গর্ভবতী অবস্থায় সন্তান কতটা ওজনের হয়? বা গর্ভের সন্তানের ওজন কত হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা আপনার জন্য কোন প্রয়োজন নেই। যদিও আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন। তবে এই বিষয়ে জানলেও কোন ক্ষতি নেই অর্থাৎ সুবিধা অসুবিধা কিছুই নেই। তবে যারা পরামর্শ দিতে চান কিংবা চিকিৎসক তাদের জন্য এই বিষয়ে জানা জরুরী হয়ে পড়ে এবং তারা জ্ঞাত থাকেন।
(toc) #title=(ইনফোটি এক নজরে দেখুন)
গর্ভের সন্তানের ওজন কমপক্ষে কত হওয়া জরুরী?
গর্ভের সন্তানের ওজন কমপক্ষে ২.৫ কেজি হওয়া জরুরী। এর কম হলে সন্তানের মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
সন্তানের ওজন কম হলে সন্তানের কি সমস্যা হয়?
সন্তানের
ওজন কম হলে সন্তানের
নিম্নলিখিত সমস্যা হতে পারে:
- শ্বাসকষ্ট
- হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া)
- হাইপোথার্মি (শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া)
- ইনফেকশন
- ঝিমুনি
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিলম্ব
ওজন কম হয় কেন?
গর্ভের
সন্তানের ওজন কম হওয়ার কারণগুলি
হল:
- মায়ের অপুষ্টি
- মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
- মায়ের গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ
- মায়ের গর্ভের অবস্থা, যেমন জরায়ুর সংকোচন, জরায়ুর ছিদ্র ইত্যাদি
গর্ভের
সন্তানের ওজন বাড়াতে হলে মায়ের সুষম পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা উচিত। মায়ের
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সমৃদ্ধ খাবার থাকা উচিত। মায়ের
নিয়মিত ব্যায়াম করাও উচিত।
গর্ভের
সন্তানের ওজন কম হওয়ার ঝুঁকি
কমাতে হলে গর্ভধারণের আগেই মায়ের ওজন স্বাভাবিকের মধ্যে রাখা উচিত। গর্ভধারণের
পর থেকে নিয়মিত মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে (MCH) চেকআপ করানো উচিত।
এগুলো আপনার প্রয়োজন হতে পারে-
গর্ভাবস্থায় সন্তান লালন-পালন করবেন কিভাবে?
আপনার প্রসব বেদন কতক্ষণ স্থায়ী হতে পরে?
গর্ভাবস্থায় কোন মাসে কি খাবেন?
গর্ভাবস্থায় কি কি সতর্কা অবলম্বন করবেন?
গর্ভবতী অবস্থায় সন্তান কতটা ওজনের হয়?
গর্ভবতী অবস্থায় সন্তানের ওজন একেক মায়েদের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। সাধারণত, পূর্ণ মেয়াদে সন্তানের ওজন ৩.৫ কেজি থেকে ৪.৫ কেজি পর্যন্ত হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে সন্তানের ওজন ৫ কেজি বা তারও বেশি হতে পারে।
গর্ভের সন্তানের উপর প্রভাব ফেলে কোন কারণগুলো?
গর্ভবতী
অবস্থায় সন্তানের ওজনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন কিছু কারণ হল:
- মায়ের বয়স
- মায়ের স্বাস্থ্য
- মায়ের খাদ্যাভ্যাস
- মায়ের গর্ভাবস্থায় শারীরিক পরিশ্রম
- মায়ের গর্ভের অবস্থা
গর্ভবতী
অবস্থায় সন্তানের ওজনের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের
ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি
হয় তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
সন্তানের স্বাভাবিক ওজন কত?
সন্তানের
স্বাভাবিক ওজন নির্ভর করে মায়ের বয়স, মায়ের স্বাস্থ্য, এবং সন্তানের গর্ভকালীন অবস্থার উপর।
সাধারণত, পূর্ণ মেয়াদে সন্তানের ওজন ৩.৫ কেজি
থেকে ৪.৫ কেজি
পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে সন্তানের ওজন ৫ কেজি বা
তারও বেশি হতে পারে।
মায়ের
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সন্তানের স্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি পায়। মায়ের
বয়স ৪০-এর উপরে
হলে সন্তানের স্বাভাবিক ওজন ৩.৫ কেজির
নিচে হতে পারে।
মায়ের
স্বাস্থ্যের উপরও সন্তানের স্বাভাবিক ওজনের প্রভাব পড়ে। মায়ের
অপুষ্টি বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
হলে সন্তানের স্বাভাবিক ওজন কম হতে পারে।
সন্তানের
গর্ভকালীন অবস্থার উপরও সন্তানের স্বাভাবিক ওজনের প্রভাব পড়ে। গর্ভের
দ্বিতীয়ার্ধে মায়ের গর্ভের সংকোচন কম হলে সন্তানের
স্বাভাবিক ওজন কম হতে পারে।
সন্তানের
স্বাভাবিক ওজন নির্ধারণের জন্য গর্ভধারণের ১৬ থেকে ২৪
সপ্তাহের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা যেতে পারে। আল্ট্রাসনোগ্রামে
সন্তানের ওজন, উচ্চতা, এবং মাথার পরিধি পরিমাপ করে সন্তানের স্বাভাবিক ওজন নির্ধারণ করা হয়।
সন্তানের স্বাভাবিক ওজনের বাইরে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সন্তানের ওজন কম হলে কী সমস্যা হতে পারে?
সন্তানের
ওজন কম হলে নিম্নলিখিত
সমস্যা হতে পারে:
- জন্মের পর জটিলতা: সন্তানের ওজন কম হলে জন্মের পর জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন শ্বাসকষ্ট, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হাইপোথার্মি, ইনফেকশন, ঝিমুনি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিলম্ব ইত্যাদি।
- শিশুকালীন অসুস্থতা: সন্তানের ওজন কম হলে শিশুকালীন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে, যেমন ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি।
- দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা: সন্তানের ওজন কম হলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন বয়স্ক বয়সে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি।
সন্তানের ওজন বাড়াতে কী করা যেতে পারে?
গর্ভের
সন্তানের ওজন বাড়াতে হলে গর্ভবতী মায়ের সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায়
একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০ ক্যালরি বেশি খাওয়ার প্রয়োজন হয়।
এই অতিরিক্ত ক্যালরির বেশিরভাগই গর্ভের সন্তানের ওজন বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়।
গর্ভের
সন্তানের ওজন বাড়াতে গর্ভবতী মায়ের খাদ্যতালিকায় নিম্নলিখিত খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:
- প্রোটিন
সমৃদ্ধ
খাবার: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম ইত্যাদি।
- কার্বোহাইড্রেট
সমৃদ্ধ
খাবার: ভাত, রুটি, আলু, ফল, শাকসবজি ইত্যাদি।
- ফ্যাট
সমৃদ্ধ
খাবার: মাছ, বাদাম, বীজ, নারকেল তেল ইত্যাদি।
- ভিটামিন
ও
খনিজ
সমৃদ্ধ
খাবার: ফল, শাকসবজি, দুধ, ডিম ইত্যাদি।
নির্দিষ্ট
কিছু খাবার রয়েছে যা গর্ভের সন্তানের
ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
যেমন:
- মাছ: মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ডিম: ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। ডিম
গর্ভের সন্তানের ওজন বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ খাবার।
- দুধ
ও
দুগ্ধজাত
খাবার: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। এই
পুষ্টি উপাদানগুলি শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
- বাদাম
ও
বীজ: বাদাম ও বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। এগুলি
গর্ভের সন্তানের ওজন বৃদ্ধির জন্য একটি ভালো উৎস।
গর্ভবতী
মায়ের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত
করলে গর্ভের সন্তানের ওজন বাড়াতে সাহায্য পাওয়া যায়। তবে,
খাবার খাওয়ার সময় নিয়মিত ব্যায়াম করাও জরুরি। ব্যায়াম
করলে গর্ভের সন্তানের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েরও শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের
উন্নতি হয়।
সন্তানের ওজন বেশি হলে কী সমস্যা হতে পারে?
গর্ভবতী
মায়ের পেটেরসন্তানের ওজন বেশি হলে নিম্নলিখিত সমস্যা হতে পারে:
- জন্মের
সময়
জটিলতা: সন্তানের ওজন বেশি হলে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন জরায়ুর সংকোচন কম হওয়া, জরায়ুর ছিদ্র হওয়া, প্রসবকালীন রক্তপাত ইত্যাদি।
- নবজাতকের
স্বাস্থ্য
সমস্যা: সন্তানের ওজন বেশি হলে নবজাতকের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন শ্বাসকষ্ট, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হাইপোথার্মি, ইনফেকশন, ঝিমুনি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিলম্ব ইত্যাদি।
- শিশুকালীন
ওবেসিটি: সন্তানের ওজন বেশি হলে শিশুকালীন ওবেসিটির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- বয়স্ক
বয়সে
স্বাস্থ্য
সমস্যা: সন্তানের ওজন বেশি হলে বয়স্ক বয়সে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি।
সন্তানের ওজন
বেশি
হওয়ার
কারণ কি?
গর্ভবতী
মায়ের পেটেরসন্তানের ওজন বেশি হওয়ার কারণগুলি হল:
- মায়ের
অতিরিক্ত
ওজন
বা
স্থূলতা: মায়ের অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হলে সন্তানের ওজন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- গর্ভকালীন
অতিরিক্ত
ওজন
বৃদ্ধি: গর্ভকালীন অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হলে সন্তানের ওজন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- মায়ের
গর্ভকালীন
ডায়াবেটিস: মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে সন্তানের ওজন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- মায়ের
বয়স: মায়ের বয়স ৪০-এর উপরে হলে সন্তানের ওজন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- মায়ের
জৈবিক
কারণ: কিছু মায়ের জৈবিক কারণে সন্তানের ওজন বেশি হতে পারে।
গর্ভবতী
মায়ের পেটেরসন্তানের ওজন বেশি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে হলে গর্ভধারণের আগেই মায়ের ওজন স্বাভাবিকের মধ্যে রাখা উচিত। গর্ভধারণের
পর থেকে নিয়মিত মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে (MCH) চেকআপ করানো উচিত।
ওজন বেশি হলে করণীয় কি?
গর্ভবতী
মায়ের পেটেরসন্তানের ওজন বেশি হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- মায়ের
খাদ্যাভ্যাস
পরিবর্তন
করা: মায়ের খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার, এবং কোমল পানীয়ের পরিমাণ কমানো উচিত।
- মায়ের
শারীরিক
পরিশ্রম
বাড়ানো: মায়ের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।
- ডাক্তারের
পরামর্শ
নেওয়া: যদি সন্তানের ওজন খুব বেশি হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার
প্রয়োজনে ওষুধপত্র বা অন্যান্য চিকিৎসা দিয়ে সন্তানের ওজন কমানোয় সাহায্য করতে পারেন।
গর্ভবতী মায়ের পেটেরসন্তানের ওজন বেশি হলে শুধুমাত্র ওজন কমানোই নয়, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করাও জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে সন্তানের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
গর্ভের সন্তানের ওজন বেশি হওয়া ভালো নাকি কম হওয়া ভালো?
গর্ভের
সন্তানের ওজন বেশি হওয়া ভালো নাকি কম হওয়া ভালো,
এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে গর্ভের সন্তানের ওজনের পরিমাণের উপর।
গর্ভের
সন্তানের স্বাভাবিক ওজন হল ৩.৫
কেজি থেকে ৪.৫ কেজি। এই ওজনের মধ্যে থাকলে গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য কোনো সমস্যা হয় না।
গর্ভের
সন্তানের ওজন যদি ৩.৫ কেজির
কম হয়, তাহলে তাকে স্বল্প ওজনের শিশু বলা হয়।
স্বল্প ওজনের শিশুর জন্মের পর বিভিন্ন জটিলতা
দেখা দিতে পারে, যেমন শ্বাসকষ্ট, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হাইপোথার্মি, ইনফেকশন, ঝিমুনি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে
বিলম্ব ইত্যাদি।
গর্ভের
সন্তানের ওজন যদি ৪.৫ কেজির
বেশি হয়, তাহলে তাকে অতিরিক্ত ওজনের শিশু বলা হয়।
অতিরিক্ত ওজনের শিশুর জন্মের পর বিভিন্ন জটিলতা
দেখা দিতে পারে, যেমন প্রসবকালীন জটিলতা, নবজাতকের স্বাস্থ্য সমস্যা, শিশুকালীন ওবেসিটি, বয়স্ক বয়সে স্বাস্থ্য সমস্যা ইত্যাদি।
সুতরাং,
গর্ভের সন্তানের ওজন স্বাভাবিকের মধ্যে থাকলেই ভালো। গর্ভের
সন্তানের ওজন বেশি বা কম হলে
তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আরো জানুন:
গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহের লক্ষণগুলো কি কি?
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের কোন লক্ষণ অবহেলা করা উচিৎ নয়?
কখন সহবাস করলে আপনি গর্ভবতী হবেন না?
গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কখন প্রেগন্যান্সি টেস্ট করবেন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন