নবজাতক জন্মের পর থেকে প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ তার প্রধান পুষ্টির উৎস। এই সময়টিতে প্রসূতি মায়ের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও যত্ন শিশুর সুস্থতা ও মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
নিচে প্রসূতি মায়ের যত্ন এবং পুষ্টির বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো:
১. মায়ের খাদ্য পরিকল্পনা
- অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজনীয়তা:
প্রথম ছয় মাসে প্রসূতি মাকে প্রতিদিন অন্তত দুইবার অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে। প্রতিবার স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বাড়তি পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। - প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার:
প্রতিদিন মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। এগুলো মায়ের শরীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। - শক্তি বৃদ্ধিকারক খাবার:
ভাত, রুটি, রান্নার তেল, বাদাম বা সামান্য ঘি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। - ভিটামিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:
সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল নিয়মিত খেতে হবে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহার
প্রসূতি মায়ের খাবারে আয়োডিনযুক্ত প্যাকেট লবণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে এবং বুদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৩. পানি ও তরল গ্রহণ
মায়ের শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও অন্যান্য তরল (যেমন ফলের রস, দুধ) পান করা জরুরি। এটি মায়ের শরীর হাইড্রেট রাখে এবং দুধ উৎপাদনে সহায়ক।
৪. ভিটামিন ও আয়রন সাপ্লিমেন্ট
- ভিটামিন এ ক্যাপসুল:
প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণ করতে হবে। - ফলিক এসিড ও আয়রন ট্যাবলেট:
প্রসবের পর কমপক্ষে ৩ মাস প্রতিদিন একটি করে ফলিক এসিড ও আয়রন ট্যাবলেট ভরাপেটে খাওয়া অবশ্যক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন