গর্ভাবস্থা পরীক্ষা (pregnancy test) কখন করবেন?

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা হয় যখন মহিলার মাসিক সাময়িক অবস্থার দিনের পর এক সপ্তাহ পর পর মেয়ের পেটে প্রসবের চিহ্ন দেখা যায় না। মাসিক বন্ধ হওয়ার ৭ দিন পরে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা যেতে পারে। গর্ভাবস্থা পরীক্ষা (pregnancy test) কখন করবেন? এই বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে আজকের এই ইনফোটিতে।


গর্ভাবস্থা পরীক্ষা (pregnancy test) কখন করবেন?


আপনি প্রাথমিকভাবে জানতে পারেন একটি হোম গর্ভাবস্থা টেস্ট ব্যবহার করে  আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। এই টেস্টের জন্য একটি টেস্ট কিট কেনা যায় যা পানিতে ডুবিয়ে প্রয়োজনীয় রং পরিবর্তন করে। এছাড়াও, একজন ডাক্তার করা গর্ভাবস্থা পরীক্ষা একটি রেডিওলজিক্যালি স্ক্যান ব্যবহার করে করা হয় যা গর্ভবতী হওয়ার দিকে নিশ্চিততা দেয়।


পিরিয়ড অনুপস্থিত সব মহিলাদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। এটি আপনাকে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করার জন্য একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার অনুরোধ করতে পারে। আপনি যখন নিশ্চিত হতে পারেন না যে, গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। তখন আপনি গর্ভবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন।


মহিলারা প্রায়ই গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার সঠিক সময় সম্পর্কে বিভ্রান্ত হন। বেশিরভাগ নামকরা ব্র্যান্ড মিসড পিরিয়ডের প্রথম দিনের আগেও সঠিক ফলাফল দেওয়ার দাবি করে। যাইহোক, একটি নিশ্চিত ফলাফলের জন্য একটু অপেক্ষা করা ভাল। এই পরীক্ষার কিটগুলি গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে আপনার প্রস্রাবে গর্ভাবস্থার হরমোন হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (HCG) এর উপস্থিতি মূল্যায়ন করে।


এগুলো জানুন:

মেয়েদের মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভবনা থাকে?

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণসমূহ কি কি?

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার সহজ উপায় কি?

যৌন মিলনের পর মেয়েদের তলপেটে ব্যাথা হয় কেন? প্রতিকার পাবেন কিভাবে?


কিভাবে একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কাজ করে?

আপনার ডিম নিষিক্ত হওয়ার প্রায় ছয় দিন পরে, আপনার শরীর হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (HCG) নামে একটি হরমোন তৈরি করতে শুরু করে। আপনি গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (HCG) সনাক্ত করে থাকে।


গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার জন্য একটি উপাদান ব্যবহার করা হয় যা মহিলার মূল্যায়ন করে তার মূল্যবান প্রসব হরফের সাথে সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করে।


হোম গর্ভাবস্থা টেস্টে সাধারণত একটি টেস্ট কিট থাকে যা দুই উপাদানে ভেদ করা হয় - একটি উপাদান মূল্যায়ন করে জন্য প্রয়োজনীয় প্রসব হরফ উপস্থাপন করে এবং অন্য উপাদান মূল্যায়ন করে জন্য প্রয়োজনীয় রং পরিবর্তন করে।


এই টেস্ট কিটের সাথে একটি প্রসব হরফ পরীক্ষা করার জন্য একটি স্ট্রিপ থাকে যা মূল্যায়ন করে জন্য প্রসব হরফ উপস্থাপন করে। প্রসব হরফ যখন ইউটেরাসে পড়ে, তখন এটি স্ট্রিপে দেখা যায় এবং রঙের পরিবর্তন হয়। 


বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা (pregnancy test) কতটা সঠিক?

ইউএস অফিস অন উইমেন'স হেলথ অনুসারে, বেশিরভাগ হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে 99% সঠিক ফলাফল প্রদান করে। সময়ের সাথে সাথে আপনার প্রস্রাবে হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (HCG) এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যদি আপনার পিরিয়ড মিস হওয়ার কয়েকদিন পর পরীক্ষা করেন, তাহলে আপনি সম্ভবত সঠিক, নির্ভরযোগ্য ফলাফল পেতে পারেন।


সুতরাং বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা খুবই সঠিক এবং সহজ পদক্ষেপ। এই পরীক্ষাগুলি অন্যান্য সমস্ত উপায়ে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং সমর্থ।


হোম গর্ভাবস্থা টেস্ট সম্পন্ন করার আগে, মহিলাকে কিছু সতর্কতার মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। টেস্ট সঠিক ফলাফল দেওয়ার জন্য, মহিলাকে টেস্টটি সম্পন্ন করার আগে সকালের প্রথম পেশাদার মল বা মুখের পানি থেকে নেওয়া নয়। এছাড়াও, মহিলার টেস্টটি করার আগে হালকা খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।


যদি সম্ভব হয় না হোম গর্ভাবস্থা টেস্টের ফলাফল সঠিক হয়, তবে সেটি পুনরায় পরীক্ষা করার জন্য একটি প্রফেশনাল ডাক্তারের কাছে চেকআপ করতে হবে। ডাক্তার সাধারণত মহিলার মূল্যায়ন করার জন্য কিছু আরও পরীক্ষাগুলি সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন।


কখন আপনি বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করবেন?

আপনার ডিম্ব নিষিক্ত হওয়ার 6 দিনের মধ্যে এই হরমোন তৈরি করতে শুরু করে। এর পরে, HCG মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বেশিরভাগ মহিলা প্রতি 2 থেকে 3 দিনে এই যৌগের ডোজ দ্বিগুণ করে। প্রস্রাবে HCG-এর মাত্রা সনাক্ত করার জন্য একটি মিসড পিরিয়ডের পরে একটি বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা ভাল। প্রস্রাবে HCG এর ঘনত্ব সর্বোচ্চ হলে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার জন্য ভোরবেলা হল সেরা সময়। অর্থাৎ ভোরে কোন কিছু খাওয়ার আগে আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষাটি করা উচিৎ।


সাধারণত গর্ভাবস্থা পরীক্ষা বাড়িতে করা যায় যখন মহিলার বিশ্বাস থাকে যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন এবং তার গর্ভধারণের সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সাধারণত এই সময়সীমা মাসিক নির্ণয়ের সময় এক সপ্তাহ পরে বা হালকা ব্লিডিং বা মাংসপেশী ছিদ্রসহ অবস্থান থাকলে অবশ্যই সম্পন্ন হয়।


এছাড়াও, গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ফলাফল ভুল হতে পারে যদি টেস্টটি সঠিকভাবে না সম্পন্ন করা হয়। তাই এটি আবার পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের কাছে চেকআপ করা উচিত যদি প্রথম টেস্টটি সম্পন্ন করার পর মহিলার মাসিক নির্ণয় হয় না।


গর্ভধারণের পর শরীর কেন মানব কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন হরমোন তৈরি করে?

HCG হরমোন প্রাথমিক পর্যায়ে গর্ভাবস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গর্ভাবস্থার হরমোনের মাত্রাগুলিও নির্ধারণ করে যে আপনি কতদিন গর্ভবতী। যাইহোক, গাইনোকোলজিস্টরা প্রায়ই HCG স্তরের সাথে গর্ভাবস্থার পর্যায়কে সম্পর্কযুক্ত করার জন্য একটি আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার পরামর্শ দেন।


গর্ভবতী মায়েরা ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের সংলগ্ন কোষগুলি থেকে HCG হরমোন নিঃসরণ করে যখন এটি জরায়ুর প্রাচীরের সাথে সংযুক্ত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে, এই কোষগুলি প্লাসেন্টায় রূপান্তরিত হয় এবং HCG উৎপাদনের ভূমিকা গ্রহণ করে। গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে পর্যাপ্ত প্রোজেস্টেরন তৈরি করতে এইচসিজি কর্পাস লুটিয়ামকেও উদ্দীপিত করে।


গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ সপ্তাহে HCG এর মাত্রা সর্বোচ্চ। এই পর্যায়ের পরে, প্ল্যাসেন্টা সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী হয় এবং HCG-এর সাহায্য ছাড়াই যথেষ্ট প্রোজেস্টেরন তৈরি করে। এই পর্যায়ের পর HCG এর মান কমে যায়।


মানব কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (human chorionic gonadotropin, hCG) হরমোন হল একটি গ্রামপোষক হরমোন যা গর্ভধারণের পর মহিলার শরীরে তৈরি হয়। এটি প্রথমবার গর্ভবতী মাদারের ভিতরে শিশুর উপস্থিতি নির্দেশ করে।


গর্ভবতী মাদারের শরীরে হরমোনের এই উত্থানের পিছনের কারণ হল তার বাচ্চার প্রজনন সিস্টেমের উন্নয়ন এবং সঠিকভাবে তার শিশুর সমর্থন করা। এই হরমোন শিশুর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন করে এবং তার প্রজনন সিস্টেমে কাজ করে যাতে মানব জাতি বহুত সংখ্যক বাচ্চা জন্ম দিতে পারে।


সাধারণত গর্ভধারণ এবং গর্ভবতী মাদারের হার্টবিট শুরু হওয়ার পর কিছু দিনের মধ্যে হরমোনের পরীক্ষা করা হয়। গর্ভবতী মহিলার হরমোন স্তরও এই সময়ে সম্পন্ন হয়।


বিভিন্ন ধরনের গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কি কি?

বেশিরভাগ গর্ভাবস্থা পরীক্ষা প্রস্রাব বা রক্তে HCG এর উপস্থিতি সনাক্ত করে। এই বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে, দুটি প্রাথমিক ধরনের গর্ভাবস্থা পরীক্ষা আছে।

১) গর্ভাবস্থার জন্য রক্ত পরীক্ষা

২) গর্ভাবস্থার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষা


গর্ভাবস্থার জন্য রক্ত পরীক্ষা (Blood test for pregnancy)

গর্ভাবস্থার জন্য রক্ত পরীক্ষা (blood test for pregnancy) হল একটি পরীক্ষা যা গর্ভধারণের উপস্থিতি নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করে গর্ভবতী মহিলার রক্তের ভিত্তিতে হরমোন নামক পদার্থের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়।

রক্ত পরীক্ষা একটি সহজ এবং নিরাপদ পদ্ধতি যা গর্ভধারণের উপস্থিতি নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই পরীক্ষা সাধারণত হাসপাতাল বা মেডিকেল ল্যাবে করা হয় এবং রক্ত নমুনা নেওয়ার জন্য কোন প্রকারভেদনক প্রয়োজন নেই।

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোনের স্তর উচ্চ হলে সে গর্ভবতী মহিলার হরমোনের উচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করে এবং গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করে। 

বর্তমানে, দুটি ধরণের গর্ভাবস্থার রক্ত ​​পরীক্ষা রয়েছে।

1. গুণগত HCG পরীক্ষা।

একটি গুণগত এইচসিজি পরীক্ষা শুধুমাত্র আপনি গর্ভবতী কিনা তা প্রকাশ করে। যেহেতু তারা এইচসিজি মাত্রা পরিমাপ করে না, আপনি গর্ভাবস্থার সাথে কোনো চিকিৎসা সমস্যা আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে পারবেন না, যেমন একটি অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা। গাইনোকোলজিস্টরা নিষিক্তকরণের 10 দিন আগে পর্যন্ত এই মূল্যায়নগুলি নির্ধারণ করতে পারেন।

2. পরিমাণগত HCG পরীক্ষা

পরিমাণগত HCG পরীক্ষা আপনার রক্তে HCG হরমোনের সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করতে পারে। সঠিক মূল্যায়ন কৌশল HCG এর এমনকি মিনিটের মাত্রা সনাক্ত করতে পারে। গাইনোকোলজিস্টরা প্রায়ই অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থার (যখন একটি নিষিক্ত ভ্রূণ জরায়ুর বাইরে ইমপ্লান্ট করা হয়) বা দুর্ঘটনাজনিত গর্ভপাত (এইচসিজির মাত্রা হঠাৎ করে কমে যাওয়ার কারণে) জন্য এই পরীক্ষার পরামর্শ দেন।

গর্ভাবস্থার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষা (Urine test for pregnancy)

প্রস্রাব পরীক্ষা হল একটি সহজ গর্ভাবস্থা পরীক্ষা পদ্ধতি যা মৌখিক পরীক্ষার সমান ফলাফল দেয়। এটি একটি হোম টেস্ট যা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রস্রাব পরীক্ষা ব্যবহার করে হিস্টিডিন-লিগ্যাসেন (hCG) উপাদানের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়। এই উপাদানটি মাতৃগর্ভে গর্ভকালীন বৃদ্ধির সাথে বিকাশ করে এবং এর স্তর গর্ভাবস্থার সাথে পরিবর্তিত হয়।

প্রস্রাব পরীক্ষা হাসপাতালে বা ঘরে একটি টেস্ট কিট ব্যবহার করে করা যায়। এই পরীক্ষাটি সাধারণত গর্ভধারণের পর 10 থেকে 14 দিনের মধ্যে করা হয়। প্রস্রাব পরীক্ষা মাধ্যমে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করা সহজ এবং স্বাভাবিক হলেও সঠিক ফলাফল দেওয়ার জন্য সঠিক প্রস্তুতি এবং পরীক্ষার পরিকল্পনা করা উচিত যেন নিরাপদ এবং স্থায়ী ফলাফল পাওয়া যায়।

কত তাড়াতাড়ি আমি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারি?

আপনি কোন সমস্যার মুখোমুখি না থাকলে আপনি প্রথম দিনের উপরান্তই গর্ভাবস্থা পরীক্ষা নিতে পারেন। তবে কিছু মহিলাদের জন্য গর্ভাবস্থা পরীক্ষা নিতে হতে পারে পরপরই কিন্তু এটি একটি সমস্যার সূচনা দেয় তবে এটি প্রচলিত নয়। সাধারণত একটি পদক্ষেপ হচ্ছে যদি আপনি সম্ভব হলে দ্রুততম সময়ে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে পারেন।

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার জন্য আপনার মাসিক মিস হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভাল। এটি করলে গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সঠিকতা বাড়বে। আপনি যদি আপনার মাসিক মিস না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না চান, তাহলে সহবাসের পর অন্তত এক বা দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সুবিধা এবং অসুবিধা

প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সুবিধা হলো গর্ভাবস্থার বেশি পর হয়ে না গেলেও একটি সঠিক পরিক্ষা প্রদান করে যা গর্ভবতী মাতার জন্য চিরস্থায়ী একটি নিরাপদ এবং স্বাভাবিক গর্ভাবস্থার উপযোগী তথ্য সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে, একটি প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থা পরীক্ষা নেওয়া একটি নিশ্চিতভাবে সময়সীমিত পদক্ষেপ, যা অনেক মহিলার জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে। একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কিট পাওয়া বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া সময় আপনি সর্বাধিকতম সময় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, যেমন ট্রাফিক এবং অসুস্থতা এবং টেনশান। তবে সাধারণত এই সমস্যার সমাধান করা যায় যদি আপনি সম্ভব হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে একটি সম্ভব সময়সূচি বের করে নিতে পারেন।

প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সুবিধা:

  • এটি বাড়িতে গর্ভাবস্থা সনাক্ত করার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুততম উপায়গুলির মধ্যে একটি।
  • আপনার জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে এটি কার্যকর।
  • এটি আপনাকে প্রসবপূর্ব যত্নের জন্য আপনার জীবনধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
  • এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে কখন ওষুধ বন্ধ বা শুরু করতে হবে।
  • গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি বুঝুন সহজেই।

প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার অসুবিধা:

  • আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি বা ভুলভাবে পরীক্ষা করেন তবে মিথ্যা-নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • এটি রাসায়নিক গর্ভাবস্থা সনাক্ত করতে পারে।
  • এটি পরীক্ষার ফলাফলের কারণে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
  • আপনি যদি পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি করতে চান তবে এটি ব্যয়বহুল হতে পারে।

আমার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা ইতিবাচক হলে আমার কি করা উচিত?

যদি আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা ইতিবাচক হয়, তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিতগুলি করতে হবে:

  • একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
  • ধৈর্য্য ধারন করুন
  • প্রসবপূর্ব ভিটামিন সহ একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ শুরু করুন
  • মদ খাওয়া বন্ধ করুন
  • ধুমপান ত্যাগ কর
  • ব্যায়াম নিয়মিত করুন
  • অনেক পানি পান করুন

হোম প্রেগন্যান্সি টেস্টের ধাপগুলো কি কি?

বেশিরভাগ হোম-ভিত্তিক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কিটগুলিতে একটি প্লাস বা বিয়োগ চিহ্ন, "গর্ভবতী" বা "গর্ভবতী নয়" শিলালিপি বা একটি বা দুটি লাইন থাকে। এই সূচকগুলি আপনি গর্ভধারণ করেছেন কি না তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং নির্দেশাবলীর মধ্য দিয়ে যেতে ভুলবেন না।

সঠিকতা বজায় রাখার জন্য আপনার পিরিয়ড না হওয়ার পরে খুব সকালে এই পরীক্ষাটি করা ভাল। রেখা বা চিহ্নের আকারে ফলাফলের বৈধতা নির্দেশ করে স্ট্রিপগুলিতে একটি নিয়ন্ত্রণ সূচকও রয়েছে। যদি কন্ট্রোল লাইন বা প্রতীক উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়, পরীক্ষাটি অবৈধ এবং আপনার এটি পুনরায় চালানো উচিত।

আপনি নিম্নলিখিত যে কোনও পদ্ধতির মাধ্যমে প্রস্রাব গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন যা পরীক্ষার কিটে নির্দিষ্ট করা হবে:

• টেস্ট স্ট্রিপটি সরাসরি প্রস্রাবের স্রোতে রাখুন।

• একটি পাত্রে প্রস্রাব সংগ্রহ করুন এবং তারপর স্ট্রিপটি ডুবান।

• একটি কাপে প্রস্রাব সংগ্রহ করুন এবং তারপর কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব সংগ্রহ করতে একটি ড্রপার ঢোকান। 

এখন, প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটে প্রস্রাব রাখতে ড্রপার ব্যবহার করুন।

হোম গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সঠিকতা হার কি?

বেশিরভাগ হোম গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ব্র্যান্ড গর্ভাবস্থা নির্ধারণে 99% নির্ভুলতার হার দাবি করে। যাইহোক, গর্ভাবস্থা শনাক্ত করার ক্ষমতা নির্ভর করে পদ্ধতি, সময় এবং গর্ভধারণের কত দিন পর, আপনি কখন পরীক্ষা করবেন তার উপর। আপনি যদি মনে করেন নেতিবাচক ফলাফল সত্ত্বেও আপনি গর্ভবতী হতে পারেন, তাহলে এক সপ্তাহ পর পরীক্ষাটি পুনরাবৃত্তি করুন। নিশ্চিত ফলাফলের জন্য আপনি অন্যান্য সংবেদনশীল গর্ভাবস্থা পরীক্ষাও বেছে নিতে পারেন।

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা নেওয়ার পরে কখন ডাক্তার দেখাবেন?

ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা ভাল। গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার পরে, ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্য অবস্থা এবং গর্ভাবস্থার উন্নয়ন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করবেন এই সময়সূচি আপনার গর্ভাবস্থার স্বাভাবিক উন্নয়নে ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে

 

ধরুন, আপনি প্রথম ট্রিমেস্টারে হয়েছেন এবং আপনার গর্ভাবস্থার স্বাভাবিক উন্নয়ন ঘটছে তাহলে আপনার ডাক্তার সমস্যার আভাস থাকলে সহজেই সেটা সমাধান করতে পারেন এবং আপনাকে পরবর্তী বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে গর্ভাবস্থার উন্নয়ন পর্যবেষণ করতে বলতে পারেন তবে, যদি আপনি কোন সমস্যার সম্মুখীন হন বা অস্থিতিমূলক কোন লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকেন, তবে আপনার ডাক্তার পরিচিত সময়ে আপনার দেখতে হবে


পরবর্তী গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় আপনি বিভিন্ন ফলাফল পাবেন। এই পরিস্থিতিতে, প্রজনন সিস্টেমের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা সহ্য করা ভাল।
গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ফলাফল যা নেতিবাচক বলে মনে হয়, এবং পিরিয়ড শুরু হয় না, তাদের একটি অন্তর্নিহিত চিকিৎসা অবস্থা থাকতে পারে। আপনি অতিরিক্ত চাপ, থাইরয়েড ডিসঅর্ডার বা অ্যামেনোরিয়ায় ভুগছেন।

আপনি যদি গর্ভবতী হন তবে আপনার একজন প্রসূতি বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করা উচিত এবং প্রসবপূর্ব পরীক্ষা করা উচিত।


গর্ভাবস্থা পরীক্ষা সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

1. আপনার নিয়মিত ওষুধ কি গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ফলাফলে হস্তক্ষেপ করতে পারে?

হ্যাঁ, নির্দিষ্ট উর্বরতা ওষুধ এবং HCG এর যথেষ্ট ডোজ ধারণকারী অন্যান্য বড়িগুলি বাড়ির গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ফলাফলে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে ফলাফল পরিবর্তন করতে পারে। হোম গর্ভাবস্থা পরীক্ষা নেওয়ার আগে আপনার প্রেসক্রিপশনের ওষুধ সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভাল।

2. গর্ভাবস্থার পরীক্ষায় কি মিথ্যা-ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া সম্ভব?

আপনি একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় একটি মিথ্যা-ইতিবাচক ফলাফল পেতে পারেন যদি আপনি জরায়ু প্রাচীরে নিষিক্ত ডিম ইমপ্লান্টের ঠিক পরে গর্ভপাত করেন। আপনি যদি HCG ধারণকারী উর্বরতা ওষুধের প্রশাসনের সাথে একই সাথে মূল্যায়ন করেন তবে মিথ্যা-ইতিবাচক ফলাফলও সম্ভব। বিরল ক্ষেত্রে, অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থাও বিভ্রান্তিকর ফলাফল দিতে পারে।

3. কখন আপনি একটি মিথ্যা-নেতিবাচক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ফলাফল পেতে পারেন?

একটি মিথ্যা নেতিবাচক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ফলাফল নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সম্ভব:

• আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করেন যদি আপনার রক্তে অপর্যাপ্ত HCG মাত্রা থাকে।

• আপনি দিনের পরে পরীক্ষার জন্য পাতলা প্রস্রাব ব্যবহার করেন।

• আপনি ফলাফল দেখানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় দেন না।

4. প্রথম সপ্তাহে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কতটা সঠিক?

বেশিরভাগ গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কিট প্রথম সপ্তাহে 99% সঠিক ফলাফলের প্রতিশ্রুতি দেয়।


গর্ভাবস্থা সম্পর্কে গুগলে যে সার্চগুলো করা হয়


কয়েকটি গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত সার্চ টার্ম নিম্নলিখিত:
  1. কতদিন পর গর্ভবতী হয়
  2. গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহ
  3. গর্ভধারণ করার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়
  4. গর্ভধারণ করার পর কতদিন পর প্রথম উল্টি হয়
  5. গর্ভাবস্থার শেষ মাসে যে যে সমস্যা হয়
  6. গর্ভাবস্থার মধ্যে ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা
  7. গর্ভাবস্থায় নিয়মিত যোগাযোগ করা উচিত কাকে
  8. গর্ভাবস্থার শেষ দিকে কি খেয়ে থাকতে হয়
  9. গর্ভাবস্থার সময় কি ফলন খেতে উচিত
  10. গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কি ধরনের ব্যায়াম করা উচিত
এছাড়াও অন্যান্য সার্চ টার্ম সম্পর্কিত হতে পারে যেমন গর্ভকালীন ডায়েট, গর্ভপাত, গর্ভাবস্থার সময় স্ত্রীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য ইত্যাদি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

Search This Blog

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget