রাজহাঁস মূলত মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়।অনেকেই এটি সখের বসে পুষে থাকে। আর গৃহপালিত পশুর মধ্যে এটি অন্যতম একটি পশু। যার বৈজ্ঞানিক নাম আনসার সানসার Anser anser। বানিজ্যিক এবং পারিবারিক উভয়ভাবে এটি পালক করা যায়। আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে “কোন জাতের রাজহাঁস পালন (Swan keeping) করবেন?”
বিভিন্ন জাতের রাজহাঁস আছে। একেকটার বৈশিষ্ট
একেক রকম। বিভিন্ন প্রকারের রাজহাঁসগুলো নিয়ে আমরা নিচে আলোচনা করবো। আপনার কাছে যেটি
সুবিধাজনক মনে হবে সেটি আপনি পালন করতে পারেন। এর জাতগুলো আপনি ভালো করে জানতে পারলে
অনেক সুবিধা হবে আপনার জন্য।
রাজহাঁসের বিভিন্ন জাতসমূহ কি কি?
আমরা জানি যে, আমেরিকান পোল্ট্রি এসোসিয়েশন কর্তৃক
স্বীকৃত রাজহাঁসের মোট সাতটি স্ট্যান্ডারর্ড জাত রয়েছে। এদের মধ্যে তিন জাতের হাঁস
সাধারণত বড় হয়ে থাকে। তাই মাংস উৎপাদনের জন্য এই তিন জাত বেশি পালন করা হয়। বাকী জাতগুলো
জনপ্রিয় না হলে অনেকেই সখ করে পুষে থাকেন।
রাজহাঁসের
৭টি স্ট্যান্ডারর্ড জাতসমূহ নিম্নরুপ:
১) টাউলোজ রাজহাঁস (Toulouse swan)
২) অ্যাম্বডেন রাজহাঁস (Ambedkar Swan)
৩) আফ্রিকান রাজহাঁস (African Swan)
৪) চানিজ রাজহাঁস (Chinese swan)
৫) মিশরীয় রাজহাঁস
৬) কানাডিয়ান রাজহাঁস
৭) সিবাস্টোপল রাজহাঁস (Sibastopol swan)
এছাড়াও আরো বিভিন্ন জাতের রাজহাঁস রয়েছে। নিচে
কিছু জনপ্রিয় জাতের রাজহাঁসের বিস্তারিত রর্ণনা দেওয়া হলো। অর্থাৎ কোন জাতের হাঁসের
বৈশিষ্ট কেমন তা উল্লেখ করা হলো।
এগুলো আপনার প্রয়োজন হতে পারে
মুরগীর কত ধরণের টিকা কোন কোন সময় দিতে হয়?
মুরগীর খামার দেওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরী
নিজেই নিজের গুরুর রোগ নির্ণয় করবেন কিভাবে?
টাউলোজ রাজহাঁস (Toulouse swan)
এই জাতের রাজহাঁসের উৎপত্তি ফ্রান্সে। মাংস উৎপাদনের
জন্য এগুলো অনেক লাভজনক হয়ে থাকে। কেননা এই জাতের হাঁসার ওজন গড়ে ১২.৭-১৩ কেজি হয় এবং
প্রতিটি হাঁসীর ওজন সাধারণত ৯-১০ কেজি হয়ে থাকে।
টাউলোজ জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এরা মাংসল এবং বড় আকারের
রাজহাঁস।
·
দেহ লম্বা, প্রশস্থ এবং
গভীর যা মাটির সমান্তরাল করে রাখে।
·
এই জাতের হাঁসগুলোর বুক
উঁচু, পরু ও গভীর।
·
ডানা সাধারণত লম্বা হয়ে
থাকে এবং লেজ খাটো হয়। এছাড়াও মাথা বড়, ঠোঁট মজবুত, গলা লম্বা ও পরু, পা অনেক মজবুত
হয়ে থাকে।
·
টাউলোজ জাতের এই হাঁসগুলোর
পালকের রঙ সাধারণত গাঢ় ও হালকা ধূসরের মিশ্রণ দেখা যায়।
·
এ জাতের হাঁসগুলোর ঠোঁট,
পা ও পায়ের পাতা কমলা এবং চোখ ঘোলা বাদামি রঙের হয়ে থাকে।
অ্যাম্বডেন রাজহাঁস (Ambedkar Swan)
জনপ্রিয়তার উপরে রয়েছে অ্যাম্বডেন রাজহাঁস
(Ambedkar Swan) । কেননা এটিও মাংস উৎপাদনের জন্য লাভজন হয়ে থাকে। এই জাতের একটি প্রাপ্ত
বয়স্ক হাঁসার ওজন ১৩.৬ থেকে ১৫.৪ কেজি হয়ে থাকে এবং একটি হাঁসর ওজন হয়ে থাকে ৯.১ থেকে
১০ কেজি।
এ জাতের রাজহাঁসের উৎপত্তি জার্মানিতে। নিচে
এই জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলো।
অ্যাম্বডেন জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এ জাতের হাঁসগুলোর দেহ
প্রশস্থ, পরু এবং গোলাকার।
·
এদের পিঠ লম্বা, সোজা
ও মজবুত।
·
এদের ডানা আকারে লম্বা।
মাথা লম্বা ও সোজা এবং ঠোঁট মজবুত।
·
এই জাতীয় রাজহাঁসের চোখ
খুবই উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
·
হাাঁসা এবং হাঁসী উভয়
সাদা রঙের হয়ে থাকে।
·
ঠোঁট কমলা এবং চোক হালকা
নীল হয়ে থাকে।
·
এদের পা এবং পায়ের পাতা
কমলা রঙ হয়।
আফ্রিকান রাজহাঁস (African Swan)
উপরের দুই জাতের চেয়ে এই জাতের রাজহাঁস কিছুটা
ছোট হয়ে থাকে। তবে সাধারণভাবে এরা আকারে বেশ বড় এবং লম্বা হয়। একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার
ওজন ৯-১০ কেজি হয় এবং একটি হাঁসীর ওজন ৮.১৫ কেজি হয়ে থাকে। নিচে আফ্রিকান রাজহাঁস
(African Swan) এর বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলো।
আফ্রিকান জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এই জাতের রাজহাঁসগুলো
সাধারণত বড় এবং লম্বা হয়ে থাকে।
·
মাথা প্রশস্থ ও গভীর হয়।
·
মাথায় বড় ধরণের একটি গুটি
থাকে।
·
এই জাতের রাজহাঁস মাথা
খাঁড়া করে চলেফেরা করে।
·
পিঠ প্রশস্থ, চ্যাপ্টা
ও লম্বা হয় এবং বুক গোলাকার হয়ে থাকে।
·
ডানা বড় এবং মজবুত ও লেজ
বড় হয়ে থাকে।
·
এই জাতীয় হাঁসের গলকম্বল
থাকে যা পরু এবং বড় হয়ে থাকে।
·
এদের পা সাধারণত মাঝারি
লম্বা হয়।
·
হাঁসা এবং হাঁসী উভয়ের
রঙ হালকা বাদামি এবং ডোরা কাটা দাগ থাকে।
চানিজ রাজহাঁস (Chinese swan)
এই জাতের রাজহাঁস সাধারণত আকারে ছোট হয়ে থাকে।
এই জাতীয় রাজহাঁস অনেকেই শখের বসে পুষে থাকেন। এ জাতের একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন
৪.৫ থেকে ৬ কেজি হয় এবং একটি হাঁসীর ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি হয়ে থাকে। নিচে চানিজ রাজহাঁস
(Chinese swan) জাতের বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলো।
চানিজ জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
চীনা রাজহাঁস সাধরণত আকারে
ছোট হয়ে থাকে।
·
এরা খুবই উর্বর জাতে রাজহাঁস।
·
এই জাতের হাঁসের দেহ সুঠাম
ও খাড়া এবং এরা অত্যান্ত তৎপর।
·
এদর পিঠ বেশ খাটো ও প্রশস্থ।
বুক গোলাকার, ডানা লম্বা ও মজবুত। তাই শরীরের সাথে মজবুতভাবে এটে থাকে।
·
এদের মাঝারি আকারের মাথায়
একটি বড় আকারের গুটি থাকে।
·
গলা খুব লম্বা অনেকটা
সোয়ানের মতো।
·
পা খাটো ও মজবুত। দুই
পায়ের মাঝখানে দূরত্ব অনেক বেশি।
·
এই জাতের রাজহাঁস দুই
ধরণের হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ সাদা এবং বাদামি ধূসর রঙের হয়ে থাকে।
আমেরিকান ধূসর রাজহাঁস (American Gray Swan)
আমেরিকান ধূসর রাজহাঁস (American Gray Swan)
সাধারণত মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই জাতের একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন ৮.১৫ কেজি
এবং হাঁসীর ওজন ৭.২৫ কেজি হয়ে থাকে। নিচে এই জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট দেওয়া হলো।
আমেরিকান ধূসর জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এ জাতের রাজহাঁসের বুক
প্রশস্থ ও গভীর হয়ে থাকে এবং এদের আকার মাঝারি ধরণের হয়।
·
ঘার থেকে লেজ পর্যন্ত
পালক ধনুক আকৃতির হয়ে থাকে।
·
লেজে খাড়া এবং চ্যাপ্টা
পালক থাকে।
·
এদের মাথা আকারে মাঝারি
ও ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকি। খাঁড়া ও মাঝারি লম্বা গলাটি চলাফেরার সময় উঁচু করে রাখে।
·
মাথার পলক ফ্যাকাসে ধূসর
এবং তা বুক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। দেহের পালক হালকা ধূসর এবং ক্রমশ ফ্যাকাসে হয়ে ক্রমশ
পেট, পিঠ ও লেজে সাদা রুপান্তরিত হয়।
·
লেজের পালক বাদামি ও সাদার
মিশ্রন হলেও প্রান্তগুলো ফ্যাকাসে ধূসর হয়।
·
ঠোঁট, পা এবং পায়ের পাতা
কমলা রঙের হয় এবং চোখ ঘোলাটে কালো হয়ে থাকে।
ধূসর ব্রেকন রাজহাঁস (Gray Braokon Swan)
রাজহাঁসের এ জাতটি উৎপত্তি হয়েছে বৃটেনে। মাঝারি
আকৃতির এই জাতের রাজহাঁস প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন ৮.৯০ কেজি এবং হাঁসীর ওজন ৭.২৫ কেজি
হয়ে থাকে। নিচে ধূসর ব্রেকন রাজহাঁস (Gray Braokon Swan) এর বৈশিষ্ট দেওয়া হলো।
ধূসর ব্রেকন জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এই জাতের রাজহাঁস অত্যান্ত
মাংসল এবং মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে।
·
রাজহাঁসের এ জাত খুবই
প্রাণচঞ্চল এবং উর্বর ডিম উৎপাদক হিসেবে পরিচিত।
·
রাজ হাঁসের এ জাতের শরীর
প্রশস্থ, বুক গোলাকার, ডানা বড় ও মজবুত, গলা চিকন ও লম্বা।
·
এ জাতের রাজহাঁসের পা
খাটো ও পালক আঁটোসাটো আকৃতির হয়ে থাকে।
·
হাঁসা এবং হাঁসী উভয়ের
পালক ঘন ধূসর রঙের হয়ে থাকে।
·
এদের পা ও ঠোঁট লালচে
এবং চোখ গাঢ় বাদামি রঙ হয়।
ধূসর পিঠওয়ালা রাজহাঁস (Gray-backed swan)
রাজহাঁসের এ জাতটি উৎপত্তি হয়েছে ইউরোপে। এ জাতের
একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন ৭.৭ কেজি এবং হাঁসীর ওজন ৬.৮ কেজি হয়ে থাকে। নিচে ধূসর
পিঠওয়ালা রাজহাঁস (Gray-backed swan) জাতের বৈশিষ্ট দেওয়া হলো।
ধূসর পিঠওয়ালা জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এদের শরীর মাটির সমান্তরাল
এবং আকার মাঝারি হয়ে থাকে।
·
পিঠ বাঁকানো এবং লম্বা
ডানা লেজের পালককে অতিক্রম করে।
·
মাথা প্রশস্ত ও সুন্দর
হয়ে থাকে।
·
বড় বড় চোখ এবং মাথার পালক
ধূসর হয়।
·
গলার উপরের পালক ধূসর
এবং নিচের পালক সাদা হয়।
·
এদের পিঠের ধূসর পালকের
প্রান্ত সাদা হয় এবং বুক, শরীর ও লেজ সাদা। তবে ডানার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পালকের মাথাগুলো
ধূসর রঙ হয়ে থাকে।
·
এ জাতের রাজহাঁসের ঠোঁট
কমলা, চোখ নীল, পা এবং পায়ের পাতা কমলা রঙ হয়ে থাকে।
ছাই রঙের পিঠওয়ালা রাজহাঁস (Ash-backed swan)
এ জাতের রাজহাঁসের উৎপত্তি আমেরিকায়। এ জাতের
একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন ৭.৭ কেজি এবং হাঁসীর ওজন ৬.৮ কেজি হয়ে থাকে। নিচে ছাই
রঙের পিঠওয়ালা রাজহাঁস (Ash-backed swan) জাতের বৈশিষ্ট দেওয়া হলো।
ছাই রঙের পিঠওয়ালা জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এ জাতের আকার মাঝারি হয়ে
থাকে।
·
এদের প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে
বুক পরু ও মাংসল, পিঠ বাঁকা, মাথা বড় এবং বাঁকানো।
·
এ জাতের রাজহাঁসের মাথার
রঙ সাদা হয়।
·
গলার উপরের রঙ ছাই এবং
নিচের রঙ সাদা হয়।
·
এদের পিঠের রঙ সাদা হয়।
·
ঠোঁট লালচে, চোখ নীল হয়।
পা এবং পায়ের পাতা লালচে হয়ে থাকে।
পিল গ্রীমস (Pill Grimes)
পিল গ্রীমস (Pill Grimes) জাতের রাজহাঁস এর উৎপত্তি
স্থল হচ্ছে বৃটেনে। এজাতের একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন ৩.৩৫ এবং হাঁসীর ওজন ৫.৯০
কেজি হয়ে থাকে। নিচে এ জাতের বৈশিষ্ট দেওয়া হলো।
পিল গ্রীমস জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এ জাতের রাজহাঁসের বুক
গভীর, পরু ও মাংসল হয়ে থাকে।
·
দেহ সামান্য খাড়া হয়ে
থাকে।
·
মাঝারি আকারের মাথাটি
ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে।
·
পালক শক্ত, উজ্জ্বল ও
আঁটোসাটো।
·
ঠোঁট কমলা রঙের হয়ে থাকে।
·
চোখ ঘোলা বাদামি রঙের
হয়ে থাকে।
·
এদের পা ও পায়ের পাতা
কমলা রঙ হয়।
রোমান রাজহাস (Roman swan)
রাজহাঁসের এজাতের উৎপত্তি ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায়।
এদের আকার সাধারণত ছোট হয়ে থাকে। এ জাতের একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন ৪.৫৫ থেকে ৫.৩৫
কেজি হয় এবং হাঁসীর ওজন ৫-৬ কেজি হয়ে থাকে। নিচে রোমান রাজহাস (Roman swan) বৈশিষ্ট
তুলে ধরা হলো।
রোমান জাতের রাজহাঁসের বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এ জাতের রাজহাঁসের আকার
ছোট এবং গায়ের রঙ সাদা উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
·
এদর দেহ সুঠাম গভীর ও
গোলাকার হয়।
·
এরা অনেক শান্ত স্বভাবের
হয়ে থাকে।
·
এদের দেহে হারের তুলনায়
মাংস অনেক বেশি থাকে।
·
এদের গলা খাড়া, পা খাটো
হয়।
·
এ জাতের রাজহাঁসের ঠোঁট,
পা ও পায়ের পাতা কমলা রঙ হয় এবং চোখ হালকা নীল রঙের হয়ে থাকে।
·
এই জাত অর্থাৎ রোমান জাতের
রাজহাঁস আকারে ছোট, উজ্জ্বল সাদা রঙ, দেহ সুঠাম এবং গভীর ও গোলাকার হয়ে থাকে।
সিবাস্টোপল রাজহাঁস (Sibastopol Swan)
রাজহাঁসের এজাতটির উৎপত্তি হয়েছে পূর্ব ইউরোপে।
এরা সাধারণত মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে। এ জাতের একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঁসার ওজন ৬.৩৫ কেজি
এবং একটি প্রাপ্তবয়ষ্ক হাঁসীর ওজন ৫.৪৪ কেজি হয়ে থাকে। নিচে সিবাস্টোপল রাজহাঁস
(Sibastopol Swan) বৈশিষ্ট দেওয়া হলো।
সিবাস্টোপল রাজহাঁস (Sibastopol Swan) বৈশিষ্ট নিম্নরুপঃ
·
এজাতের রাজহাঁসগুলোর দেহ
খাড়া, পেচানো ও অবিন্যাস্ত সাদা পালকে আবৃত থাকে।
·
এদের আকার মাঝারি হয়ে
থাকে।
·
এদের ওজনের তুলনায় দেখতে
তাদের অনেক বেশি বড় মনে হয়।
·
বুক বেশ পরু ও গভীর এবং
এরা বেশ মাংসল হয়ে থাকে।
·
পা খাটো ও মজবুত হয় এবং
পা ও পায়ের পাতা কমলা রং হয়ে থাকে।
·
এদের চোখ উজ্জ্বল নীল
রংয়ের হয়ে থাকে।
দেশি রাজহাঁস
বাংলাদেশে রাজহাঁস পালন তেমন জনপ্রিয় নয়। তবে
অনেকেই সখের বসে পুষে থাকেন। দেশি রাজহাঁসগুলো দু ধরণের দেখা যায়। এক প্রকার হচ্ছে
এদের দেহের রঙ কিছুটা আফ্রিকান রাজহাঁসের রযের ন্যায়। আর একপ্রকার হচ্ছে পুরোপুরি সাদা
রঙের রাজহাঁস।
দেশি রাজহাঁসগুলো বিভিন্ন ওজেনের হয়ে থাকে।
শেষকথাঃ
আশাকরি, এই লেখাটি থেকে রাজহাঁসের জাতগুলো সম্পর্কে
ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি রাজহাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনাকে সাহায়তা
করবে। আপনার কাছে এটি প্রয়োজনীয় মনে হলে নিজের ওয়ালে শেয়ার করে রেখে দিন প্রয়োজনের
সময় যাতে সহজেই খুঁজে নিতে পারেন।