ভারী খাবারের পর বোরহানি খাওয়া পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। উপকারিতার দিক থেকে এটি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এটিতে যে শুধু মুখের স্বাদ মিটে যায় তা নয়, মুখের দূর্গন্ধ দূর স্বজিবতা নিয়ে আসে। তাই ঘরেই কিভাবে বোরহানি তৈরি করবেন ইনফোটি শেয়ার করা হলো।
বোরহানি ও এর প্রকারভেদ
জনপ্রিয় শরবতের মধ্যে বোরহানি বেশ চমৎকার। হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে গ্লাস বা কেজি হিসাবে বিক্রি করা হয়। নতুন কিছু উপকরণ যুক্ত করে বোরহানির ভিন্ন প্রকার তৈরি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিয়ার অনুষ্ঠানে কালার করা বোরহানি পরিবেশন করতে দেখা যায়।
অনেকে আবার বলতে পারেন বোরহানির আবার প্রকার আছে না কি? আপনাকে যদি বলি মিষ্টির কোন প্রকোরভেদ আছে? বাজারে মিষ্টি কিনতে গেলে দেখবেন কত প্রকার মিষ্টি। একই ভাবে পিয়াজু বলতে একটা খাবার আইটেম বুঝলেও এর প্রকারভেদ থাকতে পারে। যেমন- সবজি পিয়াজু, চিংড়ি পিয়াজু ইত্যাদি।
সুতরাং বোরহানির ক্ষেত্রেও পিয়াজুর মতোই প্রকারভেদ হতে পারে। যাইহোক এখানে বেসিক বোরহানি তৈরি করার কৌশল শেয়ার করা হলো।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
এক মগ বোরহানি তৈরি করতে যে পরিমান উপকরণ প্রয়োজন হবে তা এখানে উল্লেখ করা হলো। এই অনুপাতে আপনি যে কোন পরিমান বোহানি তৈরি করে নিতে পারেন। উপকরণগুলো হচ্ছে-
** টক দই দুই কাপ
** পুদিনা পাতা আধা কাপ
** কাঁচামরিচ চারটি
** ধনে পাতা কুচি আধা কাপ
** চিনি তিন চা চামচ
** জিরার গুড়া এক চা চামচ
** ধনে গুড়া এক চা চামচ
** বিট লবণ এক চা চামচ
** গোল মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ
** লবণ আধা চা চামচ
বোরহানি তৈরি করার নিয়ম
উপকরণ নিয়ে নিলেন কিন্ত প্রস্তত প্রণালি না জানলে বোরহানি মানসম্মত নাও হতে পারে। তাই প্রথমেই বোরহানি প্রস্তুত প্রণালি জানুন।
প্রথমে ব্লেন্ডারে পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কুচি, দিয়ে এক মগ পানি দিন। উপকরণগুলো এক সাথে ব্লেইন্ড করুন।
এরপর বাকী উপকরণগুলো যেমন- গোলমরিচ গুড়া, ধনে গুড়া, জিরার গুড়া, লবণ, চিনি, টক দই ইত্যাদি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন।
ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে আপনার বোরহানি তৈরি । এবার গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। ঝাল বেশি খেতে চাইলে কাঁচা মরিচের পরিমান বেশি দিতে পারেন।
এছাড়াও প্রকারভেদ তৈরি করতে চাইলে কোন নতুন আইটেম যুক্ত করে দিতে পারেন কিংবা কোন কালারও তৈরি করে নিতে পারেন।
আরো জানুন: