কোন প্রকার মেইনটেনেন্স ফি ছাড়াই ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড কিভাবে নিবেন?

0

কোন প্রকার মেইনটেনেন্স ফি ছাড়াই ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড পাবেন কিভাবে এবং ডুয়াল কারেন্সি চালু করবেন কিভাবে?

আগেরকার দিনে মানুষ নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য আর্থিক লেনদেনগুলো নগদ ক্যাশ টাকায় সংগ্রহ করে রাখতেন। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের সেই চাহিদাও পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ হয়ে উঠেছে আধুনিক। নগদ ক্যাশ টাকার পরিবর্তে তারা ডিজিটাল কার্ড বা ডিজিটাল টাকা লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।

 অর্থাৎ আজ মানুষ ক্যাশ টাকা বিহীন শুধুমাত্র কার্ডের মাধ্যমে নিজের দৈনন্দিন লেনদেন সম্পন্ন করে থাকেন। বর্তমানে লেনদেন করার ক্ষেত্রে অনেক প্রকার কার্ড আছে তার মধ্যে একটি বহুল আলোচিত এবং খুবই জনপ্রিয় কার্ড হচ্ছে ভিসা কার্ড। আমরা এখানে আলোচনা করব “কোন প্রকার মেইনটেনেন্স চার্জ ছাড়াই ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড কিভাবে পাবেন” সেই সম্পর্কে।

কোন প্রকার মেইনটেনেন্স ফ্রি ছাড়াই ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড পাবেন কিভাবে এবং ডুয়াল কারেন্সি চালু করবেন কিভাবে?


ঘরে বসে ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড পাবেন কিভাবে তা জানার আগে ভিসা কার্ড কি এবং এর সুবিধাগুলো কি কি ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। দেশীয় কিংবা আন্তরজাতীক লেনদেন করার ক্ষেত্রে এই কার্ড আপনাকে বাড়তি সুবিধা প্রদান করবে।


ভিসা কার্ড কি? What is Visa Card?

ভিসা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি যা বিশ্বব্যাপী আর্থিক সেবা প্রদান করে থাকে। এই কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টাকা তোলা ও কেনাকাটার ব্যাপারে সহজ করে দিয়েছে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে।

অর্থাৎ এই কোম্পানিতে বিশ্বব্যাপী লেনদেন করার জন্য যে কার্ড প্রদান করে সেটি মূলত ভিসা কার্ড। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি সেবা প্রদান করে থাকে। আমরা এখানে ইসলামী ব্যাংকের যে ভিসা কার্ডের কথা বলছি তা মূলত এই প্রতিষ্ঠানটি একটি সার্ভিস।


ভিসা নেটওয়ার্ক কি?

ভিসা মূলত মার্চেন্ট ব্যাংক ও কাস্টমার এর মধ্যে থার্ড পার্টি হিসেবে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে ভিসা কার্ড প্রদান করে থাকেন। অর্থাৎ কার্ড ইস্যু করা ব্যাংকের সেটেলমেন্ট নেটওয়ার্ক হিসেবেও ভিসা কাজ করে এবং পেমেন্ট প্রসেসিং এর জন্য একটি ছোট চার্জ গ্রহণ করে।

ভিসা নেটওয়ার্ক নামে এই পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অনলাইনে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে এই কোম্পানিটি।


ভিসা কার্ড কোথায় ব্যবহার করা যায়?

বিশ্বব্যাপী ২০০ টির অধিক দেশ ও অঞ্চলের অগণিত মার্চেন্ট পয়েন্টে ব্যবহার করা যায় এই ভিসা কার্ড। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট ক্যাটাগরিতে ভিসা কার্ড গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশে অনেক অনলাইন ও অনলাইন শপিং সেন্টার ভিসা কার্ড গ্রহণ করে থাকে।

তাই ভিসা কার্ড খুব সহজেই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন করার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। ভিসা কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত অন্য একটি ইনফোতে আমরা আলোচনা করব, এখানে আমরা আলোচনা করছি ঘরে বসে কিভাবে ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড পাবেন।

অনলাইন লেনদেন কি ভিসা কার্ড দিয়ে করা যায়?

সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের যে কোন অনলাইন লেনদেন এই ভিসা কার্ড দিয়ে করা যায়। যেমন- বিভিন্ন দেশের অনলাইন শপিং, ডোমেইন- হোস্টিং ক্রয়, বিভিন্ন সেবা ক্রয় ইত্যাদি এই ভিসা কার্ড দিয়ে সহজেই করা যায়।

এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশনি ফি ভিসা কার্ড দিয়ে পরিশোধ করা যায়।


ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড ঘরে বসে নেওয়ার উপায়

বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক চমৎকার এবং খুবই জনপ্রিয় একটি মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করেছে। অ্যাপটির নাম হচ্ছে Cellfin, অ্যাপটি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার সাথে সাথেই আপনি একটি ভিসা কার্ড পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয় সেলফিন বাংলাদেশের একমাত্র ভিসা ডিটেক্ট এনাবল অ্যাপ। যেকোনো দেশ থেকে আপনার পেমেন্ট সরাসরি সেলফীনে নিতে পারেন ভিসা ডিটেক্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে।

কিভাবে সিলফিন অ্যাপ রেজিষ্ট্রেশন করবেন বিস্তারিত জানতে "Cellfin কি? ঘরে বসে ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খুলবেন কিভাবে?" ইনফোটি দেখুন।

সেলফিন মোবাইল অ্যাপটি ব্যাবহার করলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, ইসলামী ব্যাংকের কত সুবিধা এই অ্যাপটিতে রয়েছে। অনেক ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। তবে আমার জানামতে এই সেলফিন অ্যাপটি অন্যান্য অ্যাপগুলোর থেকে অন্যতম একটি মোবইল অ্যাপ।


সেলফিন ভিসা কার্ড এর ব্যাবহার

ইসলামী ব্যাংক সেলফিন অ্যাপ এর মাধ্যমে যে ভিসা কার্ড পাওয়া যায় তা মূলত একটি ডিজিটাল ভিসা কার্ড। তবে আপনি এ কার্ড দিয়ে অনলাইন কেনাকাটা থেকে শুরু করে অনলাইন সংক্রান্ত সবকিছুই করতে পারবেন সাধারণ ভিসা কার্ড এর মতই।

এছাড়াও আপনি আপনার পাসপোর্ট এই কার্ডটিতে এন্ডোস করে ডলার খরচ করতে পারেন। কার্ড এন্ডোস করে নেওয়ার পর অনলাইনে বিভিন্ন দেশের অনলাইন সেবার বা বিভিন্ন পেমেন্ট ফি পরিশোধ করতে পারেন এটি দিয়ে। যেমন: ফেসবুকে বিজ্ঞাপন, গুগলে বিজ্ঞাপন পেমেন্ট,  অ্যামাজন অনলাইন শপিং থেকে কোন কিছু ক্রয়, ডোমেন হোস্টিং ক্রয় ইত্যাদির বিল পরিশোধ করতে পারেন এই কার্ড দিয়ে। 


ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল ভিসা কার্ড এন্ডোস করবেন কিভাবে?

আপনি সেলফিন অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন করে থাকলে ইন্সট্যান্ট একটি ভিসা কার্ড পাবেন। এটি সারা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য । আপনি যদি এই কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেন করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এন্ডোসমেন্ট করতে হবে।


এটি করার জন্য আপনার একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো ব্রাঞ্চ এ গিয়ে বলুন যে আপনার সেলফিন ভিসা কার্ড এন্ডস করবেন। আপনার পাসপোর্টটি চেক করে ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার Cellfin ভিসা কার্ড এ ডুয়াল কারেন্সি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক লেনদেন এনাবেল করে দিবে।


শেষ কথা:

আশা করি এই ইনফোটি থেকে ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড কিভাবে ঘরে বসে নেওয়া যায় তা জানতে পেরেছেন। এছাড়াও এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন মতামত থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর এই লেখাটি আপনার কাছে প্রয়োজনীও মনে হলে শেয়ার করে নিজের ওয়ালে রেখে দিন, পরবর্তী সময় যাতে নিজের ওয়াল থেকে সহজে খুঁজে নিতে পারেন।


আরো জানুন:

ইসলামী ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিতে হয়? 

ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বাসে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন কিভাবে?

ইসলামী ব্যাংকে প্রিপেইড কার্ড এ ডুয়াল কারেন্সি সুবিধা চালু হয়েছে,এই সুবিধা পাবেন কিভাবে?

ই-চালান কি? কিভাবে ই-চালান করবেন?

মানি গ্রাম কি? কিভাবে একাউন্ট খুলবেন?


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !