গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের একটি বিশেষ সময়। এই সময়টায় একজন মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। গর্ভকালীন চেকআপ হল এই যত্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজকের এই ইনফোটিতে আলোচনা করা করেছি “গর্ভকালীন চেকআপ কেন কখন কিভাবে করবেন? Why and how to do pregnancy checkup?”
(toc) #title=(ইনফোটি এক নজরে দেখুন)
গর্ভকালীন চেকআপ কেন করবেন?
গর্ভকালীন
চেকআপের মাধ্যমে একজন মায়ের এবং তার শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো যাচাই করা হয়:
- মায়ের শারীরিক স্বাস্থ্য, যেমন: রক্তচাপ, ওজন, হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, ইত্যাদি
- শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ, যেমন: গর্ভে শিশুর আকার, অবস্থান, হৃদস্পন্দন, ইত্যাদি
- গর্ভধারণের জটিলতা, যেমন: প্রি-এক্লাম্পসিয়া, প্রি-ম্যাচিওর ল্যাবরেটরি, ইত্যাদি
গর্ভকালীন
চেকআপের মাধ্যমে মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের যেকোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এতে গর্ভধারণের জটিলতা এবং শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমানো যায়।
গর্ভকালীন চেকআপ কখন করবেন?
গর্ভকালীন
চেকআপের প্রথমবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত গর্ভাবস্থার ৮-১০ সপ্তাহের
মধ্যে। এরপর
প্রতি মাসে একবার করে চেকআপ করা উচিত। গর্ভাবস্থার
৩৬ সপ্তাহের পরে চেকআপের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়।
গর্ভকালীন চেকআপ কিভাবে করবেন?
গর্ভকালীন
চেকআপের সময় ডাক্তার বা ধাত্রী নিম্নলিখিত
পরীক্ষাগুলো করেন:
- শারীরিক পরীক্ষা
- রক্ত পরীক্ষা
- প্রস্রাব পরীক্ষা
- আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা
- অন্যান্য পরীক্ষা, যেমন: গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস পরীক্ষা, থ্রম্বোফিলিয়া পরীক্ষা, ইত্যাদি
শারীরিক
পরীক্ষায় ডাক্তার বা ধাত্রী মায়ের
ওজন, রক্তচাপ, হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড, ইত্যাদি পরীক্ষা করেন। রক্ত
পরীক্ষায় মায়ের রক্তের বিভিন্ন উপাদান, যেমন: হিমোগ্লোবিন, হিমোগ্লোবিন এ১সি, লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, প্লেটলেট, ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
প্রস্রাব পরীক্ষায় মায়ের প্রস্রাবে উপস্থিতি কোনো সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করা
হয়। আল্ট্রাসাউন্ড
পরীক্ষায় শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ পর্যবেক্ষণ
করা হয়।
অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের যেকোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে।
গর্ভকালীন
চেকআপের সময় মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের
বিষয়ে ডাক্তার বা ধাত্রীর সাথে
আলোচনা করা উচিত। এতে
মায়ের যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়।
গর্ভকালীন চেকআপের কত খরচ হয়?
গর্ভকালীন
চেকআপের খরচ বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ডাক্তারের ভিত্তিতে ভিন্ন হতে পারে। তবে
সাধারণত প্রতিবার চেকআপের খরচ ৫০০-১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
গর্ভকালীন চেকআপের গুরুত্ব
গর্ভকালীন চেকআপ হল গর্ভধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। গর্ভকালীন চেকআপের মাধ্যমে মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের যেকোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে গর্ভধারণের জটিলতা এবং শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমানো যায়।
গর্ভকালীন চেকআপ কী এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গর্ভকালীন
চেকআপ হল গর্ভধারণের সময়
একজন গর্ভবতী নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের
পর্যবেক্ষণ ও যত্নের জন্য
করা পরীক্ষা ও চিকিৎসা। গর্ভকালীন চেকআপের মাধ্যমে একজন গর্ভবতী নারীর এবং তার সন্তানের স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো যাচাই করা হয়:
- মায়ের শারীরিক স্বাস্থ্য, যেমন: রক্তচাপ, ওজন, হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, ইত্যাদি
- শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ, যেমন: গর্ভে শিশুর আকার, অবস্থান, হৃদস্পন্দন, ইত্যাদি
- গর্ভধারণের জটিলতা, যেমন: প্রি-এক্লাম্পসিয়া, প্রি-ম্যাচিওর ল্যাবরেটরি, ইত্যাদি
গর্ভকালীন
চেকআপের মাধ্যমে মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের যেকোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এতে গর্ভধারণের জটিলতা এবং শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমানো যায়।
গর্ভকালীন চেকআপের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা।
- গর্ভধারণের জটিলতা এবং শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমানো।
- প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করা।
- মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা।
কখন
থেকে শুরু করবেন?
গর্ভকালীন
চেকআপ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
শুরু করা উচিত। গর্ভাবস্থার
প্রথম ৮-১০ সপ্তাহের
মধ্যে প্রথম চেকআপ করা উচিত। এই সময়টায় মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থার
প্রথম চেকআপে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো যাচাই করা হয়:
- মায়ের শারীরিক স্বাস্থ্য, যেমন: রক্তচাপ, ওজন, হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, ইত্যাদি
- শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ, যেমন: গর্ভে শিশুর আকার, অবস্থান, হৃদস্পন্দন, ইত্যাদি
গর্ভকালীন
চেকআপের ফ্রিকোয়েন্সি গর্ভাবস্থার সপ্তাহের উপর নির্ভর করে।
সাধারণত প্রতি মাসে একবার করে চেকআপ করা হয়।
গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহের পরে
চেকআপের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়।
গর্ভকালীন
চেকআপের মাধ্যমে মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের যেকোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এতে গর্ভধারণের জটিলতা এবং শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমানো যায়।
গর্ভাবস্থায় কতবার চেকআপ করবেন?
গর্ভকালীন
চেকআপের ফ্রিকোয়েন্সি গর্ভাবস্থার সপ্তাহের উপর নির্ভর করে। সাধারণত প্রতি মাসে একবার
করে চেকআপ করা হয়। গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহের পরে চেকআপের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়।
গর্ভাবস্থার
সপ্তাহ |
চেকআপের
ফ্রিকোয়েন্সি |
১-১২ |
প্রতি মাসে
একবার |
১৩-২৮ |
প্রতি দুই
সপ্তাহ পরপর |
২৯-৩৬ |
প্রতি সপ্তাহে
একবার |
৩৭-৪০ |
প্রতি দুই
দিন পরপর |
এছাড়াও,
মায়ের যদি কোনো জটিলতা থাকে, তাহলে চেকআপের ফ্রিকোয়েন্সি আরও বেশি হতে পারে।
গর্ভকালীন
চেকআপের সময় নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করা হয়:
- শারীরিক পরীক্ষা
- রক্ত পরীক্ষা
- প্রস্রাব পরীক্ষা
- আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা
- অন্যান্য পরীক্ষা, যেমন: গর্ভাবস্থার
ডায়াবেটিস পরীক্ষা, থ্রম্বোফিলিয়া পরীক্ষা, ইত্যাদি
শারীরিক পরীক্ষায়
ডাক্তার বা ধাত্রী মায়ের ওজন, রক্তচাপ, হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড, ইত্যাদি পরীক্ষা করেন।
রক্ত পরীক্ষায় মায়ের রক্তের বিভিন্ন উপাদান, যেমন: হিমোগ্লোবিন, হিমোগ্লোবিন এ১সি,
লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, প্লেটলেট, ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। প্রস্রাব পরীক্ষায়
মায়ের প্রস্রাবে উপস্থিতি কোনো সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। আল্ট্রাসাউন্ড
পরীক্ষায় শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ পর্যবেক্ষণ করা হয়। অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে মায়ের
এবং শিশুর স্বাস্থ্যের যেকোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে।
গর্ভকালীন
চেকআপের সময় মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে ডাক্তার বা ধাত্রীর সাথে
আলোচনা করা উচিত। এতে মায়ের যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়।
গর্ভকালীন চেকআপ কোথায় করবেন?
গর্ভকালীন
চেকআপ আপনি যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডাক্তারের চেম্বারে করতে
পারেন। তবে আপনার এলাকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে একজন ধাত্রীর মাধ্যমেও গর্ভকালীন চেকআপ
করা যেতে পারে।
সরকারী হাসপাতাল
বা ক্লিনিকগুলোতে গর্ভকালীন চেকআপের জন্য প্রায়ই কোনো খরচ হয় না। তবে বেসরকারি হাসপাতাল
বা ক্লিনিকগুলোতে চেকআপের খরচ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
আপনার যদি
কোনো জটিলতা থাকে, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে চেকআপ করানো উচিত।
গর্ভকালীন
চেকআপের সময় আপনার সাথে নিম্নলিখিত জিনিসগুলো নিতে হবে:
- আপনার স্বাস্থ্যসেবা বীমা কার্ড
(যদি থাকে)
- আপনার আগের গর্ভকালীন চেকআপের
রেকর্ড (যদি থাকে)
- আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন: নাম, বয়স, ঠিকানা, ইত্যাদি
- আপনার গর্ভধারণের তারিখ
- আপনার কোনো জটিলতা আছে কিনা
গর্ভকালীন
চেকআপের সময় আপনার ডাক্তার বা ধাত্রী আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে পরামর্শ
দিতে পারেন:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
- ব্যায়াম
- বিশ্রাম
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- প্রয়োজনীয় টিকা
- প্রসবের পরিকল্পনা
গর্ভকালীন চেকআপ মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গর্ভবতী হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গর্ভকালীন চেকআপ শুরু করা উচিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন