ঢাকা পাসপোর্ট অফিস এলাকার পুনর্নির্ধারণ : বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস ঢাকার কোথায় কোথায়?

পাসপোর্ট হল একটি মৌলিক দলিল যা আপনাকে বিদেশে ভ্রমণ করতে দেয়। এছাড়াও পাসপোর্ট আপনার ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করে এবং আপনাকে কোনও দুর্ঘটনা বা অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে এটি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে। তাই ঢাকার জেলার পাসপোর্ট অফিসগুলোর ঠিকানা আপনার জানা থাকলে আপনি সহজেই যে কোন সমস্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন। আজকের এই ইনফোটিতে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রথমেই আমি আপনাদের এই সুখবরটি শেয়ার করতে চাই যে ঢাকা জেলা পাসপোর্ট অফিস এখন সম্পূর্ণ পূর্ণনির্ধান করা হয়েছে। এটি সরকার এবং এই অফিসের কর্মকর্তাদের কাজের একটি সাফল্য যা দেশের জনগণের উপহার হিসেবে গণ্য হবে।

যেহেতু পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল তাই পাসপোর্ট সেবার জন্য একটি দ্রুত এবং সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এখন জনগণ পাসপোর্ট জন্য একটি দ্রুত এবং সহজ সেবা পেতে পারবে। এছাড়াও পাসপোর্ট নির্গতিকরভাবে নতুন ও আধুনিক সুবিধার সাথে পূর্ণনির্ধান করা হয়েছে যা জনগণের সুবিধার জন্য ব্যবহারযোগ্য হবে।


ঢাকা পাসপোর্ট অফিস এলাকার পুনর্নির্ধারণ : বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস ঢাকার কোথায় কোথায়?


ঢাকা পাসপোর্ট অফিস এলাকার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে

সাম্প্রতিক সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকার পাসপোর্ট অফিসের অধিক্ষেত্র পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তির আলোকে আজকে আমরা আলোচনা করবো। কেননা ঢাকা পাসপোর্ট অফিস এলাকার পুনর্নির্ধারণ : বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস ঢাকার কোথায় কোথায়? তা জানা যাবে এই বিজ্ঞপ্তিটির মাধ্যমে।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট সেবার মান বৃদ্ধি এবং পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজীকরণের লক্ষ্যে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও, ঢাকা, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কেরাণীগঞ্জ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, উত্তরা, পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা পূর্ব (বনশ্রী), পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা পশ্চিম (মোহাম্মদপুর), পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা সেনানিবাস এবং পাসপোর্ট অফিস, সচিবালযয়ের অধিক্ষেত্র নিম্নরূপভাবে পুনঃনির্ধারণ হলো:


বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস ঢাকার কোথায় কোথায়?

 ১. বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও, ঢাকা

অধিক্ষেত্র: শেরে বাংলা নগর, মিরপুর, কাফরুল, রূপনগর, গুলশান, বনানী, শাহবাগ, ধানমণ্ডি ও কলাবাগান।


২.আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কেরাণীগঞ্জ

অধিক্ষেত্র: শ্যামপুর, কদমতলী, কোতয়ালী, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ মডেল, কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ, লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীরচর, বংশাল ও ওয়ারী।


৩. আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, উত্তরা

অধিক্ষেত্র: উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, আশুলিয়া, পল্লবী ও ভাষানটেক।


৪. পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা পূর্ব (বনশ্রী)

অধিক্ষেত্র: ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, রামপুরা, রমনা, মতিঝিল, পল্টন, বাড্ডা, ভাটারা, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও হাতিরঝিল।


৫. পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা পশ্চিম (মোহাম্মদপুর)

অধিক্ষেত্র: সাভার, ধামরাই, মোহাম্মদপুর, আদাবর, দারুস সালাম, শাহ আলী, হাজারীবাগ ও নিউ মার্কেট।


৬. পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা সেনানিবাস

অধিক্ষেত্র: ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট (ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার অধীনে বসবাসরত নাগরিকদের জন্য)।


৭. পাসপোর্ট অফিস, সচিবালয়

অধিক্ষেত্র: বাংলাদেশ সচিবালয় (শুধুমাত্র সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পোষ্যদের জন্য)


পাসপোর্ট কিভাবে পাবেন?

পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আপনার প্রথমে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে যা পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া যাবে। আবেদনপত্রে আপনাকে নিজের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে হবে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট দলিল সমূহ জমা দিতে হবে।

এরপর পাসপোর্ট অফিস আপনার আবেদনপত্রটি পরীক্ষা করবে এবং সমস্যা হলে তা সমাধান করবে। পরীক্ষা শেষ হলে, পাসপোর্ট অফিস আপনাকে একটি পাসপোর্ট জারি করবে যা আপনার নাম, ফটো এবং আপনার সম্পর্কের সমস্ত তথ্য সম্পন্ন হবে।

পাসপোর্ট জারির পর আপনাকে অফিস থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হবে। আপনার পাসপোর্টে নতুন ও আধুনিক সুবিধার সাথে পূর্ণ হবে যা আপনাকে অনেকটা নিরাপদ করবে যখন আপনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করবেন।

অনলাইনেও আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করবেন বিস্তারিত জানতে “ই-পাসপোর্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন কিভাবে” ইনফোটি দেখুন।


ই পাসপোর্ট কি?

ই-পাসপোর্ট হল একটি আধুনিক পাসপোর্ট সিস্টেম যেখানে পাসপোর্টের তথ্য ইলেকট্রনিক রূপে সংরক্ষিত থাকে। ই-পাসপোর্টের উদ্দেশ্য হল পাসপোর্ট নথিতে সংরক্ষিত তথ্যের সুরক্ষা বাড়ানো, পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা এবং ভ্রমণকারীদের জন্য প্রবেশ করতে সহজ ও নিরাপদ করা।

ই-পাসপোর্টে স্ট্যাম্প না লাগাই পাসপোর্টের তথ্য স্ক্যান করে ইলেকট্রনিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়াও ই-পাসপোর্ট থেকে যে তথ্য গুরুত্বপূর্ণ তা স্ক্যান করা হয় এবং ইলেকট্রনিক রূপে সংরক্ষণ করা হয় যেমনঃ আপনার ফুট প্রিন্ট, উচ্চতা, ওজন, এবং সম্পর্কের তথ্য ইত্যাদি।

ই-পাসপোর্ট আরও নিরাপদ এবং সুবিধাজনক যেমন সেটা পাসপোর্টের ডাটাবেজে সরাসরি সংযোজিত হয়ে থাকে যাতে প্রতিটি ব্যক্তির তথ্য এর মাধ্যমে আরও বিস্তৃত ও নিরাপদ সুবিধা উপলব্ধ হয়।

পাসপোর্টের ইলেকট্রনিক তথ্য ব্যবহার করে পাসপোর্ট স্ক্যান করে ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য বিশ্বব্যাপী পাসপোর্ট ডাটাবেজে সরাসরি সংযোজিত হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীর পরিচিতি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারে এবং বিভিন্ন আইন ও বিধিনিষ্ঠ কাজে পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়। 

এছাড়াও পাসপোর্টের ইলেকট্রনিক ফিচার ব্যবহার করে ভ্রমণকারীর আইডেন্টিটি যাচাই করা যায় যার মাধ্যমে সুবিধাজনক এবং নিরাপদ যাত্রাপথ তৈরি করা সম্ভব হয়।

পাসপোর্ট সংক্রান্ত অন্যান্য ইনফো




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

Search This Blog

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget