রমজান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো তারাবির নামাজ। এটি এশার নামাজের পর আদায় করা হয় এবং পুরো মাস জুড়ে এই নামাজ বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পড়া হয়। অনেকের মনে এই নিয়ে প্রশ্ন ।
আসুন জেনে নিই তারাবির নামাজ কত রাকাত তা সুন্নাত না নফল তারাবির নামাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
🌙 তারাবিহ নামাজের ফজিলত: গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ!
রমজান মাস আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের শ্রেষ্ঠ সময়। এই মাসে তারাবিহ নামাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা গুনাহ মাফের একটি বড় মাধ্যম।
🔹 তারাবিহ নামাজ গুনাহ মাফের অন্যতম উপায়।
🔹 যে ব্যক্তি রমজানে তারাবি নামাজ পড়ে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়!
📖 হাদিসে এসেছে:
হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি রমজানে রাতে (তারাবিহ) বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
📚 (বুখারি ও মুসলিম)
🔹 যে ব্যক্তি রমজানে তারাবি নামাজ পড়ে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়!
হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি রমজানে রাতে (তারাবিহ) বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
📚 (বুখারি ও মুসলিম)
✨ তারাবিহ নামাজের বিশেষ ফজিলত
✅ গুনাহ মাফের সুযোগ: তারাবিহ নামাজ পড়লে পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
✅ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন: এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।
✅ কিয়ামুল লাইলের আমল: তারাবিহ আসলে রাতের নামাজ (কিয়ামুল লাইল), যা নবীজি (সা.) ও সাহাবিরা গুরুত্ব সহকারে আদায় করতেন।
✅ জান্নাতের পথে অগ্রগামী: যারা নিয়মিত তারাবিহ পড়েন, তারা জান্নাতের পথে এগিয়ে যান।
✅ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন: এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।
✅ কিয়ামুল লাইলের আমল: তারাবিহ আসলে রাতের নামাজ (কিয়ামুল লাইল), যা নবীজি (সা.) ও সাহাবিরা গুরুত্ব সহকারে আদায় করতেন।
✅ জান্নাতের পথে অগ্রগামী: যারা নিয়মিত তারাবিহ পড়েন, তারা জান্নাতের পথে এগিয়ে যান।
🌙 তারাবির নামাজ কত রাকাত?
তারাবির নামাজ কত রাকাত, এটা নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে অধিকাংশ ইসলামী পণ্ডিতের মতে, তারাবির নামাজ ২০ রাকাত।
📌 বেশিরভাগ ইসলামী পণ্ডিত ও চার মাজহাবের অনুসারীরা ২০ রাকাত তারাবি পড়াকে সুন্নাত হিসেবে মানেন।
📌 কিছু কিছু অঞ্চলে ৮ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ারও প্রচলন রয়েছে।
🔹 নবী করিম (সা.) নিজে রমজানের রাতে দীর্ঘ সময় নামাজ আদায় করতেন।
🔹 খলিফা হজরত উমর (রাঃ) সাহাবিদের সম্মতিতে ২০ রাকাত তারাবি চালু করেন, যা পরবর্তী উম্মাহ গ্রহণ করেছে।
🔹 অনেক সাহাবি ও তাবেঈন ২০ রাকাত তারাবি আদায় করতেন।
💡 তাহলে কত রাকাত পড়বেন?
✔️ যারা ২০ রাকাত পড়তে পারেন, তারা তা-ই পড়বেন, কারণ এটি অধিক ফজিলতপূর্ণ।
✔️ যারা ৮ রাকাত পড়েন, তারা পড়তে পারেন, তবে দীর্ঘ কিয়াম বা তিলাওয়াত করা উত্তম।
✔️ মূল লক্ষ্য হলো—তারাবিহ পড়া এবং রমজানের ফজিলত লাভ করা!
📌 কিছু কিছু অঞ্চলে ৮ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ারও প্রচলন রয়েছে।
🔹 খলিফা হজরত উমর (রাঃ) সাহাবিদের সম্মতিতে ২০ রাকাত তারাবি চালু করেন, যা পরবর্তী উম্মাহ গ্রহণ করেছে।
🔹 অনেক সাহাবি ও তাবেঈন ২০ রাকাত তারাবি আদায় করতেন।
✔️ যারা ২০ রাকাত পড়তে পারেন, তারা তা-ই পড়বেন, কারণ এটি অধিক ফজিলতপূর্ণ।
✔️ যারা ৮ রাকাত পড়েন, তারা পড়তে পারেন, তবে দীর্ঘ কিয়াম বা তিলাওয়াত করা উত্তম।
✔️ মূল লক্ষ্য হলো—তারাবিহ পড়া এবং রমজানের ফজিলত লাভ করা!
তারাবির নামাজ: সুন্নত না নফল?
তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, অর্থাৎ এটি এমন একটি সুন্নত যা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আদায় করা উচিত। নবী করিম (সা.) নিজে এই নামাজ আদায় করেছেন এবং সাহাবায়ে কেরামদেরও এটি পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
৮ নাকি ২০ রাকাত: কোনটি সঠিক?
তারাবির নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে।
📌 বেশিরভাগ ইসলামী পণ্ডিত ও চার মাযহাবের (হানাফি, মালিকি, শাফেয়ি, হাম্বলি) মতে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করাই উত্তম।
📌 তবে, কিছু কিছু পণ্ডিতের মতে, ৮ রাকাত তারাবিও বৈধ।
৪ রাকাত একসাথে পড়া যাবে কি? 🤔
❌ না, তারাবির নামাজ ৪ রাকাত একসাথে পড়া যায় না!
✔️ তারাবির নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করতে হয় এবং প্রতি দুই রাকাত পর সালাম ফিরিয়ে বিরতি নিতে হয়।
📌 কেন ৪ রাকাত একসাথে পড়া যাবে না?
🔹 নবী করিম (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম ২ রাকাত করে তারাবির নামাজ পড়েছেন।
🔹 কোনো নির্ভরযোগ্য হাদিসে ৪ রাকাত একসাথে পড়ার অনুমতি নেই।
🔹 তারাবি মূলত নফল নামাজের মতো, আর নফল নামাজও ২ রাকাত করে পড়া উত্তম।
📌 সঠিক পদ্ধতি কী?
👉 ২ রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে আবার ২ রাকাত পড়তে হবে।
👉 প্রতি ৪ রাকাত পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া যায় (যাকে তরভিহা বলে)।
তারাবির নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
✔ তারাবির নামাজ ২০ রাকাত।
✔ প্রতি ২ রাকাত পর পর সালাম ফেরাতে হয়।
📌 তারাবির নামাজের নিয়ত:
"নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই সালাতিত তারাবিহি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।"
তারাবির নামাজের মোনাজাত 🌙
তারাবির নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও, যে যত রাকাতই আদায় করুন না কেন, মোনাজাতের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অনেক মসজিদে প্রতি ৪ রাকাত পরপর মোনাজাত করা হয়, আবার কিছু জায়গায় পুরো নামাজ শেষ করে মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাতে কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত মাসনুন দোয়া পড়া উত্তম। তবে, তারাবির নামাজের পর বহুল প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে, যা অনেক মুসল্লি পড়ে থাকেন।
🌿 তারাবির মোনাজাত (আরবি)
اَللَّهُمَّ إِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ
يَا خَالِقَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَا جَبَّارُ يَا خَالِقُ يَا بَارُّ
اَللَّهُمَّ أَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ
🌸 অর্থ:
হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।
হে জান্নাত ও জাহান্নামের সৃষ্টিকর্তা! তোমার দয়ার মাধ্যমে, হে পরাক্রমশালী, হে ক্ষমাশীল, হে দাতা, হে গোপনীয়তা রক্ষাকারী, হে দয়ালু, হে সর্বশক্তিমান, হে সৃষ্টিকর্তা, হে সর্বোপকারী!
হে আল্লাহ! আমাদের জাহান্নাম থেকে রক্ষা করো। হে মুক্তিদাতা! হে মুক্তিদাতা! হে মুক্তিদাতা!
তারাবিহ নামাজের দোয়া ও তার অর্থ
📌তারাবিহ নামাজের নিয়ম:
তারাবিহ নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করতে হয়। প্রতি চার রাকাত পরপর সামান্য বিরতি নেওয়া হয়, যাকে তরভিহা বলা হয়। এই সময় মুসল্লিরা তাসবিহ, তাহলিল ও দোয়া করে থাকেন।
অনেক জায়গায় চার রাকাত পরপর একটি বিশেষ দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে। এটি তারাবিহ নামাজের অন্যতম জনপ্রিয় দোয়া।
কখন পড়তে হয়?
🔹 কিছু এলাকায় প্রতি ৪ রাকাত পর এই দোয়া পড়ার প্রচলন আছে।
🔹 আবার কিছু জায়গায় পুরো নামাজ শেষে মোনাজাতের সময় এটি পড়া হয়।
🌿 তারাবিহ নামাজের দোয়া (আরবি ও উচ্চারণ)
📜 আরবি:
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
📜 উচ্চারণ:
সুবহানাঝীল-মুলকি ওয়াল-মালাকূত, সুবহানাঝীল-ইজ্জতি ওয়াল-আজমাতি ওয়াল-হাইবাতি ওয়াল-কুদরাতি ওয়াল-কিবরিয়ায়ি ওয়াল-জাবারুত।
সুবহানাল মালিকিল হাইয়িল্লাযি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা।
সুব্বূহুন কুদ্দুসুন, রব্বুনা ওয়া রব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।
🌸 তারাবিহ নামাজের দোয়ার অর্থ:
💠 আমি মহারাজ্য ও পরম শক্তির অধিকারী আল্লাহকে পবিত্র ঘোষণা করছি।
💠 আমি সম্মান, মহিমা, গৌরব, শক্তি, শ্রেষ্ঠত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহকে পবিত্র ঘোষণা করছি।
💠 তিনি চিরঞ্জীব রাজাধিরাজ, যিনি কখনো ঘুমান না এবং কখনো মারা যাবেন না।
💠 তিনি সব সময় মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র, তিনি আমাদের প্রতিপালক এবং ফেরেশতাদের ও জিব্রাইলের প্রতিপালক।
✅তারাবিহ নামাজের দোয়া বাধ্যতামূলক কি না?
❌ না, এটি বাধ্যতামূলক নয়।
✔️ তবে এটি পড়া উত্তম, কারণ এতে আল্লাহর গুণবাচক নাম ও প্রশংসা রয়েছে।
✅ পড়ার মূল উদ্দেশ্য:
📖 আল্লাহর প্রশংসা করা, গুনাহ মাফ চাওয়া ও তাঁর রহমত কামনা করা।
🌸খতমে তারাবি কী?
খতমে তারাবি বলতে বোঝায় রমজান মাসে তারাবির নামাজে সম্পূর্ণ কুরআন খতম করা। সাধারণত, মসজিদে হাফেজ কুরআন তারাবির নামাজে ধারাবাহিকভাবে কুরআন তিলাওয়াত করেন এবং রমজানের ২৭তম রাতের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন শেষ করার চেষ্টা করা হয়।
✅ খতমে তারাবির গুরুত্ব
📌 নবী করিম (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম তারাবির নামাজে কুরআন তিলাওয়াত করতেন।
📌 এটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল, কারণ রমজান মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
📌 যারা খতমে তারাবিতে অংশ নেন, তারা অনেক সওয়াব লাভ করেন।
✅ খতমে তারাবির নিয়ম
✔ সাধারণত ২০ রাকাত তারাবির নামাজে কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ তিলাওয়াত করা হয়।
✔ হাফেজ কুরআন প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা বা অংশ পড়েন, যেন পুরো মাসে কুরআন খতম হয়।
✔ কিছু মসজিদে ১০ দিনে বা ১৫ দিনে খতমেরও ব্যবস্থা থাকে।
✅ খতমে তারাবি কি বাধ্যতামূলক?
না, খতমে তারাবি বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি অত্যন্ত পুণ্যের কাজ। যদি সম্ভব হয়, তবে মুসল্লিদের উচিত সম্পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াতসহ তারাবির নামাজে অংশ নেওয়া।
আরো ইনফো জানুন
🔹 শিশুর বয়স অনুযায়ী প্রসাবের বিধান: হাদিসের আলোকে জানুন!
নতুন মায়েদের জন্য ধর্মীয় বিধান: রোজা ও নামাজ সংক্রান্ত জরুরি তথ্য
২️⃣ স্বামী কতদিন দূরে থাকতে পারে? ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয় ও বিধান 🏡📜
💖 ঈদের প্রস্তুতি হোক আত্মশুদ্ধি, মানবতা ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি
রমজানে রোজা রাখার জন্য ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখা কি শরিয়তসম্মত?
সাদকাতুল ফিতর এর বিস্তারিত বর্ণনা: ঈদের খুশিতে সামিল হোক দরিদ্রেরাও
📌 উপসংহার
রমজানের এই বিশেষ ইবাদত মুসলমানদের জন্য অপার সওয়াবের সুযোগ নিয়ে আসে। ২০ রাকাত পড়াই উত্তম, তবে ৮ রাকাত পড়লেও তারাবির নামাজ আদায় হয়। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এই বরকতময় নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।
রমজান মাসের মহিমা ও ফজিলত উপলব্ধি করতে তারাবি নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাত লাভের একটি বিশেষ মাধ্যম। তারাবি নামাজের মধ্যে রয়েছে গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ, এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব। নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে কিছু মতভেদ থাকলেও, ২০ রাকাত নামাজ সর্বাধিক প্রচলিত এবং সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ।
তারাবি নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, যার মাধ্যমে নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত জানা যায়। সঠিক নিয়মে নামাজ আদায়, মোনাজাত পড়া এবং আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা, সব কিছুই রমজানের অভ্যন্তরে আমাদের আত্মা ও অন্তরকে নির্মল করে তোলে।
খতমে তারাবি নামাজের মাধ্যমে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করার মাধ্যমে একদিকে যেমন সওয়াব লাভ করা যায়, তেমনি রমজান মাসের সম্পূর্ণতার স্বাদ পাওয়া যায়। যদিও খতমে তারাবি বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি অত্যন্ত পুণ্যময় এবং তা অংশগ্রহণ করা সকল মুসল্লির জন্য একটি বৃহৎ সুযোগ।
এছাড়া, তারাবি নামাজের দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা, আমাদের আত্মিক উন্নতি ও জীবনের পথকে সুগম করে। রমজান মাসে এই ইবাদতগুলো পালন করে আমরা আল্লাহর কাছে আত্মবিশ্বাসের সাথে শান্তি ও সাফল্য কামনা করতে পারি।
💡 আপনার এলাকায় তারাবির নামাজ কীভাবে পড়া হয়? ২০ নাকি ৮ রাকাত? কমেন্টে জানান!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন