বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিকাশ, নগদ বা রকেটে টাকায় কনভার্ট করবেন কিভাবে?

একসময়ের খেলার ছলে তৈরি করা বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি বর্তমানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদে পরিনত হয়েছে। অনেকেই খেলার বসে ক্রিপ্টো মাইনিং করে থাকেন এবং কিছু ক্রিপ্টো সংগ্রহও করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে কোন ক্রিপ্টো বৈধ নয়। তাই বাংলাদেশে মাইনিং করা ক্রিপ্টো দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন না। যাইহোক, আপনার কাছে যদি বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টো থাকে আর সেগুলো যদি টাকায় পরনত করতে চান তাহলে এই লেখাটি শেষ অবধি পড়ুন। আমরা এখানে বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিকাশ, নগদ বা রকেটে টাকায় কনভার্ট করবেন কিভাবে? সেই বিষয়ে আলোচনা করছি।

বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিকাশ, নগদ বা রকেটে টাকায় কনভার্ট করবেন কিভাবে?


মনে রাখবেন, বাংলাদেশে বিটকয়েন বৈধ নয়, তাই বিটকয়েন লেনদেন করা আইনত অবরাধ হিসাবে গন্য হবে। তবে অনেক দেশেই বিটকয়েন সহ যে কোন ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন করা বৈধ। পৃথীবির বড় বড় কোম্পানীগুলো বিটকয়েন লেনদেন সমর্থন করে। আপনার কাছে যদি বিটকয়েন থাকে এবং তা যদি টাকায় পরিণত করতে চান তাহলে সহজেই তা করতে পারেন।

 

বিটকয়েন টাকায় রুপান্তর করবেন কিভাবে?

বিটকয়েন সহ যেকোন ক্রিপ্টো টাকায় পরিণত করার জন্য আপনাকে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এ একাউন্ট খুলতে হবে। তবে মনে রাখবেন, ক্রিপ্টো দিয়ে প্রতারণা করার জন্য হাজার হাজার সাইট অনলাইনে রয়েছে। অনেকেই লোভে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন। তাই এই ব্যপারে আপনাকে সাবধান থাকতে হবে।

আমরা এখানে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত দুটি ক্রিপ্টো একচেঞ্জ কোম্পানীর মাধ্যমে কিভাবে ক্রিপ্টো থেকে টাকা রুপান্তর করবেন সেই বিষয়টি আলোচনা করবো।

 

১। বাইনেন্স এর মাধ্যমে বিটকয়েন থেকে টাকা করার উপায়

বাইনেন্স হচ্ছে ক্রিপ্টোর সবচেয়ে বড় কোম্পানী। এটি শুধু ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানী নয়, এখানে মাইনিং, ট্রেডিং সহ বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। তবে এখানে কিভাবে বিটকয়েন কিংবা অন্য কোন ক্রিপ্টো থেকে টাকায় রুপান্তর করবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করবো।

প্রথম কাজ হচ্ছে আপনাকে একটি বাইনেন্স একাউন্ট খুলে ভেরিফাই করে নিতে হবে। একাউন্ট খোলার জন্য ইমেইল, মোবাইল নাম্বার, জাতীয় পরিচয় বা এনআইডি/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট যে কোন একটি প্রয়োজন হবে।

বাইনেন্স মোাবইল অ্যাপও রয়েছে। প্লেস্টোর থেকে আপনি এর মোবাইল অ্যাপটি ব্যবাহর করে সহজেই একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।

একাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন কিংবা এর মোবাইল অ্যাপ ওপেন করে সাইন আপ বাটন ক্লিক করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে একাউন্টটি ভেরিফাই করতে হবে। তা না হলে এখানে আপনি লেনদেন করতে পারবেন না।

 

একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য লগইন করে আপনার প্রোফাইল/সেটিং এ গিয়ে দেখুন ভেরিফাই একাউন্ট অপশন রয়েছে। এই অপশনে ক্লিক করে একাউন্ট ভেরিফার করে নিন।

 

বাইনেন্স থেকে বিকাশ, নগদ বা রকেটে কনভার্ট

বাইনেন্স একাউন্ট খোলার পর আপনার সংগ্রহে থাকা বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টো এখানে ডিপোজিট করতে হবে। ডিপোজিট করার পর বিভিন্ন ক্রিপ্টোতে কনভার্ট করতে পারবেন। আমরা যেহেতু বিকাশ, নগদ বা রকেটে কনভার্ট করবো, তাই অন্য কোন ক্রিপ্টোতে কনভার্ট করার প্রয়োজন নেই।

আপনার বিটকয়েন এখানে ডিপোজিট করার পর ওয়ালেটে তা দেখতে পাবেন। এখন বিকাশ, নদগ বা রকেটে টাকা নেওয়ার জন্য এর P2P অপশন ব্যবহার করতে হবে।

মেনু থেকে ট্রেডিং অবশনে দেখতে পাবেন P2P অপশন কিংবা মোবাইলের হোম পেজেই এই অপশনটি দেখা যাবে। এই অপশনে ক্লিক করলে বাই এবং সেল করার অপশন পাবেন। আপনি যেহেতু ডিপোজিট করেছেন তাই এখানে সেল করবেন।

সেল অপশন ক্লিক করে পেমেন্ট মেথোড হিসাবে বিকাশ, নগদ বা রকেট সিলেক্ট করবেন। নিচে বিভিন্ন দামে ক্রয় করার বায়ার লিস্ট দেখতে পাবেন। এখানে আপনি পছন্দমতো বায়ার সিলেক্ট করে বিটকয়েন বিক্রি করে দিয়ে বিকাশ, নগদ বা রকেটে টাকা গ্রহণ করুন।

 

২। কুকয়েন এর মাধ্যমে বিটকয়েন থেকে টাকা করার উপায়

বাইনেন্স এর মতোই কু-কয়েনও একটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানী। এখানেও আয় করার পদ্ধতি রয়েছে। এখানে আপনার বিটকয়েন ডিপোজিট করে P2P সার্ভিসের মাধ্যমে সেল করে বিকাশ, রকেট কিংবা নগদে টাকা নিতে পারেন সহজেই।

কু-কয়েন কি?

কু-কয়েন (KuCoin) একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম যা ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার বিক্রয়ের সুবিধা দেয়

 

এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির ট্রেড করা যায়, যার মধ্যে বিটকয়েন, এথেরিয়াম, রিপল, লাইটকযেন ইত্যাদি অন্যান্য প্রমুখ কারেন্সি রয়েছে এছাড়াও প্ল্যাটফর্মে অনেক কিছু সরাসরি ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার বিক্রয়ের বাইনারি বিকল্প রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই অর্থ বিনিময় করতে পারেন

 

এই এক্সচেঞ্জে রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে সহজ এবং দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয় কু-কয়েনের ব্যবহারকারীদের এক অদম্য সুবিধা হলো যে, এখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্থানান্তর করতে দরকার হলে দাম সহজেই পরিবর্তন করা যায় এছাড়াও ব্যবহারকারীদের কমিশন অন্যান্য খরচ সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধাও প্রদান করে এই প্ল্যাটফর্মটি

 

কু-কয়েন এক্সচেঞ্জের সুরক্ষার দিকগুলি উন্নত এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি রয়েছে এটি উচ্চতম স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে যার মধ্যে দুটি পরিকল্পনা, বাইডরেকশনাল এক্সক্লুজিভ এক্সক্লুজিভ অ্যাকাউন্ট কে প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বায়ুপথের পরিসংখ্যান এবং দুটি পয়েন্ট অব এ্যাট্রিশন (2FA) মেথড রয়েছে

 

সর্বশেষতম, কু-কয়েন এক্সচেঞ্জ ব্যবহারকারীদের কাছে সাপোর্ট প্রদানের জন্য ২৪/ সাপোর্ট টীমও রয়েছে ব্যবহারকারীরা যেকোন সমস্যার সমাধান জন্য সাপোর্ট টীমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন

 

সারাদিনের সময় অনেকে কু-কয়েন এক্সচেঞ্জটি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন এবং এটি সুরক্ষিত, সহজে ব্যবহার যোগ্য এবং বিশ্বস্ত একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে পরিচিত এই কারণে কু-কয়েন একটি ভাল বিকল্প হতে পারে ব্যবহারকারীদের জন্য যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেড করতে ইচ্ছুক

 

শেষকথাঃ

আশাকরি, বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিকাশ, নগদ বা রকেটে টাকায় কনভার্ট করবেন কিভাবে? বিষটি বুঝতে পেরেছেন। আবারও বলি বাংলাদেশে যে কোন ক্রিপ্টো লেনদেন করা বৈধ নয়। তবে অনেক দেশেই বৈধভাবে লেনদেন করা যায়। আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দানকারী দেশে অবস্থান করে থাকেন তাহলে এটি লেনদেন করতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget