বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক বিস্ফোরক ঘোষণা দিয়ে দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার এক মাস পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে সারাদেশে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। এই মার্চের মাধ্যমে তারা গণ-অভূত্থানের স্বপ্ন দেখে, হাসিনা সরকারের পতন কামনা করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন অধ্যায়: সারজিস আলমের ঘোষণা এবং আগামীর পরিকল্পনা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। সম্প্রতি আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের ঘোষণা দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন, আগামী দিনে আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
দেশব্যাপী শহীদি মার্চ: সারজিস আলমের মতে, আগামী দিনে সারা দেশের প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন, মহল্লায় শহীদি মার্চের আয়োজন করা হবে। এই মার্চে শহীদদের স্মরণে ছবি, বিভিন্ন শ্লোগানসহ প্লেকার্ড নিয়ে মানুষ অংশগ্রহণ করবে। রাজধানীতেও এই মার্চটি নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।
জনগণের কাছে যাওয়া: আন্দোলনের আরেকজন সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার জানান, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জনগণের সাথে কথা বলে তাদের মতামত জানতে চান। জনগণ যা চায়, সেটাই বাস্তবায়ন করাই তাদের লক্ষ্য।
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াই: বাকের মজুমদারের মতে, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সারাদেশে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল। এই সিন্ডিকেটগুলোকে দূর করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চান তারা।
আইনের শাসন: আন্দোলনের নেতারা সকলকে আইন নিজের হাতে না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আইনের শাসনের দেশ চান এবং এই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ক্ষমতায় থাকা কোনো দলেরই গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার নেই।
সারসংক্ষেপ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন আর শুধু ছাত্রদের আন্দোলন নয়, এটি দেশের সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনের নেতারা জনগণের মধ্যে নতুন এক আশার সঞ্চার করেছেন। তারা একটি সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন।
আপনার মতামত: এই ঘটনা সম্পর্কে আপনার কি মনে হয়? আপনি কি মনে করেন এই আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে?
আপনার মাতামত কমেন্ট বক্সে লিখুন।
কীওয়ার্ড: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সারজিস আলম, বাংলাদেশ, শহীদি মার্চ, গণতন্ত্র, সিন্ডিকেট, গণমাধ্যম
আপনি যদি এই লেখাটি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করতে পারেন।