নবজাতকের যত্নে প্রচলিত ভুল ধারণা ও কুসংস্কার: যে ভুলগুলো কখনোই করা উচিত নয়

 নবজাতকের জন্মের পর তাকে নিয়ে পরিবারে আনন্দের পাশাপাশি অনেক কুসংস্কার ও প্রচলিত ভুল ধারণা কাজ করে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললে শিশুর স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ ভালো হবে। তবে এসব কুসংস্কারের বেশিরভাগেরই কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, বরং অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

নবজাতকের যত্নে প্রচলিত ভুল ধারণা ও কুসংস্কার যে ভুলগুলো কখনোই করা উচিত নয়

এই ইনফোটিতে আমরা নবজাতকের যত্নে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা এবং সঠিক পরিচর্যার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।


১. নবজাতককে তাবিজ বা কালো টিপ পরানো: সত্যি কি এটি কাজে দেয়?

অনেক পরিবারে বিশ্বাস করা হয় যে, নবজাতককে খারাপ নজর বা "নজর লাগা" থেকে রক্ষা করার জন্য তাবিজ, কালো টিপ বা লাল সুতা পরানো দরকার। বাস্তবে, নজর লাগার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

কেন এটি ক্ষতিকর হতে পারে?

  • তাবিজ বা কালো সুতা শিশুর নরম ত্বকে অ্যালার্জি বা ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে।
  • অনেক সময় তাবিজে থাকা ধাতব অংশ শিশুর গলায় আটকে গিয়ে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • খারাপ নজর থেকে রক্ষার বদলে, শিশুর সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিকর খাবার ও সঠিক চিকিৎসাই সবচেয়ে জরুরি।

সঠিক করণীয়:

শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, বুকের দুধ খাওয়ান এবং প্রয়োজনীয় টিকা দিন।

২.নবজাতকের চোখে কাজল দেওয়া যাবে না

অনেকেই নবজাতকের চোখ, কপাল বা ভ্রুতে কাজল লাগান, এটি শিশুর জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু কাজল ব্যবহারের কোনো বৈজ্ঞানিক উপকারিতা নেই, বরং ক্ষতি হতে পারে

কেন ক্ষতিকর?

  • কাজলে থাকা কেমিক্যাল বা ভারী ধাতু শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে বা চোখে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
  • চোখে কাজল গেলে ইনফেকশন, পানি পড়া ও চোখ লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে

সঠিক করণীয়:

নবজাতকের চোখে কাজল না দিয়ে পরিষ্কার তুলো বা নরম কাপড়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন


৩. নবজাতকের মাথার চুল ও নখ কাটার ভুল ধারণা

অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, জন্মের পর নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশুর মাথার চুল বা নখ কাটলে এটি তার স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।

বাস্তবতা:

  • নবজাতকের মাথার চুল কাটার সঙ্গে তার ভবিষ্যৎ চুলের স্বাস্থ্য বা সৌন্দর্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
  • শিশুর নখ কাটতে দেরি করলে সে নিজের মুখে আঁচড় লাগিয়ে ফেলতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে।

কেন এটি ক্ষতিকর?

  • ঠান্ডা লেগে যেতে পারে: নবজাতকের মাথার চুল তাপ ধরে রাখে, চুল ফেলে দিলে শিশু দ্রুত ঠান্ডা লেগে হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
  • ইনজুরির ঝুঁকি: ব্লেড বা রেজার দিয়ে চুল ফেলার সময় মাথার নরম অংশে কেটে যেতে পারে, যা শিশুর জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক।
  • ব্রেইনে আঘাত লাগার আশঙ্কা: নবজাতকের মাথার সামনের অংশের হাড় দেড় বছর পর্যন্ত সম্পূর্ণ গঠিত হয় না, ফলে চাপ পড়লে ইনজুরির ঝুঁকি থাকে।

সঠিক করণীয়:

  • যদি শিশুর মাথার চুল ঘন হয়ে থাকে এবং সে গরমে অস্বস্তি বোধ করে, তবে চুল ছাঁটা যেতে পারে।
  • নখ বেশি বড় হয়ে গেলে নরম নখ কাটার কাঁচি দিয়ে সাবধানে কেটে দিন।

৪. নবজাতককে মধু বা অন্য খাবার খাওয়ানোর প্রচলিত ভুল

অনেক পরিবারে বিশ্বাস করা হয় যে, জন্মের পরপরই নবজাতককে মধু, মিষ্টি পানি বা ঘরোয়া কোনো খাবার খাওয়ানো দরকার।

কেন এটি বিপজ্জনক?

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশুর জন্য শুধু মায়ের দুধই যথেষ্ট
  • মধুতে "Clostridium botulinum" নামক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা শিশুর জন্য মারাত্মক বিপদজনক হতে পারে।
  • নবজাতকের অপরিপক্ব হজমতন্ত্র অন্য কোনো খাবার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

সঠিক করণীয়:

শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ান এবং ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর ধীরে ধীরে সম্পূরক খাবার যোগ করুন।


৫. নবজাতকের শরীরে সরিষার তেল মালিশ: উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

বহু পরিবারে নবজাতকের শরীরে সরিষার তেল মালিশ করার প্রচলন আছে। এটি হাড় শক্ত করবে এবং ঠান্ডা থেকে রক্ষা করবে বলে মনে করা হয়।

বাস্তবতা:

  • সরিষার তেল নবজাতকের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। এটি অ্যালার্জি ও ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে
  • নবজাতকের নাক ও কান পরিষ্কার করতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে এটি ভেতরে গিয়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

সঠিক করণীয়:

  • শিশুর জন্য বেবি অয়েল বা নারকেল তেল বেশি নিরাপদ।
  • তেল মালিশের পরিবর্তে, শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

৬. নবজাতকের কান ছিদ্র করা বা অলঙ্কার পরানো

কিছু পরিবারে বিশ্বাস করা হয় যে, জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই শিশুর কান ছিদ্র করা উচিত, নাহলে সে বেশি ব্যথা অনুভব করবে।

বাস্তবতা:

  • নবজাতকের ত্বক সংবেদনশীল হওয়ায় কান ছিদ্র করলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
  • যদি অলঙ্কার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন, তবে হাইপোঅ্যালার্জেনিক ধাতু ব্যবহার করা উচিত যাতে শিশুর ত্বকে অ্যালার্জি না হয়।

সঠিক করণীয়:

  • কান ছিদ্র করানোর জন্য ছয় মাস বা তার বেশি বয়সের অপেক্ষা করুন
  • মেডিকেল গ্রেড স্টিল বা সোনার দুল ব্যবহার করুন এবং সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৭. নবজাতকের গোসল: কখন এবং কীভাবে?

প্রথম তিন দিন গোসল করাবেন না!

নবজাতক জন্মের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে (প্রথম তিন দিন) গোসল করানো উচিত নয়। কারণ হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি শরীরে লাগলে নবজাতকের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক।

সঠিক নিয়ম:

  • প্রথম তিন দিন নবজাতককে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করুন
  • গোসল করানোর সঠিক সময়: তিন দিন পর থেকে ঈষদুষ্ণ (হালকা গরম) পানিতে গোসল করানো যাবে।
  • পানির সতর্কতা: শিশুর কান ও নাক দিয়ে পানি যাতে না ঢোকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • ফোটানো পানি ব্যবহার করুন: নবজাতককে গোসল করানোর সময় ফোটানো পানি ব্যবহার করলে ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে

৮. নবজাতকের নাভির যত্ন

কী করবেন না?

  • নাভিতে তেল, গুঁড়া, ঘি বা অন্য কোনো কিছু লাগাবেন না
  • নাভিতে গরম সেঁক দেওয়া যাবে না, কারণ এতে ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়

সঠিক পরিচর্যা:

  • নাভির যত্ন নেওয়ার জন্য ডাক্তার কর্তৃক প্রস্তাবিত অ্যান্টিসেপ্টিক ব্যবহার করুন
  • নাভি নিজে থেকে শুকিয়ে পড়ে যাবে, এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই।

 ৯. নবজাতকের পোশাক কেমন হওয়া উচিত?

নরম, পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত সুতি কাপড় ব্যবহার করুন।
✔ নতুন কাপড় ধুয়ে তারপর শিশুকে পরান।
✔ সিনথেটিক কাপড় বা আঁটসাঁট পোশাক পরানো যাবে না, কারণ এতে শিশুর ত্বকে জ্বালা বা অ্যালার্জি হতে পারে।
✔ শীতকালে অতিরিক্ত কাপড় না পরিয়ে উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করুন

১০.নবজাতকের ঢেকুর তোলানো কেন জরুরি?

বুকের দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতককে অবশ্যই ঢেকুর তোলাতে হবে। তা না হলে শিশুর পেটে গ্যাস জমতে পারে এবং সে বমি করে ফেলতে পারে

সঠিক নিয়ম:

✔ শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পর সোজা করে কাঁধে রেখে আস্তে আস্তে পিঠে চাপ দিন
✔ এটি করলে শিশুর হজম ভালো হবে এবং অস্বস্তি কমবে


১১. ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার: অপরিপক্ক শিশুর জন্য বিশেষ যত্ন

যদি নবজাতক কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে (২.৫ কেজির কম) বা সময়ের আগে জন্ম নেয়, তাহলে তাকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

কী করবেন?

✔ শিশুকে মায়ের বুকের সঙ্গে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে রাখতে হবে (ক্যাঙ্গারু কেয়ার)।
✔ এটি শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন বাড়াতে সহায়তা করে
✔ নবজাতক ওজন ২.৫ কেজি না হওয়া পর্যন্ত দিনে অন্তত ২০ ঘণ্টা এভাবে রাখতে হবে


সঠিক পরিচর্যা বনাম কুসংস্কার: নবজাতকের সুস্থতার জন্য যা করবেন

✔ নবজাতকের যত্নে বৈজ্ঞানিক উপায় অনুসরণ করুন এবং প্রচলিত কুসংস্কার থেকে দূরে থাকুন।
✔ শিশুর সুরক্ষার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বুকের দুধ, নিয়মিত টিকা এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
✔ শিশু অসুস্থ হলে কোনো কুসংস্কারের আশ্রয় না নিয়ে ডাক্তার দেখান
✔ পরিবারের সবাইকে সচেতন করুন, যাতে শিশুর জন্য ক্ষতিকর কোনো কুসংস্কার চর্চা না করা হয়।


শেষ কথা

নবজাতকের যত্ন নেওয়ার সময় প্রচলিত কুসংস্কার থেকে দূরে থাকা জরুরি। অনেক ভুল ধারণা শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই কুসংস্কারের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক ও সঠিক পরিচর্যা পদ্ধতি অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো। নবজাতকের সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য পরিবার ও সমাজকে আরও সচেতন হওয়া উচিত।

আপনার কি নবজাতকের যত্ন নিয়ে কোনো প্রশ্ন আছে? কমেন্টে জানান, আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত! 😊

আরো জানুন

কিভাবে সন্তান জন্মের পর আপনার সঙ্গীর সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করবেন?

🌟 নবজাতকের সুস্থ বেড়ে ওঠার রহস্য! 🍼 ঘুম ও খাওয়ার সেরা রুটিন জানুন এখনই!

কেন নবজাতককে ঘন ঘন খাওয়ানো প্রয়োজন: জানুন বিজ্ঞানসম্মত কারণ

শিশুর যথেষ্ট দুধ পাওয়ার লক্ষণ: কীভাবে বুঝবেন আপনার নবজাতক সুস্থ?

প্রসবের পরের ৬ সপ্তাহ: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার কার্যকরী টিপস

প্রসবোত্তর বিষণ্নতা: লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিরোধের কার্যকরী উপায়

সফল স্তন্যপানের জন্য বিশেষজ্ঞের টিপস: বুকের দুধ খাওয়ানো সহজ করুন


📌 FAQs

১. নবজাতকের মাথার চুল কখন ফেলা নিরাপদ?

✅ যদি খুব প্রয়োজন হয়, তবে শিশুর জন্মের ১০-১৫ দিন পর নরম কাঁচি বা নিরাপদ ট্রিমার দিয়ে চুল ছোট করা যেতে পারে। তবে চুল চেঁছে ফেলা উচিত নয়।

২. নবজাতককে কতদিন পর প্রথম গোসল করানো উচিত?

জন্মের ৭২ ঘণ্টা (৩ দিন) পর প্রথম গোসল করানো নিরাপদ। এর আগে ভেজা নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিতে হবে।

৩. নবজাতকের মুখে মধু দেওয়া কি ক্ষতিকর?

✅ হ্যাঁ, মধু বা মিছরির পানি নবজাতকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। এটি ইনফেকশন বা হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।

৪. নবজাতকের চোখে কাজল দিলে কি কোনো উপকার হয়?

না, এটি ক্ষতিকর। কাজলে থাকা কেমিক্যাল শিশুর চোখে অ্যালার্জি, ইনফেকশন ও পানি পড়ার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. নবজাতকের নাভির যত্নে কী ব্যবহার করা উচিত?

✅ ডাক্তার নির্দেশিত অ্যান্টিসেপ্টিক ওষুধ ব্যবহার করা নিরাপদ
তেল, ঘি, গুঁড়া বা গরম সেঁক দেওয়া যাবে না

৬. নবজাতকের পোশাক কেমন হওয়া উচিত?

নরম, পরিষ্কার এবং সুতি কাপড় পরানো উচিত। নতুন কাপড় ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।
❌ সিনথেটিক বা আঁটসাঁট পোশাক ব্যবহার করবেন না।

৭. ঢেকুর তোলানো কেন জরুরি?

✅ নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানোর পর ঢেকুর তোলাতে হবে, না হলে তার পেটে গ্যাস জমে বমি বা অস্বস্তি হতে পারে

৮. শীতকালে নবজাতককে কিভাবে গরম রাখা যাবে?

অতিরিক্ত কাপড় না দিয়ে গরম পরিবেশ তৈরি করুন। টুপি ও মোজা পরান, কিন্তু বেশি গরম কাপড় দিলে ঘাম হয়ে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।

৯. ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার কী?

✅ এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে নবজাতককে মায়ের বুকের সঙ্গে চামড়ার সংস্পর্শে রাখা হয়। এটি শিশুর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ওজন বৃদ্ধি এবং সুস্থতায় সহায়তা করে


⚠ বিশেষ দ্রষ্টব্য (Important Note)

🔹 নবজাতকের যত্ন নেওয়ার সময় কোনো কুসংস্কার বা প্রচলিত ভুল ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন না
🔹 শুধুমাত্র ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর যত্ন নিন
🔹 নবজাতকের কোনো শারীরিক সমস্যা হলে নিজে থেকে চিকিৎসা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন
🔹 নবজাতকের খাবার ও পরিচর্যা নিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে
🔹 নবজাতককে প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত—এর বাইরে কোনো খাবার বা তরল দেওয়া যাবে না।

আপনার নবজাতকের যত্ন সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন! 😊👶💖

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget