আমরা জানি, প্রচলিত ব্যাংকের লোন পদ্ধতি ইসলামে জায়েজ নাই। অর্থাৎ এটি হারাম বা নিষিদ্ধ। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামি ব্যাংক কিভাবে ঋণ দেয়? তাই, আমরা আজকে আলোচনা করবো "ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি কি বা ইসলামী ব্যাংক কিভাবে ঋণ দেয়?" সেই সম্পর্কে।
বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক থাকলেও ইসলামি ব্যাংক রয়েছে মাত্র কয়েকটি। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর লোন পদ্ধতি ভিন্নতা থাকলেও ইসলামী ব্যাংকগুলোর লোন পদ্ধতি প্রায় একই রকম। যে মূলনীতি অনুসারে প্রায় সকল ইসলামী ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে তা এখানে আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশে কতটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে?
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট আটটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে-
১) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
৩) আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৪) ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৫) এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড
৬) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৭) আইসিবি (ICB) ইসলামিক ব্যাংক
৮) সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
প্রতিটি ব্যাংকের বিনিয়োগ বা ঋণ পদ্ধতি আলাদা আলাদা রয়েছে। তবে আমরা এখানে বেসিক পদ্ধতি আলোচনা করব। যা প্রায় ইসলামিক ব্যাংকগুলো ফলো করে বিনিয়োগ করে থাকে। মনে রাখবেন কোন ইসলামী ব্যাংক লোন কথাটি ব্যবহার করে না। প্রচলিত লোন থেকে একটু আলাদাভাবেই ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন হয়ে থাকে।
কেননা যেকোনো কাজের জন্য আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন না। ইসলামি ব্যাংকে সাধারণভাবে যে খাত গুলো প্রয়োগ করা হয় তা আলোচনা করা হলো। খাতগুলোর উপর নির্ভর করে ঋণের পরিমাণও কম বেশি হতে পারে।
ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন খাতে ইনভেস্টমেন্ট পদ্ধতি
বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইসলামী ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট করে থাকে। সাধারণভাবে আমরা যেটাকে লোন বলে থাকি, সেটাই সেটাই মূলত ইসলামী ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ বলে থাকে। আর এটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা যায়। যেমন-
১) ইসলামী ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতি
২) ইসলামী ব্যাংকের ফ্রিলান্সিং ঋণ
৩) শিল্প খাত উন্নয়নে ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে
৪) শিক্ষা ঋণ বা স্টুডেন্ট লোন
৫) ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন পদ্ধতি
৬) মহিলা উদ্যোক্তা বিনিয়োগ পদ্ধতি
৭) ছোট ব্যবসার জন্য ইসলামিক ব্যাংক ঋণ পদ্ধতি ইত্যাদি।
এই পদ্ধতি বা খাত গুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। নিচে উপরোক্ত খাতগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলো।
আরো জানুন:
ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন কি? কিভাবে ঘরে বসে ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খুলবেন?
ইসলামী ব্যাংকের প্রিপেইড কার্ড এ ডুয়াল কারেন্সি সুবিধা চালু হয়েছে
ই-চালান কি? কিভাবে অনলাইনে চালান করবেন?
ইসলামের দৃষ্টিতে মোবাইল ব্যাংকিং কি?
বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতিতে আপনি যদি ঋণ নিতে যান তাহলে এখানে বেশ কিছু বিষয় আপনাকে মনে রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও এই ঋণ কত টকা পর্যন্ত নিতে পারবেন তা আপনার অবস্থানরত এলাকার উপর নির্ভর করবে।
বাড়ি করার জন্য লোন নিতে সাধারণত ১৬% রিটার্ন রেট প্রযোজ্য হয় এবং এই লোন আপনি তিন বৎসরের জন্য পেতে পারেন। অর্থাৎ তিন বৎসরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এলাকাভেদে ঋণের পরিমাণ ভিন্নতা হতে পারে। যেমন:
মহানগর শহরের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
জেলা শহরগুলোতে প্রায় দেড় কোটি টাকা এবং অন্যান্য সাধারণ অঞ্চলের জন্য প্রায় 30 লক্ষ টাকা এই পদ্ধতিতে ঋণ নিতে পারেন।
বাড়ি করার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যেটা হয়, তা হল আপনি সরাসরি ব্যাংক থেকে টাকা নিতে পারবেন না, অর্থাৎ বাড়ি করার জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন- রড,সিমেন্ট বালি ইত্যাদি আপনি ক্রয় করতে পারবেন না, এগুলো ব্যাংক করবে। ব্যাংকের সাথে আপনার শুধু চুক্তি সম্পাদন করতে হইবে। কেননা ব্যাংক এখানে ইনভেস্ট করছে আপনার বাড়ি নির্মাণ করার জন্য।
এছাড়াও আপনার বর্তমান বাড়ি যদি সংস্কার করার জন্য ঋণ নিতে চান, এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করে থাকে। আর যদি বাড়ি ক্রয় করতে চান, তাহলে ক্রয় করার মোট খরচের ৬০% ব্যাংক থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন।
এই ঋণ নেওয়ার জন্য যা যা কাগজপত্র প্রয়োজন?
* ভিসিআর ও নামজারি খতিয়ান
* এনইসি ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি এই ঋণ নিতে পারেন। একজন ফ্রিল্যান্সার যে ধরনের জিনিসপত্র ক্রয় করতে হয় তার সব ধরনের জিনিসপত্র এই ঋণের মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে।
এই ঋণের টাকা আপনাকে দুই বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি এই ঋণ পরিশোধ করার জন্য দুই বছর সময় পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং নেওয়ার জন্য করনীয়:
* আপনার ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে
* যদি কোন জমি জমা থাকে তার বৈধ কাগজ। মনে রাখতে হবে জমির বাজার মূল্য কমপক্ষে এক লক্ষ টাকার উপর হতে হবে
* জমি সংক্রান্ত কাগজ প্রদান করতে হবে
শিল্প উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার করার জন্য ইসলামী ব্যাংক ঋণ পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংকের এই ঋণ পদ্ধতি শিল্প-খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে এবং সেই সাথে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এই ঋণের পরিমাণ আপনার ব্যবসার পরিধির উপর নির্ভর করে থাকে।
অর্থাৎ আপনার প্রতিষ্ঠান যত বড় আপনার ঋণ প্রদান ও তত বেশি। ইসলামী ব্যাংকের এই ঋণের আওতায় একটি শিল্পখাত বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে পণ্য মজুদসহ সকল ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই প্রকার ঋণ নিতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?
আপনি যদি শিল্পখাত উন্নয়ন বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঋণ নিতে চান তাহলে নিম্নত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
* ব্যবসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাগজপত্র
* ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স
* আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দলিল
* ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ইত্যাদি।
ইসলামী ব্যাংকের শিক্ষা লোন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংকে সাধারণত সরাসরি শিক্ষা ঋণ বা স্টুডেন্ট লোন নামে এমন কিছু ঋণ ব্যবস্থা নেই। তবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী ক্রয় করার জন্য এই ব্যাংক অর্থ সহযোগিতা করে থাকে।
এক্ষেত্রে শিক্ষা সামগ্রিক কেনার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় তার চার ভাগের একভাগ ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক প্রদান করা হয়। তবে এখানে মনে রাখবেন, শিক্ষার ঋণের মাসিক কিস্তি সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এই লোন নেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন
* শিক্ষার্থীর গার্জিয়ান কে সঙ্গে থাকতে হবে
* শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন নেওয়ার পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক ঋণ ব্যবস্থাপনার মধ্যে কৃষি লোন বা কৃষি ঋণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবস্থা। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের উন্নয়ন এবং সেই সাথে নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক সাধারণত এই ঋণ দিয়ে থাকে।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এই ঋণের টাকার পরিমাণ সাধারণত কৃষকের জমির পরিমাণ এর উপর নির্ভর করে। জমির পরিমাণ যত বেশি হবে ঋণের পরিমাণ সেই অনুযায়ী বাড়তে থাকবে।
কৃষি ঋণ নেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন?
* আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আই ডি কার্ড
* জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
* কৃষি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা
ইসলামী ব্যাংকের মহিলা উদ্যোক্তা বিনিয়োগ পদ্ধতি
আমরা জানি মহিলারা সংসারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্র উন্নতি সাধন করে চলছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রটি বেশ উল্লেখযোগ্য। তাই মহিলাদের জন্য বিনিয়োগ সুবিধা প্রসারিত করতে সমাজের নারীদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বিনিয়োগ করে থাকে।
বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক মহিলা উদ্যোক্তা বিনিয়োগ পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদের ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর হতে হবে। এছাড়াও পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে কোন জামানত প্রয়োজন হয় না।
মহিলা উদ্যোক্তার জন্য যা যা প্রয়োজন
* এনএডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র
* ব্যবসাস সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাগজপত্র
* ট্রেড লাইসেন্স
* ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দলিল
* প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ইত্যাদি।
ছোট ব্যবসার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি
ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক সাধারণত হালাল ব্যবসার জন্য ঋণ প্রদান করে। অবৈধ কোন ব্যবসা বা অবৈধ কোন পণ্যের জন্য ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ করবে না। যেমন- তামাক জাতীয় পণ্য ক্রয় বা তামাক জাতীয় ব্যবসার জন্য ইত্যাদি।
বৈধ যেকোন ব্যবসার জন্য আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান কোন অঞ্চলে স্থাপন করতে যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে ঋণের টাকার পরিমাণ নির্ধারণ হতে পারে।
কেননা ইসলামী ব্যাংক সাধারণত মহানগর শহরের জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা, ছোট জেলা শহরগুলোতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য সাধারণ অঞ্চলের প্রায় দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছোট ব্যবসার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে।
এছাড়াও এই ঋণ নেওয়ার জন্য আপনার বয়স ২১ থেকে ৬৫ এর মধ্যে হতে হবে। এবং এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে। ইন্টারেস্টের হার হতে পারে ১২ শতাংশ পর্যন্ত।
এই ঋণ নেওয়ার জন্য যা লাগবে
* এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র
* ব্যবসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাগজপত্র
* আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স
* ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দলিল
* প্রয়োজনীয় তথ্য
গ্যারান্টর কি এবং কেনো প্রয়োজন?
ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দুইজন ঋণের দায়ভার গ্রহণকারী বা গ্রান্টর লাগবে। ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে। এটি মূলত গ্যারান্টর। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তার জন্য এটি প্রয়োজন হয়।
বাবা মা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন কিংবা কাছের মানুষকে আপনি গ্যারান্টর করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তাদেরকে গ্যারান্টর করা যাবে ।
ইসলামী ব্যাংকের ঋণের জন্য আবেদন করার নিয়ম
অন্যান্য ব্যাংক থেকে ঋণের জন্য আবেদন করতে যা যা করতে হয় সেই তুলনায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে আবেদন করা অনেক সহজ। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু আপনার নিকটস্থ যে কোন ইসলামী ব্যাংকের শাখায় বিনিয়োগ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করতে হবে।
মনে রাখবেন, ব্যাংকের বিয়োগ কর্মকর্তার সাথে আলোচনার সময় বলুন আপনার বিনিয়োগ প্রয়োজন। কেননা ইসলামী ব্যাংক সরাসরি লোন প্রদান করে না। বিনিয়োগ কর্মকর্তার কাছে আপনার বিনিয়োগের কথা বললেই বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন আশা করি, তারা আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সম্পূর্ণ সহায়তা করবে।
ঋণ নেওয়া সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য
আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে কত টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন তা নির্ভর করে আপনার মাসিক আয়ের উপর। সাধারণত আপনার মাসিক ইনকাম যদি পঞ্চাশ হাজারের বেশি হয় তাহলে আপনি 10 লাখ টাকা পর্যন্ত ইনভেসমেন্ট নিতে পারবেন।
এছাড়াও আপনার ইনকামের পরিমাণ যত বেশি হবে ঋণের পরিমাণ কত বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থাৎ আপনার ইনকাম ডিফেন্ড করে ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ করে থাকে।
আপনার মাসিক ইনকাম যদি 50 হাজার টাকার নিচে হয় তাহলে আপনার দশ লাখ টাকার কম ইনভেসমেন্ট নিতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ গ্রহণ করার পর ব্যাংকের ইন্টারেস্ট এর পরিমাণ সাধারণত 7.60% হয়ে থাকে।
ব্যাংকিং সংক্রান্তু অন্যান্য ইনফো জানুন
ডলার এনডোর্সমেন্ট কি? কিভাবে কোথায় কেন করতে হয়?
এলসি কি? কেন এবং কিভাবে করবেন?
ব্যাংকে না গিয়ে সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট খুলবেন কিভাবে?
মোবাইল ব্যাংকিং এ প্রতারণার শিকার এবং ফোনকল বন্ধ হলে করণীয় কি?