গ্যাস্ট্রিক এবং আলসার উভয়ই পাচক তন্ত্রের সমস্যার সাধারণ নাম। গ্যাস্ট্রিক একটি পাচক তন্ত্রের সমস্যা যা পেটের উপরের অংশে অবস্থিত হয়। এটি বুকের পাশের অংশের বেশিরভাগ এলাকায় হয় এবং এর কারণে পেটে ব্যাথা, জ্বর, পাচক সমস্যা এবং আরও কিছু লক্ষণ হতে পারে। আজকের এই লেখাটিতে আমরা আলোচনা করবো গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ: গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় বা চিরতরে আলসার থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে?
আলসার
হল পেটের বা দুইটি অংশের
মধ্যে উত্তরদায়ি জঠার পাশের লম্বা কাটা এলাকায় হয়।
এটি পেটের ভেতরে একটি পিঁপড়ির মতো হয় এবং এর কারণে জ্বর,
পেটে ব্যাথা, পেটের অংশে অস্বস্তি এবং অন্যান্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক
এবং আলসার উভয়ই পাচক তন্ত্রের সমস্যা হলেও এদের কারণ এবং চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক
একটি পাচকতন্ত্রিক সমস্যা যা পাচকতন্ত্রের উপর অবাধ্যতা সৃষ্টি করে।
এর মূল কারণ
হল পরিমাণমত খাবার গ্রস্ত করা এবং এর কারণে পেটের পিত্ত বা এসিড উন্নয়ন হয়। এই অতিরিক্ত
এসিড পাচকতন্ত্রের প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়াকে আঘাত করতে পারে এবং এর ফলে ব্যথা, উত্তেজনা,
জ্বলজ্বল আগুনের মতো অনুভূতি ও অস্বস্তিতা হতে পারে। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক এসিড দ্বারা
ক্ষতিগ্রস্ত এলসার বা পেটের ব্যাথার কারণ হতে পারে।
এগুলো জানুন:
কোন রোগের জন্য কি পরীক্ষা করা হয়?
কানে কম শুনলে কিভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাসরোধ করবেন?
গ্যাস্ট্রিক কি? এর লক্ষণসমূহ কি কি?
গ্যাস্ট্রিক
হল পাচকতন্ত্রের একটি সমস্যা যা হয় পেটের
পিত্ত এসিড বা হাইড্রোক্লোরিক এসিডের
উন্নয়নে এবং পাচকতন্ত্রের উপর অবাধ্যতা সৃষ্টি করে।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি হলো:
১.
পেটে দুঃখজনক আঘাত বা উত্তেজনা অনুভব
করা।
২.
পেটের উপরের অংশে জ্বলজ্বল অনুভব করা।
৩.
পেটের বোঝ অনুভব করা।
৪.
অস্বস্তি এবং বমি উত্তেজনা হতে পারে।
৫.
এসিড রিফ্লাক্স এবং জ্বরের কারণে নিজের পেট সম্পর্কে সমস্যা বা অস্বস্তি অনুভব
করা।
৬.
কঠোর পাচকতন্ত্রিক সমস্যা হতে পারে যা জনসাধারণের স্বাস্থ্যকে
কম করে ফেলতে পারে।
৭. খাবার গ্রস্ত করার পর আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত পেটে গ্যাস্ট্রিক লাইটের অনুভব হতে পারে।
আরো জানুন:
বরই এর উপকারিতা কি? কেন বরই খাবেন?
চা কখন পান করবেন এবং কখন পান করবেন না?
আলসার কি? এর লক্ষণসমূহ কি কি?
আলসার
হল পাচকতন্ত্রের একটি সমস্যা যা পেটের প্রতিরক্ষা
কক্ষের প্রাণিসমূহের একটি আঘাত হিসাবে ঘটে।
এর কারণ হল পেটের প্রতিরক্ষা
কক্ষের লিনিংয়ে রক্তচাপের বৃদ্ধি এবং পেটের পিত্তে থাকা হাইড্রোক্লোরিক এসিডের কারণে লিনিং সংক্রমিত হয়।
আলসারের লক্ষণগুলি হলো:
১.
পেট ব্যথা।
২.
পেটের উপরে জ্বলজ্বল অনুভব করা।
৩.
পেটে অস্বস্তি অনুভব করা।
৪.
খাবার গ্রস্ত করার পর অস্বস্তি হওয়া।
৫.
নিবিড় ও শক্ত অস্বাস্থ্য
হওয়া।
৬.
কখনও কখনও বমি উত্তেজনা হওয়া।
৭.
স্থানিক পেট ব্যথা হওয়া যা খাবার খেতে
বা সমস্যা সমাধান করতে সময় লাগে।
৮.
খাবার গ্রস্ত করার পর আধা ঘণ্টা
থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত
জ্বলজ্বল ও একধরনের অস্বস্তির
অনুভব হতে পারে।
আলসার
হলে সচেতনতা দর্শনীয় হতে পারে। পরিপাকতন্ত্র
একটি জটিল পদক্ষেপের সমন্বয়, যা ভোজনের সময়
প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করে এবং খাদ্যপদার্থগুলি সঠিকভাবে পেটে পাঠায়। আলসার
হলে পরিপাকতন্ত্র অসফল হয় এবং অপুষ্টি হতে পারে।
আলসার
হলে পেটের প্রতিরক্ষা কক্ষের লিনিং সংক্রমিত হয় এবং এটি বাধাও হতে পারে যাতে পরিপাকতন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না।
এছাড়াও, আলসার হলে খাদ্য পদার্থ ভেঙ্গে যেতে পারে যা পরিপাকতন্ত্র কাজ
করে না।
এতে পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে পুষ্টি পাওয়া বিষয়ে সমস্যা হতে পারে।
তাই
আলসারের লক্ষণগুলি দেখে কেউ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে এবং পরামর্শ দেওয়া হয় যে সমস্যাটি নিদ্রাপূর্বক
সমাধান করা উচিত।
আরো জানুন:
দ্রুত বীর্যপাত হয় কেন এবং এর সমাধান কি?
যৌন সমস্যা এবং দেহের শক্তি বাড়াতে দুধের ভুমিকা
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের লক্ষণ
2. অত্যধিক
হেঁচকি,
3. টক
বা তেতো স্বাদের কুঁড়ি,
4. পেটের
উপরের অংশে জ্বলন্ত সংবেদন,
5. বুক
বা মেরুদণ্ডের পিছনে ব্যথা,
6. বমি
বমি ভাব এবং বমি।
7. ক্ষুধা
হ্রাস বা ক্ষুদামান্দা
গ্যাস্ট্রিক আলসারের প্রতিকার
1. অ্যালকোহল
এবং ক্যাফেইনযুক্ত খাবার (যেমন: চা, কফি ইত্যাদি) এড়িয়ে চলা।
2. ভাজা
ও মশলাদার খাবার কম খান।
3. বেশি
করে তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ খান।
কারণ এই ধরনের মাছে
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন উৎপাদনে সাহায্য
করে। এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন আলসার শুকাতে সাহায্য করে।
4. ভাতের
সাথে অতিরিক্ত লবণ (কাঁচা লবণ) খাবেন না।
কারণ খাবার লবণে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে
আলসার
গঠনে সাহায্য করে।
5. ভিটামিন
এ, সি এবং ই
যুক্ত ফল ও শাকসবজি
বেশি খাওয়া। এই সব ভিটামিন শুষ্ক
আলসার
সাহায্য
করে
6. অ্যাসপিরিন
এবং ব্যথা উপশমকারী এড়িয়ে চলুন। তারা
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনকে
বাধা দেয়। ফলে
নতুন আলসার তৈরি হয়।
7. প্রচুর
পানি পান করুন। এটি
আলসারের ঝুঁকি কমায় কারণ অতিরিক্ত অ্যাসিড নিরপেক্ষ হয়।
স্বীকারোক্তি: এই লেখাটি কোনভাবেই চিকিৎসার বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হইবে না। শুধুমাত্র এটি সাধারণ জ্ঞানের শিক্ষনীয় বিষয়ে হিসাবে প্রযোজ্য।
অন্যান্য ইনফো জানুন
যৌন মিলনের সময় লিঙ্গ শিতল হলে কি করবেন?
ডাবের পানি কি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর?
গর্ভবতী হয়েছেন কিনা পরীক্ষা করার সহজ উপায় কি?
মধু খাঁটি না ভেজাল কিভাবে চিনবেন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন