ইউটিউব মিউজিকে গান শোনার নতুন কৌশল হলো সং সার্চ ফিচার। এই ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি গানের কথা ভুলে গেলেও, শুধু সুর গুনগুন করেই পছন্দের গানটি খুঁজে বের করতে পারবেন। গান খোঁজার জন্য আপনাকে অ্যাপের সার্চ বারে গিয়ে মাইক্রোফোনের পাশে থাকা তরঙ্গের আইকনে ক্লিক করে সুর বা কিছু লাইন গাইতে হবে। এরপর ইউটিউব মিউজিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে গানটি শনাক্ত করবে এবং সেই গানের নাম, শিল্পী, অ্যালবামসহ সব তথ্য দেখাবে।
(toc) #title=(Table)
কিভাবে কাজ করে ইউটিউব মিউজিকের সং সার্চ ফিচার?
অনেক সময় পছন্দের গানের কথা ভুলে গেলেও সুর মনে থাকে। ইউটিউব মিউজিকের নতুন সং সার্চ ফিচার আপনাকে সেই সুর বা গানের কিছু লাইন গুনগুন করে খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন সং সার্চ ফিচার
১. প্রথমে ইউটিউব মিউজিক অ্যাপ খুলে সার্চ বা ম্যাগনিফাইং আইকনে ক্লিক করুন।
২. মাইক্রোফোনের পাশে তরঙ্গের আইকনটি দেখবেন, সেটিতে ক্লিক করে গান গেয়ে বা গুনগুন করে গানটি খুঁজুন।
৩. সার্চের পরে গানের নাম, শিল্পী, অ্যালবাম এবং অন্যান্য তথ্য দেখতে পাবেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আরও নিখুঁত ফলাফল
এই ফিচারটি পিক্সেলের 'নাউ প্লেয়িং' প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এআই ব্যবহার করে মূল রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে আপনার গাওয়া সুর মেলাতে পারে, ফলে আপনার গান খোঁজা হবে আরও সহজ।
আপডেট এবং প্ল্যাটফর্মে সাপোর্ট
ফিচারটি বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ইউটিউব মিউজিকের ৭.০২ সংস্করণের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। আইওএসে কবে আসবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই, তবে ভবিষ্যতে এই অপারেটিং সিস্টেমেও ফিচারটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপযোগিতা:
- ইউটিউব মিউজিকের সং সার্চ ফিচার
- কিভাবে ইউটিউবে গান খুঁজবেন গুনগুন করে
- ইউটিউবের নতুন এআই নির্ভর গানের খোঁজ
- গান খুঁজতে ইউটিউব মিউজিকের সেরা টিপস
অন্যান্য ইনফো জানুন:
- ইউটিউব এর এসইও কিভাবে করবেন?
- অডিও রেকর্ড করার সেরা ১০টি মাইক্রোফোন
- সেরা ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়ার
- ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়গুলো কি কি?
ইউটিউবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিভিন্ন টুলস
ইউটিউবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিভিন্ন টুলস ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি, প্রচার এবং বিশ্লেষণ করা অনেক সহজ হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু টুলস দেওয়া হলো যা ইউটিউব ক্রিয়েটরদের জন্য উপকারী হতে পারে:
১. ইউটিউব স্টুডিও (YouTube Studio)
ইউটিউব স্টুডিও হলো ক্রিয়েটরদের জন্য ইউটিউবের নিজস্ব ম্যানেজমেন্ট টুল। এর মাধ্যমে ভিডিও আপলোড, থাম্বনেইল, টাইটেল, বর্ণনা এবং ভিডিওর মেটাডেটা সেট করতে পারেন। এছাড়া এটি ভিডিও পারফরমেন্স, অডিয়েন্স এনালিটিক্স, সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা, এবং আর্নিংস ট্র্যাক করতে সাহায্য করে।
২. টিউববাডি (TubeBuddy)
টিউববাডি একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন যা ইউটিউব SEO অপ্টিমাইজেশনে সাহায্য করে। এটি কীওয়ার্ড রিসার্চ, ট্যাগ সাজেশন, প্রতিযোগী বিশ্লেষণ, এবং ভিডিও অপ্টিমাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস সরবরাহ করে।
৩. ভিডআইকিউ (vidIQ)
ভিডআইকিউ ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। এটি কীওয়ার্ড রিসার্চ, ভিডিও SEO বিশ্লেষণ এবং অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট উন্নত করতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে আপনার চ্যানেল এবং ভিডিওর পারফরম্যান্স ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
৪. ক্যানভা (Canva)
ক্যানভা হলো গ্রাফিক ডিজাইন টুল, যা থাম্বনেইল, ব্যানার, এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করার জন্য খুবই উপকারী। এটি ব্যবহার করে সহজেই পেশাদার মানের থাম্বনেইল এবং ভিডিও কভার তৈরি করা যায়।
৫. আডোবি প্রিমিয়ার প্রো (Adobe Premiere Pro)
পেশাদার মানের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে আডোবি প্রিমিয়ার প্রো অনেক জনপ্রিয়। এটি ব্যবহার করে উন্নতমানের ভিডিও এডিট করা সম্ভব। আপনি যদি উচ্চমানের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে এই টুলটি অত্যন্ত কার্যকর।
৬. অডাসিটি (Audacity)
অডাসিটি হলো ফ্রি অডিও এডিটিং সফটওয়্যার, যা অডিও উন্নত করতে সহায়তা করে। ভিডিওর সাউন্ড কোয়ালিটি উন্নত করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. হুটসুইট (Hootsuite)
আপনার ইউটিউব ভিডিওগুলোকে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করতে হুটসুইট একটি ভালো টুল। এটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শিডিউল এবং ম্যানেজমেন্ট করতে সহায়তা করে।
৮. গুগল অ্যানালিটিক্স (Google Analytics)
গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনি ইউটিউব অডিয়েন্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। এটি আপনার চ্যানেলের ট্রাফিক সোর্স, ভিউয়ার বেহেভিয়ার এবং আরও অনেক কিছু বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
৯. ফাইনাল কাট প্রো (Final Cut Pro)
এটি ম্যাক ইউজারদের জন্য একটি উন্নতমানের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলোর মান বাড়ানো এবং পেশাদারভাবে এডিট করা সম্ভব।
১০. ট্রেন্ডস (Google Trends)
গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন কোন বিষয় বা কনটেন্ট বর্তমানে ট্রেন্ডিংয়ে আছে। এটি কন্টেন্ট আইডিয়া বের করতে এবং দর্শকদের প্রিয় বিষয়ে ফোকাস করতে সাহায্য করবে।
এই টুলসগুলো ব্যবহার করে আপনি ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি, প্রচার এবং বিশ্লেষণ করতে পারবেন, যা আপনার ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।