জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এক বিশেষ আদেশের মাধ্যমে চারটি সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা সরকারি কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিদের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করেছে। এর আওতায় আসছেন ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সরকারি কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং ছয়টি বৃহৎ বিদেশি কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
কারা আসছেন বাধ্যতামূলক ই–রিটার্নের আওতায়?
২০২৩ সালের আয়কর আইনের ক্ষমতাবলে এনবিআর চার ধরনের ব্যক্তিকে ইলেকট্রনিক রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনেছে। প্রথমত, চার সিটি করপোরেশনে অধিভুক্ত সরকারি কর্মচারীরা এই আদেশের আওতায় পড়বেন। দ্বিতীয়ত, দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ই-রিটার্নের মাধ্যমে আয়কর জমা দিতে বাধ্য থাকবেন। তৃতীয়ত, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদেরও অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও বাধ্য
এছাড়া ছয়টি বিশিষ্ট বিদেশি কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও এই নিয়ম মানতে হবে। কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি।
ডিজিটাল কর পরিশোধে উৎসাহ ও সম্প্রসারণ
এনবিআরের এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে প্রশাসনিক লেনদেনের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও কর পরিপালন সহজতর করার প্রয়াস। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সিস্টেম উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি রিটার্ন জমা হয়েছে এবং সরকার আশা করছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ লাখ করদাতা এই পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করবেন।
এখন থেকে করদাতারা ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে পারবেন।
আরো জানুন: