Latest Post

সরকারি ই-টেন্ডারিং প্ল্যাটফর্ম eProcure.gov.bd – দরপত্র জমা দিন অনলাইনে

সরকারি ই-টেন্ডারিং প্ল্যাটফর্ম eProcure.gov.bd – দরপত্র জমা দিন অনলাইনে

বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশে সরকারি কেনাকাটার (Public Procurement) প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, দ্রুত এবং ডিজিটাল করতে চালু হয়েছে eProcure.gov.bd। এটি বাংলাদেশ সরকারের Central Procurement Technical Unit (CPTU) কর্তৃক পরিচালিত একটি অনলাইন ই-জিপি (e-GP) সিস্টেম।

এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য টেন্ডার আহ্বান ও জমা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব।

eProcure.gov.bd কী?

eProcure.gov.bd হল একটি ডিজিটাল ই-টেন্ডারিং সিস্টেম যা সরকারি ক্রয় কার্যক্রমকে স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক এবং জবাবদিহিমূলক করতে সহায়তা করে। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত সকল দরপত্র পাওয়া যায় এবং অংশগ্রহণকারীরা অনলাইনে দরপত্র জমা দিতে পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ ফিচারসমূহ

  • ✅ অনলাইন টেন্ডার সাবমিশন
  • ✅ লাইভ টেন্ডার নোটিশ দেখা ও ডাউনলোড
  • ✅ টেন্ডার ফলাফল ও স্ট্যাটাস ট্র্যাকিং
  • ✅ ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট ও প্রোফাইল ম্যানেজমেন্ট
  • ✅ টেন্ডার ডকুমেন্ট কেনার ব্যবস্থা
  • ✅ নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য ট্রান্সমিশন

কীভাবে eProcure.gov.bd ব্যবহার করবেন?

  1. অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন: প্রথমে eprocure.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে "Register as Tenderer" অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
  2. লগইন করুন: ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
  3. টেন্ডার খুঁজুন: “Current Tenders” বা “Tender Notices” সেকশন থেকে উপযুক্ত দরপত্র খুঁজে বের করুন।
  4. ডকুমেন্ট ডাউনলোড: দরপত্রের শর্তাবলী ও ডকুমেন্ট ডাউনলোড করে বিস্তারিত বুঝে নিন।
  5. সাবমিট করুন: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও বিড ভ্যালু দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে দরপত্র জমা দিন।

কেন ব্যবহার করবেন?

  • 🕒 সময় বাঁচে, যাতায়াতের ঝামেলা নেই
  • 💰 খরচ কমে যায়
  • 🔐 নিরাপদ এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা
  • 📢 দ্রুত টেন্ডার নোটিশ পাবেন
  • 🌎 দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণের সুযোগ
📌 প্রয়োজনীয় সহায়তা: যদি আপনি প্রথমবারের মতো এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, তাহলে eProcure.gov.bd থেকে ইউজার ম্যানুয়াল ও সহায়ক নির্দেশিকা দেখে নিতে পারেন।

অফিসিয়াল লিংক

👉 সরাসরি ভিজিট করুন: https://www.eprocure.gov.bd/

একপে (EkPay)
অনলাইনে সরকারি ও বেসরকারি বিল পেমেন্টের একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম।
বিস্তারিত
ই-পর্চা (e-Porcha)
জমির খতিয়ান ও দাগ নম্বর অনলাইনে দেখার ও যাচাই করার সুবিধা।
বিস্তারিত
ই-রিটার্ন (e-Return)
ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের সহজ অনলাইন পদ্ধতি।
বিস্তারিত
SMS NID তথ্য যাচাই
এসএমএসের মাধ্যমে আপনার এনআইডি যাচাই করার পদ্ধতি।
বিস্তারিত
HBR LGD সেবা
হোল্ডিং ট্যাক্স ও স্থানীয় সেবার জন্য অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা।
বিস্তারিত
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি।
বিস্তারিত
প্রত্যয়ন সেবা
অনলাইনে বিভিন্ন সরকারি প্রত্যয়নপত্র ডাউনলোড ও আবেদন পদ্ধতি।
বিস্তারিত

শেষ কথা

eProcure.gov.bd একটি যুগান্তকারী ডিজিটাল পদক্ষেপ যা সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে করেছে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং সময়োপযোগী। আপনি যদি একজন ঠিকাদার, সাপ্লায়ার বা কনসালট্যান্ট হয়ে থাকেন – তবে এখনই আপনার প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্টার করুন এবং ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে যান।


ট্যাগ: eProcure.gov.bd, ই-টেন্ডার, সরকারি দরপত্র, e-GP Bangladesh, CPTU, digital procurement

একপে (EkPay): বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে

একপে (EkPay) বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে


EkPay হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ যা নাগরিকদের অনলাইন পেমেন্ট সহজ ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে। EkPay প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি সরকারি বিল, সার্ভিস চার্জ, ফিস সহ বিভিন্ন পেমেন্ট একটি মাত্র ওয়েবসাইট থেকে সহজেই দিতে পারেন।

🔍 একপে কী?

একপে (EkPay) হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে তৈরি একটি ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে যা https://ekpay.gov.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি ব্যবহার করে আপনি ব্যাংক বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (MFS) মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদে পেমেন্ট করতে পারবেন।

🧾 একপেতে যেসব সেবা পাওয়া যায়:

  • পাসপোর্ট ফিস পেমেন্ট
  • জন্মনিবন্ধন ফি
  • বিভিন্ন সরকারি সার্টিফিকেটের ফি
  • ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ, গ্যাস)
  • বিজনেস ট্রেড লাইসেন্স ফি

💡 EkPay ব্যবহারের সুবিধা:

  • একাধিক পেমেন্ট অপশন (Bkash, Nagad, Rocket, VISA, Mastercard)
  • ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস
  • সরকারি লেনদেনের জন্য নিরাপদ মাধ্যম
  • পেমেন্ট রশিদ ও ট্র্যাকিং সুবিধা
  • ২৪/৭ সাপোর্ট সুবিধা

👉 একপে ব্যবহার করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:

🔗 EkPay.gov.bd এ যান


📌 একপে কেন ব্যবহার করবেন?

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইন বিল প্রদানসরকারি সার্ভিসে অ্যাক্সেস সহজতর করতে EkPay গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য একটি আধুনিক, নিরাপদ ও সরকারি স্বীকৃত ডিজিটাল পেমেন্ট সলিউশন।

📷 EkPay এর ইন্টারফেস কেমন?

EkPay Interface


🔗 অফিসিয়াল সাইট:

👉 https://ekpay.gov.bd/


আরো জানুনঃ

Girls Comfort Loafers - Stylish Design for Casual Wear

Girls Comfort Loafers

Price: ৳499

Step into comfort and elegance with these stylish girls loafers. Perfect for school, outings, or everyday casual wear, these loafers are designed to offer both comfort and charm. Lightweight, durable, and on-trend — a must-have for every stylish young girl.

✨ Key Features:

  • Comfortable & breathable material
  • Trendy and elegant design
  • Perfect for daily use
  • Durable sole for long-term wear
  • Multiple sizes available

🛒 Buy Now on Daraz


Why Choose These Loafers?

Whether you're buying for school, events, or everyday outings, these loafers deliver quality and affordability. Their sleek design and soft materials ensure your child stays comfortable and stylish all day long.

Customer Satisfaction Guaranteed

Thousands of satisfied parents trust this product. Don’t miss out — limited stock available. Order now and step into comfort and confidence!

© 2025 Girls Fashion Wear BD. All rights reserved.

আঙুর আমাদের সবারই পছন্দের ফলগুলোর মধ্যে একটি। ছোট এই ফলটি স্বাদে যেমন অনন্য, তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। কিন্তু অনেকেই আঙুর খাওয়ার সময় এর খোসা ছাড়িয়ে নেন। কেউ কেউ মনে করেন, খোসা ছাড়িয়ে খেলে এটি সহজে হজম হয় বা স্বাদ আরও ভালো লাগে। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, খোসাসহ খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু আসলে কোনটি বেশি উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।


আঙুর খাবেন খোসাসহ নাকি খোসা ছাড়িয়ে



আঙুরের পুষ্টিগুণ

আঙুরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। এটি ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমাণে কম এবং স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস।

এক কাপ আঙুরে (প্রায় ১৫০ গ্রাম) থাকে:
✅ প্রায় ১০৪ ক্যালোরি
✅ ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
✅ ১ গ্রাম প্রোটিন
✅ ০.২ গ্রাম ফ্যাট
✅ ১.৪ গ্রাম ফাইবার
✅ ভিটামিন C, K ও B কমপ্লেক্স

এই উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজম শক্তি উন্নত করতে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।


আঙুরের খোসা: উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

অনেকে আঙুরের খোসা না খেয়ে শুধু ভেতরের অংশ খান, কিন্তু জানেন কি, খোসাটিই সবচেয়ে বেশি উপকারী?

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের শক্তিশালী উৎস

আঙুরের খোসায় রয়েছে রেসভেরাট্রল (Resveratrol) নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে।

২. হজমে সহায়ক

খোসায় উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

খোসার ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।

৪. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক

আঙুরের খোসায় থাকা অ্যান্থোসায়ানিন ও ফ্ল্যাভোনয়েডস ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

৫. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

খোসার ভেতর থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন C ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।


তাহলে খোসাসহ না খোসা ছাড়া – কোনটি ভালো?

এখন প্রশ্ন হলো, আঙুর কি খোসাসহ খাওয়া উচিত নাকি খোসা ছাড়িয়ে? গবেষণা বলছে, আঙুর খোসাসহ খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর। কারণ, এতে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুরোপুরি শরীরে প্রবেশ করে এবং সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।

তবে, যেহেতু বাজারের আঙুরে অনেক সময় কীটনাশক ও রাসায়নিক থাকে, তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত।


কীভাবে আঙুর পরিষ্কার করবেন?

যদি আঙুর খোসাসহ খান, তাহলে এটি পরিষ্কার করার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন:

✅ এক বাটি পানির মধ্যে ১ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে তাতে ১০-১৫ মিনিট আঙুর ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
লবণ ও বেকিং সোডা মিশ্রিত পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।
✅ সরাসরি পানির নিচে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে অনেকাংশেই রাসায়নিক দূর হয়।

আরো জানুন:

খেজুর আসল না নকল কিভাবে চিনবেন?

কোন কোন খাবার শরিরের হজম শক্তি বাড়ায়

Nutritional Value of Grapes

Grapes are rich in antioxidants, vitamins, and minerals. They are low in calories and fat while being a great source of healthy carbohydrates.

One cup of grapes (about 150 grams) contains:
✅ Approximately 104 calories
✅ 27 grams of carbohydrates
✅ 1 gram of protein
✅ 0.2 grams of fat
✅ 1.4 grams of fiber
✅ Vitamin C, K, and B complex

These nutrients boost immunity, improve digestion, and help prevent heart diseases.


Health Benefits of Grape Peel

Many people prefer eating only the juicy inside of grapes, but did you know the peel holds the most nutrition?

1. Rich in Antioxidants

Grape skin contains resveratrol, a powerful antioxidant that helps reduce the risk of heart disease and slows aging.

2. Aids Digestion

The peel is high in dietary fiber, which supports digestion and helps prevent constipation.

3. Helps Regulate Blood Sugar

The phytonutrients in grape skin help control blood sugar levels and may lower the risk of type 2 diabetes.

4. Cancer Prevention

Grape peel contains anthocyanins and flavonoids, which may help prevent the growth of cancer cells.

5. Improves Skin Health

With natural antioxidants and vitamin C, grape peel helps reduce wrinkles and enhances skin glow.


Should You Eat Grapes with or Without the Peel?

So, which is better—peeled or unpeeled grapes? Research suggests that eating grapes with the peel is the healthier choice because it maximizes fiber and antioxidant intake.

However, since store-bought grapes may contain pesticides and chemicals, it’s important to wash them properly before eating.


How to Clean Grapes Properly

If you choose to eat grapes with the peel, follow these steps to remove pesticides and dirt:

✅ Soak grapes in a bowl of water mixed with 1 tablespoon of vinegar for 10-15 minutes, then rinse thoroughly.
✅ Wash grapes in salt and baking soda solution to remove residue.
✅ Rinse them well under running water before consumption.

উপসংহার

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। আঙুরের ক্ষেত্রে, এটি খোসাসহ খাওয়াই ভালো, কারণ এতে বেশি পুষ্টি থাকে এবং এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই পরিষ্কার করে খেতে হবে, যেন কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ না করে। তাই, এখন থেকে আঙুর খাওয়ার সময় খোসা ছাড়ানোর দরকার নেই – বরং খোসাসহই উপভোগ করুন!

আপনার কি আঙুর খাওয়ার অন্য কোনো উপায় জানা আছে? নিচে কমেন্টে শেয়ার করুন!

রমজান এমন এক মাস, যেখানে মুমিনদের জন্য অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত ও জান্নাতের দাওয়াত অপেক্ষা করছে। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা সামান্য আমলের বিনিময়ে অগণিত সওয়াব প্রদান করেন। এটি আত্মশুদ্ধি, গুনাহ থেকে মুক্তি এবং তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময়।অন্য মাসে সঠিক সময় তাহাজ্জু আদায় করতে না পারলেও রমজানে সুবিধা আছে । সেহরি খেতে উঠে তাহাজ্জুদ আদায় করা কোনে কঠিন কাজ না। তাহাজ্জুত সালাতে আছে অফুরোন্ত নেয়ামত। তাহাজ্জুতের সালাত একটি ‍ নামাজ যে এই নাতাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে সম্মানিত করবেন।

🕋 রমজানে তাহাজ্জুদের অপার ফজিলত রহমতের দ্বার উন্মোচন


আসুন আমরা জেনে নেই তাহাজ্জুতে গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে।

একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—

"রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল ইবাদত করলো, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ ইবাদত করলো। আর যে ব্যক্তি রমজানে একটি ফরজ আদায় করলো, সে যেন অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করলো।"
📖 (শুআবুল ঈমান: ৩/৩০৫-৩০৬)

এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা কি কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে?


নফল ইবাদতের গুরুত্ব

ফরজ ইবাদত পালনের পর নফল ইবাদত একটি বান্দার জন্য অতিরিক্ত পুরস্কার বয়ে আনে। শুধু তাই নয়, কিয়ামতের দিন যখন ফরজ ইবাদতের ঘাটতি পাওয়া যাবে, তখন আল্লাহ তায়ালা নফল ইবাদতের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করবেন।

হাদিসে এসেছে—

"কিয়ামতের দিন বান্দার যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেয়া হবে, তা হলো নামাজ। যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি ত্রুটি থাকে, তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি তার ফরজ ইবাদতে ঘাটতি থাকে, তবে আল্লাহ বলবেন, 'আমার বান্দার কিছু নফল ইবাদত আছে কি না, যা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে?'"
📖 (আবু দাউদ ৮৬৪, তিরমিজি ৪১৩, ইবনে মাজাহ ১৪২৫)

তাহলে আমাদের উচিত, নফল ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া, বিশেষ করে রমজানের মতো পুণ্যময় মাসে!


তাহাজ্জুদের ফজিলত ও গুরুত্ব

নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো সালাতুত তাহাজ্জুদ (রাতের নামাজ)। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি কখনোই পরিত্যাগ করতেন না।

তাহাজ্জুদ নামাজ ‘কিয়ামুল লাইল’ নামেও পরিচিত।এটি ফরজ নয়, তবে নবী (সা.) নিয়মিত আদায় করতেন ও সাহাবাদের উৎসাহিত করতেন।রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহতায়ালা প্রথম আসমানে নেমে আসেন ও বান্দাদের দোয়া কবুল করেন।রমজানে সেহরির জন্য ওঠার কারণে তাহাজ্জুদ পড়া সহজ হয়।

তিনি বলেছেন—

"ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলো রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ)।"
📖 (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৩)

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় আল্লাহ পৃথিবীর নিকটতম আসমানে নেমে আসেন এবং বান্দাদের ডাক দেন—

"কে আছো আমার কাছে প্রার্থনাকারী? আমি তার প্রার্থনা কবুল করবো। কে আছো ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করবো। কে আছো আমার কাছে কিছু চাওয়ার? আমি তাকে তা দান করবো।"
📖 (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১৪৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৫৮)

এমন সুযোগ যদি কেউ হাতছাড়া করে, তবে সে নিঃসন্দেহে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত!


রাসূল (সা.) ও তাহাজ্জুদ

তাহাজ্জুদের প্রতি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তেন যে, তার পা ফুলে যেত।

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন:
"রাসূল (সা.) রাতে এত দীর্ঘ সালাত আদায় করতেন যে, তার পা ফুলে যেত। আমি বললাম, 'হে আল্লাহর রাসূল! আপনার তো পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়েছে, তাহলে এত কষ্ট করেন কেন?' তিনি বললেন, 'আমি কি তবে কৃতজ্ঞ বান্দা হব না?'"
📖 (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৮৩৭)

রমজানের শেষ দশকে তাহাজ্জুদের প্রতি রাসূল (সা.)-এর আগ্রহ আরো বেড়ে যেত। তিনি রাত্রিজাগরণ করতেন এবং পরিবারের সদস্যদেরও ইবাদতের জন্য ডাকতেন।

"রমজানের শেষ দশকে রাসূলুল্লাহ (সা.) রাতে জেগে থাকতেন, তার পরিবারকে জাগিয়ে দিতেন এবং লুঙ্গি শক্ত করে বাঁধতেন (পূর্ণ ইবাদতে মগ্ন হওয়ার সংকল্পে)।"
📖 (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)


তাহাজ্জুদ নামাজের গুণাবলি ও উপকারিতা

গুনাহ মাফের অন্যতম মাধ্যম
রাসূল (সা.) বলেন:
"রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) তোমাদের পূর্ববর্তী নেককার লোকদের অভ্যাস। এটি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম, পাপ মোচনের উপায়, এবং নৈতিক স্খলন থেকে রক্ষার ঢাল।"
📖 (তিরমিজি: ৩৫৪৯, ইবনে খুজাইমা: ১১৩৫)

কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হবে
রাসূল (সা.) বলেন:
"কিয়ামতের দিন নামাজ সুপারিশ করবে এবং বলবে, 'হে আমার প্রতিপালক! আমি এই ব্যক্তিকে রাতের বেলায় ঘুমাতে দিইনি, সে আপনার সন্তুষ্টির জন্য দাঁড়িয়ে ছিল।' তখন তার সুপারিশ কবুল হবে।"
📖 (তিরমিজি: ২/১০৮)

আল্লাহ তিন ব্যক্তির ওপর সন্তুষ্ট হন
রাসূল (সা.) বলেন:
"তিন ব্যক্তির ওপর আল্লাহ সন্তুষ্ট হন—
১️⃣ যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের জন্য রাতে জাগে।
২️⃣ যারা একসঙ্গে কাতারবদ্ধ হয়ে সালাত আদায় করে।
৩️⃣ যারা শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য সারিবদ্ধ হয়।"

📖 (শরহুস সুন্নাহ, মিশকাত: ১০৯, হাদিস: ১১৫৭)

আরো পড়ুন

তাহাজ্জুদের পুরস্কার ও গুনাহ মাফের সুযোগ

  • রমজানে নফল ইবাদতের সওয়াব ফরজের সমান এবং ফরজের সওয়াব সত্তর গুণ বৃদ্ধি করা হয়।

  • নবী (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদ।’ (মুসলিম, হাদিস: ১১৬৩)

  • যারা ইমান ও সওয়াবের আশায় তাহাজ্জুদ আদায় করে, তাদের পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করা হয়।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম 

সাহরি খাওয়ার আগের সময় তাহাজ্জুদের জন্য উত্তম।
অজু ও মিসওয়াক করে একাগ্রচিত্তে নামাজ শুরু করা উচিত।
কমপক্ষে ২ রাকাত ও সর্বোচ্চ ১২ রাকাত আদায় করা যায়।
☑ যত বেশি রাকাত পড়া হবে, তত বেশি সওয়াব লাভ করা যাবে।

দীর্ঘ সুরা তিলাওয়াত করা উত্তম, তবে সংক্ষিপ্তও পড়া যায়।

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন:
"যদি কোনো কারণে তাহাজ্জুদ ছুটে যায়, তবে দিনের বেলায় ১২ রাকাত নামাজ আদায় করলে তাহাজ্জুদের সওয়াব পাওয়া যাবে।"
📖 (মুসলিম শরিফ: ১৬৪০)


আরো ইনফো পড়ুন

শেষ কথা

রমজান হচ্ছে তাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাসে ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর আরও বেশি নৈকট্য লাভ করতে পারি। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভ করতে পারি। মাহে রমজানে আমাদের উচিত এই নামাজের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং সারা জীবনের জন্য তা ধরে রাখা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই বরকতময় ইবাদত নিয়মিত আদায় করার তাওফিক দান করুন।  তাই আসুন, আমরা সবাই রমজানের এই বরকতময় মুহূর্তগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের গুনাহ মাফ করিয়ে নেই এবং জান্নাতের পথে নিজেদের প্রস্তুত করি।

🌿 আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন! 🤲

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget