গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস শিশুর অভ্যন্তরীণ গঠন ও গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ ঘটে। মায়ের শরীর এবং মনও প্রসূতি পরিবর্তনের প্রথম ধাক্কা অনুভব করে। অনেক মায়ের এই সময়ে অসুস্থ বোধ হয়, মেজাজও তিরিক্ষি হয়ে যেতে পারে। অনেকেই বমি ও বদহজমের সমস্যায় ভোগেন।
(toc) #title=(ইনফোটি এক নজরে দেখুন)
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে যে লক্ষণগুলো অবহেলা করা উচিৎ নয়?
এই সময়ে সাধারণ সমস্যাগুলো কি কি?
ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামন্দা বা নিজের পছন্দের বাইরে ভিন্ন স্টাইলের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা অনেকের। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা স্তনে ব্যথা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। হালকা পেটে ব্যথাও হয়। অনেকের যোনিপথে স্রাব হয়। কিছু লোক সামান্য রক্তপাতও অনুভব করতে পারে।
আরো জানুন: গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহের লক্ষণসমূহ কি কি?
গর্ভবতী নারীদের মনে যে প্রশ্নগুলো সর্বদা ঘুরপাক খায়
যে লক্ষণগুলো অবহেলা করা উচিৎ নয়?
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায় এবং এগুলো সাধারণত অবহেলা করা যায় না:
- বাক্তি ও বমি দেখা।
- উচ্ছ্বসিত হয়ে থাকা বা ঝিমুনি অনুভব করা।
- জ্বর হওয়া।
- ব্যাথা ও অস্বস্তি হওয়া।
- সিনাসার বা সমস্যা হওয়া।
- মাথার ব্যাথা হওয়া।
- বুকের ভিতরে দাগ বা অন্যান্য কিছু অনুভব করা।
যদিও সব গর্ভধারণ একই না, কিন্তু এই লক্ষণগুলো সাধারণত হয় এবং এগুলো কাজেই গর্ভধারণ পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে একটি বিশেষ লক্ষণ হলো স্তনধারী মায়ের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। যদি কোন মাসিক বন্ধ হয় তবে গর্ভধারণ সম্ভব হতে পারে এবং একটি গর্ভবতী মা হতে পারেন।
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে যা করণীয়
- শুরু থেকেই ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকুন। প্রতি মাসে একবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া ভালো। ওজন, পালস, রক্তচাপ দেখা যাবে। স্বাভাবিকভাবেই ওজন বাড়ছে কি না তাও জানা যাবে।
- বমি বমি ভাব এড়াতে সকালে খালি পেটে দাঁত ব্রাশ না করাই ভালো। রাতে ব্রাশ করে ঘুমান। সকালে শুকনো খাবার খেতে হবে, তরল খাবার পরিহার করতে হবে। আপনি যদি বমি বমি ভাব অনুভব করেন তবে একবারে খুব বেশি জল বা তরল খাবার পান করবেন না। রাতের খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করুন।
- ছোট ঘন ঘন খাবারের অভ্যাস করুন।
- খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না। অন্তত আধা ঘণ্টা পর ঘুমান। বুকজ্বালা হলে মাথার নিচে দুটি বালিশ রাখতে পারেন।
- হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস বজায় রাখা ভালো।
- মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন। প্রিয়জনের কাছে মনের কথা বলুন। গর্ভবতী মহিলার সুস্থতার যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব তাদের ঘনিষ্ঠদের।
- চা-কফি কম খাওয়ার অভ্যাস রাখা ভালো।
- ধূমপান এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ।
- জ্বর, ক্রমাগত বমি, একদম খেতে না পারা- এমন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভধারণে বিপদ চিহ্নসমূহ কি?
- সাংঘাতিক পেটে ব্যথা
- রক্তপাত
- অতিরিক্ত মাথা ঘোরা
- খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি
- খুব কম ওজন বৃদ্ধি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন