বর্তমান আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। আর ডিজিটাল কনটেন্ট কি? এটির গুরুত্ব কি? তা জানা হবে না তা কি হয়? তাই আজকে আমরা এই ইনফোটিতে আলোচনা করেছি “ডিজিটাল কনটেন্ট কি? বর্তমান সময়ে কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?” সম্পর্কে।
ডিজিটাল যুগ শুরু হওয়ায় সবকিছু দ্রুত পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আপডেট ডিভাইস তৈরি হচ্ছে। এগুলো জীবনের জন্য যেমন অনেক সুবিধা বয়ে আনছে অন্য দিকে এর কিছু ক্ষতির দিকও রয়েছে। তবে যাইহোক না কেন সবকিছুরই কিছু ভাল এবং কিছু খারাপ দিক থকে। আমাদের উচিৎ সচেতন হয়ে সবকিছু ব্যবহার করা।
ডিজিটাল কনটেন্ট কি?
কোনো কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে বিরাজ করে বা প্রকাশিত হয় কিংবা ডিজিটাল আকারে প্রেরিত-গৃহীত হয় তাহলে তাকে ডিজিটাল কনটেন্ট বলে। ডিজিটাল কিংবা এনালগ যেকোনো পদ্ধতিতেই ডিজিটাল কনটেন্ট সংরক্ষিত হতে পারে।
ডিজিটাল কনটেন্ট কম্পিউটারে ফাইল আকারে কিংবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত হয়ে থাকে। যেমন-লিখিত তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা ভিডিও ইত্যাদি যা ডিজিটাল ডিভাইসে দেখা যায় তাই মূলত ডিজিটাল কনটেন্ট।
আরো জানুন:
হ্যাকিং কি? কিভাবে বুঝবেন আপনি হ্যাকিং এর শিকার?
ক্লাউড কম্পিউটিং কি? ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?
কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস কি কি?
হোয়াট অ্যাপ চ্যাট ডিলিট হয়ে গেলে ফিরে পাওয়ার উপায় কি?
ডিজিটাল কনটেন্ট-এর প্রকারভেদ
ডিজিটাল মাধ্যমে যা কিছু প্রকাশিত হয় তাই ডিজিটাল কনটেন্ট। যেমন- তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা ভিডিও ইত্যাদি। তাই বিভিন্নভাবে ডিজিটাল কনটেন্টকে শ্রেণিকরণ করা যায়। তবে প্রধানত ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
* টেক্স বা লিখিত কনটেন্ট (Text)
* ছবি (Image)
* শব্দ বা অডিও (Sound)
* ভিডিও ও এনিমেশন ( Video & Animation)
(ads1)
টেক্স বা লিখিত কনটেন্ট (Text)
ডিজিটাল মাধ্যমে এখন পর্যন্ত টেক্স বা লিখিত কনটেন্ট (Text)এর পরিমান অনেক বেশি। সকল ধরণের লিখিত তথ্য এই প্রকারের অন্তরভুক্ত।
এই প্রকারের মধ্যে কনটেন্টগুলো হচ্ছে- নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক সংবাদপত্র, শ্বেতপত্র ইত্যাদি।
ছবি (Image)
এই কনটেন্ট এর মধ্যে রয়েছে সকল ধরনের ছবি বা ইমেজ। ক্যামেরায় তোলা কিংবা হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে তৈরি করা হোক না কেন সবই এই কনটেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত।
এগুলো হলো ফটো, হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কনকরণ, কার্টুন, ইনফো-গ্রাফিক্স, এনিমেটেড ছবি ইত্যাদি।
শব্দ বা অডিও (Sound)
শব্দ বা অডিও (Sound) আকারে সকল কনটেন্ট এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। যে কোন বিষয়ের অডিও ফাইল অডিও কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট অডিও কনটেন্ট এর আওতায় পড়ে।
ভিডিও ও এনিমেশন ( Video & Animation)
বর্তমান সময়ে মোবাইলে ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় দিন দিন ভিডিও কনটেন্ট এর পরিমান দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও ইউটিউব বা এই ধরণের ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটের কারণে ইন্টারনেটেও দিন দিন ভিডিওর পরিমান বেড়েই চলছে।
এছাড়াও বর্তমানে চলমান কোন ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়। একে লাইভ প্রচার বা ভিডিও স্ট্রিমিং বলা হয়। এই ধরণের কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্ট এর আওতাভুক্ত।
(ads2)
ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব কি?
বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। এগুলো এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশে গেছে। তাই ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব অপরীসিম। যেমন- ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে কোন বিষয় খুব সহজেই শেখা যায়।
তাছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে ডিজিটাল কনটেন্ট। উদাহরণ স্বরুপ- আমরা যখন অনলাইনে কোন বিল পরিশোধ করি তখন রিসিট হিসাবে ডিজিটাল কনটেন্ট সংরক্ষণ করে থাকি। এছাড়াও ইন্টারনেটে জমির খতিয়ানও এখন জিডিটাল কনটেন্ট হিসাবে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে পারি।
শেষকথা
আশাকরি ডিজিটাল কনটেন্ট সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়েছে। এই বিষয়ে আপনার যে কোন মাতামত, প্রশ্ন কিংবা কিছু বিষয় জানা থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আপনাদের যে কোন কমেন্ট আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকি এবং সেই অনুযায়ী আমাদের সাইটের ইনফোগুলো আপডেট করি।
অন্যান্য ইনফো জানুন:
মোবাইলে ইন্টারনেট শেয়ার করবেন কিভাবে?
গুগল ম্যাপের সাহায্যে দুই স্থানের দূরত্ব নির্ণয় করবেন কিভাবে?
ডিসপ্লের নির্দিষ্ট অংশের স্ক্রিনশর্ট কিভাবে নিবেন?
স্মার্টফোনের প্যাটান বা লক ভুলে গেলে কিভাবে খুলবেন?
ডিজিটাল মুদ্রা কি? কিভাবে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করা হয়?