গ্যাসের দাম অনেকগুণ বেড়েছে এবং গ্যাসের দাম বাড়তেই চলছে। এদিকে তেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়েছে। বেশিরভাগ মানুষই পুরো মাসের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। মধ্যবিত্তরা বিশেষ করে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তাদের জীবনযাত্রার কারণে তাদের খরচ মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই হোমবিডি ইনফো মনে করে, রান্নায় গ্যাস সাশ্রয় করবেন কিভাবে? কেন গ্যাস সাশ্রয় করা জরুরী? এই বিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।
মিতব্যয়ী হওয়া খরচ অনেক কমিয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন আমরা এমন কিছু ব্যয় করি যা আমাদের প্রয়োজন নেই। উদাহরণস্বরূপ এখানে গ্যাস নিয়ে আলোচনা করছি।
রান্না করার সময়, আমরা বুঝতে না পেরে অনেক
গ্যাস ব্যয় করি। যার কারণে মাস শেষে খরচের ভারে পড়ে। আপনার কিছু কাজ গ্যাস বাঁচাতে পারে। চলুন খুঁজে বের করি গ্যাস সাশ্রয় করার সহজ উপায় কি?
গ্যাস সাশ্রয় করার সহজ উপায়
রান্না করার
সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি অনেক গ্যাস বাঁচিয়ে পরিবারের ব্যায়ের ভার কমাতে
পারেন। সংকটময় পরিস্থিতিতে সাশ্রয় করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কেনন এতে পরিবারেরও
বাড়তি চাপ কমবে এবং পরিস্থিও মোকাবেলা করা যাবে সহজেই।
আসুন জেনে
নেই, কি কি উপায়ে গ্যাস সাশ্রয় করা যায়-
১। ভিজা পাতিলে রান্না করা যাবে না
অনেকেই আছেন
যারা চুলায় ভেজা হাঁড়ি রাখেন। এটা করবেন না পরিবর্তে, চুলায় একটি শুকনো এবং পরিষ্কার
পাত্রে রান্না করুন।
রান্নার সময়
পাতিলের পানি শুকাতে অতিরিক্ত সময় লাগবে না। এতে গ্যাসের দাম কমবে। মনে রাখবেন, এই
ভাবে রান্না করলে একটু হলেও আপনার গ্যাস সাশ্রয় হবে।
২। ফ্রিজ থেকে বের করে কোন কিছু সরাসরি রান্না করতে যাবেন না
অনেকেই ফ্রিজ
থেকে সরাসরি রান্নায় বসিয়ে দেন, আপনি মনে রাখুন, ফ্রিজ থেকে সরাসরি কিছু রান্না করবেন
না।
রান্না শুরু
করার আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনতে হবে। অর্থাৎ ফ্রিজ থেকে বের করে তার তাপমাত্রা
স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে ।
তারপর রান্না
করুন। এতে গ্যাস অনেক সাশ্রয় হবে।
৩। সমস্ত কাজ প্রস্তুত করুন এবং রান্না শুরু করুন
অনেকে
চুলায় রান্না বসে তারপর শাকসবজি, পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি কেটে এবং বাটে । এভাবে চাপ দিয়ে রান্না করলে গ্যাস বেশি খরচ হবে।
তাই
সব কাটিং, ওয়াশিং ইত্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত করে নিন। তারপর শুকনো পাত্রটি ওভেনে রেখে তাতে রান্না ঢেলে দিন। গ্যাস যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে।
৪। চূলার তাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
গ্যাসের
চুলায় রান্নার পাত্র রাখার পর কিছুক্ষণ জ্বাল
বাড়িয়ে দিন। পাত্র গরম হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর কম বা মাঝারি
আঁচে রান্না করুন।
প্রথমে
পাত্রটি গরম করার জন্য তাপ বাড়িয়ে গরম করুন। রান্নার পাত্র একবার গরম হয়ে গেলে অতিরিক্ত তাপের প্রয়োজন হয় না। বেশিরভাগ রান্নাই কম বা মাঝারি
তাপে করা হয়।
৫। থার্মোফ্লাক্স ব্যবহার করুন
আপনার
বাড়িতে ঘন ঘন চা
বা কফি থাকলে আপনি থার্মোফ্লাক্স ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি গরম পানি দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে পারে। বারবার চুলা জ্বালাতে হবে না।
ফলে
গ্যাসের ব্যায় অনেক কমবে। আপনি যদি চা বা কফি
পান করতে চান তবে আপনি তা থার্মোফ্লাক্স জল
দিয়ে পান করতে পারেন।
আরো জানুন:
সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ এড়াতে কি করবেন?