রাতে বা দিনে শিশুরা অতিরিক্ত কান্না করলে যে সুরা পাঠ করবেন

শিশুরা বিভিন্ন কারণে কান্না করে, যা তাদের শারীরিক বা মানসিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনও পেট ব্যথা, কখনও গ্যাস, কখনও আবার শয়তানি প্রভাব কিংবা খারাপ নজরের কারণে শিশুরা কান্না করতে পারে। ইসলামী পরিভাষায়, শিশুর কান্না থামানোর জন্য কিছু বিশেষ দোয়া ও সূরা রয়েছে, যা তাদের শান্ত করতে সাহায্য করে। 

রাতে বা দিনে শিশুরা অতিরিক্ত কান্না করলে যে সুরা পাঠ করবেন

আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো, রাতে বা দিনে যদি শিশুরা অতিরিক্ত কান্না করে, তাহলে কোন সুরা বা দোয়া পাঠ করা উচিত।

শিশুর কান্নার কারণ

শিশুর কান্না মূলত বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:

  1. শারীরিক অসুস্থতা: পেটে গ্যাস, কৃমি বা খাবার পর শুয়ে পড়া।
  2. মনের অস্থিরতা: ভয়, অস্বস্তি বা অন্য কোনো মানসিক চাপ।
  3. খারাপ নজর (বদ নজর): অনেক সময় বাইরের নেতিবাচক শক্তির প্রভাবেও শিশুরা কান্না করতে পারে।
  4. জিন বা শয়তানি প্রভাব: কিছু পরিস্থিতিতে শিশু শয়তান বা জিনের আক্রমণে কান্না করে থাকে।

এসব কারণে শিশুর কান্না দূর করতে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু সূরা এবং দোয়া রয়েছে, যা প্রয়োগ করলে ইনশাআল্লাহ শিশুর কান্না থামবে।


১. সূরা ফাতিহা

সূরা ফাতিহা হলো কুরআনের প্রথম সূরা, যা সর্বজনীন এবং সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এটি শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। যখন শিশুর কান্না থামে না, তখন সূরা ফাতিহা পড়ার পর তার ওপর ফুঁ দিলে শান্তি আসে।

পদ্ধতি:

  • সূরা ফাতিহা (১ বার) পড়ুন।
  • তারপর শিশুর শরীরে ফুঁ দিন (মাথায়, বুকের ওপর, বা হাত-পায়ে)।

এটি শয়তান ও খারাপ শক্তির প্রভাব দূর করতে সাহায্য করবে।


২. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, এবং সূরা নাস (তিন কুল)

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিন কুল (সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস) শিশুর জন্য বিশেষ আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করে। রাতে বা দিনে শিশুর অতিরিক্ত কান্না হলে, এই তিনটি সূরা পড়ে, শিশুর শরীরে ফুঁ দিলে তার কান্না থেমে যেতে পারে।

পদ্ধতি:

  • সূরা ইখলাস (১ বার)
  • সূরা ফালাক (১ বার)
  • সূরা নাস (১ বার)

এই তিনটি সূরা নিয়মিত পড়ে, শিশুর শরীরে ফুঁ দিন। এটি শিশুদের নিরাপদ রাখবে এবং তাদের শান্ত করবে।


৩. আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা, আয়াত ২৫৫)

আয়াতুল কুরসি হল কুরআনের সবচেয়ে শক্তিশালী আয়াত, যা প্রতিরক্ষা ও হেফাজতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে শিশুরা রাতে খারাপ স্বপ্ন দেখে বা শয়তানির আক্রমণের শিকার হলে, আয়াতুল কুরসি তাদের রক্ষা করতে সক্ষম। এই আয়াতটি পড়লে শিশুর কান্নাও কমে যাবে।

পদ্ধতি:

  • আয়াতুল কুরসি (১ বার) পড়ুন।
  • তারপর শিশুর মাথায় বা শরীরে ফুঁ দিন

এটি শিশুকে শয়তানি শক্তি, খারাপ নজর এবং সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবে।


৪.শিশুর কান্না থামানোর দোয়া

শিশুর কান্না যদি অতিরিক্ত মনে হয় বা যদি কোন কারণে সে শান্ত না হয়, তাহলে নিচের দোয়াটি পড়তে পারেন। এটি কার্যকরীভাবে শিশুর কান্না থামাতে সাহায্য করে এবং শয়তান বা জিনের বদ নজর থেকেও শিশুকে রক্ষা করতে পারে।

দোয়াটি এইভাবে পড়বেন:

আরবি:
شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ
وَالْمَلَيْكَةُ وَأُولُوا الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ
لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

বাংলা উচ্চারণ:
শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, ওয়াল মালায়িকাতু, ওয়া উলুল্ ইলমি কায়িমাম বিক্বিসতি, লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল আযীযুল হাকীম।


আয়াতের বাংলা অর্থ:

“আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই, এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানীগণ তাঁর সুবিচার বিশ্বাস করেন এবং সেই মহাপরাক্রান্ত বিজ্ঞানময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই।”


পদ্ধতি:

  1. নিয়মিত এই দোয়া পড়ুন।

    • আপনি এই দোয়া ৩ বা ৭ বার পড়তে পারেন।
  2. শিশুর শরীরে ফুঁ দিন:
    দোয়া পড়ে, শিশুর মাথা বা বুকের উপর ফুঁ দিন।

  3. দোয়াটি পড়ার সময় অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করুন এবং বিশ্বাস রাখুন।

    • আল্লাহর রহমত ও শক্তির উপর ভরসা রাখুন।

অতিরিক্ত উপকারিতা:

  • বদ নজর বা জিনের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  • শিশুর কান্না দ্রুত থামবে এবং সে শান্তি পাবেন।
  • দুশমন বা খারাপ শক্তি থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।

৫. "ইয়া হাসিবু" নামের আমল

ইয়া হাসিবু আল্লাহর একটি নাম, যা শিশুর শান্তির জন্য অনেক কার্যকরী। এই নামটি ১১ বার পড়ার পর শিশুর শরীরে ফুঁ দিলে শিশুর কান্না থেমে যাবে।

পদ্ধতি:

  • অজু করে নিন।
  • ইয়া হাসিবু নামটি ১১ বার পড়ুন।
  • তারপর শিশুর শরীরে ফুঁ দিন

এটি শিশুর কান্না এবং অস্থিরতা দূর করবে।

রাতে বাচ্চা কান্না করলে করণীয়

১. ঘুমানোর আগে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি ও তিন কুল পড়ুন।
২. মা-বাবা বাচ্চার কপালে হাত রেখে "আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম" বলুন।
৩. বাচ্চাকে সুরেলা কণ্ঠে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" শুনান।
৪. ফ্রেশ পোশাক পরিয়ে শান্ত পরিবেশে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করুন।

রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়?

রাতে শিশু অকারণে কান্না করলে নিচের সূরাগুলো পড়তে পারেন—

১. সূরা ফাতিহা
২. সূরা বাকারা (আয়াতুল কুরসি)
৩. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস (তিন কুল)

📌 পদ্ধতি:

  • বাচ্চার কপালে বা মাথায় হাত রেখে দোয়াগুলো পড়ুন।
  • ৩ বার করে পড়ে বাচ্চার শরীরে ফুঁ দিন।

ঘুমের মধ্যে কান্না থামানোর আমল

অনেক শিশু ঘুমানোর সময় স্বপ্ন দেখে কেঁদে ওঠে। এটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়তে পারেন।
এছাড়া, শিশুর গায়ে নরম ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে সে ভীত না হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমাতে পারে।


বাচ্চা কান্না করলে কী করব?

বাচ্চাদের কান্নার কিছু সাধারণ কারণ হতে পারে:

  1. পেটে গ্যাস
  2. পেটে কৃমি বা বাতাস জমে থাকা
  3. খাবার খাওয়ার পর বাচ্চাকে শুইয়ে দেওয়া
  4. অন্যান্য অসুস্থতা

বাচ্চার কান্না কমানোর উপায়:

  • মাগরিবের পর বাচ্চাকে বাইরে না বের করার চেষ্টা করুন, কারণ এই সময়ে শয়তান ও খারাপ শক্তি পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।
  • শিশুকে পেটে তেল মালিশ করুন।
  • যদি কান্না থামানো না যায়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

বাচ্চার শরীর বন্ধ করার দোয়া

বাচ্চাদের শরীর যেন কোনো অশুভ শক্তির দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সে জন্য নিম্নলিখিত দোয়াগুলো পড়তে পারেন—

১. সূরা ফাতিহা ও তিন কুল

  • প্রথমে বিসমিল্লাহ বলে সূরা ফাতিহা পাঠ করুন এবং শিশুর শরীরে ফু দিন।
  • এরপর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস (তিন কুল) পাঠ করে বাচ্চার শরীরে ফু দিন।

২. আয়াতুল কুরসি

  • শুদ্ধভাবে বিসমিল্লাহ সহ আয়াতুল কুরসি পড়ে শিশুর শরীরে ফু দিন।
  • প্রতিদিন সকালে ও রাতে এটি করলে ইনশাআল্লাহ শিশু নিরাপদ থাকবে।

৩. ছোট দোয়া
নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়ে শিশুর শরীরে ফু দিন—

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ
مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ
وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

উচ্চারণ:
"আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শায়তানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।"

📌 পদ্ধতি:

  • সকাল-সন্ধ্যা ৩ বার দোয়াটি পড়ে বাচ্চার মাথায় ও বুকে ফুঁ দিন।
  • ইনশাআল্লাহ, শিশু নিরাপদ থাকবে এবং কান্না কম হবে।

বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করলে কী হয়?

📌 ১. জিনের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
📌 ২. শয়তানের খারাপ প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকবে।
📌 ৩. খারাপ নজর ও বদদোয়া থেকে মুক্তি পাবে।
📌 ৪. যাদুটনা ও কুফরি আমল কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
📌 ৫. দুশমন বা জালিমের জুলুম থেকে হেফাজতে থাকবে।
📌 ৬. শিশুর মন শান্ত থাকবে, অকারণে কান্না করবে না।


বাচ্চার কান্না থামানোর সাধারণ উপায়

📌 ১. বাচ্চা ক্ষুধার্ত কিনা দেখুন।
📌 ২. পেট ব্যথা হলে হালকা গরম তেল মালিশ করুন।
📌 ৩. বেশি আলো, শব্দ ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ থেকে দূরে রাখুন।
📌 ৪. নরম ও আরামদায়ক জায়গায় শুইয়ে দিন।
📌 ৫. মায়ের কোলে নিয়ে আদর করুন এবং দোয়া পড়ুন।


উপসংহার

রাতে বা দিনে শিশুর কান্না অনেক কারণে হতে পারে, কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু নির্দিষ্ট সূরা ও দোয়া রয়েছে যা এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী হতে পারে। নিয়মিত সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস এবং আয়াতুল কুরসি পড়া হলে আল্লাহর রহমতে শিশুর কান্না থামবে এবং সে শান্ত হবে। শয়তান, বদ নজর এবং জিনের প্রভাব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এই দোয়াগুলো অত্যন্ত উপকারী।

আল্লাহ আমাদের সন্তানদের হেফাজত করুন এবং তাদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন। আমীন!

আরো জানুন

বিকাশের সোনালি সময়: শারীরিক দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও বন্ধুত্বের পথচলা ও আনন্দময় যাত্রা

শিশুর বিকাশে পরিবার ও সমাজের প্রভাব: কীভাবে গড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ?

শিশুর কৃমি: লক্ষণ, কারণ ও প্রতিরোধের উপায়

শিশুর দেরিতে কথা বলা নিয়ে দুশ্চিন্তা? জেনে নিন কারণ, করণীয় ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ



বিশেষ দ্রষ্টব্য

শিশুর কান্না একটি সাধারণ ব্যাপার হলেও, কখনও কখনও এটি অতিরিক্ত হতে পারে এবং এর পেছনে শারীরিক বা মানসিক কোন সমস্যা থাকতে পারে। এজন্য, শিশুর কান্না থামানোর জন্য যে দোয়া ও সূরা আমরা উল্লেখ করেছি, সেগুলো ইসলামের নির্দেশিত উপায় হিসেবে কার্যকরী হতে পারে। তবে, কিছু বিশেষ দ্রষ্টব্য রয়েছে যা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ:

  1. শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
    যদি শিশুর কান্না অতিরিক্ত হয়ে যায় এবং দোয়া ও সূরা পড়ার পরও থামে না, তবে শিশুর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা উচিত। পেটের সমস্যা, গ্যাস, কৃমি বা অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতার কারণে শিশুর কান্না হতে পারে। এমন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

  2. শয়তানি বা জিনের প্রভাব:
    শিশুর কান্না যদি একেবারে অকারণ এবং নিখুঁত পরিস্থিতিতে ঘটে, তখন কখনও কখনও শয়তানি বা জিনের প্রভাব হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে ইসলামিক দোয়া ও সূরা সবচেয়ে কার্যকরী হতে পারে। তবে, বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এই দোয়াগুলো আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কিছুই নয়, তাই বিশ্বাস ও ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  3. অন্য কোন মানসিক চাপ:
    শিশুদের কাঁদার আরেকটি কারণ হতে পারে মানসিক অস্থিরতা, যেমন ভয়, অস্বস্তি বা অন্য কোন মানসিক চাপ। এমন অবস্থায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে সান্ত্বনা এবং স্নেহ জরুরি। শিশুদের সাথে সময় কাটানো, তাদের ভালোবাসা ও স্নেহ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

  4. সঠিক উপায়ে দোয়া ও সূরা পাঠ:
    দোয়া ও সূরা পাঠ করার সময় অবশ্যই ধৈর্য এবং বিশ্বাস থাকতে হবে। আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা রাখা এবং সঠিক নিয়মে পাঠ করা গুরুত্বপূর্ণ। দোয়া ও সূরা পাঠ করার পর, শান্ত মনে আল্লাহর সাহায্য আশা করা উচিত।

  5. আল্লাহর ইচ্ছা:
    সর্বোপরি, মনে রাখতে হবে যে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। দোয়া, সূরা, এবং আমলগুলো আল্লাহর রহমত ও সাহায্যের জন্য একটি মাধ্যম। আমাদের সব প্রার্থনা ও কামনা আল্লাহর কাছে পৌঁছাতে হবে, এবং তিনি যা ভালো মনে করবেন তাই করবেন।


সতর্কতা:
শিশুদের শান্ত করার জন্য যে উপায়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যদি শিশুর অবস্থার উন্নতি না হয় বা সমস্যার কারণ জানা না যায়, তাহলে পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সন্তানদের সুস্থ রাখুন, তাদের হেফাজত করুন এবং আমাদের উপকার করুন। আমীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget