এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় কি?

প্রচন্ড গরম! বিদ্যুতও ঠিকমতো থাকছে না। এমনি অবস্থায় আপনাকে শুধু নয়, যাদের এসি কেনার সামর্থ নেই এবং যাদের এসি রয়েছে সবাইর একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে ওহ্ কি গরম!, তাই আপনি কিছু উপায় অবম্বন করে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারেন। আজকের ইনফোটি হচ্ছে- এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় কি?

গীষ্ম প্রধান দেশগুলোতে ঘর ঠান্ডা রাখার প্রধান উপায় হিসাবে এসি-AC (এয়ার কন্ডিশন) ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যাদের এসি ক্রয় করার সামর্থ নেই তারা কিভাবে ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন তাদের জন্য এই ইনফোটি। আর বর্তমান লোড শেডিং এর যে পরিস্থিতি তাতেও এসি থাকলেও তেমন সুবিধা নাও পেতে পারেন।

এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় কি?

তাই কিছু টিপস অবলম্বন করে ঘরকে কিছুটা শীতল রাখতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ে। আসুন জেনে নেই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়গুলো:

গরমে দাহ কমাতে খেতে পারেন ছাতুর শরবত

গরমে তরমুজ কিভাবে খাবেন?

গরমেও শরীরের জন্য উপকারী বীজগুলো কি কি?


ঘর ঠান্ডা রাখার কিছু টিপস

Ø  বাড়িতে ভেন্টিলেটর থাকলে গ্রীষ্ম আসার আগেই ভালো করে পরিষ্কার করে নিন এতে ঘরে বাতাস চলাচল বাড়বে। আর বায়ু চলাচল বাড়ার সাথে সাথে তাপও কমবে।

Ø  প্রয়োজন ছাড়া ঘরে লাইট জ্বালবেন না। রাতে ঘরে টিউব লাইট ব্যবহার করুন সম্ভব হলে কম আলোর LED বাল্ব ব্যবহার করুন।

Ø  ঘরের জানালা কাঁচের হলে মোটা পর্দা ব্যবহার করুন।পর্দার রঙ গাঢ় হওয়া জরুরী। কারণ, গরমে হালকা রঙের পর্দা তাপ আটকাতে একেবারেই কার্যকর নয়।

Ø  জানালার কাঁচ দিয়ে সূর্যের তাপ শোষিত হয়ে ঘরের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে, সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকা উইন্ডোগুলিতে তাপ রক্ষাকারী উইন্ডো ফিল্ম প্রয়োগ করুন। এটি জানালা দিয়ে সূর্যের তাপ শোষণকে 60 শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয় এবং ঘরকে ঠান্ডা রাখে। জানালা সাদা রঙ ব্যবহার করুন, অথবা সূর্যকে আটকাতে ছায়া ব্যবহার করুন। আপনি যদি উভয়ই করতে না চান, তাহলে জানালার কাঁচে আঠালো টেপ দিয়ে সাদা কাগজ আটকে দিন। দেখবেন ঘরটা খুব ঠান্ডা হয়ে গেছে।

Ø  মেঝে মোছার সময় পানিতে অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। লবণ পানি দিয়ে মেঝে মুছলে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Ø  একটি পাত্রে বা বাটিতে ঠান্ডা পানি বা বরফের টুকরো নিন। তারপর টেবিলের সামনে বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে রাখুন। এই তো, আপনার কর্ডলেস এসি রেডি। আপনার যদি টেবিল ফ্যান না থাকে তবে এটি সিলিং ফ্যানের নীচে রাখলে ক্ষতি হবে না। প্রাচীনকালে ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্য প্রতিটি ঘরে পানি ভর্তি বড় মাটির পাত্র রাখা হতো। এটি সেই পদ্ধতির আধুনিক সংস্করণ।

Ø  ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরান। খবরের কাগজ ঘরে যেন জমা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

Ø   ধ্বংসাবশেষ সরান. মেঝেতে পশমী কার্পেটের চাদর থাকলে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। একটি গ্লাস বা পাথরের পাত্রে বা বাটিতে জল ঢালুন। জল ভর্তি একটি পাত্রে কিছু পাথর রাখুন। কিছু ফুল দিন। এখন এটিকে দরজা বা জানালার সামনে রাখুন যেখানে সর্বাধিক বাতাস থাকে।

Ø  রাতে জানালার কাছে টেবিল বা বহনযোগ্য পাখা রাখুন। এটি বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস আনবে এবং ঘরের অসহনীয় তাপ দূর করবে।

Ø  চাল ভরা বালিশ তৈরি করুন। কেননা চাল ভরা বালিশ খুব ঠান্ডা। তাই গরমে মাথায় চালের তৈরি বালিশ রাখতে পারেন। আপনি আপনার চোখ এবং চেহারা ঠান্ডা সতেজতা পাবেন। চাল দিয়ে বালিশে ভরার আগে তাতে কিছু নিম পাতা মিশিয়ে নিন।ফলে ধানে পোকামাকড় থাকবে না।

Ø  বেশ কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট আছে যেগুলো ঘরে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকে। অ্যালোভেরা, বোস্টন ফার্ন, স্নেক প্ল্যান্ট, উইপিং ফিগ, অ্যারেকা পাম ইত্যাদির মতো এটিও ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এই উদ্ভিদগুলি উষ্ণ অন্দর বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে সালোকসংশ্লেষণ চালিয়ে যায়। এটি ঘরে উষ্ণ বাতাসকে হালকা করে এবং প্রচুর পরিমাণে জলের কণা জমা করে। ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে।

অন্যান্য ইনফো জানুন:





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

Search This Blog

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget