সন্তান প্রতিপালন একটি দায়িত্বশীল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ। কখন সন্তানকে শাসন করা উচিত আর কখন উচিত নয়, তা বোঝা একজন সচেতন অভিভাবকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক শাসন শিশুকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে, কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে শাসন করলে তা শিশু মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই, আসুন জেনে নিই কখন শাসন করা উচিত এবং কখন তা থেকে বিরত থাকা দরকার।
সন্তানকে শাসন করার সঠিক সময়: কখন থামতে হবে, কখন শুরু করতে হবে
সন্তানকে শাসন করার সময় নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে। অতিরিক্ত শাসন শিশুর মনে ভীতি ও বিদ্বেষ তৈরি করতে পারে, আবার শাসনের অভাবেও তারা ভুল পথে চালিত হতে পারে। তাই, নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:
এই ৫ সময়ে সন্তানকে শাসন করা থেকে বিরত থাকুন
সন্তান মানুষ করা কোনো সহজ কাজ নয়। তাদের ঠিক-ভুল শেখানো, শাসন করা ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবসময় কি শাসন কার্যকর হয়? না! কিছু সময় আছে, যখন শাসনের বদলে ধৈর্য ধরাই ভালো। ভুল সময়ে শাসন করলে সন্তান ভয় পেতে পারে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে বা প্রতিরোধমূলক আচরণ করতে পারে। আপনার উপর রাগবা ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। তাই, কখন শাসন করা থেকে বিরত থাকবেন, সেটাও জানা দরকার।
১. খুদার্ত বা ক্লান্ত অবস্থায়
যখন শিশু ক্ষুধার্ত বা ক্লান্ত থাকে, তখন তাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। এই সময় তারা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি আবেগপ্রবণ বা চঞ্চল হয়ে ওঠে। যদি এ সময় শাসন করা হয়, তাহলে তারা আপনার কথার যুক্তি বুঝতে পারবে না, বরং আরও বিরক্ত বা রাগান্বিত হবে। এর চেয়ে ভালো, আগে তাদের খেতে দিন বা বিশ্রাম নিতে দিন। তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী কথা বলুন। আর যখন নিজের ভুল নিজে বুজতে পারবে তখন সে আপনার অনুগত থকবে । আর একবার সেই ভুল করতে সে অনেক বার ভাববে।
২. রাগান্বিত অবস্থায়
রাগের সময় আমরা অনেক কিছু বলি, যা হয়তো পরে ভুল মনে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম। রাগের সময় তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এই সময় যদি আপনি শাসন করেন, তাহলে তারা বিরক্ত হবে, হয়তো আপনার সঙ্গে যুক্তিতর্কে জড়াবে বা চুপচাপ বিদ্রোহ করবে। তাই, সন্তান রেগে গেলে আগে তাদের শান্ত হতে দিন, তারপর বুঝিয়ে বলুন।
৩. মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায়
বাচ্চারা বড়দের মতো নয়; তারা ছোট কারণেই তাদের আবেগ বেশি সংবেদনশীল। কোনো কারণে তারা যদি দুঃখ পেয়ে থাকে—স্কুলে কেউ কিছু বলেছে, কোনো খেলনা হারিয়েছে বা পরীক্ষায় খারাপ করেছে—তাহলে তাদের মনের অবস্থা বুঝুন। এই সময় শাসন করা হলে তারা ভাববে, আপনি তাদের অনুভূতির কদর করেন না। বরং তাদের পাশে বসুন, কথা বলুন, ভালোবাসা দিয়ে সান্ত্বনা দিন।
৪. মানুষের সামনে
শিশুদের জন্য আত্মসম্মানবোধ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা বা অভিভাবকরা যদি অন্যদের সামনে তাদের শাসন করেন, তাহলে তারা নিজেকে ছোট মনে করতে পারে বা অপমানিত বোধ করতে পারে। এর ফলে আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায় এবং তারা হয় চুপচাপ হয়ে পড়ে, নয়তো ভবিষ্যতে জেদি হয়ে ওঠে। তাই, যদি শাসন করতেই হয়, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে করুন, একান্তে কথা বলুন। এতে তারা আপনাকে শ্রদ্ধা করবে এবং কথার গুরুত্ব বুঝবে। এতে সে আপনাকেও সম্মান করবে এবং অন্যদের কেও সম্মান করা শিখবে।
৫. যখন আপনি নিজেই রাগান্বিত
আমরা সবাই মানুষ, আমাদেরও রাগ হয়। কিন্তু রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া বা কথা বলা প্রায়ই ভুল হয়ে যায়। সন্তানের কোনো ভুল দেখলে, প্রথমেই চিৎকার বা শাসন না করে একটু ধৈর্য ধরুন। আগে নিজেকে শান্ত করুন, তারপর ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করুন। এতে আপনি যেমন আত্মনিয়ন্ত্রণ শিখবেন, তেমনি সন্তানও শিখবে কীভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। আপনি যেমন আচরন করবেন আপনার সন্তান আপনার থেকেই শিখবে তাই আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে শিখুন।
অতিরিক্ত শাসন বা মারধর থেকে বিরত থাকুন
অতিরিক্ত শাসন বা শারীরিক শাস্তি সন্তানের মনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ তৈরি করতে পারে, যা তাদের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সন্তানের আচরণ বুঝে এবং সংবেদনশীলভাবে তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া উচিত।
শিশুকে অতিরিক্ত শাসন নয় – ভালোবাসাই হোক পথনির্দেশক
শিশুকে নিয়মের মধ্যে আনতে, বাধ্য করাতে বা আদর্শ মানুষ গড়তে অনেক সময় অভিভাবকরা অতিরিক্ত শাসন করেন। কিন্তু এটি কি সত্যিই কাজে আসছে? নাকি সন্তানের মানসিক বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
🛑 অতিরিক্ত শাসনের ক্ষতিকর দিক
✅ মানসিক দূরত্ব তৈরি হয় – অতিরিক্ত শাসন শিশুর সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক শিথিল করে।
✅ সৃজনশীলতা বাধাগ্রস্ত হয় – শিশুর ভাবনার স্বাধীনতা নষ্ট হয়, নতুন কিছু শেখার আগ্রহ কমে যায়।
✅ হীনম্মন্যতা তৈরি হয় – সবকিছুতে ভয় পেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
✅ ভীতু হয়ে ওঠে – শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়, যেকোনো পরিস্থিতিতে সহজেই ভয় পায়।
✅ জেদি ও একরোখা হয়ে যায় – শাসনের চাপে অনেক শিশু প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে, একগুঁয়ে স্বভাব তৈরি হয়।
✅ সহিংসতা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে – শারীরিক শাস্তি পেলে শিশু মনে করে, কাউকে বাধ্য করতে মারধর করা স্বাভাবিক ব্যাপার।
✅ সন্তানকে সঠিক পথে আনতে কী করবেন?
✔ ভালোবাসা দিয়ে শেখান – শিশুকে বুঝিয়ে বলুন, ধৈর্য ধরে তার কথাও শুনুন।
✔ আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন – সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহ দিন, তাকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে দিন।
✔ শারীরিক শাস্তি এড়িয়ে চলুন – এতে ভয় বেড়ে যায়, শেখার আগ্রহ কমে যায়।
✔ ইতিবাচক আচরণে উৎসাহ দিন – ভালো কিছু করলে প্রশংসা করুন, উৎসাহমূলক পুরস্কার দিন।
✔ শৃঙ্খলা বজায় রাখার ইতিবাচক উপায় খুঁজুন – বকাঝকা না করে যুক্তিসঙ্গত নিয়ম তৈরির মাধ্যমে শৃঙ্খলা শেখান।
শিশুকে শাসনের নামে মানসিক চাপ দেওয়া কখনোই সঠিক উপায় নয়। বরং স্নেহ, ভালোবাসা, এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সঠিক পথে আনা সম্ভব। অতিরিক্ত শাসনের পরিবর্তে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন, যাতে সে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং আপনার কথাও মন থেকে শোনে। ❤️
শিশুকে মারধর করে যেসব ক্ষতি করছেন
শিশুকে শাসন করা দরকার, কিন্তু শারীরিক শাস্তি কখনোই সমাধান হতে পারে না। মারধর বা শারীরিক নির্যাতন শিশুর মানসিক বিকাশের অন্তরায়। এতে তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী—দুই ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
🛑 শিশুর গায়ে হাত তোলার ক্ষতিকর দিক
১️⃣ তাৎক্ষণিক সমস্যা
- শিশু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ও ভয় পেতে শুরু করে।
- মারধরকারীর প্রতি বিদ্বেষ বা বিতৃষ্ণা জন্ম নেয়।
- পড়ালেখায় মনোযোগ কমে যায়, বিষণ্নতা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপে বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু হতে পারে।
- আত্মবিশ্বাস কমে যায়, শিশু নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
২️⃣ দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা
- ব্যক্তিত্বের বিকাশে বাধা তৈরি হয়।
- বড় হয়ে শিশুর মধ্যেও আক্রমণাত্মক বা নির্যাতনের প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
- শিশুর মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে, যা ভবিষ্যতে সম্পর্কের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- স্থায়ী বিষণ্নতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব বা পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়ে।
❌ শিশুকে মারধর করা কেন ভুল?
- এতে সমস্যা সমাধান হয় না, বরং ভয় ও মানসিক চাপ তৈরি হয়।
- শিশুর আবেগপ্রবণতা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমে যায়।
- বড় হয়ে শিশুর মধ্যেও হিংস্রতা ও নির্যাতনের প্রবণতা তৈরি হয়।
✅ শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ সামলানোর কার্যকরী উপায়
✔ ইতিবাচক আচরণে উৎসাহ দিন – ভালো কিছু করলে প্রশংসা করুন বা ছোট পুরস্কার দিন।
✔ নেতিবাচক আচরণকে উপেক্ষা করুন – মনোযোগ না দিলে শিশুর আগ্রহ কমে যাবে।
✔ সাজেশন দিন, শাস্তি নয় – "এটা না করে আমরা অন্যভাবে চেষ্টা করি"—এমনভাবে বোঝান।
✔ শিশুর মনোযোগ সরিয়ে দিন – অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত করে দিন, যাতে সে ভুলে যায়।
✔ পুরস্কার প্রত্যাহার করুন – টিভি দেখা, কার্টুন দেখা, খেলাধুলা ইত্যাদির সময় কমিয়ে দিন।
✔ শান্ত থাকুন – ধৈর্য ধরে কথা বলুন, কারণ আপনার প্রতিক্রিয়াও শিশু শিখছে!
শিশুর সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য মারধরের পরিবর্তে ভালোবাসা ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গাইড করা জরুরি। শাসন নয়, সঠিক দিকনির্দেশনাই শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে! ❤️
সন্তান কথা না শুনলে কী করবেন?
সন্তান যদি কথা না শোনে, চিৎকার-চেঁচামেচি বা শাস্তি দেওয়ার আগে একটু ধৈর্য ধরুন। তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন এবং ইতিবাচক উপায়ে শেখানোর কৌশল অবলম্বন করুন। আসুন, কিছু কার্যকরী উপায় দেখি—
🗣 শান্তভাবে কথা বলুন
চিৎকার করলে শিশু ভয় পেতে পারে বা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। বরং কোমল ও দৃঢ় কণ্ঠে কথা বলুন। তাদের সমস্যাটা আগে বুঝতে চেষ্টা করুন, তারপর সমাধান দিন।
🤝 ভুল শুধরে দেওয়ার কৌশল
শুধু বললেই হবে না—সন্তানের ভুলের পরিণতি বুঝিয়ে বলুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে খেলনা ছুড়ে মারে, তাহলে বলুন, "যদি খেলনা ভেঙে যায়, তাহলে কিন্তু আর খেলতে পারবে না।" বাস্তবিক উদাহরণ দিলে শিশুরা দ্রুত শেখে। সে যদি কাউকে মারে বা বকে আপনি তাকে বলুন সে যদি আমিতোমাকে মারলে তুমি ব্যাথা পাবে না? তুমি তাকে মেরেছো সে ব্যাথাপেয়েছে তাই তুমি তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও।
😊 ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন
কখনো বিরক্ত হয়ে বলবেন না, "তুমি তো সবসময় কথা শোনো না!" বরং বলুন, "আমি জানি, তুমি খুব বুদ্ধিমান। তুমি নিশ্চয়ই বুঝবে এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ।" ইতিবাচক শব্দ শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
🎉 ভালো কাজে উৎসাহ দিন
শুধু ভুল ধরলেই হবে না, ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করাও জরুরি! সন্তানের ছোট ছোট ভালো কাজের জন্য তাকে বাহবা দিন, তাকে আলিঙ্গন করুন বা একটু মিষ্টি পুরস্কার দিন। এতে সে আরও ভালো কিছু করার উৎসাহ পাবে।
শিশুরা শিখছে, বড়দের মতো সবকিছু একদিনে বুঝে যাবে না। তাই ধৈর্য ধরুন, ভালোবাসা দিয়ে শেখান—একদিন দেখবেন, আপনার ছোট্ট মনিটা সবকিছু বুঝতে শিখে গেছে! ❤️
সন্তান কথা না শুনলে যা করবেন
শান্তভাবে সন্তানের সাথে কথা বলুন এবং তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন।
সন্তানের ভুল শুধরে দিতে তাদের ভুলের পরিণতি সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন।
ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন এবং শিশুকে উৎসাহিত করুন।
শিশুকে শাস্তির পরিবর্তে ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দিন।
চঞ্চল শিশুকে শান্ত করার উপায়
শিশুর চঞ্চলতাকে ইতিবাচক দিকে পরিচালিত করুন। তাদের পছন্দের কাজে ব্যস্ত রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন, কারণ ঘুমের অভাবে শিশুর মেজাজ খারাপ হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পুষ্টিকর খাবার শিশুর মস্তিষ্ক ও আচরণের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ান। নাচ, গান, বাস্কেটবল, ক্রিকেট বা সাঁতারের মতো কার্যক্রমে যুক্ত করুন।
নিউরোবিক্স বা মেন্টাল অ্যারোবিক্স মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
নানা ধরনের বোর্ড গেমস, ধাঁধা ও বুদ্ধি বিকাশমূলক খেলায় শিশুকে উৎসাহিত করুন।
শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ করলে যা করবেন
শিশুর আচরণের কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। হঠাৎ কোনো পরিবর্তনের পেছনে বিশেষ কোনো কারণ থাকতে পারে।
ধৈর্য ধরে শিশুর সাথে কথা বলুন। তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাদের পাশে থাকুন।
যদি মনে হয় যে শিশুর আচরণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
আরো পড়ুন
🔹 শিশুর বয়স অনুযায়ী প্রসাবের বিধান: হাদিসের আলোকে জানুন!
নবজাতকের নাভির যত্ন: সব বাবা-মায়ের জানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য! 💡👣
শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে অসাধারণ কিছু উপায়!
শীতে শিশুর যত্ন: চিকিৎসকদের পরামর্শে সুস্থ, উষ্ণ ও কোমল ত্বক নিশ্চিত করুন! ❄️👶
🌸 গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন ও পরিচর্যা: মমতার ছোঁয়ায় সুরক্ষা
ত্বকের সমস্যা? ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করুন
🌟 মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি: আপনার সন্তানের জন্য একটি সুস্থ জীবন
নতুন মায়েদের জন্য ধর্মীয় বিধান: রোজা ও নামাজ সংক্রান্ত জরুরি তথ্য
২️⃣ স্বামী কতদিন দূরে থাকতে পারে? ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয় ও বিধান 🏡📜
আপনার শিশুর সুস্থতার সুরক্ষা: টিকাদান সময়সূচী ও গুরুত্ব
শেষ কথা
শিশুর শাসন ও ভালোবাসার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ভালোবাসা ও যত্নের মাধ্যমে তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, শাসন মানেই কঠোরতা নয়, বরং শিশুর আচরণ ও মানসিকতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলার একটি কৌশল। তাই, সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন এবং তাদের সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন