গর্ভবতী নারীদের প্রশ্নগুলোর উত্তর এবং তাদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

গর্ভবতী অবস্থায় একজন নারীর শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনগুলিকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। গর্ভবতী অবস্থায় সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করলে একজন নারী তার সন্তানের স্বাস্থ্য নিরাপদ থাকে। আজকের এই ইনফোটিতে আমরা আলোচনা করবো গর্ভবতী নারীরা যত প্রকার প্রশ্ন করে থাকে তাদের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো।

 

গর্ভধারণের জন্য কী কী করতে হবে


(toc) #title=(ইনফোটি এক নজরে দেখুন)


গর্ভধারণের জন্য কী কী করতে হবে?

একজন নারীকে গর্ভধারণের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে:

  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত মোটা বা অতিরিক্ত রোগা হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা জরুরি।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে ফলিক এসিডআয়রনক্যালসিয়ামভিটামিন ডি ইত্যাদি খাবারের মাধ্যমে শরীরে সরবরাহ করা উচিত।
  • সঠিক সময়ে সহবাস করা: মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়ে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এছাড়াও, আরো যে বিষয়গুলোও লক্ষ্য রাখা জরুরী:

  • ধূমপান অ্যালকোহল গ্রহণ বন্ধ করা।
  • মারাত্মক কোনো শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

যদি নিয়মিত চেষ্টা করেও গর্ভধারণ না হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এক কথায় বলতে গেলে, একজন নারীর জীবনে গর্ভধারণের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অবলম্বন করা জরুরি।

 

গর্ভবতী অবস্থায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী?

গর্ভবতী অবস্থায় একজন নারীর শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনগুলিকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। গর্ভবতী অবস্থায় সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করলে একজন নারী তার সন্তানের স্বাস্থ্য নিরাপদ থাকে। তাই নিম্ন বিষয়গুলো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

গর্ভবতী অবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন গর্ভবতী নারীকে প্রতিদিন প্রায় ২৫০০-৩০০০ ক্যালোরি খাওয়া উচিত। এই ক্যালোরিগুলি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার থেকে পাওয়া উচিত।

গর্ভবতী অবস্থায় খাওয়া উচিত এমন কিছু খাবার হচ্ছে:

  • ফলমূল শাকসবজি
  • শস্যজাতীয় খাবার
  • প্রোটিনযুক্ত খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুগ্ধজাত খাবার)
  • স্বাস্থ্যকর চর্বি (বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো) 

গর্ভবতী অবস্থায় খাওয়া উচিত নয় এমন কিছু খাবার হলো:

  • কাঁচা মাছ
  • কাঁচা ডিম
  • পাস্তুরিত না করা দুধ দুগ্ধজাত খাবার
  • গরুর মাংস
  • অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
  • অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
  • অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত খাবার
  • অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়

গর্ভবতী নারীদের খাবার তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। গর্ভধারণের সময় খাবার তালিকা কি হবে আরো বিস্তারিত জানতে “গর্বভতী মায়ের খাবার তালিকা” ইনফোটি দেখে নিতে পারেন।

 

নিয়মিত ব্যায়াম

গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, পেশী শক্তিশালী হয় এবং হজমশক্তি বাড়ে। এছাড়াও, ব্যায়াম করলে প্রসবের ব্যথা সহন করা সহজ হয়।

যে ব্যায়াম করা যাবে

গর্ভবতী অবস্থায় আপনি যেসব ব্যায়াম করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে:

  • হাঁটাচলা
  • সাঁতার
  • যোগব্যায়াম
  • নৃত্য

যে ব্যায়াম করা উচিত নয়

গর্ভবতী অবস্থায় যেসব ব্যায়াম করা উচিত নয়:

  • ভারী ওজন তোলা
  • ঝাঁকুনিযুক্ত ব্যায়াম
  • স্কুবা ডাইভিং

 

পর্যাপ্ত বিশ্রাম

গর্ভবতী অবস্থায় একজন নারীর শরীরের অনেক পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শরীরের প্রচুর বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তাই গর্ভবতী অবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ

গর্ভবতী অবস্থায় একজন নারীর নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার গর্ভবতী অবস্থার পর্যায় অনুসারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চিকিৎসা দেবেন।

 

গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সতর্কতা

গর্ভবতী অবস্থায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত:

  • ধূমপান মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
  • রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
  • জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিন।
  • ভ্রমণের আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

গর্ভবতী অবস্থায় সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করলে একজন নারী তার সন্তানের স্বাস্থ্য নিরাপদ থাকে। তাই গর্ভবতী অবস্থায় উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলির প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

 

গর্ভবতী অবস্থায় কী কী ওষুধ খাওয়া উচিত?

গর্ভবতী অবস্থায় ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ, অনেক ওষুধই গর্ভবতী নারী তার সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

 

যে ওষুধগুলি খাওয়া যেতে পারে

গর্ভবতী অবস্থায় সাধারণত নিম্নলিখিত ওষুধগুলি খাওয়া যেতে পারে:

  • ফলিক এসিড: ফলিক এসিড গর্ভের প্রথম তিন মাসে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি কমাতে এবং শিশুর স্পাইন বিফিডা (Spina Bifida) নামক জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • আয়রন: গর্ভবতী অবস্থায় আয়রনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই গর্ভবতী নারীদের আয়রনযুক্ত ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • ক্যালসিয়াম: ক্যালসিয়াম হাড় দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গর্ভবতী নারীদের ক্যালসিয়ামযুক্ত ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন ক্ষয় রোধে সাহায্য করে। তাই গর্ভবতী নারীদের ভিটামিন ডিযুক্ত ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

মনে রাখবেন, গর্ভবতী অবস্থায় যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ, আপনার নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ডাক্তার আপনাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের পরামর্শ দিতে পারবেন।

 

যে ওষুধগুলি খাওয়া উচিত নয়

নিম্নলিখিত ওষুধগুলি গর্ভবতী অবস্থায় খাওয়া উচিত নয়:

  • অ্যাসপিরিন: অ্যাসপিরিন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • ইবুপ্রোফেন: ইবুপ্রোফেন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কোর্টিসোন: কোর্টিসোন গর্ভের শিশুর বৃদ্ধিতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • থ্যালিডomide: থ্যালিডomide একটি জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টিকারী ওষুধ।

গর্ভবতী অবস্থায় যদি কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধটি খাওয়া উচিত।

 

গর্ভবতী অবস্থায় কী কী সমস্যা হতে পারে?

গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক মানসিক উভয় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

শারীরিক সমস্যাগুলো হলো:

  • মর্নিং সিকনেস: গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
  • হজম সমস্যা: কোষ্ঠকাঠিন্যডায়রিয়াগ্যাসপেটে ব্যথা ইত্যাদি।
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ: প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াপ্রস্রাব করার সময় ব্যথা ইত্যাদি।
  • কোমর ব্যথা: গর্ভের শিশুর বৃদ্ধির কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে।
  • পা ফুলে যাওয়া: গর্ভের শিশুর বৃদ্ধির কারণে পা ফুলে যাওয়া।
  • প্রসূতি ডায়াবেটিস: গর্ভধারণের সময় রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া।
  • প্রেগন্যান্সি প্রি-এক্লাম্পসিয়াগর্ভধারণের শেষ দিকে উচ্চ রক্তচাপপ্রোটিন প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি।
  • গর্ভপাত: গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত হতে পারে।
  • অকাল প্রসব: গর্ভধারণের ৩৭ সপ্তাহের আগে প্রসব হওয়া।

 

মানসিক সমস্যাগুলো হলো:

  • উদ্বেগ দুশ্চিন্তা: গর্ভধারণের সময় অনেক নারী উদ্বেগ দুশ্চিন্তা অনুভব করতে পারেন।
  • বিষণ্ণতা: গর্ভধারণের সময় অনেক নারী বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন।
  • অনিদ্রা: গর্ভধারণের সময় অনেক নারী অনিদ্রায় ভুগতে পারেন।

গর্ভবতী অবস্থায় যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার সমস্যার কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

 

গর্ভবতী অবস্থায় পেটে ব্যথা কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু কারণ সাধারণ এবং ক্ষতিকারক নয়, যেমন গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য। অন্য কারণগুলি গুরুতর হতে পারে এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে, যেমন গর্ভপাত বা প্রসব। নিম্নে আলোচনা করা হলো।

সাধারণ কারণ

  • গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনগুলির ফলে গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এই অবস্থাগুলি পেটে ব্যথাফুলে যাওয়া এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
  • ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন: ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচনগুলি ভ্রূণকে প্রসব প্রস্তুত করতে সাহায্য করার জন্য জরায়ুর অনিয়মিত সংকোচন। এগুলি সাধারণত বেদনাদায়ক নয় এবং কেবল কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়।
  • রাউন্ড লিগামেন্টের ব্যথা: রাউন্ড লিগামেন্টগুলি জরায়ুকে মেরুদণ্ডের সাথে সংযুক্ত করে। গর্ভাবস্থার সাথে সাথে জরায়ু বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এই লিগামেন্টগুলি প্রসারিত হয়যা পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত তলপেটে এবং কেবল একপাশে অনুভূত হয়।
  • হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনগুলি পেশী এবং লিগামেন্টগুলিকে শিথিল করতে পারেযা ব্যথার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

গুরুতর কারণ

  • গর্ভপাত: গর্ভপাত হল ভ্রূণের মৃত্যু এবং জরায়ু থেকে এর নির্মূল। গর্ভপাতের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে রক্তপাতযোনি থেকে টিস্যু নির্গমন এবং পেটে ব্যথা।
  • অকাল প্রসবের হুমকি: অকাল প্রসবের হুমকি হল যে প্রসবের সম্ভাবনা 20 সপ্তাহের আগে রয়েছে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জরায়ুর সংকোচনপেটে ব্যথা এবং রক্তপাত।
  • অন্যান্য জটিলতা: গর্ভাবস্থায় অন্যান্য জটিলতা যেমন প্রিক্ল্যাম্পসিয়াপ্ল্যাসেন্টাল অ্যাবরাপশন এবং জরায়ু সংক্রমণ পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে।

 

যখন একজন গর্ভবতী মহিলার পেটে ব্যথা হয় তখন কী করা উচিত?

যদি একজন গর্ভবতী মহিলাকে পেটে ব্যথা হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই তার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। ডাক্তার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে একজন গর্ভবতী মহিলাকে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত:

  • তীব্র বা তীব্র ব্যথা
  • রক্তপাত
  • জল ভেঙে যাওয়া
  • জ্বর
  • বমি বা বমি বমি ভাব

এই লক্ষণগুলি গুরুতর জটিলতার লক্ষণ হতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে সময়ক্ষেপন না করে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

 

গর্ভবতী অবস্থায় বমি বমি ভাব কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ। প্রায় 70% গর্ভবতী মহিলারা এই লক্ষণটি অনুভব করেন। এটি সাধারণত গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে দেখা দেয় এবং গর্ভধারণের 16 সপ্তাহের মধ্যে চলে যায়।

গর্ভবতী অবস্থায় বমি বমি ভাব বা বমির অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। নিম্নে আলোচনা করা হলো।

  • হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনগুলি বমি বমি ভাব বা বমির কারণ হতে পারে। প্রজেস্টেরন হরমোনটি পেটে তরল তৈরি করে এবং পেটের পেশীগুলিকে শিথিল করে। এই পরিবর্তনগুলি বমি বমি ভাব বা বমির দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • হজমজনিত সমস্যা: গর্ভাবস্থায় হজমজনিত সমস্যাগুলিও বমি বমি ভাব বা বমির কারণ হতে পারে। গ্যাসকোষ্ঠকাঠিন্য এবং এসিড রিফ্লাক্স বমি বমি ভাব বা বমির দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • অন্য কারণগুলিকিছু ক্ষেত্রেবমি বমি ভাব বা বমির অন্যান্য কারণ হতে পারেযেমন:
    • গর্ভাবস্থার জটিলতা: গর্ভপাতঅকাল প্রসবের হুমকিপ্রিক্ল্যাম্পসিয়া এবং প্ল্যাসেন্টাল অ্যাবরাপশনের মতো গর্ভধারণের জটিলতাগুলি বমি বমি ভাব বা বমির কারণ হতে পারে।
    • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
    • অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা: কিছু চিকিৎসা অবস্থাযেমন গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল রোগকিডনি রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি বমি বমি ভাব বা বমির কারণ হতে পারে।

 

গর্ভবতী অবস্থায় বমি বমি ভাব বা বমি হলে কী করবেন?

যদি আপনি গর্ভবতী হন এবং বমি বমি ভাব বা বমি অনুভব করেন, তাহলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চেষ্টা করে দেখতে পারেন:

  • হালকা খাবার খান: ছোট ছোট এবং নিয়মিত খাবার খান। ভারী বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • তরল পান করুন: তরল পান করা গুরুত্বপূর্ণবিশেষ করে যদি আপনি বমি করে থাকেন। পানিফলের রস এবং তরল খাবার পান করুন।
  • ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: যদি আপনার বমি বমি ভাব বা বমি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তারা আপনার অবস্থার কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

 

গর্ভবতী অবস্থায় বমি বমি ভাব বা বমির প্রতিরোধ করবেন কিভাবে?

গর্ভবতী অবস্থায় বমি বমি ভাব বা বমির প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চেষ্টা করতে পারেন:

  • নিয়মিত খাবার খান: ছোট ছোট এবং নিয়মিত খাবার খান। ভারী বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম পেতে চেষ্টা করুন। ঘুমের অভাব বমি বমি ভাব বা বমির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ বমি বমি ভাব বা বমির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খান: প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বমি বমি ভাব বা বমির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ভিটামিন বি6 গ্রহণ করুন: ভিটামিন বি6 বমি বমি ভাব বা বমির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ঔষধ গ্রহণ করুন: আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বমি বমি ভাব বা বমির চিকিৎসার জন্য ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন।

গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাব বেশি কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাব বেশি হওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ। প্রায় 70% গর্ভবতী মহিলারা এই লক্ষণটি অনুভব করেন। এটি সাধারণত গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে দেখা দেয় এবং গর্ভধারণের শেষ দিকে আবার দেখা দিতে পারে।

গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাব বেশি হওয়ার অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। বিশেষগুরো নিম্নরুপ হতে পারে:

  • হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনগুলি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে পারে। প্রজেস্টেরন হরমোনটি কিডনির রক্ত প্রবাহ বাড়ায়যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে পারে।
  • গর্ভাশয়ের বৃদ্ধি: গর্ভাশয়ের বৃদ্ধি মূত্রাশয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করেযা প্রস্রাবের চাহিদা বাড়াতে পারে।
  • জলের ধারণা: গর্ভাবস্থায় শরীরে জলের ধারণা বাড়তে পারেযা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে পারে।

গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাব বেশি হওয়ার প্রতিরোধ

 

গর্ভাবস্থায় বেশি প্রস্রাব হলে করণীয়

গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাব বেশি হওয়ার প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চেষ্টা করুন:

  • পর্যাপ্ত তরল পান করুন: তরল পান করা গুরুত্বপূর্ণবিশেষ করে যদি আপনি প্রস্রাব বেশি করে থাকেন। পানিফলের রস এবং তরল খাবার পান করুন।
  • নিয়মিত প্রস্রাব করুন: নিয়মিত প্রস্রাব করা মূত্রাশয়ের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • কফি এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: কফি এবং অ্যালকোহল প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে পারে।

 

গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাব বেশি হওয়ার চিকিৎসা

গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাব বেশি হওয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি প্রস্রাব বেশি হওয়া তীব্র হয় বা বিরক্তিকর হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তারা আপনার অবস্থার কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

 

গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্তি কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি একটি সাধারণ লক্ষণ। প্রায় 80% গর্ভবতী মহিলারা এই লক্ষণটি অনুভব করেন। এটি সাধারণত গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে দেখা দেয় এবং গর্ভধারণের শেষ দিকে আবার দেখা দিতে পারে।

গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্তির অনেকগুলি কারণ রয়েছে। যেমন:

  • হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনগুলি ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। প্রজেস্টেরন হরমোনটি শরীরের বিশ্রামের জন্য একটি সংকেত পাঠায়।
  • রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়যা শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
  • শরীরের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় শরীরের অনেক পরিবর্তন হয়যা ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

 

গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্তির প্রতিরোধ

গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্তির প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চেষ্টা করুন:

  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি রাতে কমপক্ষে 7-8 ঘন্টা ঘুমান।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবেহালকা ব্যায়াম করুন এবং আপনার শরীরের কথা শুনুন।
  • পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খান: পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে শক্তির মাত্রা বাড়ানো যায়।

 

গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্তির চিকিৎসা

গর্ভবতী অবস্থায় ক্লান্তির চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি ক্লান্তি তীব্র হয় বা বিরক্তিকর হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তারা আপনার অবস্থার কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

 

গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাত কেন হয়?

গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাত হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। প্রায় 20% গর্ভবতী মহিলারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। রক্তপাতের মাত্রা এবং সময়কালের উপর নির্ভর করে, এটি একটি সাধারণ বা গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

 

সাধারণ কারণ

গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাতের অনেকগুলি সাধারণ কারণ রয়েছে। যেমন:-

  • ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত: ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত হল গর্ভধারণের প্রথম দিকে ঘটে যাওয়া একটি হালকা রক্তপাত। এটি তখন ঘটে যখন ভ্রূণ জরায়ুর প্রাচীরে সংযুক্ত হয়।
  • ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন: ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন হল জরায়ুর অনিয়মিত সংকোচন যা গর্ভধারণের শেষ দিকে দেখা দিতে পারে। এই সংকোচনগুলি সাধারণত ব্যথাহীন হয় এবং রক্তপাতের সাথে থাকে না।
  • রাউন্ড লিগামেন্টের ব্যথা: রাউন্ড লিগামেন্টগুলি জরায়ুকে মেরুদণ্ডের সাথে সংযুক্ত করে। গর্ভধারণের সাথে সাথে জরায়ু বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এই লিগামেন্টগুলি প্রসারিত হয়যা ব্যথা এবং রক্তপাতের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
  • যোনি থেকে রক্তপাত: যোনি থেকে রক্তপাত গর্ভপাতজরায়ু সংক্রমণ বা অন্যান্য জটিলতার লক্ষণ হতে পারে।


গুরুতর কারণ

গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাতের কিছু গুরুতর কারণ রয়েছে। যেমন:-

  • গর্ভপাত: গর্ভপাত হল ভ্রূণের মৃত্যু এবং জরায়ু থেকে এর নির্মূল।
  • অকাল প্রসবের হুমকি: অকাল প্রসবের হুমকি হল যে প্রসবের সম্ভাবনা 20 সপ্তাহের আগে রয়েছে।
  • প্রিক্ল্যাম্পসিয়া: প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হল একটি জটিলতা যা উচ্চ রক্তচাপপ্রোটিন প্রস্রাব হওয়া এবং অন্যান্য লক্ষণ দ্বারা চিহ্নিত।
  • প্ল্যাসেন্টাল অ্যাবরাপশন: প্ল্যাসেন্টাল অ্যাবরাপশন হল একটি জটিলতা যা প্ল্যাসেন্টা জরায়ু থেকে ছিঁড়ে যাওয়ার দ্বারা চিহ্নিত।
  • জরায়ু সংক্রমণ: জরায়ু সংক্রমণ হল একটি জটিলতা যা জরায়ুতে সংক্রমণের দ্বারা চিহ্নিত।

 

গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাত হলে কী করবেন

গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাত হলে, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার রক্তপাতের কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে একজন গর্ভবতী মহিলাকে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত:

  • তীব্র বা তীব্র রক্তপাত
  • জল ভেঙে যাওয়া
  • জ্বর
  • বমি বা বমি বমি ভাব
  • তীব্র ব্যথা

এই লক্ষণগুলি গুরুতর জটিলতার লক্ষণ হতে পারে।

 

গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ু সংকোচন কেন হয়?

গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ু সংকোচন হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। প্রায় সব গর্ভবতী মহিলারা এই সংকোচন অনুভব করেন। জরায়ু সংকোচনগুলি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তবে এগুলি সাধারণত নিরাপদ এবং ভ্রূণের ক্ষতি করে না।

সাধারণ কারণ

গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ু সংকোচনের অনেকগুলি সাধারণ কারণ রয়েছে। যেমন:

  • ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন: ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন হল জরায়ুর অনিয়মিত সংকোচন যা গর্ভধারণের শেষ দিকে দেখা দিতে পারে। এই সংকোচনগুলি সাধারণত ব্যথাহীন হয় এবং রক্তপাতের সাথে থাকে না।
  • প্রসব সংকোচন: প্রসব সংকোচন হল জরায়ুর নিয়মিত সংকোচন যা প্রসবের শুরুর দিকে দেখা দিতে পারে। এই সংকোচনগুলি ব্যথাহীন হতে পারে বা তীব্র ব্যথা হতে পারে।
  • প্রেগন্যান্সি প্রি-এক্লাম্পসিয়া: প্রেগন্যান্সি প্রি-এক্লাম্পসিয়া হল একটি জটিলতা যা উচ্চ রক্তচাপ, প্রোটিন প্রস্রাব হওয়া এবং অন্যান্য লক্ষণ দ্বারা চিহ্নিত। এই জটিলতায় জরায়ু সংকোচন হতে পারে।

গুরুতর কারণ

গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ু সংকোচনের কিছু গুরুতর কারণ রয়েছে। যেমন:

  • গর্ভপাত: গর্ভপাত হল ভ্রূণের মৃত্যু এবং জরায়ু থেকে এর নির্মূল।
  • অকাল প্রসবের হুমকি: অকাল প্রসবের হুমকি হল যে প্রসবের সম্ভাবনা 20 সপ্তাহের আগে রয়েছে।
  • প্ল্যাসেন্টাল অ্যাবরাপশন: প্ল্যাসেন্টাল অ্যাবরাপশন হল একটি জটিলতা যা প্ল্যাসেন্টা জরায়ু থেকে ছিঁড়ে যাওয়ার দ্বারা চিহ্নিত।

 

গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ু সংকোচন হলে কী করবেন?

গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ু সংকোচন হলে, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার সংকোচনের কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে একজন গর্ভবতী মহিলাকে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত:

  • তীব্র বা নিয়মিত সংকোচন
  • সংকোচনের সাথে ব্যথা বা রক্তপাত
  • জ্বর
  • বমি বা বমি বমি ভাব

এই লক্ষণগুলি গুরুতর জটিলতার লক্ষণ হতে পারে।

 

উপসংহারঃ

গর্ভবতী নারীদের আরো কিছু প্রশ্ন রয়েছে। যেমন- গর্ভবতী অবস্থায় প্রসব কতক্ষণ স্থায়ী হয়? গর্ভবতীঅবস্থায় সন্তান কতটা ওজনের হয়? গর্ভবতী অবস্থায় সন্তানকে কীভাবে লালন-পালন করতে হয়? এই ইনফোটি অনেক বড় হওয়ায় এগুলো আমরা অন্য ইনফোতে আলোচনা করেছি।

আর আপনার বিশেষ কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। পরবর্তী আপডেট করার সময় আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।


আরো যে বিষয়গুলো জানতে পারেন-

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কখন করবেন?

কিভাবে সহবাস করলে সন্তান হয় না?

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণগুলো  কি কি?

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

Search This Blog

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget