রমজান মাস এলেই আমাদের মধ্যে অনেকের মনে নানান প্রশ্ন জাগে—কী করলে রোজা ভঙ্গ হবে, আর কী করলে হবে না? বিশেষ করে নখ কাটা, অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা, চুল ছাঁটা ইত্যাদি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন।
আজ আমরা এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবো।
রোজা রেখে নখ বা লোম কাটা কি জায়েজ?
এটি কি মাকরুহ?
না, এটি মোটেও মাকরুহ নয়। মাকরুহ বলতে বোঝানো হয় এমন কাজ যা রোজার পূর্ণতা বা পবিত্রতা নষ্ট করতে পারে। কিন্তু নখ কাটা, অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা এসব কাজের মধ্যে পড়ে না। বরং, পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য এগুলো করা বরং ভালো।
কখন নখ বা লোম পরিষ্কার করা উত্তম?
যদিও রোজা রেখে নখ বা লোম পরিষ্কার করা জায়েজ, তবুও ইসলামের সুন্নত নির্দেশনা অনুসারে, জুমার দিন, ঈদের দিন, বা চন্দ্র মাসের ১৪, ১৫, ১৬ তারিখে এগুলো পরিষ্কার করাই উত্তম। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়, বরং যারা সুন্নত অনুসরণ করতে চান, তারা এই সময় বেছে নিতে পারেন।
পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে
ইসলাম ধর্মে পরিচ্ছন্নতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে—
"পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক" (মুসলিম শরীফ)।
এর অর্থ হলো, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ইবাদতের সময়। রমজান মাসে আমরা যত বেশি পরিচ্ছন্ন থাকবো, তত বেশি মনোযোগ দিয়ে ইবাদত করতে পারবো।
আরো জানুন
শেষ কথা
রোজা রেখে নখ কাটা বা লোম পরিষ্কার করা কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। এটি সম্পূর্ণ হালাল এবং রোজার উপর কোনো প্রভাব ফেলে না। বরং ইসলাম পরিচ্ছন্নতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, তাই নিজের যত্ন নেওয়া উচিত। যদি আপনি এ বিষয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চিন্তে থাকুন—রোজা ভেঙে যাওয়ার কোনো ভয় নেই!
আপনার যদি এ বিষয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্টে জানান। রমজান মাস সুন্দর ও পবিত্র হোক সবার জন্য! 🌙✨
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন