যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকও হয়, তাহলে তাদের উপর কোরবানি করা আবশ্যক নয়। তবে তাদের অভিভাবক তাদের পক্ষে নিজের টাকায় কোরবানি করলে তা বিশুদ্ধ হবে।
মুক্তার গ্রন্থে বলা হয়েছে, মুসাফিরের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। মুসাফির দ্বারা ওই ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে যে ব্যক্তি ৪৮ মাইল সফরের নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছেন এবং কোরবানির দিনগুলোতে মুসাফির অবস্থায় রয়েছেন।
কারা কুরবানী দিবেন এবং কারা দিবেন না এই বিষয়ে আরো জানুন এখানে।
শেষ কথা:
আশা করি, এই লেখাটি থেকে কুরবানী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। আপনার কাছে এটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করে নিজের ওয়ালে রেখে দিন, প্রয়োজনের সময় যাতে নিজের ওয়াল থেকে খুব সহজেই খুঁজে দিতে পারেন। কোন তথ্য ভুল হলে কমেন্ট করে আমাদের সহযোগিতা করবেন। ধন্যবাদ-
ইসলামিক বিভিন্ন ইনফো
সদকাতুল ফিতর কি? এ বছর জনপ্রতি কত টাকা সদকা দিতে হবে?
পবিত্র রমজান মাসে কি কি কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন?
রোজা বা সাওম কি? কিভাবে নিয়ত করবেন?
ইমাম বাতায়ন কি? ইমাম ছাড়া কি অন্য কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন