Misconceptions about freelancing & outsourcing: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং খুব বেশি পুরানো নয়। তবে খুব যে নতুন বিষয়টি তাও কিন্তু না। বেশ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং সম্পর্কে জেনেছে। তবুও এখনো কিছু মানুষের ভুল ধারণা দূর হচ্ছে না। আজকে আমরা আলোচনা করবো “ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলো কি কি?” । কেননা বেশিরভাগ নতুনরা ভুল ধারণা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে মাঝ পথে এসে ছিটকে পড়ে।
শিক্ষার্থীদের
মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে আগ্রহ অনেক। তবে তাদের মাঝে দক্ষতা অর্জন করার প্রবণতা অনেক
কম। ফলে তারা ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এ বেশি ভাল করতে পারছে না। অনেকেই ভাল করে
না জেনে কাজে নামিয়ে পড়েন। কিছুদিন কাজ করার পর হতাশা হয়ে পড়েন। এজন্য কাজে নামার আগে সঠিকভাবে জানা জরুরী।
ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কেন সঠিক ধারণা প্রয়োজন?
আপনাকে মনে
রাখতে হবে পৃথিবীতে এমন কোন কাজ নেই যা ধারণা ছাড়াই করা যায়। আর কাজের যদি সঠিক ধারণা
না থাকে তাহলে ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় কথা ভুল না হলে আপনি সঠিকটা
জানতে পারবেন না। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমেই সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
এখানে আরো
একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যে, কোন বিষয়ে কাজ করার আগে ওই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নেওয়া
জরুরী। অনেকেই অল্প কিছু জেনে কাজে হাত দিয়ে পরে আমতা আমতা করেন। অর্থাৎ পরবর্তীতে
কি করবেন বুঝে উঠতে পারেন না।
তাই ফ্রিল্যান্সিং
শুরু করার আগে এই বিষয়ে সঠিক ধারণা নেওয়া জরুরী। মনে রাখবেন, যে উৎস থেকেই তথ্য সংগ্রহ
করেন না কেন তা যেন সঠিক হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভুল ধারণা কি?
যেহেতু তরুণ
প্রজন্মের কাছে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । তাই অনেক প্রতারক
এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে নানান রকম ভুল ধারণা তৈরি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর
নতুনরা ভাল করে না বুঝে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে বিপদগ্রস্থ হয়ে থাকে।
আপনাকে মনে
রাখতে হবে অনলাইনে আয় এবং আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সার আলাদা বিষয়। এই বিষয়ে বিস্তাতির
জানতে “ফ্রিল্যান্সিং
কি?” এবং “আউটসোর্সিং
কি?” ইনফোটি দুটি দেখুন। নিচে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলো
তুলে ধরা হলো।
কেননা বাংলাদেশ
দ্রুত ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর দিকে এগিয়ে
যাচ্ছে। আর এই অগ্রগতির
বিপরীতে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। ভালোভাবে না জেনে অন্যকে
উপদেশ দেওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। এই ভুলগুলো জানা
ও সচেতন থাকা ভালো।
বিনিয়োগ করে আয় করা:
হ্যাঁ,
এখনও একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে শুধুমাত্র বিনিয়োগ
করলেই আয় করা যায়। অনেক কোম্পানি আছে যেখানে বিনিয়োগ করে টাকা হারানো খুব সহজ। আপনি যদি PTC, HYPE, MLM এ বিনিয়োগ করেন
তবে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি ফকির হয়ে যাবেন। বাংলাদেশে অনেকেই ইতিমধ্যে তাদের বিনিয়োগকৃত মূলধন হারিয়েছে। তাই কখনোই ভাববেন না যে আপনি
সেখানে বিনিয়োগ করেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
রেফারেলের মাধ্যমে আয় করা:
আমাদের
অনেকেরই একটা বাজে অভ্যাস আছে। চেক না করেই বলেছে,
আমি শুনেছি আমার বন্ধুর মামার মামাতো ভাইয়ের ছোট ভাই একটি সাইট থেকে $1 আয় করেছে, পরের মাসের 15 তারিখে অ্যালার্টপে পে করে দেবে!
কোনভাবে আমি তার কাছ থেকে সাইটের ঠিকানা নিয়ে সাইন আপ করি এবং
বড় কমিউনিটি সাইটে রেফারেল লিঙ্ক সহ পোস্ট করি,
¯প্যাম মন্তব্য! এ ধরনের কাজ
একেবারেই বোকামি। রেফারেলের মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনার কানে স্প্যাম করার কোন মানে নেই।
কোন পরিশ্রম ছাড়াই ইন্টারনেট থেকে সহজেই আয় করা যায়:
এটাই
সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা। আপনি একজন কর্মচারী বা ব্যবসায়ীর চেয়ে
বেশি উপার্জনের আশা করেন কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেবেন না! এটা কোন উপায় হতে পারে? ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি নির্বিশেষে, আপনাকে যথেষ্ট সময় এবং প্রতিভা বিনিয়োগ করতে হবে।
PTC সহজ আয়ের একটি কার্যকরী পদ্ধতি:
PTC মানে
যেকোন ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করলেই আপনার নামে টাকা জমা হবে। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সাবধান, পিটিসি সাইটে জয়েন করলে টাকা আয়, পুঁজি উধাও! হতে সময় লাগবে না। বাংগালীরাই কেবল এই ধরণের প্রতারণার শিকার হতে পারে।
আপনার যদি পেপাল না থাকে তবে আপনি উপার্জন করতে পারবেন না:
পেপ্যাল না থাকায় বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট আয়ের কোন উপায় নেই। অনেকেই তাই মনে করেন। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। PayPal ছাড়াও বাংলাদেশে টাকা আনার অনেক উপায় আছে। যেমন- পেওনিয়ার, মানিবুকার্স, এলার্টপে ইত্যাদি।
আর এখন যে কোন দেশের টাকা সহজেই ব্যাংক একাউন্টে নেওয়া যায়।
আরো জানুন:
বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট কিভাবে ভেরিফাই করবেন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এখানে কিভাবে আয় হয়?
ফেসবুক মার্কেটিং কি? কিভাবে আয় করবেন?