আপনি কি কানে কম শুনছেন? কীভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাস রোধ করবেন?

আমাদের শরীরের অতি প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ হচ্ছে কান। আর এই কান দিয়েই আমরা যে কোন শব্দ শুনতে পারি। অনেক সময় দেখা যায় যে, হঠাৎ করে শুনতে কম পাওয়া কিংবা শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায়। এই ক্ষেত্রে কি করবেন এই বিষয় নিয়ে আজকের এই ইনফোটিতে আমরা আলোচনা করা হলো।

কানে কম শোনা হলে জীবন হারানোর মতো একটি অভিজ্ঞতা। যে সব শব্দ, সঙ্গীত এবং স্বর সমূহ আমরা স্বাভাবিকভাবে উপভোগ করতে পারি, তার আনন্দ কম হয় যখন কানে সমস্যা থাকে। একজন মানুষ যখন কানে কম শোনা হয় তখন তার সাথে অসংখ্য সমস্যা সম্পর্কিত সমস্যা হয়ে যায়।

আপনি কি কানে কম শুনছেন? কীভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাস রোধ করবেন?

শ্রবণ প্রক্রিয়া কি?

শ্রবণ হল শব্দ শুনার একটি প্রক্রিয়া যা হয় মানব কানের ভেতরের শ্রবণ পাঠকের কাছে পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন উপাদান এবং স্ট্রাকচারের মাধ্যমে ঘটে।

শ্রবণ প্রক্রিয়া তিনটি পদক্ষেপে বিভক্ত হয়ঃ

১. কানের বাইরের শব্দ শুনতে শুরু হয়। এই শব্দ বা শব্দধ্বনি কানে প্রবেশ করে এবং কানের ভেতর একটি চমৎকার স্ট্রাকচার হয়ে যায়।

২. একটি জাঁক হয় যা শব্দধ্বনি উৎপন্ন করে এবং তা কানের ভেতরে রয়ে যায়।

৩. সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই পদক্ষেপে স্ট্রাকচারের একটি পরিমাণ পরিবর্তন হয় যা শব্দধ্বনি কে ইতিমধ্যে আকার দেয়।


সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ উপাদানের উপস্থিতিতে সম্পন্ন।


শ্রবণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে এভাবেও বলা যায়

আমাদের কানের তিনটি অংশ আছে - বাইরের কান, মধ্যকর্ণ এবং ভিতরের কান। বাহ্যিক-শব্দ তরঙ্গ কানের পর্দাকে কম্পিত করে। মধ্যকর্ণ - মধ্যকর্ণের হাড়কে কম্পিত করে এবং অভ্যন্তরীণ কানের তরল পর্যন্ত পৌঁছানো শব্দ তরঙ্গকে প্রশস্ত করে। কক্লিয়াতে অবস্থিত কক্লিয়ার অঙ্গের সংবেদনশীল চুলের কোষগুলি উদ্দীপিত হয় এবং বৈদ্যুতিক আবেগে রূপান্তরিত হয় যা শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে ভ্রমণ করে এবং আমরা শুনতে পাই।


শ্রবণশক্তি হ্রাস হওয়ার কারণ

শ্রবণশক্তি হ্রাসের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ওটিটিস মিডিয়া যেমন কানের মোম, কানের মোম এবং ধূলিকণা, ভাইরাল সংক্রমণ ইত্যাদি। মধ্য কানের সমস্যাগুলি হল কানের সংক্রমণ, কানের পর্দায় ছিদ্র, মধ্যকর্ণে জল/পুঁজ/রক্ত জমে, হাড়ের জয়েন্টের সমস্যা, শক্ত হয়ে যাওয়া ফুট প্লেট (ওটোস্ক্লেরোসিস) এবং অভ্যন্তরীণ কানের সমস্যা হল জন্মগত বধিরতা, যদি কানে কোন টিউমার বৃদ্ধি পায়, কানের ভিতরে শ্রবণ কোষ। শ্রবণশক্তি হারানো। কিছু কিছু ওষুধ অটোটক্সিক ওষুধ হিসেবে পরিচিত যেমন অ্যামিনোগ্লাইকোসাইডস, জেন্টামাইসিন ফ্রুসেমাইড (ল্যাসিক্স), অ্যান্টিক্যান্সার, অ্যান্টিটিউবারকুলার ওষুধ বা অ্যাসপিরিন উচ্চ মাত্রায় নেওয়া হলে।


এছাড়াও কানে কম শোনা হওয়ার কারণ অনেকগুলো হতে পারে, যেমন নিম্নলিখিত কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো।


১। গায়ের মাধ্যমে একটি শব্দ শুনতে সমস্যা।

২। কানের আবশ্যক অংশগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে না।

৩। কানে কোনও অস্থি বা শ্রবণশক্তির ক্ষতি হতে পারে।

৪। কানের মধ্যে ফ্লুইড বা অন্য কোনও দ্রবণ থাকতে পারে, যা কানে শব্দের পাওয়া সমস্যা তৈরি করে।

৫। জিহ্বার বা স্বল্পবয়সী শিশুদের মতো লোকের কানের অভিনয় প্রবল হওয়া।


উপরোক্ত কারণগুলির মধ্যে অনেকেরই জন্য চিকিৎসার সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে, তাই যদি কাউকে কানে কম শোনা হয় তবে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।


কানে কম শুনলে কি করণীয়?

কানে কম শুনলে নিম্নলিখিত কিছু করণীয় পালন করা উচিতঃ

১। কানে পানি ঢালা: সামান্য জল কানে ঢালে কানের পরিষ্কারতা বজায় রেখে দেয়। সম্ভবত কানে পানি ঝর্নার জন্য সমস্যা হচ্ছে।


২। কান থেকে জল ঝরানো: একটি শক্তিশালী সারি বা টিস্যু টেনে ধীরে ধীরে কানের ভেতরের জল ঝরানো যেতে পারে। এটি কানের সমস্যাগুলি সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।


৩। নির্দেশিত ঔষধ বা ইয়ানি লাগানো: সমস্যাটি মাধ্যমে কোন নির্দেশিত ঔষধ বা ইয়ানি কানে প্রবেশ করতে পারে।


৪। কানে জিনিস ঢুকানো থেকে বিরত থাকা: কানে জিনিস ঢুকানো থেকে বিরত থাকা উচিত, যেমন কানের ভেতর কোন পরিষ্কারতা দুর্ভুক্ত করতে পারে।


৫। ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা: কানে কম শোনা হলে সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করা।


আপনি শুনতে পচ্ছেন কম?

শ্রবণশক্তি হ্রাস পাচ্ছে কিনা তা কীভাবে বুঝবেন? আপনি যদি এই উপসর্গগুলির কোনটি অনুভব করেন তবে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন - অন্য লোকেদের ভালভাবে বুঝতে পারেন না, বিশেষ করে কোলাহলপূর্ণ জায়গায়। কথাগুলো বারবার বলতে বলছে। আপনাকে টেলিভিশনের ভলিউম বাড়াতে হবে। ফোনে শুনতে অসুবিধা হচ্ছে? অন্যান্য লোকের কথা শোনার জন্য তীব্র একাগ্রতা প্রয়োজন এবং তীব্র একাগ্রতা কিছুক্ষণ পর ক্লান্তি হতে পারে। এই উপসর্গগুলি সাধারণত দেখা যায় যখন কোন কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়। সময়মত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ, সার্জারি বা শ্রবণযন্ত্রের ব্যবহার কানের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।


কিছু শিশু জন্ম থেকেই শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। একে জন্মগত শ্রবণশক্তি হ্রাস বলে। জন্মগত শ্রবণশক্তি হারানো শিশুর পরিবারের অন্য সদস্যদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু এটাও ঘটতে পারে যদি শিশু জন্মের সময় পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পায় বা মাথায় আঘাত লাগে। নবজাতকের জন্ডিসের কারণেও শ্রবণশক্তি হ্রাস হতে পারে।


এক্ষেত্রে নবজাতকের কিছু শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করাতে হবে। উন্নত বিশ্বে শিশুর জন্মের পর এসব পরীক্ষা করা সুবিধাজনক। এই ধরনের সমস্ত পরীক্ষা আমাদের দেশে কিছু বিশেষায়িত কেন্দ্রে পাওয়া যায়। একটি জাতীয় শ্রবণ স্ক্রীনিং প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে জন্মগত বধির শনাক্ত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।


কীভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাস রোধ করবেন?

শিশুদের শ্রবণ স্ক্রীনিং একটি আবশ্যক. স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জাতীয় শ্রবণ স্ক্রীনিং অন্তর্ভুক্ত করা। শ্রবণ যন্ত্র এবং থেরাপি উপলব্ধ করা। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণ। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অটোটক্সিক ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার। ম্যাচের কাঠি, মুরগির পালক, চুলের ক্লিপ, কটন বাড, কটন বাডার দিয়ে অযথা কানে খোঁচা দেবেন না। কানে পানি যাতে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাতুড়ি ডাক্তার দিয়ে কান পরিষ্কার করবেন না। উচ্চ শব্দ এড়িয়ে চলুন। শৈশব টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করা। শব্দ কতটা জোরে তা পরীক্ষা করুন - ফিসফিস করে - 30 dB, কথোপকথন - 60 dB, ব্যস্ত ট্রাফিক - 70-85 dB, মোটরবাইক - 90 dB, হেডফোনের মাধ্যমে ফুল ভলিউমে গান শোনা - 100-110 dB৷ হেডফোন ব্যবহার করার সময় নয়েজ ক্যান্সেলিং ইয়ার ফোন ব্যবহার করুন। 60 শতাংশের উপরে ভলিউম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।


শ্রবণ স্ক্রীনিংয়ের মাধ্যমে শিশুদের শ্রবণশক্তি জন্মের এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করা উচিত, তিন মাসের মধ্যে নির্ণয় করা উচিত এবং ছয় মাসের মধ্যে চিকিত্সা করা উচিত।


কান বন্ধ থাকলে প্রথমে মুখ বন্ধ করে দুই আঙুল চেপে নিন। অর্থাৎ এই অবস্থায় নাকে বা মুখে কোনো বাতাস প্রবেশ করে না বা প্রবেশ করে না। এবার নাক দিয়ে চাপ দিন যেন নিঃশ্বাস ছাড়ছে। তবে নাকের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হতে দেবেন না। দেখবেন 'পপ' শব্দে বন্ধ কান খুলে গেছে। খুব জোরে ঘা করবেন না। এটি কানের পর্দার ক্ষতি করতে পারে। যদি এটি প্রথমবার কাজ না করে তবে আপনি কয়েকবার চেষ্টা করতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শে জরুরি অস্ত্রোপচার বা সহায়ক ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্য চিকিৎসায় বছরে অন্তত একবার শ্রবণ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।


কানে কম শোনা সম্পর্কে গগুলে সার্চ করা বিষয়গুলো কি কি?

কানে কম শোনা সম্পর্কে গুগলে মানুষজন অনেক জিনিস সার্চ করে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

  1. কান দোষ করে কি করবো?
  2. কানে শোনা কম হলে কি হয়?
  3. কানে শোনা কম হওয়ার কারণ কি?
  4. কানের নাকের পাশে জ্বালাশ্মি হলে কি করবো?
  5. কানে মাছি ঢুকলে কি করবো?
  6. কানে ওইস্টিয়োসার্কোমা হলে কি করবো?
  7. কানের ছেলেদের জন্য কম শোনার সমস্যার সমাধান কি?
  8. কানে কম শোনা হলে কি হতে পারে
  9. কানে কম শোনা হওয়ার কারণ কি হতে পারে
  10. কানে কম শোনা সমস্যার লক্ষণ কি হতে পারে
  11. কানে কম শোনা হলে কি চিকিৎসা করতে হবে
  12. কানে কম শোনা সমস্যার জন্য কোন ট্রিটমেন্ট সম্ভব ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো অনেক বিষয় সার্চ করে থাকে। নিচে আমরা কিছু বিষয়ে আলোকপাত করছি।

কান দোষ করে কি করবো?

যদি আপনি মনে করেন যে আপনার কান দোষ করে তবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

১। ডাক্তারের সাথে সাম্প্রতিক যোগাযোগ করুন: যদি আপনি মনে করেন আপনার কান দোষ করে তবে সবচেয়ে প্রথমে আপনার জিতে হলে আপনার স্থানীয় ডাক্তারের সাথে সাম্প্রতিক যোগাযোগ করুন। একজন ডাক্তার আপনার কান পরীক্ষা করবে এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিবেন।

২। শান্ত ও শান্ত রাখুন: আপনি নিজেকে শান্ত এবং শান্ত রাখুন। 


কানে মাছি ঢুকলে কি করবো?

যদি কানে মাছি ঢুকে যায় তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিত:

  • ধীরে ধীরে কান খালি করুন। কান খালি করার জন্য আপনি উপরে মাথাটি টিল্ট করতে পারেন।
  • নেত্রবিন্দু মাছি বের হতে সাহায্য করতে পারে। আপনি পানি দিয়ে কান ভালভাবে ধুবে ফেলতে পারেন এবং এরপর একটি কানফাঁস বা সমানুপাতিক পাইপ ব্যবহার করে পানি খুব স্লোভ মধ্যে কানে ঢুকিয়ে ফেলতে পারেন। এটি নেত্রবিন্দু এবং মাছির মধ্যে স্থান দিতে সাহায্য করবে।
  • কানে মাছি বের না হলে একটি মাছি বের হতে পারে না এবং এটি কানে থাকবে। তাই আপনি কানের ভিতরে মাছি আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে নিজেকে জানাতে পারেন।
  • মাছি বের হলে আপনি সাবধানে মাছি বের করবেন। আপনি কানের ভিতর থেকে মাছি বের নেওয়ার জন্য টুইজার, কানফাঁস বা সমানুপাতিক পাইপ ব্যবহার করতে পারেন।

কানে ওইস্টিয়োসার্কোমা হলে কি করবো?

ওস্টিওসার্কোমা হল একটি মানব স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ যা হাড় এবং অন্যান্য স্নায়ুতন্ত্রের জন্য একটি জ্বর হতে পারে। ওস্টিওসার্কোমা খুব জটিল একটি রোগ এবং তা চিকিৎসা করা কঠিন হতে পারে।

কানে ওস্টিওসার্কোমা হলে, আপনাকে তা চিকিৎসা করার জন্য একটি নিবিড় চিকিৎসা পরিকল্পনা অনুসরণ করতে হবে। এই রোগের চিকিৎসা শতভাগ সফলভাবে হওয়া সম্ভব নয়, তবে কিছু চিকিৎসা পদক্ষেপ আপনাকে সাহায্য করতে পারে।


কানে ওস্টিওসার্কোমা হলে নিম্নলিখিত করণীয় উল্লেখ করা উচিত:


দক্ষ ওটোলারিংলোজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করুন।


চিকিৎসার পদক্ষেপ হল ক্যান্সার থেকে ছুটকারা পেতে হবে।


অন্যান্য ইনফো জানুন:






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

Search This Blog

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget